নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শুভম চক্রবর্ত্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শুভম চক্রবর্ত্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

অপেক্ষায়: শুভম চক্রবর্ত্তী


ঐ যে দেখো হাঁটছে, রাস্তা মাঝে;
ঐ যে দেখো মানুষ রুপি সাজে।
হল্লা করে পাড়ার মোড়ে,
খিল্লি করে কাজে।

ঐ যে তোমার আগামী,
তুমি যেমন রেখেছো তাকে।
সাবধানতার আশ্রয়ে,
সুস্বাস্থ্য লুকিয়ে থাকে।

ঐ যে দেখো নিয়ম কানুন,
তোমার অনিচ্ছার আড়ালে।
বাঁচিয়ে দিচ্ছে তোমাকে ,
এ বিশ্ব ব্যাধির আকালে।

তাই আপামর একটা উপায়,
শান্ত হয়ে বসো ঘরে।
এই একঘেয়েমির অন্তরালে-
তোমার সু-ভবিষ্যৎ খেলা করে।

।।শারদ উপহার।।শুভম চক্রবর্ত্তী





লজ্জা, ঘৃন্য, জঘন্য;
বলে গন্য-মান্য।
ওদের বাড়ির ছেলে,
যেমন তুলসী পাতা ধুলে।
অসহায় শুধু তুমি,
তাই ধর্ষণ- ই প্রনামী।
গুমরে গুমরে মরো,
সমাজ দোষাবে এরপরেও।

ওদিকে চলে আলোর ছটা,
আড়ম্বরই পূজার ঘটা;
মাতৃ ভক্তি ওসব মিথ্যা,
গ্ৰাস করে সব উল্লাস ও উগ্ৰতা।
আমি তাই বেড়োচ্ছিনা,
আমার পূজা সূচী আর হচ্ছে না।

নারী তুমি গর্জে ওঠো,
প্রতিবাদে তোলো হাতিয়ার।
সেটাই হবে আমার জন্য
শ্রেষ্ঠ শারদ উপহার।

সামলে পড়ো:- শুভম চক্রবর্ত্তী


রাত্রি যোগায় কালি,
উচ্ছাস দেয় জোনাক।
কিছু বালক আছে,
ওরা খাবার না পাক।

তুমি উপরতলা,
আমি ফুটের 'যাতা'।
তুমি ধর্ম মানো,
আমি পেরোব না পা।

অনেক চিন্তা আছে,
যারা ঘুমায় না রাত।
অনেক স্বপ্ন বুকে,
যারা যাচ্ছে নিপাত।

তাই খাবার আনি
এই তোমার দুয়ার,
তুমি ধর্ম খোঁজো
এই 'প্যকেট' ছোঁবার।

তুমি বুলিও দাও
ঐ সাম্যবাদের,
একি বিচার তোমার
একবিংশ সালের।

আজ লজ্জা লাগে
এই এদের দেখে,
এরা রবীন্দ্র নজরুল এর উত্তর
এরা কী বা শেখে।

যদি সোজায় লিখি,
আমি দেশদ্রোহী।
তুমি সামলে পড়ো
জপি ত্রাহী ত্রাহী।



বন্ধু তোমায় : শুভম চক্রবর্ত্তী



হে হৃদ-সখা,
এই দুরন্ত পৃথিবীর উন্মাদনায়
সবাই যখন একাকিত্বে মত্ত,
আত্ম চঞ্চলতা যখন সবার রক্তে,
স্বার্থপরতা যখন মানুষের একমাত্র বুলি,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল প্রেম।
বন্ধু যখন 'ফেসবুক'এ সীমাবদ্ধ,
আর তার প্রতিদান যখন লাইক আর কমেন্ট,
জীবন-যাত্রা যখন মোবাইলে বন্দী,
মানুষ যখন শূন্যে ভেসে বেড়ায়,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল বন্ধুত্ব।

এসো হে বন্ধু,
আজ এই শুভক্ষনে
লোক দেখানো বন্ধুত্ব কে বিদায় জানিয়ে,
প্রভেদের বেড়াজাল ছিন্ন করে,
সবাইকে আপন করেনিয়ে
মানুষের পাশে দাঁড়াই,
ভালোবাসার সমুদ্র গড়ে তুলি।


আর এক বৃস্টি :- শুভম চক্রবর্ত্তী


আকাশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে
রোদনে ব‍্যস্ত।
গাছেরও ব‍্যস্ততার অবকাশ নেই,
তারা প্রেমিক- প্রেমিকার মতো
বৃষ্টি খাচ্ছে।
কবির কলম আর ছোটে না,
তাদের বাড়ির আর মনের
জানালা দরজা বন্ধ।
ভোগী বাঙালির জালাতনের অন্ত নেই।
সুযোগ বুঝে বিদ‍্যুৎ পাখি
ফুরুত করে উড়ে গেছে।
অনেকে আবার কাজ-কর্মে
ক্ষতির হিসাব গুনছে।

আজ আর কাগজের নৌকা
ভাসেনা জলে।
আজ আর কেউ ফুটবল
খেলে না বৃষ্টিতে।
আত্মা আছে, তবে তা আর-
আত্মহারা হয় না।
বৃষ্টি এখন পুলকের নয়,
তা স্বাভাবিক।

আর এক দিকে,
আজও টিনের চালে ঝম ঝম-
করে আওয়াজ ওঠে।
আজও ফুটো চালের নীচে
পাততে হয় গামলা বালতি।
আজও বৃষ্টিতে সংগ্ৰাম চালাতে হয়
বেঁচে থাকার।

তাই ছন্দ তোলা রইল
তোমাদের জন্য।
আমার বিদ্রোহী চোখে- বৃষ্টি
কঠোর বাস্তব হয়ে ফোটে।
আমার বৃষ্টি-এ আর এক বৃষ্টি।

অনেকে বলবে এ কেমন বৃষ্টি,
উত্তরে বলি- "বৃষ্টি একই আছে,
শুধু দৃষ্টি টা পাল্টেছে।"

বিরোধী শুন্যতাতে বঞ্চিতরা এখনও কাঁদে : শুভম চক্রবর্ত্তী


হস্ত ভাঙা আজ প্রভাতে

ঝান্ডা তো কোন দূর,

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

অশিক্ষা ভরপুর।


আমরা নেতা, আমরা রাজা

ব‍্যালট ভেঙে পায়রা সাজা।

আমরা প্রধান আমরা প্রথম,

প্রতিযোগীদের নেই প্রয়োজন।

আমরা একাই একশ হাঁকিয়ে দেবো,

নিলাম হাতুড়ি গুঁড়িয়ে দেবো,

হাতে বাটি ধরিয়ে দিয়ে

বলব শান্তিপুর।

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

একনায়কতন্ত্রতা মজবুর।


বিপ্লববাদ আগুন জ্বালাও,

রক্ত ফুটুক টকবকে।

ভাঙা হাতই সঙ্গী থাকুক,

বিপ্লব দেখো রক্ততে।


শুরু হোক বিরোধীতা

অন‍্যয়ের প্রতিবাদে,

চেয়ে দেখো সকল স্থানে

বঞ্চিতরা এখনো কাঁদে।।

অষ্টাদশ এই যথেষ্ট :শুভম চক্রবর্ত্তী




আমি এক অষ্টাদশের যুবক।


ভোটের কার্ড হাতে লাইনে দাড়াই,

ছাপ্পা দিয়ে পয়সা কুড়োই।

টাকা পেলে ঝান্ডা ধরি,

দেওয়াল লিখি, প্রচার করি।


দাদারা বলে-'আমাদের দাবি মানতে হবে।'

আমরা বলি-' মানতে হবে, মানতে হবে।'

কী দাবি ? কী বুঝি ছাই,

ঝান্ডা ধরি স্লোগান চালাই।


কী হবে এডুকেশনে?

এডুকেশন কি পয়সা আনে?

দেশটা কী চলছে তায়,

আমাদের কিইবা আসে যায়।


সুখের জোগাড় কিইবা কষ্ট ?

অষ্টাদশ এই যথেষ্ট।।


এরকম যদি হয় চিন্তা,

সর্বনাশের মাথায় বাড়ী।

সমাজ হবে নেতা-মন্ত্রীর,

শখে রাখা মোচ আর দাড়ি।

আমি ক্লাসের ফালতু ছেলে : শুভম চক্রবর্ত্তী




ছিলাম যখন ক্লাস এইট-এ,

স‍্যারের চাবুক পড়তো পিঠে।

পড়াশোনার বালাই ছাই-

হো হো টো টো ঘুরেই তাই,

কাটতো দিন হেলেদুলে

আমি ক্লাসের ফাল্তু ছেলে।


নিলাঞ্জন সেতো গুডবয়

অঙ্ক, বাংলা, ইংরেজিতে।

আমরা সবাই যাতা যাতা

ওর সঙ্গে তুলনা যোটে।

মা বোকে বলতো তখন-

'দেখো, দেখে শেখো ওর থেকে।

কিল, চড়, উঠবোস

এই সবই কি তোর ভাগ‍্যে থাকে?'

আমি বলতাম-'ভালো লাগেনা,

যাওতো এখান থেকে চলে।

নিলাঞ্জন ভালো তো কী?

যানোনা আমি ক্লাসের ফাল্তু ছেলে।



একদিন এক অঙ্ক ক্লাসে,

অংক স‍্যার বলল হেসে-

'এই যে সব ক্লাসের বাজে ছেলে

এ প্লাস বি এর স্কয়ার সূত্র বলতে পারো।'

আমি তখন চুপ

নিলাঞ্জন বলল -'এটা কি এমন বড়ো।'

আমার বেশ মনে আছে

সেদিন নিলাঞ্জন ছিল বলে,

'হুঁঃ যত সব ফাল্তু ক্লাসের ছেলে।'


এখন নিলাঞ্জন বিশাল বড়ো,

বউ নিয়ে আলাদা আছে।

মা বাবার সুখ-দুঃখ ও‌ ভালো-মন্দ

বোঝার কি তার সময় আছে।

আমি আজ ট্রেনের হকার

নুন আনতে পান্তা ফুরায়।

তবু মা আমার সাথেই

শাক ভাজা ভাত আনন্দে খায়।

কী হবে পড়াশোনায়

আমি তাই ফাল্তু ছেলে।


আমি থাকবো অট্টালিকা

বাবা মায়ের চোখের জলে,

মিধাবী ও দাদারা-

এটাকেই কি শিক্ষা বলে???

-পুন‍্যছেদে প্রিয়তমা কবি:-শুভম চক্রবর্ত্তী



প্রিয়তমা,
আজ বসন্তের উপস্থিতি বাতাসে,
আজ আমার তুমিহীন বসন্ত।
আজ বিবেক, আদর্শ জাগ্রত।
উদারতাও কম যায়না!
আজ আমার মনের নিঃস্ব স্থানে
প্রকৃতির, বাস্তবতার পরিপূর্ণতা।
আজ মনের সংকীর্ণতা গেছে লীনে।
আজ আমি স্বাধীন,
বাঁধনছাড়া পাখির ন‍্যয়।

আজও আমার বাড়িটা অগোছালো,
আমি সমাজ ও প্রকৃতি গোছাতে ব্যস্ত।
আমার হৃদয় প্রসারিত হচ্ছে,
তুমিহীন হৃদয় অনেক বড়ো।
তোমার ছোট ছোট ব‍্যথা
আর আমায় কষ্ট দেয়না।
আমার হৃদপূর্ণ আনন্দ আর আনন্দম।

আজ আমি সবার জন্য ভাবি
দেশের, দশের, সমাজের।
ভাবনাগুলো একঘর থেকে হয়েছে একপৃথিবী।
আজ আমি উপলব্ধি করেছি
তোমার না পাওয়াগুলো কতটা সংকীর্ণ।

এই প্রথম ভালো থাকতে শিখেছি,
শিখেছি প্রকৃত ভালোবাসাতে।
প্রেমহীন, আবেগহীন, নির্লিপ্ত অথচ
প্রকৃত ভালোবাসা।।

কবিতা বর্ণন.... শুভম চক্রবর্ত্তী



কবিতা তুমি কল্পনা না সৃষ্টি?
কবিতা তুমি বসন্ত না বৃষ্টি?
কবিতা তুমিকি হাসনুহানার গন্ধ?
কিংবা তুমি পলাশ রাঙা ছন্দ।
কবিতা তুমি বিদ্রোহী না প্রেমী?
ছন্দ মিলেছে গিয়েছে কখনো থেমে।
কবিতা তুমি উন্মাদ না শান্ত?
কখন তুমি মুক্ত কখন ব‍্যক্ত‌‌‌।
কবিতা তুমি কি বৃদ্ধ নাকি যৌবন?
নাকি কলম ঠেঙিয়ে প্রতিবাদে তুমি উদ‍্যম।
কবিতা তুমি বাচাল নাকি মৌন?
তুমি জোয়ার নাকি গৌন?
যদি হয় কলায় 'কলা' নির্মাণ
কবিতা তোমার থাকবে নিজ স্থান?

কবিতা এখনো বৃষ্টি বাদল হচ্ছে,
এখনো সংগ্রামে হাজার মানুষ মরছে।
এখনো নৈতিকতায় হানী,
এখনো মানুষ বেইমানি।
কবিতা এখন কলম হয়েছে ব‍্যস্ত
প্রকৃতি তার নিজের খেয়ালে চলে,
মানুষ এখন মৃত 'সুকান্ত'
কলম এখন শেখানো কথা বলে।
কবিতা এখন পৃথিবী চায়না তোমায়
কবিতা তুমি সৃষ্টির জীবাশ্ম,
কবিতা এখন কবিরা কর্পোরেট
ছন্দ এখন মৃত্যুতে বিষন্ন।

কবিতা এখন ভাবনা কি কথাবলে?
নাকি বিকৃতিতে আপনবেগে চলে।
কবিতা এখন প্রেমকি কাছে আসে?
নাকি অন্য কারোর যৌনতাতে ভাসে।
কবিতা তুমি কি পাচ্ছ খেতে?
নাকি বাবুরা সব তালা লাগায় গেটে।
কবিতা তুমি কি এখনো বিদ্রোহী?
নাকি সন্ত্রাসীদের বেত্রাঘাতে প্রতিবন্ধী।
কবিতা কলম ছেড়ে তুমিকি ধরেছো লাঠি?
নাকি বাবুরা সব তোমায় করেছে বন্দী।

কবিতা যদি আমারা তোমায় প‍্যানচ‍্যেটেতে ডাকি,
আসবে তুমি কবিদের হাতধরে?
নিভবে নাকি জলন্ত মোমবাতি,
পাবো জবাব সাদাখাতা ভোরে?
কবিতা তুমি বলছো তুমি জীবিত,
কিন্তু তোমার অস্তিত্ব গেছে মরে।
মানুষ এখন বিবেকহীন মৃত রাজা,
মেরুদণ্ড হীনতায় সমাজ গিয়েছে ভরে।
কবিতা তুমি এরকম জীবিত?
তবে দোহাই তোমার গ্রহন করো মৃত্যু।
আমি আজও আদর্শে বিশ্বাসী,
কবিতা তুমি তাহলে আমার শত্রু।

কবিতা তুমিকি করছো রাজনীতি?
মহাভারতের বিষাক্ত সেই ঢঙে।
তুমি এখন স্বাধীন নাকি বন্দি?
অদৃশ্য কোনো রাজনৈতিক রঙে।
কবিতা তুমিকি মানুষের অন্তরে?
নাকি পারার মোড়ের দেওয়ালের রঙ-তুলি।
এরা দেয় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি,
তুমিকি ওদের কোনো রঙচঙে বুলবুলি?
কবিতা দোহাই তোমায় ছেড়ে দাও রাজনীতি
ওরা চলে আপন আপন ছলে,
আজও বানায় মানুষকে ওরা হদ্দ
কবিতা ওরা সব মিথ্যেকথা বলে।

কবিতা, কবিরা এখন ভাব প্রকাশে ব‍্যর্থ,
কেউবা লেখে ছন্দে কিংবা আবেগ।
কেউবা বলে অসামাজিক পদ‍্য,
কটুক্তি আর মিথ্যা নানান ভাবে।
কবিতা অনেকে আবার অনুবাদে বিশ্বাসী,
কলম এখন ছেড়েছে নিজেসত্ত্ব।
বিদেশী লেখায় অনেক দাম আসে,
কবিরা এখন চোখ ট‍্যারাতেই মত্ত।
কবিতা তুমিকি শীতের দেশে আছো?
বেরোবে কবে শাল-মুড়ী খুলে।
একবার নাহয় হটাৎ উঠেবসো,
চশমা পরো হালকা হাই তুলে।

কবিতা তুমিকি আগের মতোই সত‍্য?
নাকি মেপে-ঝেপে মিথ্যে কথায় পোক্ত।
কবিতা আজও তোমায় বুঝিনি আমি,
তাইতো আমার কাছে আজও প্রশ্ন তুমি।
একটা কথা হালকা আবদারে
কিছু মানুষ আজও তুমি হীনতায় মরে।
কথা দাও তুমি রাখবে প্রতিশ্রুতি- 
ওদের হাত ধরে তুমি পৌঁছোবে আবার
সবার সবার সবার অন্তরে।।

শ্রমিকের দু-চার লাইন :শুভম চক্রবর্ত্তী




রক্ত হচ্ছে জল

ঘামে রক্ত লীন,

সত্য নিষ্ঠা হাতিয়ার

চতুরতা বিহীন।


নিত্য চলে অনটন

দুর্ভিক্ষের রেশ,

সুখের চিন্তা করার ভাবনা

চোখের জলে শেষ।


দিন সে অনেক বড়ো

যখন পেটে খরা,

আকাল যখন শ্রেষ্ঠস্থানে

সবাই দৃষ্টিহারা‌।


আবার সবাই দৃষ্টি পাবে

যদি পকেট ঝোলে,

দূরের লোক খবর নেবে

ঝগড়া ঝাটি ভুলে।


সমাজ এখন মিথ্যাখ‍্যেকো,

সহজ, সরল - পাগলাটে।

আইন কানুন বোকার পালন

শ্রেষ্ঠত্ব ওই ফাঁকটাতে।


বাবুরা বাবুই এই স্বাভাবিক

তুমি আমি মানুষ নই,

আমরা বানাই বাবুর গদি

লবাবীপনার সাক্ষী রই।


যুগান্তর সবকিছুতে

সকল জিনিস দামে পোড়ে,

আমরা পাই পূরান মজুরী

পূরান সিদ্ধ সবার উপরে।


সব স্বাভাবিক এবং সচল

পেটের কথা অন‍্য রকম,

বিষ-ই বোধহয় শেষ হাতিয়ার

জানিনা তার বাজার কেমন।


সর্বকালের চামড়া আমাদের

বাবুদের ওই জুতোরলেস,

পরিবর্তন সে মঙ্গলে হয়

আমাদের লড়াই লড়াইয়ে শেষ।।

বর্তমান:- শুভম চক্রবর্ত্তী




বর্তমানে ছুটছে কালি

আবল-তাবল কবিতা লেখা।

বর্তমান তো অনেক কিছুই

চাকরি নিয়ে চাকর হবার স্বপ্ন দেখা।।


বর্তমান উন্নয়নী

রাস্তা-ঘাটে, আর দান-ধ‍্যানে।

কদিন চলবে নির্বাকতা

দুহাত দিয়ে দান গ্ৰহনে।।


'বর্তমান' তো বর্তমানে

বর্তমানই শেষ কথা।

বর্তমানে প্রশ্ন ওঠে

এক্তিয়ার, আর ব‍্যক্তিগত স্বাধীনতা।।


বর্তমানে আমরা স্বাধীন,

তবু ভয় গিলছে সবার মত।

বর্তমান ভবিষ্যৎ- শূন্য

মরিচীকার মতো শূন্য সে পথ।।


এইযে তোমরা বর্তমানী

বর্তমানেই ডুবে আছো।

একটা কথা, অতীত দেখে

ভবিষ্যতে আবার বাঁচো।।


এদিক ওদিক না তাকিয়ে

উপযুক্তে ব‍্যালট ভরো।

পরিবর্তন আবার হবে

নিজের প্রতি ধৈর্য ধরো।।


অপেক্ষা করো তোমরা সবাই

ঝড় আসবে অতীত-রাজের।

গনতন্ত্র বুঝিয়ে দেবে

গনতন্ত্র-ই শুধুই কাজের।


বর্তমানে মত-বিভেদ

বর্তমানেই লোপাট যাবে।

অন্তরে ও বাহিরে সবাই

সাম‍্যতাকে খুঁজে পাবে।।

স্বপ্নানন্দ :শুভম চক্রবর্ত্তী






মধ‍্য রাত্রি,

স্বপ্নে দেখা এক রাজ‍্য।

যে রাজ‍্যে মন্ত্রীরা সব প্রতিভাবান।

মন্ত্রীগন রাজ‍্যকে মাতৃতুল‍্য এবং

প্রজাদের ভাতৃতুল‍্য সম্মান দেয়।

সে রাজ‍্যে যে যে বিষয়ে সর্বজ্ঞ এবং শ্রেষ্ঠ

সে সেই বিভাগীয় মন্ত্রী।

সে রাজ‍্যে গনতন্ত্র আছে উপযুক্তের পক্ষে।

সে রাজ‍্যে মানুষ দানে নয় মন্ত্রী

মন্ত্রীর সহযোগিতায় এবং আত্ম-অধিকারে বাঁচে।

সে রাজ‍্যে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বিরাজমান।

মন্ত্রী, জনগন সবাই গনতন্ত্রের গুরুত্ব বোঝে।


শরীরে আনন্দের শিহরন,

বুকে ধামসা-মাদলের ন‍্যয় কম্পন,

হটাৎ ঘুম ভাঙে বসা,

আর গালে হাত।।