নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কৃষ্ণ বর্মন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কৃষ্ণ বর্মন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

দাও দাও দাউ দাউ : কৃষ্ণ বর্মণ



দিচ্ছো ভালো কথা
দাবীটা ন্যায্য বলেই না দিতে বাধ্য হচ্ছো
যা দিচ্ছো যত টুকু দিচ্ছো
নিজের ঘর থেকে তো দিচ্ছো না
যারা দাও দাও বলে চীৎকার করে
প্রাপ্য পায়নি বলেই
তাঁরা আজ পথে মাঠে ঘাটে

ওরা তো এমনি এমনি চাইছে না
এমনি এমনি ওরা নামেনি পথে
না দিতে দিতে ওদের দেউলিয়া করেছো বলেই
ওদের কন্ঠে আজ--"দাও দাও"

এই দাও দাও যেদিন দাউ দাউ করে জ্বলবে
সেদিন বুঝবে তোমার দর্পের যতুগৃহ
কতটা দাহ্য কতটা দূর্বল

ব্যাথা দাও আগের মত:- কৃষ্ণ বর্মন



যদি তুমি কাছের বলেই ভাবো
তবে ব্যথা দাও না কেন আগের মত।
তোমার দেওয়া ব্যথাই তো মনে করায়
আমি কাছের তোমার খুব কাছের কেউ।
আজকাল ঠিক বুঝে পাই না
তুমি ব্যাথা দিতে ভুলে গেছো
না ব্যথা পেতে পেতে আমি ব্যথাকেই ভুলে গেছি।
তোমার দেওয়া কোনো ব্যথাকেই আজ ব্যথা বলে মনে হয় না।
কে জানে তুমি দূরে সরিয়ে দিলে
না আমিই সরে গেলাম দূরে।

ব্যথা পেতে পেতে এখন ব্যথার নেশারী হয়ে উঠেছি আমি
ব্যথাহীন সময়কে বড় দুঃসহ মনে হয়।
মনে হয় তুমি বুঝি সরে গেছো বহুদূরে
নির্বাসিত করে আমায় ব্যথার নিস্তরঙ্গ সমুদ্রে
অথবা ব্যথা দিতে দিতে তোমার অনুভূতিরা নির্বিষ হয়ে গেছে
তাই তাঁদের দংশনের চিহ্ন থাকলেও
ব্যথা নেই লেশমাত্র।

তোমার দেওয়া ব্যথাগুলো সযত্নে রেখেছি আজ
হৃদয়ের নিশ্চিদ্র প্রহরায়
স্মৃতির সমধুর সিন্দুকে,
মাঝে মাঝে খুলে দেখি তাঁদের
আর ব্যথাহীন বেদনা নিয়ে ভাবি
তুমি কি দূরে সরিয়ে দিলে
না আমিই সরে গেলাম দৃরে।

যদি তুমি আজও কাছের বলেই ভাবো
যদি আজও অনুভবে রাখো অবিরত
তবে যত দূরেই যাও না কেন সরে
আজও ভুলোনা দিতে ক্ষত
আপন বলেই ভাবো যদি
ব্যথা দাও আগের মত।

#ধার্মিক..... কৃষ্ণ বর্মন .....



আমি অক্ষরে অক্ষরে ধর্ম মেনে চলি।
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক।
ধর্ম বলতে তোমরা যা জানো আমিও তা জানি
কিন্তু আমি তোমাদের মত করে বুঝি না।
তোমাদের বোঝাটাকে যদি জোর করে
আমার উপর বোঝার মত চাপিয়ে দাও
তখন আমি তো কথা বলবই।

ভোর চারটের আজান কিংবা চৌ রাস্তার মোড়ের
জয় শ্রীরাম ধ্বনি আমাকে বিভ্রান্ত করে না।
ছোটো বেলায় দেখেছি ভোর চারটের আজান শুনে
আমার ঠাকুমা ঘুম থেকে উঠে
দুই মাইল পথ পায়ে হেঁটে গঙ্গা থেকে জল এনে
সকালের প্রথম সূর্য কিরনে ধুঁইয়ে দিত
আমাদের বাড়ীর দু'শো বছরের পুরানো তুলসী চাতাল।
একটু বড় হলে সন্ধ্যার জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে
মনসুর আলির ছেলে রহমতও আমার সাথে মন্দিরে ছুটে গেছে
সোনামুগের প্রসাদী লাড্ডুর আশায়।
সেদিন আমার মন মস্তিষ্কে কোনো বিভ্রাট ঘটেনি
আজও ঘটে না।

তোমরা যদি জোর করে আমার ধর্মকে মন্দির মসজিদ
কিংবা গীর্জায় আটকে রাখার চেষ্টা কর
তখন আমি তো চুপ থাকব না।
আমার ধর্মে আঘাত লাগলে
কিংবা বিচ্যূতি ঘটিয়ে আমাকে ধর্মান্তরিত করতে চাইলে
আমি তৎক্ষনাৎ চীৎকার করে বলব
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক,
তোমার ধর্ম আমার ধর্ম নয়।

যেদিন তোমার ধর্ম আমার বাড়ির ফ্রিজে নজরদারি চালাবে না
যেদিন তোমার ধর্ম জেহাদের নামে
আমার বাড়ির কিশোর কিশোরীর মস্তিষ্ক অপহরন করবে না
কিংবা রক্ত ঝরাবে না রথযাত্রা ইস্টারে অথবা জুম্মাবারে
সেদিন জানবে তোমাদের সকলের ধর্মই আমার ধর্ম।