নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মানস প্রতীমা ...... অথৈ দেবনাথ(রিনা



প্রিয় অরণ্য,
এই মহাবিশ্বে যত ভালোবাসা ছড়ানো আছে
তার সবকয়টা একত্র করে লিখলাম গভীর প্রনয়ের পত্র।
অপার নৈশব্দে ধ্যানমগ্ন হয়ে 
যখন তুমি পড়বে এই চিঠিটা,
তখন নিঃষ্পাপ এক মানস প্রতীমার চিত্রপট ভেসে উঠবে তোমার হৃদয় ক্যানভাসে।
যার হাতে হাত রেখে উষ্ণ আবেগে বলেছিলে
প্রতিঘন্টায় একবার স্মরণ করবে,,
আর প্রতিটা কথার মাঝে বলবে ভালোবাসি।
আমি কিন্তুু বলব,তুমি বলবেতো?
অথচ ঘোর অমানিশায় মিশে যায় এক হারা দেহ।
আর তাইতো,
যান্ত্রিকতার এই পৃথিবীতে ছুটতে ছুটতে...
কখন যেন মনের চাওয়াগুলো হয়ে গেছে
 চন্দ্রভূক আমাবস্যা।
কিন্তুু আমি জানি অরণ্য ,
আজো যন্ত্র হয়ে উঠোনি তুমি।
আজো সেই পূর্ণিমার স্নিগ্ধ আভায়,
ভেসে উঠো তুমি গোভীর প্রনয়ের আবেসে।
আর বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে দীর্ঘস্বাস ছেড়ে বল ভালোবাসি।
তোমার শব্দের সেই প্রতিধ্বনি,
আমার গোহিন সমুদ্রে তিরিক্ষি ঝড় তুলে।
তখন আমার অন্তরিক্ষে প্রজ্জলিত হয় হাজারো নক্ষত্র মেলা।
                     
                 ইতি.....
তোমার মানস প্রতীমা


ইলিশ.... সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়



তুমি আলোতে দাঁড়ালে আঁধারে তোমার দীর্ঘতর ছায়া পড়ে।

আঁধারে দাঁড়াতে দেখিনি কখনো তোমায় আমি।

এই ঘোর বর্ষায় উজান গাঙে নৌকো ভাসে প্রদীপের মত।

এই ঘোর বর্ষায় তারা সব ভিজে বিকেলের ভ্রমে সার সার মরা চোখ বুকে , আঁশটে গন্ধ গায়ে মেখে
এসে ঠ্যাকে পাড়ে।

এমন অসময়ে তোমার জন্য খুব তৃষ্ণা লাগে। ঢেউয়ের মত। ঘূর্ণিঝড়ের মত বীর্যবতী নারী।

ছইয়ের নীচে মরা মাছ পড়ে , মাছের চোখে হ্যাজাকের আলো পড়ে , আলোর নীচে লোভ পড়ে, তার গায়ে মাখো মাখো লেগে ভালোবাসা।

আমি তোমাকে চাই বর্ষার এমন ঘোর লাগা ঘরে ইলিশের মত করে রুদ্রলীনা। একদিন আগল ঠেলে।


হৃৎপিন্ড.... অভিজিৎ দাসকর্মকার


একটি ম্যাসোচিস্ট ট্রাম
সমান্তরাল পরিধি ধরে বাড়ছে-
তিলোত্তমা আর জ্যোৎস্নার ঘাস
মুহুর্তটির নাম দিয়েছে,
                                 ফাটল...
তাই
কোজাগরীও আজ আহ্লাদী
ছন্দভাঙা অক্ষরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
শুক্রাণুর গন্ধ____

দিঘির জল হস্তান্তর করছে
একটি ভারহীন সন্ধ্যা
নাম রাখলাম হৃৎপিন্ড...

সহজ প্রেমের গল্প গুলো (এক) : জুঁই








-ওই 
ওই
ওই
.........ওই ?
-বাবাঃ এত গুলো মেসেজ ?
-হম্ম😔
-কেন গো কি হয়েছে ,আমি তো সব সময় তোমার সঙ্গে আছি ,
- না তাও,তোমায় ছাড়া এক মুহুর্ত থাকা যায় না যে ,তুমি যখন অন্যমনস্ক হয়ে যাও ,যখন চুপ হয়ে যাও, ভীষণ ভয় হয়
- কিসের ভয় ? আমি তোমার'ই তো আছি সব সময়,তোমারি থাকবো গো..
তুমি এত কেন ভালোবাসো গো আমায় ?
-জানি না ! শুধু জানি ভালোবাসি ,ভীষণ ভালোবাসি,হয়তো কারণ নেই,উত্তর নেই,শুধু ভালোবাসি ,কাউকে ভালোবাসতে কারণ লাগে না যে ...

(সংক্ষিপ্ত)

ভীষণ প্রেমের দুপুরে: মল্লিকা




স্তব্ধ দুপুর ক্লান্ত হাওয়া গরম গুমোট ভাব
জানলা রোদে বিছানাটার আদর মাখা স্বভাব ;
কপাল ছুঁয়ে চুল সরিয়ে সোহাগ চুমু ঘাড়ের কাছে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে দুপুর তখন স্বপ্নে বাঁচে...

গল্প পাহাড় আড্ডা জমায় উষ্ণ ঘড়ির কাঁটা জুড়ে
চোখে চোখ ব্যস্ত ভীষণ রাগ রাগিণীর কোমল সুরে ;
দুপুর গড়িয়ে বিকেল আকাশে সিঁদুর রঙের প্রেম ধরেছে
অলস সুখে জানলা পাড়ে দু'একটা মেঘ ভিড় করেছে...

এবার তবে নামবে বৃষ্টি আত্মহারা আনন্দে তাই
সুখ কিনবো সুখ, বুঝলে প্রেমিক খুব যখন কাছেতে পাই ;
ঝুলবারান্দার সন্ধ্যামালতি তখন নেশাভরা সুগন্ধি ছড়ায়
জোনাকিগুলো ওর গায়েতে দারুন প্রেমে আলো মাখায়...

দেওয়াল ঘড়ির কাঁটা শুধু দেখতে ব্যস্ত সময় ভুলে
ছাড়ো প্রিয়তম, ছাড়ো এবার, থাকলে তো অনেক আলিঙ্গনে ; 
তোমার আচরণ শিশুসুলভ, বড্ড তুমি খামখেয়ালি
বেবাক আমি আবেগপ্রবণ, নিস্তব্ধ তখন পড়ার গলি...


আলো ছায়ার কথামালা :-হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়





(চল্লিশ)


          আমাদের ছিল খড়ের চালের মাটির বাড়ি। দু দুটো ঘর। একটা ঘরের চালের খড় যোগাতেই বাবা হিমসিম খেয়ে যেত। তার ওপর আবার দুটো। এইজন্যেই প্রতি বছর একটা ঘরের খড় বদলানো হতো। সেই বছরই অন্য ঘরটির ছিল হতশ্রী অবস্থা।
          আমাদের ছিল রাত করে শোওয়ার অভ্যাস। তক্তাপোষে আমি বাবা পাশাপাশি শুয়ে। দুজনেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ আমার গায়ে এসে পড়ল জলের ফোঁটা। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি। জল গায়ে এসে পড়তে বুঝতে পারলাম, চালের পচা খড় ভেদ করে জল এসে পড়েছে আমাদের মশারির ওপর। সেখান থেকে আমার গায়ে। আজ আমার গায়ে, অন্যদিন বাবার গায়েও পড়বে। সঙ্গে সঙ্গে বিছানা গুটিয়ে নেওয়ার পালা। তা না হলে বৃষ্টিতে বিছানা ভিজে যাবে। বাকি সারাটা রাত আমি আর বাবা  বিছানা গুটিয়ে ঘরের এককোণে বসে। আমি কখনও ঘুমে ঢুলে পড়ছি, কখনও আবার বাবাও ঘুমে ঢুলছে। আসলে একঘন্টাও হয় নি শুয়েছি। মনে হচ্ছে শুতে না শুতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।
          ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা দুজনে  বিছানা গুটিয়ে বসে। একদিনও বাবা এই ঘটনায় আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন নি। বরং তিনি পরোক্ষে আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, এটাই জীবন। এইভাবেই বাঁচতে হয়। আর সৌভাগ্যবানেরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে। সেদিন থেকেই বুঝতে পেরেছি জীবনসংগ্রাম কাকে বলে।


                        

না-মানুষ, মেয়েমানুষ :- শ্যামল কুমার রায়।





তুমি আমাকে কিভাবে চেনো?
নারী হিসেবে? ধুর!
সে অস্তিত্ব তো কবেই হারিয়েছি।
তুমি চেনো আমায় লোভাতুর চোখে,
তোমার পৌরুষের মল্লভূমি আমি।
তোমার উল্লাস আমার শীৎকারে
অথচ, বড়ো নিশ্চল তুমি আমার চিৎকারে।
কর্ণ থেকে কংস, রাবণ থেকে বাছাধন
আমার এলোচুলে সদা উদ্যত তোমার হাত,
চুপ করাতে হবে না আমায়?
বাঁজা, বাজারির তকমা? গা সওয়া হয়ে গেছে।
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার আমি।
ভাবতে অবাক লাগে, বড় অবাক লাগে!
আমার শত্রু অনেক-
গর্ভধারিণী থেকে কটূভাষিণী
সৃষ্টিকর্তা থেকে সম্ভোগ কর্তা।
নির্যাতিত আমি নানা রূপে, নানা ভাবে,
কেউ কখনো মানুষ ভাবেনি।
কোথাও পৌরুষের ফল
কোথাও বা পৌরুষের কারণ।
সংসারে তো আমি সর্বংসহা!
কখনো আমি শুচি, কখনো অশুচি,
কখনো বা আমি ঢাকের বাঁয়া।
চরম অস্তিত্ব সংকট আমার
স্বনির্ভর হয়েও চরম সংকটে।
কেমনে করব পার- ভব বৈতরণী এবার?
              

অপেক্ষার আষাঢ় :- বিকাশ দাস (বিল্টু )



আষাঢ়ের যৌবনের কথা ভোলা যায়? কাদা মেখে আজ কাদাই খাই......

       অপেক্ষার অভ্যাস সহজাত, ভোলা যায়?

ঝাঁপির অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকি.......
                      ভেজা চোখে পায়ের জোঁক নামাই

এখনও অনেক রোয়া গাড়া  বাকি..

                               

ভালোবাসার মহাক্ষেত্র :রুদ্র সুশান্ত



তোর চশমা পরা সজল চক্ষের বাইরে রৌদ্রাগ্নিতে পুড়ে যাচ্ছিলো শহর, আমি নিতান্ত বোহেমিয়ান সুরে বাঁশী বাজাচ্ছিলাম শহরের কোণে বসে। তোর ভালোবাসার রক্তকোষগুলো রঙ মেখে দিয়েছে আমার সবকটি শিরা-উপশিরায়,
এমনি অনুভূতির নিউরোনগুলোতেও।


শহিদ মিনারের লাল বৃত্তটির উপর বসে একরাশ স্বর্গীয় সুখ নিয়ে কীর্তন গেয়ে গেলো একটি ফিনিক্স পাখি- কারণ পাখিটি বুঝে গিয়েছিল দেবীর আগমন ধ্বনি।
আকাশ বাতাস সমগ্র ত্রিভূবন সাক্ষী স্বরুপ জ্বালিয়ে দিলো ভালোবাসার আলো-খচিত হীরক দণ্ড অবশেষ।
যতোবার তোর নয়নে ভালোবাসার নীল প্রজাপতি উড়েছে ততোবার ভালোবাসা পেয়েছে ঐশ্বরিক ছোঁয়া, তোর ভালোবাসার বাহুডোরে গোলাপ বৃষ্টি করে দেবতারা।


শতো জনমে শতোবার পৃথিবী চোখ তুলে থাকালে একটি মুখ দেখেছে বারবার, তোর বিশুদ্ধ মুখশ্রী। যেখানে লেখা আছে ভালোবাসার গল্পগুলো, পৃথিবীর বিবরণ, নীল পদ্মের ইতিহাস, অক্সিজেন তত্ত্ব ও একজন প্রেমিকের যাপিত সংসার।


তোর রহস্যময় নয়নদ্বয়ে ঈশ্বর লিখে রেখেছে মানব জাতির ইতিহাস,
দেবীর নয়নে নিমজ্জিত হয়ে  প্রেমিক পুরুষ হুংকারে ছেড়েছে সর্বনাশ।


তোর চশমার কিনারায় লেগে আছে প্রেম, জনম জনমে যুক্ত হবার আহ্বান।


তোর ভালোবাসা আনবিক শক্তিসম্পন্ন অক্সিজেন বোমা, বেঁচে থাকার বিশুদ্ধ আর্তনাদ, জোছনার পরিপূর্ণ চাঁদ, কবিতার আত্মা আমার লুকোচুরির সুর।


মাঠের পর মাঠ সাম্রাজ্যবাদীরা দখল করে নিলেও আমি শুধু তোরে দখলের আশায় নির্বাক থাকবো, তোর কানে গুজে দিবো আমার নিদারুণ স্পর্শ।

আমার ছন্দের বৃক্ষরাজি তোর ধ্যানে মগ্ন হয়ে স্তুতি করে, দেবী তোর আগমনে এখানে বসন্ত হয়, সবুজ হয় সবকিছু আবার, ফুল আর ফলে ভরে যায় আমার হৃদয়,  পত্রবিল্লব, পুষ্প আর দূর্বাদি দিয়ে চলে তোর আরাধনা।


ভালোবাসার আলিঙ্গনে সহস্র বছরের কবিতার সব পঙক্তি তোর নামে লিখে দিয়ে আমি হবো পৃথিবীর মরুকবি।


একান্ত ব্যক্তিগত : অনিন্দ্য পাল


কোনো কোনো দুঃখ অহল্যা পাষাণীর মত চেপে থাকে
বুকে, সবটুকু একাকিত্বের শুকনো কুয়োয় হাবুডুবু খেতে খেতে মনে হয় আমার জন্য বরাদ্দ নেই বোধহয়
দেবতার টুকরো। পাষাণের মৃত্যুভয় নেই, তবু ঘোর কৃষ্ণ এক রাতে কেঁপে ওঠে অস্তিত্ব, জলজ প্রতিবিম্বের মত অস্পৃশ্য মনে হয় আমার 'আমি'কে। ছুঁতে চাই যখন, আষ্টেপৃষ্ঠে ধরতে চাই যখন, চারিদিকে চেয়ে দেখি, অসংখ্য মিথ্যা ঝুলে আছে নিরুচ্চার বাদুড়ের মত। অথচ দুঃখ এই প্রথম নয়, সময়ের মর্গে থরে থরে শুয়ে আছে সেই সব মনোগত শব। তবু কোন কোন কাঁটা আজীবন গেঁথে থাকে বুকে, কান্না শুকিয়ে জমে থাকে নিষ্পাপ তুহিনের মত।

এ আমার ভুল নয় :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



জীবনের এই সঙ্কির্ণতার মাঝে,
 তোমায় যদি বৃহৎ আকারে কল্পনা করি।
এ আমার ভুল নয়,,
যেমন ভুল নয়,
ধুপের অমীয় সুধায় তোমার শরীরের ঘ্রাণ আমি অনুভব করি।
যেমন ভুল নয়,
 গোধুলী লগ্নে মঙ্গল প্রদীবের নিয়ন আলোতে,,
তোমার প্রতিচ্ছবি দেখে আমি বিভোর হয়ে রই।
যেমন ভুল নয়,  রুদ্রাক্ষরের মালার একশত আটটা,  পুঁথির প্রতিটা পুঁথিতে,, নিরাকারের মাঝে তোমার সাকার রূপ আমি স্পর্শ করি।
ঠিক তেমনি ভুল নয়,
তোমার অস্তিত্বের সন্ধান না পেয়েও,
তোমায় স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপে,,
আমার মন কল্পনায় প্রতিষ্ঠা করা।

সুপ্রভা-তুমি নেই বলে :-আল-আমীন আপেল



তুমি  নেই বলে-
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ আজ
চার ঋতুতে বদলি হয়েছে।

তুমি নেই তাই-
নবান্ন উৎসব হারিয়ে গেছে।

তুমি নেই বলে-
কান্নামাছি, ডাঙ্গুলি খেলা
হারিয়ে গেছে।

তুমি নেই বলে-
গাজী মিয়ার বস্তানি
হারিয়ে গেছে।
চম্পুগান, ঘেটুগান
হারিয়ে গেছে।

আর আমার চোখ দুটি,
অজস্র বছর ধরে-
তোমায় একটা বার
দেখবে বলে অপেক্ষায় আছে।

এসো বর্ষা :অনোজ ব্যানার্জী



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় সুখে  জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
দিন আনাদিন খাওয়া ,দারিদ্র্যক্লিষ্ট ,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত সমস্ত অন্যায়।।।

কাছে এসো না ‘র 'বর্ণ : শুভঙ্কর বিশ্বাস


     ‘র’ বর্ণে থইথই জল
   আদিগন্ত কামুক বালিয়াড়ি
স্বপ্ন দেখে..চাঁদ হেসো না আর।
ভালোবাসা রক্তবর্ণের মার্কশিটের
ছন্দ।লকলকে জিভে পরিযায়ী ফুল ,
নারীর স্তনে স্তনে যত মহাদেশ -সাগর।
আমরা উড়ে যাব বাতায়ন ছিন্ন করে,
এসো না আর কাছে।