বেকার
একটা তীব্র যন্ত্রণা...
রৌনক কে
শুঁয়োপোকার
সজনে -পাতা ...
খাওয়ার মতো
কুটে কুটে খাচ্ছে।
বছর বিয়াল্লিশের রৌনক
বেকার।
সে তো...
বাজ পড়া
মুখ থুবড়ে যাওয়া
তাল গাছ।
সে তো ---
বাবা-মায়ের ---
অল্পে অল্পে সঞ্চিত
রেকারিং ডিপোজিটের
লালবাতি জ্বলা ব্যাংক ।
বছর বিয়াল্লিশের রৌনক
আজ বেকার---
কাজ নেই ওর!
তাইতো ,
ভাইপো টুবাইকে
স্কুল পৌঁছে দিতে
যেতে হয় ওকেই--
-সাত সকালে।
সকাল সাতটা র মধ্যে -
বাজারটা সারতেই হয়
ওকে-----
বৌদি র কড়া হুকুম ।
তা না হলে
দাদা ভাত পাবে না
অফিসের।
বাবার পেশারের
ঔষধ টা
ওকেই
আনতে হয়।
মায়ের--
বাতের ব্যথা
ওর বুকে বাজে
তাইতো---
ওকেই ছুটতে হয়
ফার্মেসি তে ।
কাজ নেই ওর
তাইতো
বোনের টিউশনির পথের
পাহারাদারি
ওকেই
করতে হয়।
অপগন্ড রৌনক,
কমপিটিশন পরীক্ষা
দিয়েছিল
অনেক কটা ।
নেহাত
মন্দ নয়;
কিন্তুু
কোথায় যেন
সব গোলমেলে
হিসাব মেলে না।
বছর বিয়াল্লিশ র রৌনক
আজ বেকার।
মায়ের অভিমান মাখা বকুনি',
বাবার ক্লান্তিকর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ;
বোনের রাগত উষ্মা,
দাদার তাচ্ছিল্য ,
আর বৌদির ঘৃনা,
ওকে
পরিনত
করেছে
সাহারা মরুভূমিতে।
বছর বিয়াল্লিশের রৌনক
আজ বেকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন