নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি:রুদ্র সুশান্ত



বেহিসেবি জোছনার প্রলেপে হয়তো তোমার চোখের রঙ আঁকা, আজো রোজ রোজ ভুলভাল চিত্রে ফুটিয়ে তুলতে চাই- একটি মুখ।
আমার দেখা হয়নি সে মুখ, বুলি বিনিময় হয়নি পক্ষান্তরে, তবুও বুকের ভেতর দুমড়েমুচড়ে ক্যান শুধু সে মুখখানির প্রতিলিপি ভাসে? তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি?

আমার বিনোদ সখা- প্রান্তরে প্রান্তের ঠোঁট ছুঁয়ে নোনাজলের সংকল্পিত হিজল বনে আমাকে দেখা দিও নির্জনে, তোর প্রকোষ্ঠে মিশে একাকার হয়ে রবো জন্মজন্মান্তরে।

আমার আকুলতা, ব্যগ্রতার  ভাবনা সর্বক্ষণ উৎকণ্ঠিত তোমার একান্ত সঙ্গ পাবার অভিপ্রায়ে। শো শো বাতাস আমাকে কতোটা ব্যাকুল করছে প্রেমিকার রুপ প্রকাশিত না হলে আমি বুঝতেই পারতাম না।

তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি?
ধন্যবাদ! আমাকে নারীরত্নের যৌবন রুপ দেয়ার জন্য- হে নরোত্তম সখা। ।

পরিবর্তন করি নিজেদের.. সুমিত মোদক



ঋতুদি পড়াশুনায় ভালো ;
ঋতুদি দেখতেও ভালো
ঠিক মাটির প্রতিমার মতো ;
নিজের পড়ার খরচ জোগাতে শুরু করল পড়ানো ;
আমি তখন নাইনে উঠেছি
ঋতুদির পড়ছি
ঋতুদি পড়ছে বি.এ ;
#
মনেতে তখন ফাগুন
শরীরে তখন আগুন
সেই আগুনে পুড়ল দুটো মেয়ে ;
খুঁজছিলাম আমি যাকে
পেলাম আমি তাকে
রিতুকে রাতের কাছে পেয়ে ;
#
ও পরিবর্তন আনে আমার ভাবনায়
আমার চাওয়া পাওয়ায় ;
ও আমাকে দেখতে শেখাল
কিভাবে দুটো নারী একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে
হয়ে ওঠে প্রেম
সমপ্রেম ;
#
আমরা খুঁজে নিয়েছি জীবনের ভাষা ;
আমরা খুঁজে পেয়েছি জৈবিক নেশা ;
সেই নেশাতে বুঁদ হয়ে হয়ে ছিলাম কটা বছর ;
এক গ্রামে বাড়ি , পড়াশুনা নিয়ে থাকি
দুজনে ;
সে কারণে অবাধ মেলামেশা অবাধ ইচ্ছা ডানা
শরীরে ও মননে ;
#
হঠাৎ ই কথাটি কিভাবে জানাজানি হয়ে গেল দুটো দুটো বাড়িতে, পাড়ায় ;
মেনে নিতে পারলনা কেউ আমাদের পরিবর্তনের স্বপ্ন ,
পরিবর্তনের ছন্দ , চলচ্চিত্র . .
#
কয়েক দিনের মধ্যে সব ওলটপালট হয়ে গেল .....
ঋতুকে জোর করে বিয়ে দিল ;
আমাকে পাঠানো হল মামার বাড়ি
সবার সঙ্গে আড়ি ;
কেবল ভাব ঋতুর সঙ্গে , ভিতরে ভিতরে ;
#
পুরুষ ঘ্রাণে মন ভরে না
গভীর রাতে ঘুম আসে না
স্বামীর কাছে সুখ পায় না
নিজেকে কখনও নারী ভাবে না   . .
#
তাইতো সে ফিরে এলো
খুঁজে নিলো
আমাকে
নিজেকে ;
দুজনে পালিয়ে এলাম আঙিনা থেকে  , অনেক দূরে ,
এখানে ,
কেউ চেনে না
আমাদের , আমাদের অতীত ,
পরিচয়  ;
#
এখানে আমরা বেশ আছি
পরিবর্তনে আছি
পরিবর্তনে থাকি  ;
পরিবর্তন করি নিজেদের প্রতিদিন , প্রতিরাতে  ।।

বিরোধী শুন্যতাতে বঞ্চিতরা এখনও কাঁদে : শুভম চক্রবর্ত্তী


হস্ত ভাঙা আজ প্রভাতে

ঝান্ডা তো কোন দূর,

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

অশিক্ষা ভরপুর।


আমরা নেতা, আমরা রাজা

ব‍্যালট ভেঙে পায়রা সাজা।

আমরা প্রধান আমরা প্রথম,

প্রতিযোগীদের নেই প্রয়োজন।

আমরা একাই একশ হাঁকিয়ে দেবো,

নিলাম হাতুড়ি গুঁড়িয়ে দেবো,

হাতে বাটি ধরিয়ে দিয়ে

বলব শান্তিপুর।

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

একনায়কতন্ত্রতা মজবুর।


বিপ্লববাদ আগুন জ্বালাও,

রক্ত ফুটুক টকবকে।

ভাঙা হাতই সঙ্গী থাকুক,

বিপ্লব দেখো রক্ততে।


শুরু হোক বিরোধীতা

অন‍্যয়ের প্রতিবাদে,

চেয়ে দেখো সকল স্থানে

বঞ্চিতরা এখনো কাঁদে।।

ভারত :- মিঠুন কর্মকার


আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
যে হাতে আমি ঈশ্বরের প্রার্থনা করি
সে হাতে আবার আল্লাহকেউ ডাকি।
গির্জাতে গিয়ে প্রার্থনা করি,
আবার বুদ্ধের নীতিতে ধ্যানমগ্নও থাকি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি।

মোদের রক্ষার্থে কত বীর সৈনিক
প্রাণ বিসর্জন দেয় নিয়ে মুখে হাসি,
জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে গিয়ে তারা
দেশ রক্ষার্থে পায় খুশি এক রাশি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

যতই করি না কেন কোন্দল
দেশের কথায় যে মোরা একদল,
কতই না এল গজনী ইংরেজ রাশি রাশি
ভারত বীরেরাই উড়িয়েছে তাদের ঘাঁটি ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

কত না বেশ রয়েছে মোদের
কতই না রয়েছে খাদ্যরাশি,
সবাই সবার কথা বুঝি মোরা
যতই বা থাকি ভিন্ন ভাষাভাষী ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
ভারত কে আমি ভালোবাসি ।

ফিরে আসে ঘরে :- সুমিত মোদক




মেয়েটি ফিরে এসেছে ঘরে ;
#
কদিন ধরে মেঘ জমে ছিল আকাশের বুকে ;
অথচ , বৃষ্টির দেখা নেই  ;
মেয়েটা ফিরে আসতে ঝমঝম করে শুরু হল  শ্রাবণের বৃষ্টি ;
#
পাড়া-গাঁর বর্ষার গান বেঁধে নেয়
উদাস বাউল ;
সেধে নেয় লালন ফকিরের গান ...
নদীর বুকেও ভাটিয়ালি সুর জেগে উঠে
মেয়েটি ফিরে এলে  ;
#
বাদাবনের কাদাজলে জমে থাকে অনেক দুঃখ-যন্ত্রণা-অভিমান---
খাঁড়ি পথে জীবন মৃত্যুর লুকোচুরি খেলা  ;
মেয়েটি বাঁচার জন্য শ্বাসমূল আঁকড়ে ধরে ;
মণি নদী পাড় ভেঙে , জন্ম দেয় দ্বীপ ;
#
মেয়েটি ফিরে এসেছে ঘরে ;
#
আবার সে নেমে পড়বে জলে মিন ধরতে ;
এ শ্রাবণের সকালবেলায় ...
#
মেয়েরা ফিরে আসে ঘরে ।।

রঙ :- কৌশিক গাঙ্গুলি


এখন সবাই শান্তিতে থাকেনা
বুকে আগুন চেপে মুখে মুখোশ আঁটে ,
তাই কষ্টের রঙ বেগুনী আর দুঃখের রঙ ধূসর ...
শান্তি এখন হারিয়ে গেছে বহুদূরে ,
মানুষ ভালবাসতে ভুলে গেছে
মনে ইর্ষা চেপে মুখেতে হাসি সাটে , তাই
প্রেমের রঙ হলুদ আর যৌনতার রঙ লাল ।

অসময়ে : অনিন্দ্য পাল


সেই তারিখটা মুছে দিয়েছি ডেট ক্যালেন্ডার থেকে যদিও শুণ্যতারও ভাষা আছে জানি, অস্তিত্বহীনতা
কথা বলে নিজের মত করে, তবু 'কিছু নেই ' থেকে ভেসে আসে 'না ', আমিও তাকে মুঠো করে লুকিয়ে ফেলতে চাই, ভুলে যাই হারিয়ে যাওয়ার ও নিজস্ব অঙ্ক থাকে ...

চুল্লির ও খিদে থাকে দুর্ভাগা কয়েদির মত।

উল্লাস :- অভিজিৎ দাস কর্মকার



এখনো নামেনি বৈশাখি,
গ্রহান্তর ছেড়ে-
নিম্বাস একটি মেঘেরই নাম
অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ঝাপাটায় অশ্বশক্তির দলিল
কল্পনাপ্রবণ সন্ধ্যেগুলোয় পিঠ চাপড়েছিলো
বিজ্ঞাপন আর চোখ
বিভাসরাগে জ্বালিয়েছি ইশারার মোমবাতি সমাধির নীচে ঐতিহাসিক মালিকানায়
রাত বদলে যাচ্ছে স্বেচ্ছাচারীতায়
মাননীয়,
আমি টাল খাচ্ছি
হৃদপিণ্ডে উভচরী শব্দের শিলাবৃষ্টি
আলটপকাই উপত্যাকার সাথে শুয়ে পড়েছি-
এবং
অসাধারন ব্যক্তিত্বে বায়োমেট্রিক ছাপ
বিকেলবেলা বাড়ালো মান্দাক্রান্তা ছন্দটি
আমারা মনের হসপিটাল সেই
নিকুঞ্জতলার কালো লক্ লকে মেয়েটি
যার যৌনতা গাছের ছায়া আর
গন্ধ হয়ে মিশে গেছে সপ্তাহের শেষে
আমি এখন বৃদ্ধ
কোমর অব্দি ব্যাথাটা নিয়ে
চিল্কায় দাঁড়িয়ে ঢেউ ফেরা দেখি মহেঞ্জোদরো আর ঈশ্বরের দিব্যি লেখা
একটি ঔঁ আর
কিছু কিটসের রোমান্টিকতার উল্লাসে... **

সময়ের ঘড়িটা :- অথৈ দেবনাথ



স্নেহাশিস খোকা,
   আমার বাবা মানে তোর দাদুকে এক দিন আমি বলেছিলাম,
 বাবা তোমার কি কখনো কষ্ট হয়না?
 তোমাকে কাঁদতে দেখিনি কোন দিন।
আমার কথা শুনে তোর দাদু মুচকি হেসে বলেছিল,
পুরুষ মানুষের যে অনেক কর্তব্য।
 তারা যদি কাঁদে, 
নিরাশ হয় তাহলে সংসার নামক এই নৌকাটা,
মাঝ সমুদ্রে ডুবে যাবে।
 বাবার সেই কথার মানে আমি পরে বুঝেছি।
আর এটাও বুঝেছি যে পুরুষের জীবনটা অনেকটা শামুকের খোলসের মত আবৃত থাকে।
যা উপরে শক্ত আর ভীতরে নরম।
আর তাই তো তোকে যখন বকা দিতাম, আমারো খুব কষ্ট হত।
কিন্তু তুই যখন রাতে ঘুমিয়ে পরতিস।
আমি তোকে মন ভোরে আদর করতাম।
আর তোর মাকে বলতাম, দেখে নিও আমার খোকা একদিন অনেক বড় হবে।
সত্যি খোকা , আজ তুই অনেক বড় হয়েছিস। আমি আর তোকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনা।
সময়ের ঘোড়িটাও আজ উল্টো দিকে বইছে। আমিও স্হবির হয়ে যাচ্ছি।
এক সময় ছিল,
 তুই তোর পরিচিতদের কাছে গর্ব করে আমার পরিচয় দিতিস।
কিন্তুু এখন তোর লজ্জা হয়।
 আর তোর এই লজ্জা আমায় অনেক কষ্ট দেয় খোকা।
তা তুই বুঝবিনা।
জানিস খোকা,
 প্রতিটা মানুষের জীবনে যেমন জোয়ার আসে .... , তেমনি আসে ভাটা।
এক সময় আমারো এসেছিল জোয়ার সে সময় আমি অনেক পেয়েছি ,
 তোর মাকে পেয়েছি গৃহ লক্ষি হিসেবে।
তার পর তুই এলি আলো হয়ে।
কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি,
 এত দ্রুত বদলে যাবে। এক ভয়ঙ্করী ভাটা এসে তোর মাকে নিয়ে গেল। আমি প্রার্থনা করি যেন সে ভালো থাকে স্বর্গে স্থান পায়।
এই দুর্বিষহ জীবন তাকে বইতে হয়নি,
এই বলে নিজেকে শান্ত্বনা দেই।
আজ আমি তোর কাছে বোঝা হয়ে গেছি তা আমি বুঝি,
কিন্তু কি করব বল,
 সময়ের ঘোরিটা যে উল্টো দিকে বইছে কিন্তু থামছে না,
জানিনা আর কত দিন চলবে,,
সব কিছুই তো একসময় ফুরিয়ে যায়,
 কিন্তুু আমার জীবন কেন ফুরায় না?
জানিস খোকা,
এই দু হাত ভোরে তোকে দিয়ে এসেছি।
চাই নি কিছুই।
আজো দিতে চাই, তোমায় মুক্তি,
আমার ভার থেকে।
যেই বুকে তোকে আগলে রেখেছিলাম,
সেই বুকের স্পন্দনটা দিতে চাই  তোর হাতে।
কিন্তু এতটাই স্হবির হয়েছি,
আমি তাই পারছিনা,
আমি পারছিনা।

        ইতি তোর অক্ষম
                            বাবা

তখন ও এখন :- মান্নুজা খাতুন


একটা সময় বড্ড অচেনা ছিলাম তাই না?
ব্যস্ততার পথ ধরে চলতে ফিরতে
পথের অন্তিমে তোমার বেখেয়ালে লেগেছিল ধাক্কা 
অবনত নয়নে, খুব ছোট্ট করে বলেছিলে ‘'সরি’। 

তারপর!
ঘরে ফিরে ক্লান্ত দুচোখ এক করেছি যেই
ভেসে উঠতে থাকে তোমার ছবি!
আর শুনতে পায় তোমার মিস্টি সুরের ‘’ সরি’ শব্দটা।।

সেদিন হঠাৎ করেই হয়ে গেল সাক্ষাৎ
অফিস ফেরতা পথে। 
শেষ সন্ধ্যার এক্সপ্রেস কামরার তৃতীয় শ্রেনীর কামরাতে
লজ্জায় তুমি করেছ আনত মুখ, আমি হেসেছি মুচকি।।

তারপর আলাপ,  আলাপ হতে বন্ধুত্ব
বন্ধুত্বের গন্ডি পেরিয়ে গেছিল কখন আমার অনুভূতি
তা জানতে পারি তোমার দীর্ঘ অদেখায়!
যদিও আমি জানি আমার মতোই হয়েছিলে ব্যাকুল
খুজেছিলে অফিস ফেরতা পথে
উৎসুক দৃস্টিতে চেয়েছিলে ফাঁকা  স্টেশনের পানে
দেখা যেদিন হয়েছিল প্রিয় অভিমানে ঘুরিয়েছ মুখ
সে আমি জানি।
কিন্তু কখনো কি জানতে পারবে প্রিয়
দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদের অনলে আমিও পুড়েছি মরে
দিবস কি রজনী অবসর সময়ে মনে করেছি তোমাকে
আর হৃদয়ের পার্লামেন্টে  লড়েছি  ভালোবাসার প্রতীকে
জিতেছি শেষ মুহুর্তে যখন দেখা হলো তোমার সাথে।।             
   

একতাই বল:-অনোজ ব্যানার্জী


  ‎


একতাই বল আনে জানি,হবে তাই জোট বাঁধতে।
বিন্দুবিন্দু জলে গড়ে সিন্ধু, কথাটি হবে মনে রাখতে।।
একা যে আমি বড়ো বোকা,তুমি যদি থাকো সাথে।
সব বাধা করবোই জয়,পারবেনা কেউ কখনোই টলাতে।।
জীবনের পথ বড়ো দুর্গম, কাঁচ কাঁটা বারুদেতে ভরা।
রাক্ষস খোক্কস, ডাকিনী যোগিনীতে পূর্ণ হয়েছে এই ধরা।।

এসো বন্ধু,  হাতে রাখো হাত, পিশাচের সাথে হবে লড়তে।
শয়তানের শয়তানি পুড়িয়ে,, নতুন সমাজ হবে গড়তে।।
ভেঙে দাও ঘুঘুদের বাসা, কাটমানি,সিণ্ডিকেট দাও উড়িয়ে।
পাপীদের মুখোশের প্রাসাদ,বিপ্লবের ঝড়ে দাও গুড়িয়ে।।
চেতনার জোয়ার আসুক আমাদের সকলের হৃদয়ে।
জ্বলছে সন্ত্রাসের আগুন,তবু থাকবোনা আমরা ভয়েভয়ে।।
লুটেপুটে খাচ্ছে যারা,দেশের সব ধনরত্ন, দিতে হবে শাস্তি তাদের।
আসবে সুখ  শান্তি তবেই। এই প্রিয়  দেশ আমাদের।
এই দেশ তোমার আমার, সকলের সমান অধিকার।
তবে কেন বিভেদ এত,,ধনী দরিদ্রে?  কেন এত হাহাকার....?

ফুটপাথে পথশিশু , কাঙাল ভিখারি, বেকারের  কেন আর্তনাদ??
দেশের সুদিন এলো ফুরিয়ে,সামনেই দেখো বড়ো খাদ!!
কে বাঁচাবে এই পচা সমাজ? এসো সবাই একসাথে।
দড়ি  ধরে মারো টান,,দুর্নীতির ইমারত লুটিয়ে পড়বে ধুলোতে।।

উদ্বাস্তু :-অনিন্দ্য পাল


যেমন সব কিছু থাকে
ঘাস মাটি পাথর , ঝরা পাতা
অস্তিত্বে প্রত্যয়িত বাস্তব অথচ ঠিকানা নেই কোনো
ঠিক তেমনি,
ওরাও আছে জোয়ারের জলে ভেসে আসা
অমর পলিথিনের মত
অনেকটা ওই খাল বিল নদী থেকে সদ্যজাত
চঞ্চল মেঘ
নাম গোত্রহীন
না হিন্দু না মুসলিম না খৃষ্টান না ইহুদি
 অথবা বৌদ্ধ অথবা জৈন
ওদের ধর্ম বর্তমান দিন
ওরা সামাজিক অথচ বাস্তুহীন

কোথাও স্থায়ী নয় দর্মা পাঁচিল
একফালি টিনছাদ, পোষাক বাতিল
ওরা কারা জানে না ওদের ছেলেমেয়ে
জীবন দরজাহীন, নেই কোন খিল

অসীম না হোক এই নীলগ্রহ অনেকটা বড়
স্থল জল এত কিছু দখল নিল কে?
শুরুতে সবাই ছিলাম বন্য একাকার
কেন কেউ স্বর্গ পেল, কারো হাহাকার

এদেশ ওদেশ নিজের ঠিকানা কোথায়
সন্তান আঁকড়ে বুকে বাবা মারা যায়
আয়লান একা নয় অসংখ্য যেমন
অদ্ভুত জেলখানায় বাঁচতে বাধ্য হয়

সীমারেখা টানলো কে পৃথিবী টা কার?
বাস্তুনেই তবু বাঁচে ওদের সংসার
দেবালয় ঠাঁই দেয় আর আছে ফুটপাথ
ওদের সরকার নেই, আছে নগ্ন কালো হাত

প্রমাণ কোথায় তোমরা এ পৃথিবীর জীব ?
গ্যারান্টি দেবে কে তোমরা নও ক্লীব!
এ নাটকে অভিনেতা নও তুমি, দর্শক ও নও
তুমি শুধু এ গ্রহের উদ্বাস্তু হও!

এক আঁচলা জল:- সুমিত মোদক



হরপ্পা নগর থেকে হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে ঠিকই পৌঁছে যাবো তোমার কাছে ;
সেদিন কি তুমি চিনতে পারবে আমাকে  !
চিনতে পারবে কি তোমার সেই পোড়া মাটির পুতুল !
যে গুলো নিয়ে তোমার মেয়েবেলার পুতুল খেলার দিন ;
সে গুলো সযত্নে আজও রেখে দিয়েছি নিজের কাছে ;
#
সেই হরপ্পা সভ্যতার অন্তিম থেকে আজও খুঁজে চলেছি তোমাকে ;
তোমার জন্মচিহ্ন ঠিকই ছিনিয়ে দেবে ;
সে কারণে , যেখানে যেখানে জলের হাহাকার দেখা দেয়  ,
যেখানে যেখানে জলের অভাবে সভ্যতার ধ্বংসের পদধ্বনি শুনি  ,
সেখানেই ছুটে যাই কেবল তোমাকে খুঁজে পাওয়ার আশায় ;
#
সে সময় তো চোখের সামনে দেখেছি কেবলমাত্র জলের অভাবে কিভাবে ধুঁকছিলে ;
ধুঁকছিলে তোমার হরপ্পা সভ্যতা ,
আমার হরপ্পা সভ্যতা ,
আমাদের ভারতবর্ষ  ;
#
কেবল জলের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে বেরিয়ে পড়ে ছিলে  , শুধুমাত্র তুমি নও , আমি নই ,
আমাদের হরপ্পা সভ্যতার প্রতিটি মানুষ
মানুষের মিছিল ;
একটা সভ্যতা থেকে আরেকটা সভ্যতার দিকে
জলের সন্ধানে  , বাঁচার সন্ধানে ;
#
রাস্তার দুধরে দেখেছি হাজার হাজার মানুষের মৃতদেহ  , সভ্যতার মৃতদেহ ;
মৃত এক নগরী ....
যে যেদিকে পেরেছে হেঁটে গেছে এক ফোঁটা জলের আশায় , বাঁচার আশায় ;
#
আজও হাঁটছি আমি ;
তুমিও হাঁটছো হয়তো এক ভূখণ্ড থেকে আরেক ভূখণ্ডে , আরেক সভ্যতার দিকে ;
#
এখানে এখন শ্রাবণের বৃষ্টি ;
ঝমঝম ঝমঝম বৃষ্টি  .  ..
বৃষ্টির জলে ভিজেছি আর ভাবছি কেবল তোমার কথা , তোমাদের কথা ,
আমাদের কথা . .
#
আজ এই সকালবেলায় তোমার জন্য রেখে দিলেন  এক আঁচলা জল , আমাদের জীবন  ।।

অষ্টাদশ এই যথেষ্ট :শুভম চক্রবর্ত্তী




আমি এক অষ্টাদশের যুবক।


ভোটের কার্ড হাতে লাইনে দাড়াই,

ছাপ্পা দিয়ে পয়সা কুড়োই।

টাকা পেলে ঝান্ডা ধরি,

দেওয়াল লিখি, প্রচার করি।


দাদারা বলে-'আমাদের দাবি মানতে হবে।'

আমরা বলি-' মানতে হবে, মানতে হবে।'

কী দাবি ? কী বুঝি ছাই,

ঝান্ডা ধরি স্লোগান চালাই।


কী হবে এডুকেশনে?

এডুকেশন কি পয়সা আনে?

দেশটা কী চলছে তায়,

আমাদের কিইবা আসে যায়।


সুখের জোগাড় কিইবা কষ্ট ?

অষ্টাদশ এই যথেষ্ট।।


এরকম যদি হয় চিন্তা,

সর্বনাশের মাথায় বাড়ী।

সমাজ হবে নেতা-মন্ত্রীর,

শখে রাখা মোচ আর দাড়ি।