নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পরিচিতি পর্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পরিচিতি পর্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মৌসুমী ভৌমিক








✍️সাক্ষাৎকার
    ***********

প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ?
উত্তর : আমার কাছে কবিতা হল বন্ধু, আমার সুখ, দুঃখ ও যাপনের সঙ্গী।
     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তর : আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।
   অন্যান্য কবিদের কবিতাই মূলতঃ প্রেরণা।

     ৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ?
উত্তর : বলা মুশকিল। তবে একটা কবিতা লেখার পর কিছু শান্তি অনুভব করি। হয়ত তাই লিখি।

     ৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)
উত্তর : প্রথম কবিতা - 'মৌন'। 2011 সালে সানন্দা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
           প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ - 'যাপন'। 2017 সালে উড়ান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।

     ৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তর : আত্মিক সম্পর্ক হওয়া উচিত। কবিতা যখন মন ছুঁয়ে অন্তর ছুঁয়ে যায়, সে শব্দমালা তখন শুধু কবির নয়, পাঠকেরও হয় বৈকি।

৬. ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ?
উত্তর : ফেসবুক বর্তমান যুগে এক বড় প্লাটফর্ম। আজ যারা ফেসবুকে কবিতা লিখছে, ভবিষ্যতে তাদেরই কেউ বড় কবি হয়ে উঠবে না, এমন কথা বলা যায় না। সময় বলে দেবে এর গুরুত্ব কতখানি।

৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তর : যে যার নিজের জায়গায়। ছাপার অক্ষরে লেখা পড়ার যেমন বিশাল সুবিধে আছে, অপরদিকে অনলাইন ম্যাগাজিন খুব কম সময়ে অনেক দুরবর্তী স্থানেও পাওয়া ও পড়া সম্ভব। অনলাইনে অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছানোও সুবিধাজনক।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুখ হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর : বই বিমুখতার কারণ বহুবিধ। বইসংখ্যা প্রচুর, তাছাড়া অনলাইনে বই/কবিতা/লেখা পড়ার ফলে কেনার চাহিদাও কমে যাচ্ছে। তবে ভাল বইয়ের পাঠক আজও বর্তমান।

৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?
উত্তর : যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কবিতারও আধুনিকীকরণ ঘটবে, এটাও কাম্য। তবে দেখতে হবে এ কবিতাও যেন পাঠককে স্পর্শ করে।

১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর : গদ্য কবিতায় অন্ত্যমিল থাকে না। তারও নিজস্ব ছন্দ থাকে তবে নির্দিষ্ট নয়।



মৌসুমী ভৌমিকের কাব্যগ্রন্থ "যাপন" ভারতবর্ষের যেকোনো প্রান্তে ঘরে বসেই পেয়ে যান ডেলিভারি । অর্ডার করতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কেঃ https://goo.gl/ivub8T



✍️কিছু কবিতা



শব্দরা
***********




পাহাড়ের গা বেয়ে চলা রাস্তা ধরে
শব্দরা হেঁটে যাচ্ছে
নির্বাক আমি নিথর হয়ে বসে থাকি


ঢালু উপত্যকার কোল বেয়ে
খাদের পাশ দিয়ে গেলে যেমনটা হয়
শব্দরা সেভাবে হাঁটছে
স্পষ্টতঃ বললে
শব্দরা খেলছে, অক্ষর ভেঙে ভেঙে
আবার ক্রমশঃ নিজেদের জুড়ে নিয়ে


শব্দের বৃষ্টি আয়নাবাচক হলে
তাদের গল্পটা বুঝতে পারি
নির্বাক আমি জেগে উঠলে
শব্দরা হাসে -
শব্দরাও প্রগলভতা ভালবাসে



আঁধার
***************



আলোর পৃথিবীকে আঁধার স্পর্শ করলে
            রাত্রি হেসে ওঠে ।
নাক্ষত্রিক আকাশে জোছনার প্লাবন এলে স্বর্গীয় দ্যোতনায়
              ভেসে থাকে দিগন্ত।
অখিল বিশ্ব রাত্রির চান্দ্রিক সুষমার
    কাছে ঋণী হয়ে থাকে।
জন্মাধতার মুখোশ খুলে হে মানুষিক অসুর
      এই মোহময় অপরূপ জ্যোস্নায়
ধুয়ে নাও বিষাক্ত মন
সন্ত্রাসের আগুন।
আঁধারের মৌনতাকে সম্মতি না মেনে
মৌনমিছিল বলে জেনে রাখো।
আঁধারের সম্মোহন মুছে দিক যত রক্তাক্ত চেতনা। পৃথিবীর পাণ্ডুলিপিতে লেখা হোক শুধু মানবতা, ভাতৃত্ববোধের অক্ষর।
তারপর এ পৃথিবী অ-আসুরিক হোমযজ্ঞে
শুদ্ধ হয়ে লাবণ্যময়ী মমতাময়ী মাতৃভূমি।



আলোহারা জীবন
*****************


মনগুলোতে অন্ধকার জমলে
মুখগুলো পরে  নেয় মুখোশ
নক্ষত্রদের পুড়িয়ে দিয়ে
রক্তের স্বাদে ভাঙে উপোস।
ক্ষমতার কাছে নুইয়ে মাথা
শব্দ  হারায় প্রতিবাদী স্বর
মোমবাতি জ্বলে, কান্নারা শুধু
দুঃখ ঢাকে, কাটে আঁচড়।
জমজমাট অন্ধকার অলিগলি
আলোহারা চাঁদ, দিগদিগন্ত
জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে
থাকে না কোনো মুহূর্ত।
তবু, আশ্চর্য ভাত ফুটে উঠলে
গন্ধে আবার বেঁচে ওঠে জীবন।






পদযাত্রা       
***************



দিনের আলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে
এসো দুপুরআলো সেলাই করি
সূর্য কাছে এলে ছায়াও ভয় পায়
নিজেকে গুটিয়ে ছোট হয়ে এলে
আমার ছায়াও আমাতে মিশে যায়
আমি একাত্ম হয়ে প্রহর গুনি
সন্ধ্যার আঁধার হেঁটে এলে
গোধূলির আলোতে মুখ ধুই
মেখে নিই নরম আলোর প্রশান্ত আভা
ক্লান্ত আমি অতল স্বপ্নের সুলভ খামে
হারিয়ে যায় সম্মোহিতের মতো
জীবনের কথা বিছিয়ে যে ইচ্ছেরা জাগে
সকালের সোনালি আলোয় তাদের
আবার পদযাত্রা।




আমি ও গাছ          
***************


আমি দেখি
মাঠের মাঝে গাছগুলি একাকী দাঁড়িয়ে -
তখন আর নিজেকে একা মনে হয় না ঠিকই
বরং গাছের থেকেও অসহায় মনে হয় ।
শেকড়হীন সুগন্ধহীন জীবন
সারাজীবন কারো না কারোর অপেক্ষায় বহুবার মরার পরেও বেঁচে থাকে ।
জেগে থাকে শূন্য করতল মেলে পৃথিবীর মায়ার মাঝে
কিছুই তো নেই - ভিক্ষাপাত্র নিয়ে প্রবজ্যা দরজায় দরজায়
তার চেয়ে গাছ হওয়া ভাল।




সাক্ষাৎকারে: জ্যোতির্ময় রায়

শুভ্রা দে






কবি শুভ্রা দে

(লন্ডন)

সাক্ষাৎকার 
***********


১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 
উত্তরঃ: কবিতা হল আত্মার ঔষধ ,মন খারাপির ঔষধ, নতুন করে বাঁচতে শেখার ,নতুন করে ভালোবাসার কিছু না বলা কথার প্রকাশ ।

     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তরঃ শরৎ চন্দ্র আমার প্রিয় লেখক ,প্রিয় কবি হল রবীন্দ্রনাথ

আমার অনুপ্রেরণা হল কবি অতনু নন্দী 
 
     ৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তরঃ ওই মন খারাপে কিংবা ভীষণ ভেঙে পড়লে ওই কবিতাই নতুন করে বাঁচতে শেখায় ,তাই মনের খেয়ালে লিখে চলি কিছু কথা ।

     ৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তরঃ প্রথম বই ( পঞ্চদর্শী)প্রকাশিত 
প্রথম লেখা কবিতা ( আমার মা)

     ৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তরঃ কবি/কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক ভীষণ আত্মীয়র। আত্মার টান থাকাটা খুব জুরুরী । মনের খুব কাছের মানুষ হচ্ছে ওই পাঠক । 
৬. ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তরঃ ফেসবুকের কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যতে এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।এখন হয়তো এর গুরুত্ব আমরা সেরকম দেই না ,কিন্তু ফেসবুকে এর মাধ্যমে অনেক পাঠকের সঙ্গে অনেক কবির সঙ্গে ,কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় ।

৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ? 
উত্তরঃ ছাপা ম্যাগাজিন এর গুরুত্ব অবশ্যই বেশি ।তবে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ,করছে ।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: বই বিমুখ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে আমি মনে করি এই ইন্টারনেট ,এখন হাতের মুঠোয় সব জিনিস সবাই পেয়ে যাচ্ছে ।
বই মুখী করার উপায় হিসাবে আমার মনে হয় ,যে বই মেলা ,বই দিসব পালন ইত্যাদির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাধ্যমে করা যেতে পারে ।

৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?

উত্তরঃ কবিতা হবে সহজ ও সরল , যা এটি সহজে বলে দেবে অনেক কথা ।
 
১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?

উত্তরঃ অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট রীতি ও তাল ও ছন্দ থাকবে কবিতায় ,তা আধুনিক হোক কিংবা মধ্যযুগীয় হোক 






কিছু কবিতা:

তুমি বলেছিলে ভালোবাসি
********************


নীল পাহাড়ের পিছন থেকে লাল সূর্যটা কেমন ফুটে  বেরুলো। ।

 হিমেল বরফচুড়া গুলি থেকে একের পর এক সোনা গলে পড়ছে।

 বল তো( তুমি ) কত সুন্দর হবে আমাদের  সেই দিন গুলি
                                                   ৷ কি চমৎকার  অপরূপ চাঁদ লাখো তারাদের নিয়ে আকাশটাতে কেমন সাজাবে নতুন করে।।

 মামুলি এলোমেলো নদীটা কখন ঝিলমিল ঝিলমিল করে জলতরঙ্গের মত বাজবে।

নদীর ধারে পলাস ফুলের গালিচায় আমরা হাত ধরাধরি করে বসে  থাকবো দুজনে।।                 

  এক শুন্য  জীবনে এসবই এক  স্বপ্নের মত ভেসে গেলো।।

কেননা কালরাতে আমায়  তুমি বলেছিলে,“ভালোবাসি। ”



এদেশ ও বিদেশ
************



জন্মভূমি তুমি মাগো,
তোমার কোলেই মানুষ আমি,
কর্মসূত্রে মাগো আমি এখন পরদেশ বাসি।
বেদনা ছাড়া জোটেনি কিছু তোমার ভূমিতে,
পেয়েছি যা কিছু আমি এই বিদেশে।

সভ্যতার নজরানা
শিখেছি মাগো পরবাসী হয়ে, সম্মান ও শিক্ষার আলো পেয়েছি এখানে।

শিশুদের শ্রমিক বানায় না এ দেশ
 শৈশব শিকারি নয় এ দেশ।
হয়েনা নারী অত্যাচার
করেনা শ্লীলতা হানি
কোনো নারীর
মাগো মাটি আমার
আমার ভারত জন্মভূমি,
তোমার মাটি আমার কাছে
এখনো বড় দামি।




এখনো!       
 *******


ভালোবাসার মশাল জ্বলেছিল একদিন আজ নিভে গেছে।
বৈদ্যুতিক কারিকুরি সব কবে যে বিকল হলো।
লণ্ঠনের তেল ফুরিয়ে দপ্ করে নিভে গেলো।
ভোর হতে ঢের দেরী জেনে গেছে আকাশের তারারা আজ।
  এস পরম মমতায়  ভালোবাসায় ফের হাত ধরি।
ভয় কি? এখনও  আকাশে জেগে আছে মায়াবি  চাঁদ ।





পূজোয় প্রবাসে
************
                 
এখানে জাঁকালো সড়ক আর টেমসের জলকে কুয়াশারা হিংস্র বাজের মত অহরহ শীকার করে। 
 অথচ আমার স্বভূমি,আমার বাঙলায় আজো কিছু  শারদ শিউলি,  কিছু  কাশফুল ফোটে ।
বন্যার জলের মত সোনালি রোদ গৃহস্থের আঙিনা ভাসিয়ে  জানালা দিয়ে কখন যে  ঢুকে পড়ে ন্যাংটো খোকার সাথে খেলতেএ শুরু করল!
আমার স্বদেশবাসী আজো তেমন শেখে নি কেতাবি সহবত, মাপা হাসি বা রুমালী কান্না।
খিদে পেলে তারা  আজো বড় তারস্বরে চীৎকার করে। 
তবু আমার স্বদেশে আজ সন্ধ্যায় লাখো লোক  তেঁতুল গোলা জলে ফুচকার উদগীরণ তুলবে ।
একজনের উচ্ছিষ্ট শালপাতা মাড়িয়ে সহস্র  লোক মাতৃদর্শনে যাবে প্যান্ডেলথেকেপ্যান্ডেলে। 
জৌলুস প্রাচুর্য জমকে লন্ডন নয় স্বদেশআমার।
 তবু সে ই শুধু আমার আমি, আমার সমগ্র।
 চিরকালের দুখী সামান্য সুখেই  হিল্লোলিত আমার জন্মভূমি  আমার বাংলা মা, আমার গর্ভধারিণী মা আর জগজ্জননী উমা  কবে যে এমন মিলেমিশে
একাঙ্গী হযে উঠল!


অচেনা বন্ধু
*********


রাঙা মেঘ হলুদ জোছনা
ঝিক মিক তারা
চেনা মুখ ! মুখোস পড়া বন্ধু
চেনার মাঝে, চিনি নি তাকে
বর্ষা কাজল চোখে
ভা লো বা সা র অভিনয়
রক্তের ফোঁটা ফোঁটা
কৃষ্ণচূড়ার লাল, সবুজ জলতরঙ্গ
বেজে ওঠে মুখরিত ঝঙ্কার
অহেতুক কৌতূহল অগ্নিবলয়
কৌতুকের ছলে বলে যাই
বেঁচে রব কবিতার আনাচে কানাচে
বিদ্রোহী বৃষ্টি ভিজিওনা আমাকে




সাক্ষাৎকারে: জ্যোতির্ময় রায়

মৌসুমী রায়




মৌসুমী রায়

40b,Dr Sundari Mohan Avenue

Kolkata-700014



সাক্ষাৎকার :

১:-আপনার কাছে কবিতা কি ? 

উত্তর: কবিতা আমার বেঁচে থাকার উৎস,জীবনের সব রং এর মাধ্যমেই পাই।আমার সুখ দুঃখ হাসি কান্না এর সাথেই জড়িয়ে।

২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তর: প্রিয় কবি বলতে প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারপর নির্মলেন্দু গুণ। আমার অনুপ্রেরণা আমার বন্ধুরা যারা প্রতিদিন আমায় নতুন ভাবে নতুন লেখায় উৎসাহ দেয়।

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তরঃ আমার একাকীত্বের সাথি কবিতা,কবিতার মাধ্যমে আমার না বলা কথারা প্রকাশিত হয়।

৪:-আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তরঃ আমার প্রথম কবিতার বই "কষ্টেই সুখী"

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তরঃ কবির লেখা এমন হওয়া দরকার, যেখানে পাঠক নিজের না বলতে পারা কথা খুঁজে পাবে। একাত্ব হতে পারবে কবি ও কবিতার সাথে।

৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তর: গুরুত্বের কথা বলতে পারিনা কিন্তু এটা মানি যে ফেসবুকের মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌছানো অনেক সহজ।

৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ? 

উত্তরঃ অবশ্যই ছাপা ম্যাগাজিনের ।ছাপা ম্যাগাজিন মানে আমার লেখা একটা ছাপা অক্ষরে থাকছে ,পাঠককে পড়তে হলে সেই লেখা কিনে পড়তে হবে ,অর্থাৎ লেখাটার একটা মূল্য থাকছে ,অপর দিকে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিন এর গুরুত্বও আছে ,অনেক লেখা একসঙ্গে পাওয়া যায় ,সহজে পড়া যায় ওহ কিনতে হয় না । একসময় আসবে যেদিন খাতা কলম থাকবেন না ,সেই সময় এই ব্লগ গুলোই তো থাকবে ।হয়তো এখন নয় ,হয়তো কয়েক শতাব্দী পর ।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: আসলে মানুষ আস্তে আস্তে বিনোদন এর যে বিষয় বা মাধ্যমে কেই বুঝে উঠতে পারছে না ,যে কোন জিনিসটা তাকে বেশি আনন্দ দেবে ।যেমন ধরুন ফেসবুক বা ইউটিউব এ কিছুক্ষন সময় কাটানোর পরই মনে হচ্ছে না। ,আর ভালো লাগছে না ,এই যে ভালো না লাগাটা জন্ম কিন্তু এই ইন্টারনেট ।আসল মানুষ এখন সব কিছু হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছে ,পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত দেখতে পাচ্ছে যেগুলো আমরা বই পড়েই আগে জানতাম ,বুঝতাম এবং কল্পনায় সেই ছবি আঁকতাম ,হয়তো বিভিন্ন জনের সেই কল্পনা আলাদা হতো ,কিন্তু একটা কল্পনা শক্তি ছিল ,একটা ভাবার শক্তি ছিল এখন সেই শক্তিকে  পঙ্গু করে দিয়েছে ,আর এই জন্যই সবাই বই বিমুখ হয়ে গেছে ।



৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ? 

উত্তর: উত্তরাধুনিক কবিতা মানে এই নয় যে শুধু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করলেই হবে ।উত্তরাধুনিক কবিতার একটা নির্দিষ্ট রীতি আছে ,একটা নির্দিষ্ট তাল ,ছন্দ । ধরা যাক পদ্য কবিতার ক্ষেত্রে ...আগে যেমন লেখা হত
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।"

এইখানে ভূরি ও চুরি ,একদম কাছাকাছি শব্দ দিয়ে মিল করেছেন 
উত্তরাধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে 

"তুমি কিসের মহৎ ,তুমি কিসের উদার 
সাপের কামড় খেয়ে মেটায় ক্ষুধা " 

এখনকার মিল ,ছন্দ গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ,একটা আলাদা রীতি সম্মিলিত ।

কবিতা মানেই তো একটা ছান্দিক রীতিতে অনুরিত হওয়া কিছু অপ্রকাশিত শব্দমালার বহিঃপ্রকাশ ।
যা সহজে বুজে নেয় মনের আকুতি ,মনের গভীরতা।তাই কবিতা এরকমই হওয়া উচিত ,যা বোধগম্য ।


১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তরঃ গদ্য কবিতা মানে গদ্য নয় কিন্তু কবিতা যার একটা নিদির্ষ্ট তাল থাকে ,একটা ছন্দ থাকে ।
গদ্য পদ্য কবিতা বলতে একটা গদ্য কবিতার একটা নির্দিষ্ট পদ্য রীতি ।



কিছু কবিতা : 


তাসেরঘর
********


ভুল করে যদি মাঝরাতে 
তোমার নাম ধরে ডাকি
তুমি কি বেঁধে নেবে মায়ার বাঁধনে...
না আবারো দিয়ে যাবে ফাঁকি?

ইচ্ছে মতো গড়ে নেবো 
তোমার আমার তাসের ঘর 
যা খুশি তাই বলুক লোকে, বাইরেটাকে... 
বদলে দিয়ে রাখব তোমায় বুকের ভিতর।

মনখারাপের সাজিটাতে ভরে রাখি
আমার না বলা সব সুখ
মেঘের আঁচলে রাখব ঢেকে চড়া রোদে...
আমার ভালোবাসার মুখ।

জীবন মানে তোকেই বুঝি
আমার মনে অবৈধতার অসুখ
তোর ছোঁয়াতে ব্যাকুল থাকি...
তোর হাসিতে দূর হয়ে যায় আমার যত দুখ।


দূরত্ব
*****


লাল মাটির কাঁকড় বিছানো স্টেশনে
দাঁড়িয়ে মনে হলো কত জায়গায় 
যাওয়ার ছিলো তোমার সাথে
হোলোনা আর কোথাও যাওয়া।
অনেক ভিড়ের মাঝে 
সবচেয়ে কাছের মানুষের
মুখটা মিশে গেলেই ভয় হয়...
হয়তো আর কোনদিন তাকে
হবেনা কাছে পাওয়া।
এখন গোধূলি নেই দিগন্তে ঢলেছে দিন
সন্ধ্যার আকাশপাত্রে টলোমলো রঙ...
পাখিরা বাসায় ফেরে সাথে 
আপাদমস্তক অভিমানে মুড়ে,
আমিও ফেরার পথে আবারো তুমিহীন।




নদীর কথা
**********


নদীর কথা ভাবলে আমার
তোমায় মনে পড়ে...
আবছা বাদলদিনে বৃষ্টি ফোঁটায়
দুজন কূল হারিয়েছিলাম শরীর ঝড়ে।

আমার পাশে আজকে তোমায়
আর ঘন হয়ে বসতে দেখিনা...
নদীর বুকে আজো গভীর ছায়া পড়ে
খামখেয়ালেও তুমি কি আর ভালো বাসতে পারোনা?

নদীর ওপার থেকে আমায় কেউ
খুব আদর করে ডাকে...
আমার প্রাণের চিলতে আলো আসছে নিভে

আমায় কে আর আটকে রাখে।



কাঁচের স্বপ্ন
**********


তোর কারনে আঁচড় কাটি
জমাট বাঁধা অন্ধকারে
মনের ভিতর মনের রোপণ
কজনাই বা পারে...
তোর কারনে সিঁদুর কাঠি
খেলনাবাটি সব ছড়িয়ে ফেলা।
সাধ ছিলো শুধুই কাঁচের চুড়ির
তাও দিলিনা কত আসলো গেলো মেলা
তোর কারনে চোখের জলে 
মাথার বালিশ ভিজে ঢোল..
একবার তোর আসল রূপটা দেখা
একবার মুখোশটা কে খোল।
চেষ্টা করেছি বহুভাবেই
তোর তালে পা মিলিয়ে চলার
বুকের খাঁচায় চাপ বাড়িয়ে...
ভেবেছি বাড়ুক পাপের ভার।
হৃদয়ের মন্থনে উঠতো জেগে
আমার প্রেমিক কূলছাড়া বৈরাগী
আরেকবার চল নাহয় অলীক স্বপ্নের..
বাঁধন কেটে গোটা চাঁদরাত জাগি।




বেরঙ জীবন
************

           

আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই..
তোমার মুখোমুখি চোখে চোখ রাখা
পলক ফেলতেই অন্ধকার
অভিব্যক্তিহীন হৃদয় স্থির শূন্যে ফেরারি বলাকা।

বিবশ বিবেক অবশ মন্ত্রে
ঘর সামলানো আজ দায়
যখন থাকো ঘুমঘোরে প্রিয়, 
জাগরণ তোমার বুকে হাঁটে কিসের ছলনায়।

আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই
প্রিয় তোমাকেই পাওয়া যায়..
ছায়া ঘেরা চোখ খুঁজে ফেরে মন
রামধনু রঙ হারিয়ে আজ সাদা কালো জীবন।


সাক্ষাৎকারে :জ্যোতির্ময় রায় (কার্যকরী সম্পাদক)

কাজী জুবেরী মোস্তাক






কবি পরিচিতিঃ
নামঃ  কাজী জুবেরী মোস্তাক
জন্মঃ ১৯৮৩ সালের ২১এ সেপ্টেম্বর ।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বি,এ পাস  ।
পারিবারিক জীবনঃ পিতামাতা ও ছোট এক ভাই পিতা ছিলেন একজন সরকারী কর্মচারী ও একজন সংগীত শিক্ষক , মা পুরোপুরি গৃহিণী ৷
স্ত্রী এক পুত্র এবং এক কণ্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক জীবন  ।
পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবি
সাহিত্য কর্মঃ ১৯৯৮ সাল থেকেই অনিয়মিত  ভাবে লেখালেখির  সাথে জড়িত ।
দৈনিক পত্রিকা , সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন এবং বিভিন্ন সাময়িকী ম্যাগাজিনে বিভিন্ন সময় কবিতা ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে ৷ এখন পর্যন্ত কোন একক বই প্রকাশিত হয়নি তবে বিভিন্ন সময়ে যৌথ কাব্যগ্রন্থেই লেখা প্রকাশ হয়েছে যেমনঃ
শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি
ভোরের পাখি
শততারা
হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু
বিশ্ব সাহিত্য ও কবিতা সম্ভার 


শখঃ পড়া ও লেখা, আড্ডা, ভ্রমণ ।

সাক্ষাৎকার 
***********



১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 
উত্তর :- কবিতা আমার কাছে একটা অস্ত্র যে অস্ত্র দিয়ে মানুষের রক্তে আগুন জ্বালানো সম্ভব, সম্ভব জলন্ত দাবানল নিভিয়ে ফেলা ৷

২:- আপনার প্রিয় কবি কে ? আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তর:- আমার প্রিয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ৷
আমার বিবেক এবং দ্বায়বদ্ধতাই আমার অনুপ্রেরণা ৷

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তর:- কবিতা লিখি জেগে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ গুলোকে সজাগ করার জন্য ৷

৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তর:- আমার প্রথম কবিতার নাম " শহীদ মিনারের গল্প "
কবিতাটা লেখার ৮ বছর পরে শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি নামক বইয়ে কবিতাটি স্থান পায় বইটি যৌথ ছিলো ৷

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 
উত্তর:- কবি বা কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক হওয়া উচিত অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইডের মতো কবি বা কবিতা ছাড়বে পাঠক গ্রহণ করবে আবার পাঠক ছাড়বে কবি বা কবিতা বেঁচে থাকবে ৷

৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তর:- মানুষ এখন আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হতে শিখেছে , প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্য জগৎকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বা করা শুরু করে দিয়েছে ৷ তবে হ্যাঁ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অনেক গ্রুপ আছে যেগুলো সাহিত্য জগৎকে কলঙ্কিত করতে পারে ৷

৭:-ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তর:-তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ ছাপা ম্যাগাজিন এর চাইতে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের দিকে ঝুঁকছে ৷ আমি মনে করি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের গুরুত্বটাই বেশি ৷

৮:-আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর:- ভালো বই বা ভালো লেখার পাঠক নেই তা না পাঠক প্রচুর আছে ৷ তবে মূল সমস্যা হলো প্রত্যেকেই নিজেকে কবি বলে দাবি করি ঠিকই কিন্তু পাঠক কি চায় তা তারা জানেনা বা বোঝেনা ৷ একজন পাঠকের চাহিদা যদি কবি বা সাহিত্যিক বুঝতে পারে তবে অবশ্যই পাঠক বই পড়বে ৷
প্রকাশকরা এখন প্রতিভার মূল্যায়ন করেনা তারা চিন্তা করে একজন নতুন লেখকের বই কেনো একজন পাঠক পড়বে? যদি না পড়ে তার লগ্নিকৃত অর্থ জলে চলে যাবে ৷
একজন প্রকাশককে অবশ্যই আগে বিচারিকজ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে সঠিক পান্ডুলিপি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তবেই পাঠকের চাহিদা মাফিক লেখা পাঠক পড়তে পাড়বে এবং বই মুখি হবে ৷

৯:-উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ? 
উত্তর:-দাত ভাঙা গুটি কয়েক শব্দ জুড়ে দিলাম আর এটা উত্তরাধুনিক কবিতা হয়ে গেলো আমি অন্তত এটা মনে করিনা ৷

১০:- গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর:-গদ্য কবিতা নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিত্তিতেই শুরু হয় এবং শেষ হয় ৷ তবে নির্দিষ্ট ছন্দ অবশ্যই থাকা প্রয়োজন ৷ আর গদ্য-পদ্য কবিতায় অবশ্যই তাল এবং ছন্দ জরুরী ৷







কিছু কবিতা 
************



সব তন্ত্রের একই মন্ত্র
*******************
 

কানের ঠিক কিছুটা উপরে একটা পিস্তল তাক করা ,
সামনে সাজানো রয়েছে বিশাল এক পেটোয়া বাহিনী ,
পিছনেও পড়ে আছে রাজ্যের তামাম রক্ষি বাহিনী ;
কারনতো একটাই জনতাকে ওদের মতো
করতে না পারা ৷

গণতন্ত্র নামক এক দিল্লিকা লাড্ডু ঝুলিয়ে রাখা সামনে ,
একনায়কতন্ত্রকেও বৈধতা দিয়ে;নাম তার অাজ গণতন্ত্র ,
স্বার্বভৌমত্ব ভেবে ছিনিয়ে নিয়ে দেখি সেও এক ষড়যন্ত্র ,
সব তন্ত্রেরই ঠিক একই মন্ত্র যা জনতার 
কাপর খোলে ৷

স্বৈরাতন্ত্রের নিয়মিত চলাচল আজকে আমার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ,
স্বাধীনতা'তো হলো এক ট্রাম কার্ড তার জুয়ার টেবিলে বসে ,
সব তন্ত্রকেই দেখি দিনের শেষে স্বার্থতন্ত্রেই 
গিয়ে মিশে ,
বাম ঘরামী স্বভাব আমার সেতো শুধুই আপন দম্ভে ৷


মৃত্যুদন্ডের দাবি 
***************


আমি অমরত্ব নিতে আসিনি
আমি আমার মৃত্যুদন্ড নিতে এসেছি ,
আমি জানি এখনই আমাকে বন্দী করা হবে
শেকল পড়ানো হবে আমার উন্মুক্ত হাতে পায়ে ৷
আমি জানি আমি দেশদ্রোহী ,
তোমরা কতোটা দেশ দরদী বলবে ?
আমার টাকা চুরি করে গড়েছো অট্টালিকা
তাতেও আবার বসিয়েছো দেখি সিসি ক্যামেরা ৷
আমি জানি আমি সংখ্যালঘু ,
কারন বিদ্রোহী হয়ে জন্মায় খুব কম ,
আর যারা বিদ্রোহী লাশ থাকে তাদের ডোবা,নালায়
তাদের নিস্তব্ধ দেহতে শেয়াল শকুনেরাও মচ্ছোব চালায় ৷
আমি জানি আমি একা ,
কারন আমি কোন দুর্নীতিবাজ না ,
পেনশনের ফাইল আটকে হাত পেতে দিইনা
অথবা অন্যায়ের সাথে আমি আপোষহীন চলি তাই একা ৷
মধ্যরাতে আমার ছবি যাবে প্রেসে ,
আমার কন্ঠ রোধ করতে ক্রসফায়ার হবে ,
শিরোনামে থাকবে আমার মৃত্যু হয়েছে বন্দুক যুদ্ধে
আর পা চাটার দলেরা তখন চায়ে টোস্ট ভিজিয়ে খাবে ৷
আমি অধিকার চাইতে এসেছি ,
নির্যাতিত নিপীড়িতের কথা বলতে এসেছি ,
মনে রেখো আমাকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে না !
১০মাস ১০দিন পরে আবারো অামার জন্ম হয় অন্য কোন গর্ভে ৷



আপন স্বার্থে দ্বন্দ
****************


অঘোষিত এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি আজকে ,
প্রতিনিয়তই এক স্বার্থ যুদ্ধ চলছে পৃথিবীতে ,
ইরাক,প্যালেষ্টাইন আজও জ্বলছে সেই দ্বন্দে ,
কাশ্মীর আজও স্বার্থের দ্বন্দে রক্তা রক্তি খেলে ৷
তিব্বত আজও নিষিদ্ধ তাই অজানাই রয়ে গেছে
স্বার্থের দ্বন্দে আফগানীরা ঐ তালেবান হয়ে গেছে ,
সিরিয়াও তাই আপন গৃহেই আজও বন্দী পরে আছে ,
আর আই,এস,আই সেখানে করা পাহারায় বসে আছে ৷
শান্তির পতাকা হাতে স্বার্থপর ঐ ছুটছে দেশ বিদেশে ,
ধর্মের কথা বলে ঐ স্বার্থপরই আবার অধর্মের গান গাইছে ,
ওদের স্বার্থেই মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে
আপন স্বার্থে দেশে-দেশে সবাই যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে ৷
কখনোবা নিজের স্বার্থেই দ্বন্দে জড়িয়েছ তুমি আমাকে ,
আবার কখনো সে স্বার্থে যুদ্ধেই জড়িয়েছি আমি তোমাকে ৷
অস্ত্রের মুখে বিরোধীতা করবে বলো কার সাধ্য আছে?
তবুওতো কেউ না কেউ গর্জে উঠবে হয়তো সেটাও আপন স্বার্থে ৷




যেদিন তর্জনী উঠবে 
******************



আমার পক্ষেও একদিন তর্জনী উঠবে
রাস্তার মোড়েও সেদিন পিকেটিং হবে ,
ছাত্র জনতা মিলে রাজপথ দখল নিবে
ঝড়ো স্লোগানে চারিদিক মুখরিত হবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন কেউ দাঁড়াবে
কাঁধে কাঁধ রেখে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে ,
ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে পাশে দাঁড়াবে
ন্যায়ের পক্ষে বুকটা টান করে দাঁড়াবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন ওরাই লিখবে
যে কলম আজকে ভয়ে পকেটে আছে ,
সংবাদপত্র সেদিন আবারো সরব হবে
টিভি রিপোর্টাররাও ছুটে চলে আসবে ৷

আমার জন্যও কোন মা সিজদায় রবে
আবার কোন মা ঠাকুর ঘরে পড়ে রবে ,
কেউ রোজা রবে ,কেউবা রাখি বাঁধবে
জয়ীও হবো ওদেরই দোয়া আশির্বাদে ৷

একদিন ওরা ঠিক সংগ্রামী হয়ে যাবে
দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি জ্বলে উঠবে ,
অন্যায়ের প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে
নিজের অধিকারও আদায় করে নিবে ৷




যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছিনা 
******************


তবে তাই হোক তোমাদেরই জয় হোক
আমার নাহয় ব্যারাকেই ফিরতে হোক
আমার জন্য দরকার নেই কোন শোক ৷

জয় হোক আজকে ওদেরই জয় হোক
যারা ভঙ্গুর সমাজে রক্তখেকো জোঁক
আমরা নাহয় হলাম আজ ছোটলোক ৷

বেঁচে থাকো তোমরা শতাব্দীর সমদিন
বিবেকের কাছেই থাক তোমাদের ঋণ
শতায়ু হোক তোমাদের বাঁচার এইদিন ৷

আজকে আমরা ব্যারাকে ফিরে যাবো
আমাদের যাই আছে জমা দিয়ে দেবো
দেশপ্রেম আর প্রতিজ্ঞাটা রেখে দেবো ৷

আজকের মতো হয়তোবা ফিরে যাবো
নতুন করে আবারও সব গুছিয়ে নেবো 
ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে স্বপ্নটা সাজাবো ৷




কিছুই অবশিষ্ট নেই 
*****************


এখানে আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই 
এক সুশৃঙ্খল সমাজ চাইতে গিয়ে দেখি ! 
সে সমাজ উশৃঙ্খলতার আগুনে পুড়ছে
অথচ সমাজপতিরা আলু পোড়া খাচ্ছে ৷

এখানে আজ আর কিছুই পাওয়ার নাই 
সস্তায় আজ যা মেলে তা শুধুই উপদেশ ,
নয়তো নেতাজীদের মিথ্যে আশার বাণী
আর কৃত্তিমতায় ঝড়ানো চোখের পানি ৷

এখানে আজ স্বপ্ন দেখাই যেনো দুঃস্বপ্ন 
ইচ্ছাগুলো গলাটিপে হত্যা করছি রোজ ,
স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন প্রতিদিন হয় নিখোঁজ 
আর ; সমাজপতিরা দেখায় মিছে দরদ ৷

এখানে আজ বেঁচে থাকাটাই বিলাসিতা 
আর মৃত্যু সেতো আজ একেবারেই সস্তা ,
জীবন সাজাতেই জীবন আজকে মরিয়া 
অথচ মৃত্যুকে রাখি বুকপকেটে ঢাকিয়া ৷

এখানে আজকে কেউই ইতিহাস ঘাঁটেনা
ক্ষমতা আর অর্থ দম্ভই যেনো মূল চেতনা
মগজেও লালন করে নোংড়া চিন্তা,ছলনা
অথচ ভাবটা তার ; সে ধোয়া তুলসিপাতা ৷




আমার চাওয়া 
*************




বুক সেল্ফে বন্দী পড়ে থাকা গণতন্ত্র আমার চাইনা ,
যে গণতন্ত্রর মুখোশে স্বৈরাতন্ত্রর বাস তাকে চাইনা ,
বুক ফুলিয়ে যে গণতন্ত্রে কথা বলা যায় তাকে চাই ৷

পর্দার আড়ালে বিদ্রোহী কবিতা আবৃতি করবোনা ,
জনমঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করতে চাই বিদ্রোহী কবিতা ,
আজকে আমি আমার বাকস্বাধীনতার মুক্তি চাই ৷

রাজনীতির পকেটে বন্দী গণতন্ত্রকে অামার চাইনা ,
হাতে-পায়ে শেকল জড়ানো কথিত গণতন্ত্র চাইনা ,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো সতন্ত্র হয়ে উড়ার গণতন্ত্র চাই ৷

যে সংবিধান স্বাধীনতার মুক্তি দেয়না তাকে চাইনা ,
যে সংবিধান রাজনেতার হয় জনতার না তা চাইনা ,
আমার সংবিধানে আমার জন্য বলার ক্ষমতা চাই ৷

যে আইন দূর্বলের না হয়ে সবলের হয় তাকে চাইনা ,
ক্ষমতা অার টাকায় বিক্রি হওয়ার আইনও চাইনা ,
আমার আইন সেতো ভরসা ও আস্থার হওয়া চাই ৷

আমার দূর্বলতাকে পূঁজি করে দুর্নীতি হতে দেবোনা
আমার ন্যায্য হিস্যায় অনিয়ম হবে তাও মানবোনা
দুর্নীতিহীন অধিকারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া চাই ৷






আমি যা চাই 
************



তোমাদের বাক্সবন্দী স্বাধীনতা আমি চাইনা
আমি শুধু মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে চাই ,
যে হাওয়ায় ভেসে বেড়াবে না বারুদের গন্ধ  
অাবার ; পঁচা লাশের গন্ধও নাকে লাগবেনা ৷

অবচেতন মনের চেতনাবাদ আমার চাইনা ,
আমিতো শুধুই আমার আগামী ফেরত চাই ,
অনেক হয়েছে এবার এ ব্যবসা বন্ধ করো
বিশ্বাস করো ধোঁকাবাজি আর সহ্য হয়না ৷

নীতিহীনদের নীতিকথা আর শুনতে চাইনা
ওদের গালগল্প , ভন্ডামি আর কত সইবো ? 
আমিতো শুধুই দূর্নীতিমুক্ত এক সমাজ চাই ,
নীতি আদর্শহীন ভাবে আমি বাঁচতে চাইনা ৷

আমি বাক প্রতিবন্ধী হয়েতো বাঁচতে চাইনা ,
আমিতো শুধু উচিত কথাগুলো বলতে চাই ,
আর চাই ; ন্যায্য পাওনা চাওয়ার ক্ষমতাকে
বলতে গেলে কণ্ঠ চেপে ধরবে তা মানবোনা ৷






পুরোনো শহরের স্মৃতি
********************




একদিন আমিও ছিলাম তোমার পুরোনো শহরে 
আমারও বসতভিটা ছিলো তোমার পুরোনো সে 
শহর জুড়ে ৷

ভালোবাসাময় এক যৌথ খামার ছিলো সেখানে ,
দুয়ার ছিলো ; ছিলো জানালা ভরা প্রিয় আকাশ 
আর তুমি ছিলে ৷

আমার অপেক্ষাতেই বন্দী থাকতে ভেতর দুয়ারে
কখন ফিরবো আর কড়া নাড়বো খামারের সেই 
বন্ধ দুয়ারে জোড়ে ৷

আজও স্বপ্ন দেখার স্বপ্নেরা আছে তোমার শহরে ,
শূন্যতা আর হতাশার যৌথ গ্রহণ চলছেই আজও
আমার শহর জুড়ে ৷

যে শহরে একদিন ছিলো ভালোবাসার মাদকতা
সে শহর আজকে ভালোবাসাহীন ; আছে শূন্যতা 
আর ব্যার্থতা ৷

তোমার শহরে আজ জানালা ভরা প্রিয় আকাশ ,
আর আমার শহরে আজও পাওয়া না পাওয়ার 
যন্ত্রনার বসবাস ৷

তোমার শহরে তুমি তোমার মতো ভালো থেকো ,
অামিও ভালো থাকার অভিনয়টা আমার মতো  
শিখে নেবো 





আমি তোমার দখলে 
*******************


যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে
তুমি জেকে বসছো এ অন্তরে ,
প্রতিনিয়ত তোমার বিস্তৃতি ঘটছে
তুমি দখল নিয়েছো এই অম্তরে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে
ছায়ার মতো থাকছো আমার পাশে ,
আর তোমার বসতি গড়ে উঠছে 
আমার এই ভাংগাচুরা অন্তর জুড়ে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
আমি হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
তোমাকে দেখছি সারা সত্তা জুড়ে ,
নির্ভরশীল হচ্ছি তোমার উপরে
ঠিক পরজীবিদের মতো করে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
বেওয়ারিশ চর দখলের মতো করে
আমিও যাচ্ছি তোমার পূর্ণ দখলে ৷



সাক্ষাৎকারে : জ্যোতির্ময় রায়

বৈশাখে'তে বৈশাখী

বৈশাখে'তে বৈশাখী ...




প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ?

উত্তর:- মনের মধ্যে জমে থাকা এমন কিছু কথা যা হয়তো আমরা মুখে বলে ঠিক বোঝাতে পারিনা -আমাদের জীবন -ভালোবাসা -চাহিদা -পূর্ণতা আর অপূর্ণ চাপা কষ্ট গুলো আমার কাছে কবিতা । কবিতা আমার প্রেম । অফুরন্ত জ্যোৎস্নায় ডুব দেওয়া গল্প আমার কবিতা । আমার মনের নষ্ট নেশার কথা আমি কবিতায় বলি । ঘটে যাওয়া প্রতিদিনের ঘটনা যা সমাজকে ছোবল মারছে তার প্রতিবাদ হয়তো আমার কাছে কবিতা ।


২:-আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তর:-বর্তমান সময়ের শ্রীজাত -তসলিমা ভালো লাগে -জীবনানন্দ খুব প্রিয় কবি ।

কবিতার অনুপ্রেরণা হয়তো জীবনবোধ ।

৩:-কেন লেখেন আপনি কবিতা ?

উত্তর:-কবিতা যে কেন লিখি ঠিক জানি না,  -তবে ভিতরের একটা তীব্র আকুতিই হয়তো কবিতার জন্ম দেয়। ভিতরটা যখন দমবন্ধ লাগে কবিতায় নিঃশ্বাস ভেসে আসে । সবথেকে বড় কথা ভালোলাগে -ভালবাসি তাই লিখি ।

৪:-আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)

উত্তর:- প্রথম কবিতার নাম এই মুহূর্তে মনে নেই । অনেকটা ছোট বয়সেই খেয়ালের বসে শুরু করেছিলাম।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ বলতে একটি যৌথ সংকলন -'কাব্যমাস' ।
আর একক কাব্যগ্রন্থ -স্বপ্ন বুননের ফাঁকি।

৫:-কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?

উত্তর:- কবি -কবিতা আর পাঠক একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে । কবি- কবিতা লেখেন । পাঠক যদি না থাকে তবে হয়তো কবিতা লেখাই ব্যর্থ হয়ে যায় । একটি কবিতা ও তার সাথে যুক্ত কবির ভাবনা তখনই সার্থক হয় যখন পাঠক তার বিচার করে ।

৬:-ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ?

উত্তর:- বর্তমান সময়ে আমরা ফেসবুকে কবিতা লিখি। প্রথম প্রথম এটা খুব তিরষ্কার এর বিষয় থাকলেও আমার মনে হয় বাংলা সাহিত্যে এর একটা গুরুত্ব পূর্ন জায়গা তৈরী হবে । এখন অনেক বড় বড় কবি ফেসবুক এ কবিতা লেখেন ।ফেসবুকে কবিতা লেখার ফলে যে কবিতা লিখছি তার তৎক্ষনাৎ মূল্যায়ন হয় ।বর্তমান সময়ের কবিতার মূল্যায়ন বেশ কিছু বছর পর যখন হবে -তখন ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নেবে বলেই আমার মত ।এবং অনেক নতুন নতুন লেখক এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যেও উঠে আসবে ।

৭:-ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?

 উত্তর:- গুরুত্বের দিক থেকে বিচার করলে অবশ্যই ছাপা ম্যাগাজিনের গুরুত্বটা বেশি। একটি বইয়ে ছাপা আকারে নিজের কবিতা দেখতে সকলের ভালো লাগে । কবিতাটিও বইয়ে প্রকাশ পেলে গুরুত্ব বেশি পায় । ব্লগজিন আর ওয়েবজিন এর চাহিদা যদিও সমান তালে বাড়ছে । এতে পাঠক একটি ক্লিক করেই পড়তে পারে কবিতা বা গল্প ।সব সময় ইচ্ছে থাকলেও একটি ম্যাগাজিন কেনার সময় হয়ে উঠে না । সব জায়গায় সব ম্যাগাজিন পাওয়াও যায় না ॥

৮:-আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?

উত্তর:- আজকাল অনেক কবি উঠে আসছে একথা সত্যি -আর এটাও বাস্তব সকলের বই ছাপাবার ক্ষমতা নেই । ফলে প্রতিভা থাকলেও সব কবি পাঠকের নজরে আসেনা  বা নতুন কবিদের বই পাঠক কিনতেও চায় না । ফলে বই ছাপলেও তার বিক্রি হয় না ঠিক করে ।
পাঠক অবশ্যই আছে বই বিক্রিও অবশ্যই হয় । সব বই প্রচারের আলোয় সেভাবে আসে না আর অনেক সময় পাঠক যা চায় তা হয়তো লেখায় সেভাবে পায় না ফলে একটা বিরূপ মনোভাব তৈরী হয় ।পাঠককে বইয়ের অভিমুখে আনতে হলে অবশ্যই লেখার মান যথেষ্ট উন্নত হতে হবে,  -বিশেষ করে পাঠক কি চায় সেটা মাথায় রাখা দরকার । আর দ্বিতীয় হল বইটির ঠিক মতো প্রচার ।

৯:-উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?

উত্তর:- উত্তরাধুনিক কবিতার সঠিক কোন সংজ্ঞা হয়তো সেভাবে বলা কঠিন । একটা সময় এসেছিল যখন আধুনিক কবিদের জন্ম হচ্ছিল । তাঁদের কবিতায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছিল পুরনো চিরাচরিত প্রথা বাদ দিয়ে । উত্তরাধুনিক হচ্ছে হয়তো আরও একটু আধুনিক হয়ে ওঠা -কোন নিয়মের বাইরে গিয়ে একান্ত নিজের মতন করে ।শৃংখলা পরায়ন না হয়ে -নিজের গতিতে নিজের ছন্দে -হয়তো নিজের দ্বন্দ্বে ।
তবে কবিতা যদি পাঠকের অন্তর ভেদ করতেই না পারে তবে তা কিসের কবিতা । সে আধুনিকই হোক আর উত্তরাধুনিকই হোক । কবিতা হতে হবে সহজ -সুন্দর -প্রানছোঁয়া -। দুচারটে জটিল ভাষা দিয়ে হয়তো কবিতার ওজন বাড়ানো যায় । তবে যা পাঠক গ্রহন করতে পারে না তার গুরুত্ব কতখানি বলা কঠিন ।

১০:--গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর:- পদ্য বলতে এটি ছন্দমিল যুক্ত হবে । সহজ সরল হবে এর প্রকাশ ।
গদ্যকবিতায় ছন্দ মিল থাকে না ।শব্দের মধ্যেই শব্দ নিয়ে খেলে এই গদ্যকবিতা ।
মনের গভীর বোধ এর প্রকাশ যা কখনো সম্পূর্ন ভাবে পাঠকের কাছে ধরা দেয় না ।

হয়তো গদ্য কবিতায় অন্ত্যমিল থাকে না তবে নিজস্ব একটা ছন্দ আর তাল না থাকলে হয়তো কবিতা- কবিতা হয়ে ওঠে না ॥


কিছু কবিতায়
::::::::::::::::::::


অস্থির সময়
**********


চারিদিকে এখন শুধুই কালো রাত ।
বিষাক্ত হচ্ছে নিঃশ্বাস গুলো প্রতি মুহূর্তে ।
খুবলে খাচ্ছে ভালোবাসা গুলো সম্পর্কের মিষ্টি স্বাদ ।
পৃথিবী খুবলে খাচ্ছে মাটি ।
খুবলে খাচ্ছে দেহ ।
কিছু টানাটানি -মানহানি । শহরে বাড়ছে ভয় ।
অনৈতিক কিছু চরিত্র দিনরাত হুংকার দেয়।
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে ।
রক্ত চুষে খায় ।
ভালোবাসা বোবা ঘরে বন্দী ।
ছটফট করছে একটু মুখ তুলে নিঃশ্বাস নেবার ।
প্রতিমূহূর্ত প্লাবন নিয়ে আসে ।
মৃত্যু সলিলসমাধি ॥
কালো রাত বড় হয় দীর্ঘ হয় ॥

               
 
যা শুরু হয়নি
************


শুরুটা তেমন করে কোনদিন হয়নি ।
মাঝের কিছুটা সময় তবুও পেরিয়েছি সেই না শুরু হওয়া গল্পের হাত ধরে ।
একটা রাত আর দিনের মধ্যে যতটা পার্থক্য থাকে ঠিক ততখানি ফারাক ছিল  বোঝার আর বোঝানোর ।
তবু গল্পের ইতিটা বড্ড বেশি দাগ কাটলো মনে ।
গল্পের শেষে পিছন থেকে ছুরি মারে কাহিনী ।
সেখানেই মৃত্যু অপর পক্ষের ।
যদিও এমন করে শেষ করার বিশেষ কিছু দরকার ছিল না ।
কারন কাহিনী তো কোনদিন শুরুই হয়নি।
     
             

প্রয়োজন
*********


নিঃশব্দ শূন্যতার বুকে রোজ হাজার চিৎকার ডুকরে ওঠে ।
গরমে পুড়ছে ,
বৃষ্টিতে ভিজছে ।
দমকা হাওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় অস্বিত্বের সাদামাটা খোলস ।
মাটিটা বড্ড নরম মনে হচ্ছে আজ ।
পা ঢুকে যাচ্ছে বারবার ।
এটা হবার ছিল জানত সে -
তবুও এতদিন চলেছিল সাবধানে ।
কিন্তু এবার একটু শক্ত মাটির প্রয়োজন ॥



                   অন্তবিহীন
                   *********


আমায় নিবিড় করে ভালবাস একান্ত অবশেষ
তোমার বুকের দোদুলদোলায় অন্তবিহীন
আমি তো রয়েছি বেশ -
তুমি আমার কমলেশ ।
সুর লহরীর ঝরনা তুলেছ আছড়ে পড়েছ বুকে ,
সীমাহীন তুমি গতিহীন তুমি ভালবেসে গেছ সুখে -
ঘনিষ্ঠ সুখময় যত অনুভবে রঞ্জিত
আরও ঘনিষ্ঠ আরও যে নিবিড় কামনায় সিঞ্চিত ,
বিন্দু বিন্দু ভালবাসা রসে সাগর দিয়েছ ভোরে
সেই রসের সাগরে সাঁতরে মরেছ নিজেকে উজার করে -
প্লাবন এনেছ কুল ভাসিয়েছ অসুখের সমাবেশ
সীমাহীন তুমি গতিহীন তুমি আমার কমলেশ ॥
                                   
           

               চুম্বন
              *****

দুটো ঠোঁট দুটো ঠোঁটে ছুঁয়ে যায়
যেমনটা সেদিনের ছোঁয়াটুকু ।

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বুঝেছি
নীল মৃত্যুর আঠালো নির্যাস
বিষ ছিল ছুঁয়ে যাওয়া- বিষ ছিল শ্বাস ॥




সাক্ষাৎকারে ও সংগ্রহে : জ্যোতির্ময় রায়
         
         

কৌশিক গাঙ্গুলী







আমার কবিজীবন
*************


২৭বছরের বেশি  লেখালিখি করছি কোনো প্রতিষ্ঠান , কোনো শাসক বা কোনো দলের সহযোগিতা ছাড়াই । অনেক মন্দ আর ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে । ১৪টা কবিতার বই , ৫২ টা কবিতাফোল্ডার প্রকাশিত হয়েছে । অজস্র পত্রিকায় অজস্র কবিতা আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে , হচ্ছেও । অপমান এর সঙ্গে  কিছু সম্মানও পেয়েছি । প্রথম দিকে মেলা ও উৎসবে আগ্রহ ছিলো । যোগদানও করেছি । এখন আগ্রহ নেই । ফেসবুক এ আছি নিজের মতো করে । লেখার জন্য মার খেয়েছি , দেখেছি কত নোংরামো আবার ভালবাসা পেয়েছি প্রচুর । এখন  আমন্ত্রিত হয়েও আর্ধেক অনুষ্ঠানে যাইনা নানা সমস্যার জন্য । বাণিজ্যিক লেখক নই বলে  অবজ্ঞা পেয়েছি  আবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী বলে একটা আলাদা সম্মান আছে সচেতন মানুষদের কাছে । রাজনৈতিক দুর্নীতি আর সামাজিক ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লিখলে ২নম্বরীরা রাগ তো করবেই । তাই না ?



কবিতা গুচ্ছ
*********

কিছু এক লাইনের কবিতা 
******************
(১) আমি আনন্দবাজারে চাকরি করিনা , পড়ি । 
(২) যারা দল পাল্টায় তারা ট্রাপিজের খেলা জানে । 
(৩) ক্ষমতালোভীরা  ক্ষমতা হারাবার ভয়ে হিংস্র । 
(৪) মিথ্যা চিরকালই জনপ্রিয় ব্যাধি । 
(৫) ভোটের সময়ে আমি কানের অসুখে ভুগি । 
(৬) টাকা ছাড়া প্রেম একতরফাই থাকে । 
(৭) রাজকবি হিংসা করে লোককবিকে । 
(৮) ধান্দা ছাড়া রাজনীতি করে বোকারা । 
(৯) অক্ষমেরা সিনেমা দেখে স্বান্তনা খোঁজে । 
(১0) সত্য এখন জ্বলন্ত চুল্লীতে আর বিবেক বেশ্যাখানায় । 
(১১) আদর্শ এখন নিরুদ্দেশে আর সরলতা পাগলাগারদে । 
(১২) বুদ্ধিজীবির চাইতেও দরকার এক জিবি নেট । 


(১৩)  করের দায়িত্ব মধ্যবিত্তের ।
(১৪) মানুষও আজকাল হায়নার মতন হাসে ।
(১৫) ক্ষমতার পাশে পাশাসহ শকুনি মামারা  ।
(১৬) জাতি দাঙ্গা মানব সভ্যতাকে নাঙ্গা করে ।
(১৭) ভালবাসা ফুর্তির বিছানায় থাকে ।
(১৮) প্রতিবাদের জায়গা লাশকাটা ঘরে ।


কবিতা গুচ্ছ
**********



স্বয়ং সিদ্ধ
********


 বেশ করেছি গড়েছি ,
বেশ করেছি ভেঙেছি -
বেশ করেছি হাত কেটে রক্তপাত ,
আসলে আমি স্বয়ংসিদ্ধ , কবি ও কারিগর ।
নেই হুশ , নেই খেয়াল
সব স্বপ্ন দিয়েছি তোকে ,,,
অভাবের আগুন আর স্বভাবের
ঝড় জ্বালিয়ে দিয়েছে তোকে ,
পাই আনন্দ , তুই যন্ত্রনায় কাতরাবি ,
 বাতাসে পোড়ার গন্ধ ।
বিচিত্র উল্লাসে উড়িয়ে দিয়েছি পান্ডুলিপি ,
ছিঁড়েছি যত চিঠি আর একমুঠো সোনারোদ .....
আয় দুজনেই কাঁদি , দুজনেই হাসি , সব শোধবোধ ।






ভুলভাল
******



আমেরিকা যাবে
জানি না কি পাবে ?
ওখানেতে থাকে ওবামা
এখানে আমাদের জীবন
ফাঁটা পায়জামা
অজানা রোগ
মায়ের ভোগ
আচ্ছে দিন আর
উন্নয়নের মাঝে
ব্যস্ত সবাই
 সমাজের কাজে
দুপাশে পাক ও চীন
এক দুই তিন
বাঁচান মিঃ ট্রাম্প
 দিয়ে হাইজাম্প
সমস্যার সন্ত্রাস
জীবনের বারোমাস
আমেরিকা পালাবে
জানিনা কি পাবে ?
মূল্যবৃদ্ধির চাপে
হৃদয় কাঁপে
পকেটে বড় টান
আধার লিঙ্ক চান
চোখেতে দেখি গোলকধাঁধা
চারিদিকে কতো গাধা
গাইছে মরণমুখী গান
ফুর্তিতে  খরচা বাড়ে
টাকা আসে অন্ধকারে
রঙ্গ দেখে স্যায়ানারা হাসে
কুটিলেরা মিছে কাশে
দেশজুড়ে বাড়ে প্রহসন
 ঠাকুর তুমি থাকবে কতক্ষণ
ঠাকুর তুমি যাবে বিসর্জন ।


চলমান জীবন 
**********


একজন বিখ্যাত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করলাম :
বারবার পুরস্কৃত কিভাবে ? স্মিত হেসে পিঠ চাপড়ে
বললেন : অনেক আপোসের শৃঙ্খল গেঁথে ।
 একজন সেরা লম্পটকে জিজ্ঞাসা করলাম ;
তার লাম্পট্যের উৎস কি ? চমৎকার ভাবে জানালো  :
জহুরী  জহর চেনে , সে চেনে নেশা ও নারী । একজন রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করলাম : এতবার দল
পাল্টান কি করে ?  তিনি কপাল কুচকে মুখে হাসি এনে
 বাণী দিলেন - চোখে কম দেখি যে .... ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ যুবসমাজকে জিজ্ঞাসা করি :
এভাবে ধ্বংস করো কেনো সমাজ কে ?
 তুমুল  হুল্লোড় আর বিচিত্র সিটি সমেত জানালো
- শুধু বুঝি কেরিয়ার অথবা অন্ধকার ।
 একদল ব্যাতিব্যস্ত শিশুদের জিজ্ঞাসা করলাম :
ফাস্ট হবে তো সব্বাই ? নানাদিক থেকে ছিটকে এলো
 উত্তর - মা জানে , বাবা জানে , পরীক্ষার খাতা জানে
 এইভাবেই বেঁচে থাকা , এইতো চলমান জীবন আমাদের ।




মশাল আর কবিতা 
*************


বড় বেমানান আমি যেকোনো পার্টিসংস্কৃতির মঞ্চে কিংবা পত্রিকায় , ঘরে - বাইরে আমার লড়াই , স্বপ্নেও । কুর্ণিশ আর তেলবাজির রাস্তায় আমি অচেনা এক পথিক .....
আমার প্রিয় উজ্জ্বল সূর্য ও মশালের আগুন , অন্ধকারে ভয় , সংশয়ে টেনশন বাড়ে , রোজগার হয় না , অপমান , হুমকি নিত্যসঙ্গী হয় , বদমাশ আর ধান্দাবাজরা বন্ধু হয় না । সচেতন ও লোভহীন বান্ধবীও খুঁজে পাইনি এখনও তাই বাউল হবার ইচ্ছের মুখে ঝামা ঘসে দিয়ে অসুস্হ শরীর আরও অসুস্হ হয় । গুমড়ে ওঠা কান্না আর দায়বদ্ধ কবিতায় আমার বেঁচে থাকা , মনুষ্যত্বের জন্য লড়াই , মাথা উঁচু রাখার স্বপ্ন দেখি নিঃসঙ্গ আমি , বেমানান আমি এই পচা - গলা সিস্টেমে অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে তবু যুদ্ধ চলে  মর্যাদা  রক্ষার  বিবেক আর বোধের , সঙ্গী থাকে কবিতা , ইচ্ছে থাকে অন্ধকারে মশাল জ্বালাবার , আলোর দরকারে ।



অগ্নি লিখন 
********



বাতাসে পোড়া বারুদের গন্ধ
অসুস্হ শরীর কলমটা খুঁজে চলে ।
এখন সবাই কবিতায় বিনোদন চায় কিংবা বিশুদ্ধ দুর্বোধ্যতা
ছাপা হয় লিটিল ম্যাগাজিনে ।
বিবেকের দায় নিতে বয়ে গেছে তাদের ।
রাস্তায় পচা লাশের গন্ধ ,
 রক্তের ঘন ছাপ ।
সাদা পৃষ্ঠায় আগুন লিখতে চাই , লিখতে চাই একরাশ শাণিত প্রতিবাদ ,
এখন সবাই কেরিয়ার গোছাতে ব্যস্ত  কিংবা ঘন অন্ধকারে বিকৃত আনন্দের সন্ধানে ।
সন্ত্রাসে , যুদ্ধে , ভ্রষ্টাচারে , ব্যাভিচারে ছয়লাপ , বিচিত্র মুখোশের আড়ালে সমাজ ও সভ্যতা । কে কি চায় তা নয় , কি চাওয়া উচিত জিজ্ঞাসা করো বোধকে । ধান্দার বেড়াজালে মিথ্যাকে খুঁজো না ।  . . . . . . . . . . . . .
সাদা পৃষ্ঠায় আগুন লিখতে চাই , লিখতে চাই সময়ের যন্ত্রনার কথা , বাতাসে ভাসে পচা সমাজের কটু গন্ধ ,
একাকি কবি তার কলমটা খুঁজে চলে ।




স্বপ্ন 
***


মগজে সাইক্লোন ,
ধর্মে ঠিকানা
চেটেপুটে দেখোতো
ঠিক আছে কিনা ?
আমিও গেয়েছিলাম
তোমার সঙ্গে সেদিন ,
সবই কি দিয়েছো ফিরিয়ে ,
বাকি কি নেই ঋণ ?
তবুও মশাল জ্বালাবার
স্বপ্ন দেখে থাকি ,
পুরানো ক্ষতটাকে
মুখোশেতে ঢেকে রাখি ।
এটা কি চেয়েছিলে ,
তুমিও কি ভেবেছিলে ?
সবই কি হারালাম ,
সবই কি দিলে ফেলে ?
আমিও কি ঠিক আছি ,
মগজে সাইক্লোন ,
দ্বন্ধে ঠিকানা ,
সবচেয়ে তুমি আপন ।




দালাল
******



আমাকে গালি দেবেন না বাবুমশাই
কারণ আলোয় - অন্ধকারে আমাকেই চাই ,
আমি ভালো কে বানাই মন্দ , মন্দকে ভয়ংকর
সত্যকে বানাই মিথ্যা , ভাঙি সুখের ঘর ।
আমি কাছের লোক রাজনীতি আর ধর্মের
দুর্নীতি ও ভন্ডামিতে মিনার গড়ি কুর্কমের ।
আমি গডম্যান থেকে ব্যাডম্যানে  রাজি
অভিনেতা থেকে নেতাও
সাজি ।
আমি কখনও দালাল , কখনো স্মাগলার
সুবিধামতন তথ্য থেকে দ্রব্য পাচার ,
সবেতেই আমি-আমরা-আমাদের দরকার
আলোয়ে -অন্ধকারে , কর্মে - কুকর্মে আমরাই সমাচার ।
ট্যাক্স ফাঁকি ,জাল দলিল , নকল মার্কশিট
করিয়ে দেবো ,বানিয়ে দেবো , খুলে দেবো গিঁট ।
সরকারি বেসরকারি সব অফিসেই পাবেন ,
আমিষ বা নিরামিষ যা খাওয়াবো খাবেন -
শুধু ভরিয়ে দেবেন আমার থলি কিংবা সুইস ব্যাঙ্কে ,
দালাল বলে ধমক দিলে যাবো কিন্তু চমকে ।



রাহুল গাঙ্গুলী





কিছু আলাপ কিছু কথা 
**********************

প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 

কবিতা কেনো লিখি, এ নিয়ে বহুবার ভেবেছি : আর প্রতিবারই সহজ উত্তরটা নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে কাছে এসেছি।কখনো ভেবেছি যা বলতে পারছি না / সহ্য করতে চাইছি না, তবু করতে হচ্ছে।কখনো কবিতার শৈলী ও ভাবনাকে ভেঙে ফেলতে হবে।কখনো প্রতিরোধের উপাদান।আপাতত যা এই মুহূর্তের শেষ চিন্তা : তা হলো যাপন এবং নিজেকে আবিষ্কার।একটা বিশেষ উপলব্ধি : মুক্ত করতে হবে চিন্তাকে, অবাধ করতে হবে তার সীমানার জগৎ।

     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 

প্রিয় কবি বহু রয়েছেন : যেমন জীবনানন্দ থেকে শঙ্খ ঘোষ (রবীন্দ্রনাথকে রেখেও বললাম)।তবে শিখেছি যেসব জায়গা থেকে তাদের অন্য মাত্রায় রাখবো।যেমন : বারীন ঘোষাল, দীপঙ্কর দত্ত, ভাস্কর চক্রবর্তী, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, স্বদেশ সেন, অরুনেশ ঘোষ, সৌমিত্র রায়...... অনেক অনেক নাম।আর কবিতা পাক্ষিক প্রকাশিত পোস্টমডার্ন কবিতার ৩০০ সংকলনটি জীবনের বাঁক বদল বলবো।

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 

ওই যে বললাম : রাহুলকে আবিষ্কার।শব্দরূপকে খুন, তাকে নবজন্মের নির্মাণ।তার চেনা-অচেনাকে বোঝা, ভালোবাসা। 


৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 

১ম কবিতা : কিছু উত্তরবিহীন প্রশ্ন (অপ্রকাশিত)।এরকম শ-দেড়েক কবিতা রয়ে গেছে

১ম বই : নো ম্যানস্ ল্যান্ড (কবিতা পাক্ষিক, ২০১৭)
     

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 

এই সময়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।তবে জটিল অনেকের কাছেই, কারণ পাঠক যাপনে বিশ্বাস করেন না।সংকোচন - প্রসারণে আজও আস্থাহীন তিনি।অর্থাৎ খুব সহজ কথায় তার চিন্তন এখনো দাসত্ব কাটানোর রাস্তায় পথ চলা শুরু করে নি।তিনি মুখে বলছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময়ের চেয়ে এগিয়ে, অথচ তাকে বুঝতে গেলে সেই ১৯৪০এ যেতে হবে।এটা কেন
আসলে কবিতার ভেতর যে অন্তর্নিহিত দৃষ্টি তাকে উপলব্ধি না করতে পারলেই সমস্যা।সময় তো পাঠকের জন্য থেমে থাকবে না, অতএব সময়কে বোঝা এবং কবির অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সাথে (আমি একে সংকেত বলি) যোগাযোগ, এদুটি সমান্তরাল অনুশীলন : যার দায়িত্ব পাঠককেই নিতে হবে।
    

আমার কথা :

জীবন একটা পেন্ডুলামের মতো।১টি দোলকের গতিপথে মিশে থাকছে আরেকটি গতিপথ ও তার সম্ভাবনা।ফলতঃ সেগুলি মাল্টি অরবিটের আকার নিয়ে আরো বৃহৎ কিছুর দৃষ্টিপট তৈরি করছে।আর এই চূড়ান্ত বোহেমিয়ান পর্যবেক্ষন ডায়রির পাতার পর পাতায় লেখচিত্র।আমি সেইসব অসম্পূর্ণ লেখচিত্রগুলোর ছবি জমাতে চাই।প্রকৃতি এবং তার অদৃশ্য শক্তিগুলোর সাথে পরিচয় আলাপের যাপন : এভাবেই কবিতার মহাউল্লাস






                   কবিতা গুচ্ছ
                   ***********




হঠকারী সকাল & পরবর্তী দ্রাঘিমাংশ
------------------------------------------------------------
~ আণবিক ~

সূর্যের লতানো আলো চোখের কম্পাঙ্কে
বিছানায় ঢেলে দিলাম গন্তব্যপথ

কাছাকাছি শহরের ধারাবিবরনী নেই / আলপথ

সকাল ১০-৩০।অজুত মরুদ্বীপের মসৃণ খোলোশ

কয়েকমুঠো ভালোবাসা : ডাকবাক্স থেকে সরাসরি



~ পারমাণবিক ~

এই মুহূর্ত।সৌর বিকেল : বিকেল ৫-২০

কিছু সময় পরে জোনাকিগোছার সাবমেরিন

অতিরিক্ত জল।সাদা নুন : সাক্ষীভীড় কৃষ্ণপক্ষ  

এযাবৎ যাযা কিছু : সময়ের ক্যানভাস
                           পারদঘনিষ্ঠ সব ধূলোবালি মাখা




~ প্লাজমা ~

ছড়ানো ছিটানো আলপথ
স্বপ্নে দেখছি হারেম আলপনা।অদৃশ্য মেঝে

বিভাজনের আগে : চূড়ান্ত সন্ধে।সন্ধে ৬-২০

গুঁড়ো আকাশ = আগাপাছতলা বর্ষাতির চেহারায়

ব্যক্তিগত ম্যাগনেসিস্ > সাপের চেয়েও



~ শূন্যতা ~

?? ( = এখানে কোনো অন্ধকার নেই =) ?? 
                               ↓
                           উ  ত্ত  র
                        যা  ব  তী  য়



~ মাত্রা ~

যেখানে ভাঙতে চাই : জ্যা
         তরল হয়ে ওঠে ঘেমো অমনিবাস 

ইদানীং : তাজমহলের ভয় → স্বরবর্ণ বাজি রেখে

| এসো |
শ্যাওলার কুসুম মাখিয়ে অস্বচ্ছ করি মজলিশ

খিদের ডুমুরঘুড়ি [ঘড়ি] : ঈশারায় নকল-পারদ



শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী

জ্যোতির্ময় রায়






কিছু কথা কিছু আলোচনা 
**********************

১) আপনার কাছে কবিতা কি ?
    উত্তর: মনে খারাপের মন খারাপ গুলো ,
            হঠাৎ বলে ফেলে কিছু না বলা কথা ।
     আমি তারে বেঁচে থাকা বলি ,তোমরা বলো কবিতা।।

২) প্রিয়কবি কে ,অনুপ্রেরণা কি বা কে ?
উত্তর:  চোখ বুঝলেই ,শুনতে পাই কত শব্দহীন শব্দ রোজ
     সৃষ্টি থেকে শুরু তার ,আমার আমিকে শুধুই খোঁজ।
    যদি বল কে প্রিয় কবি ,
    ভগবানের এই সৃষ্টির প্রতিটি জিনিস কে বলবো আমি ।

রোজ ভাঙছে হৃদয় ,রোজ ঘর ভেঙে ঘর করা।
এরই মাঝে জীবন্ত লাশের মিছিল ।
আমি শুধু তাদের কথা শুনি ,শব্দ যে কত সেখানেই ভরা ।।

৩) আপনি কবিতা লেখেন কেন ?
উত্তরঃ নাঃ আমি তো কবিতা লিখি না ,আজ পর্যন্ত একটাও হয়তো কবিতা লিখে উঠতে পারেনি । ক বি তা =কবিতা । খুব কঠিন জিনিস এই ঘোর ,খুব কঠিন এর রেশ ,খুব ভয়ঙ্কর এর আকাঙ্ক্ষা ,অনুভূতি । কৈ একটাও কবিতা  হলো না আজও ।

   
৪) কবি/কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ  হৃদয় আর রক্তের মতো । কবিতা যদি হৃদপিন্ড হয় তবে পাঠক রক্ত ।

" আমি বলে যাই আপন মনে কথা ,
সে কথা কথা তো নয়
এই কথা গুলো বলে দিলেই যে
 মাথার ওজন অনেকটা হালকা হয় "



                        কবিতা গুচ্ছ
                        *********


                     ঠিক গল্প নয় 
                     **********

পড়ন্ত বেলা তখন ।
সিঁদুরে মেঘের আড়ালে সূর্য যাচ্ছে পাটে
দু এক ফোঁটা শিশির ভিজিয়েছে পা
     শরীরে তখন অন্য পৃথিবী ।।

হাজার স্কোয়ার ফিটে স্বপ্নের বাড়ি
দশ বাই দশের ঘর ,
চেনা অথচ অচেনা রাজপথে
লালসি জিভ আর কান্না ।।

স্বপ্নগুলো সস্তায় বিকিয়ে গেছে
ঘরের খোঁজে ,সময়কে ফাঁকি দেওয়ার
অস্পর্দা ।মিটার স্কেলে গলন্ত চিবুকে
তখন ঘুম ঘুম অভিনয় "বেশ ভালো আছি " ।।

তারপর সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে
 সাবেকি চাওয়া পাওয়া ।
ঠোঁটের উষ্ণতা মাপে
     লোমকূপের ঘাম ঘাম স্তুতি ।।



ভালো থেকো 
**********



অল্পদরে বিকিয়ে যাওয়া মনে
চাওয়া-পাওয়া,হিসাবটা গোলমেলে
কত তলে জল ,কিংবা কার কতটা ভিটে
ভালো থেকো তবুও মন খারাপের অসুখে ।।


ভালো থেকো দুষ্ট মিষ্টি কিছু অভিনয়
ভালো থেকো হালকা চাওয়া ,হালকা ভয় ।
ভালো থেকো অল্প অভিমান অল্প ভালোবাসা
ভালো থেকো অনিচ্ছায় আরো কাছে আসা ।।


ভালো থেকো চুমুক দেওয়া চা'এ ,
ভালো থেকো শিশির ছুঁয়া পায়ে ।
ভালো থেকো ফেলে আসা দিন ,
ভালো থেকো রং তুলি ,হয়ে রংহীন ।।

ভালো থেকো মন খারাপ
যা পুরোনো তা পুরোনোই থাক ।
নতুন করে ভালো বেসে ,ভালো থেকো
ভালো লাগার গল্প গানে ,নিজেকে ভালো রেখো ।।


( 2)


ভালো থেকো শিয়ালদাহ স্টেশন
ভালো থেকো ,মেসের ডিমের ঝোলে লবণ কম ।
ভালো থেকো রাত দুপুরের উল্লাস ও পার্টি ,
ভালো থেকো ,আজ মার্চ বাঙ্ক ,কলেজ ছুটি ।।


ভালো থেকো ,কলেজ ক্রাশ
ভালো থেকো ,বন্ধুদের দেওয়া খামোখা বাশ ।
ভালো থেকো স্বরস্বতী পুজো
ভালো থেকো ,ল্যাদ খাওয়া জীবন ,কলেজ যাবো না আজো ।।


ভালো থেকো টিচারের বকবক
ভালো থেকো ক্রিকেট খেলার ছক ।
ভালো থেকো লাস্ট বেঞ্চার
ভালো থেকো ,লাস্ট নাইট সাজেশন ,ফেল না হবার ।।





অনেকটা দিন পর 
************


কেমন আছো মাধবীলতা ? কতটা সুখে ?
শেষবার ছায়াপথ হাঁটতে চেয়েছিলে ,তারাদের ভিড়ে
সস্তার স্বপ্ন গুলো গল্প আকাশ কিনেছিল বিজ্ঞাপনী অসুখে ।
আজকাল শিশির ছুঁয়েছে শরীর ,পারদ উষ্ণতা মাপে ধীরে ধীরে ।।


মন খারাপ হয় ? রোজকার চায়ের কাপে
টা'এর আবদার,জং-ধরা সিন্দুকে ।
শিকল পায়ে।আলোকবর্ষ দূরে উড়ে যাওয়ার গল্পে
তুমি বেঁধে দিতে চোখ।আজ ভালো আছি এই অতি অল্পে ।।


হঠাৎ কি মনে করে ফের ,ঘরে ফেরার গান ?
তুমিই তো চেয়েছিলে আমাদের গল্পের অবসান ।
আজ দূর থেকে আরো দূরে আমিও বদলে ফেলেছি ডাকনাম।
তুমিও বদলে ফেলো ঠিকানাও ,অপেক্ষা আর কেউ করবে না
        রং বদলে ফেলেছে নীল খাম ।।







ক্রেপ্ট পয়েন্ট 
**********

সিগময়েড কার্ভে বসানো গর্ভে
ইনফ্রারেড এর স্ট্রাকচার  ,আদম নাকি
ভৌগোলিক পরিমাপে যোনিতে আগুনের থাবা ।
হিংস্রহাত ,রক্ত চোখে ঈগল ।।


ধর্মের ওমে ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর মাক্সিমাল
গরম ভাতের ডেফিসেন্সিতে গোলাপী চুমুক ।
  সাংবিধানিক নীতির প্রেক্ষাপটে
  এক একটা অর্গানে অর্গাজম গ্যাস ।
এর নাইট্রাস অক্সাইডের 100% এফিকেসি ।।