ডিয়ার শৈশব
----------------------
আজ হতে বহু আজ পচ্ছাতে___
আমারো কচ্ছপের খোলে শৈশব ছিল
আজ সেই কচ্ছপ গতকাল ,
বসন্ত ফেটে যাচ্ছিল চিনির চিৎকারে
খুটে রেখেছি কত দিবানিশির বে-দানা
কত ভোর ভরে গ্যাছে ভাদর ভাইরাসে :
এভাবে নদী বাঁক কাটতে কাটতে ___
কখন জল কেঁদে ফেলেছে
তারপর চিৎকার ছিঁড়ে ডিয়ার খুঁজেছি
কত ব্যথার খোলস খুলে কত মুখোশ পড়েছি
সভ্যতার অসুখ
----------------------
এই যে একগুঁয়েমি কালো ,
রাতপিছু ঘুরঘুর করছে
নরম ময়ূরের নম্রতা ভেঙে গ্যালেই ভুলতে পারিনা ,
সভ্যচাতুরীর শব্দত্বকের ভেলায়
গাঢ় হতে প্রগাঢ় হচ্ছে কোলাহলের কোলাকুলি
সারকুলেট করছে খিদের পোশাক
কেমন ধীরেধীরে আতুর ছায়া হয়ে যাই
তারপর আতঙ্ককারী
আর সভ্যতায় জরুরী হয়ে পরছে
অসুখের আত্ম-সিগন্যাচার
কালো লেখনী
--------------------
তাঁর মুখজুড়ে কোথাও চাঁদ নেই
অথচ কলঙ্কফুলের পারফিউম মাখি
খেলি জোনাকি জাপটে ধরে গুপ্তগুপ্ত খেলা
গোপনে গুচ্ছখেলার ডানা তরপেতরপে মরে মরনের প'রে
যেভাবে নিসর্গ বসন্তঘুম ভক্ষন করে অপ্সরার পাতে
সেভাবেই তুমবীন রাতীয়া কোলো চ্যাংড়া রজনী শূন্য পাণ করে
উষ্ণ-কথা
--------------
শায়িত কলা বিগড়ে দেয় ডুমুরফুল
গরমগতিতে পটল তুলছে দীর্ঘপথচলা
এসো , দাঁতের ফাকেফাকে চুষে নিই উষ্ণ কথা
এই রজনীপ্রেম এই তাবিজ প্রেম
আর কতদিন ?
যে কথায় পকেট ভরেনা
যেখানে শুড়শুড়ির কেনাবেচা নেই
তবুও মৃদুপেরেকের খোঁচা
দ্যাখো , ফিসফিস যেন অদলবদল না হয়
হোম-সিক্
--------------
বালিকাময় পরদেশী ___
ওই ঘরের অসুস্থতা ভেঙ্গে দিয়ে
খুঁজে ফিরি গোছাগোছা লালবোতল মুখ
বিস্তর ঠোটপাথারে জিহ্বাযুদ্ধ ও
মদনমন্থন ,
ছিপিখোলা ঘর
মুদ্রাঘটিত আপেলঘুম
সে
যেন গৃহমূখী স্বদেশীমুখ
বন্ধু
--------
বন্ধুফুল মানেই ব্যাপক গন্ধের গাঁদা...
এই সঙ্গ গোঁখড়ো চিড়ে ভোজনদেব গাঙচিলের মতোন...
যেথায়সেথায় ঝুলে থাকা ঝুলের মতোন...
চাঁদনীর চুলে শ্যাম্পু মাখিয়ে ঊড়ে যাওয়ার মতোন...
বারোমাসে একই ঋতুর নুপূরনৃত্যের মতোন...
বন্ধুফুল মানেই ব্যাপক সাদা...
এই সঙ্গ মাটির জঠর ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা বনালীর মতোন...