নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জারা সোমা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জারা সোমা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জোরদার : জারা সোমা


আমাদের বন্ধুত্ব ছিল জোরদার,
 কখনো ছিলনা অকারণ দাবী,বরং
 অমাবস্যায় সিঁড়ির কোণে
  টিমটিমিয়ে জ্বলত প্রদীপ
 আলোছায়া সন্ধ্যা জমে উঠত মৌতাতে
সিঁথিতে ডুব দিতো অস্তগামী সূর্য

আমরা অপেক্ষা করতাম বর্ষার
অপেক্ষা করতাম স্রোতে ভেসে যেতে
পূর্বের খন্ডমেঘ ঢেকে ফেলেছিল আকাশ
রঙ বদলে গেল নীল থেকে অভিশাপে

আমাদের বন্ধুত্ব জোরদার ছিল
আমাদের আবেগ জোরদার ছিল
আমাদের যৌবন জোরদার ছিল

শুধু সম্পর্কে বাঁধন ছিল না
ভালোবাসায় ভরসা শব্দটা ছিলনা.....


রোজনামচা : জারা সোমা



ঘুম ভাঙলেই জরিপ করি প্রতিবিম্ব
গোপনে হাত রাখি কাঁধের কাছে
অর্ধ মেলানো যতি চিহ্নে
দৃশ্য বিভ্রমের মতোই ভেসে ওঠে
একের পর এক স্মৃতি

ইচ্ছে গুলো কখনও হয়ে যায়
মেঠো ইঁদুর, রমন পারদর্শিতায়
খুবলে নেয় শস্যের অধিকার
কখনওবা ময়াল সাপের মতোই
আষ্টেপৃষ্টে বাঁধে মোচড়ে,
কখনও বা উঠোনের গন্ধরাজ
সুবাসে মাতোয়ারা সকালে

ক্রমশ বয়েস বাড়ে সকালের
সাতটা বাজলেই টিভিতে
শুরু হয় আরেক আমন্ত্রণ
গানে গানে মুখোরিত সকালে
আত্মজদের স্কুল কলেজের তোড়জোড়

রোমনামচার মাঝে অপেক্ষা করে
 মাথা ভর্তি কুমন্ত্রণারা।।।।


দেশবাসী : সোমা জারা



রাজনীতির ফন্দি  গিলে নিচ্ছে
  সাধারণের সহজ সরল জীবন,
 নিরীহ চোখের আর্তি ফায়দা করে
 আজীবনের মতো জমা রাখে ভূখণ্ড,
 আ গ্যয়া আচ্ছেদিন

 আচমকা ঝাঁঝরা শ্বাপদের গুলিতে
ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে
 সকল এয়োতি  চিহ্ন সমূহ
  মৃত্যুর চোখের শরম
 জানাজা ঢাকে কফনে
মেরে প্যারে মিত্র

বহুদূরে অপেক্ষার চোখে নোনাপ্লাবন
ভেসে গেছে সোহাগী অন্ন
ওরা  পাঁচ নাম গোত্রহীন সংখ্যামাত্র
সরকারী ভিক্ষার হকদার
জয় জওয়ান জয় কিষাণ

আমি উপেক্ষা  ঢাকি সুখ চাদরে
কাশ্মীর - যন্ত্রণা - পরিণতি -উন্নয়নের জোয়ারে
মেতে উঠি উৎসবে-মোচ্ছবে- মাতম এ
মেরে প্যারে দেশবাসীও..........

বোঝাপড়া : জারা সোমা


জীবন কাটাতে হবে বলে
কেউ বসিয়েছিল শেষপাতে
তখন কেবল নুনজল
অন্তিম বোঝাপড়া ছুঁয়ে ছিল আঙুল

আগুন জ্বলতেই বেড়ে গেল তাপ
শরীর মন বুঝে নিল মাপঝোক
তবুও আরোপিত হল না শর্ত
বরং আগুন ও জলের স্ফুলিঙ্গে
সহবাসী প্রেম ও বিচ্ছেদ ..

জারা সোমা






(১)



মৃত্যুর ঠোঁটে চুম্বন আঁকতেই
জ্বলে উঠল স্ফুলিঙ্গ
ছাঁইচাপা ইতিহাসে বস্তাপচা সেন্টিমেন্ট
বস্তুবাদের কাছে জমা রাখি বোধ
অনুভূতিহীন স্পর্শ কেবল 
বাড়িয়ে তোলে যৌনচাহিদা

আধখাওয়া চাঁদের মতো অভুক্ত
সম্পর্কের দূরত্ব, বহমান সময়ে
তবুও সাবলীল হয়না লগ্নজিতা
প্রেমজ সংলাপ......



(২)


তোমাকে ধুমকেতু বলেই জানি
কতবছরের ব্যবধান যেন
নীলআকাশে পেঁজামেঘ দেখলে
বুঝি শরৎ এসেছে
আসলে তুমি এলেই
আনমনে বাজতে থাকে ঢাক
আমার শারদীয়া ঘটে
  মহাপঞ্চমী থেকে মহাদশমী 

আমি কেবল সময় চেয়েছিলাম
তুমি মাত্র ভরিয়েছ গন্ডূষ।।।

জারা সোমা




বাবার মতো
*********


শয্যা পেতে রেখো পরিপাটি 
আসছি একটু পরেই
পাশবালিশ জড়িয়ে ঘুম 
তবে আজকের স্বপ্নে
আসবে অন্য কেউ 

কবিতা গোছের কেউ একটা এসেই
খসিয়ে দেবে আঁচল 
লেপ্টে যাবে সিঁদুরের টিপ 
ডালপালা মেলে নিবিড় করবে বন্ধন
মোহময় হবে রাত 

তুমি তখন প্রেমিক থেকে 
বাবার মতো হয়ে যাবে।।।

জারা সোমা






যুদ্ধ

****


নিজের মুখোমুখি দাঁড়ালাম
চারিদিকে সাম্প্রদায়িক রব
দালান -ভিটে ঠাঁই নেই 
মানবিকতা শেষে জেতে রাজনীতি 

সকাল থেকেই গান বাজছে
পতপতিয়ে উড়ছে তেরঙ্গা পতাকা 
স্বাধীনতার ছুটি  বিপণী সাজায় 
কেবল ডুবে যায় ভারতবর্ষ 
হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো শব্দে
  রাম রহিমের যুদ্ধ -যুদ্ধগন্ধ!!!

জারা সোমা





ছত্রছায়া.
******



কথা যত কম বলা যায়
তত ভালো থাকে সম্পর্করা
ঘরের কোণের টবে বরং যত্নে রাখি
সকল অ-কথা কুকথাদের
ওদের স্পর্শ করি মধ্যরাতে
স্বমেহনেই প্রীত হই
কবি , যোগী , উড়ুক্কু প্রেমের মতো
নীরবতাকে নতজানু করি শিকলে

কথাগুলো বাঁধি নিয়ম মেনে 
যতই খরস্রোত ভাসিয়ে দিক ঘর
শব্দের প্রলেপে ফুটিয়ে তুলি কবিতাঅবয়ব
দেনা পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে
তুলে দিই ম্যাগাজিনে
চিকচিকে চোখের পৈশাচিক উল্লাসে

কখনও আবার আরেকটু সাহসী হই
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ সঙ্গী করে
খুলে ফেলি রগরগে রম্যরচনার পাঠশালা
উৎসমূলে ঢালতে শেখাই রক্তবীজ
প্রতিশোধের অঙ্গীকারে টিকে যাই
ভালোবাসাহীন পৃথিবীর কৌটিল্য ছত্রছায়ায় ।।

জারা সোমা




নদী
****



যে মেঘ আমার কাছে
বৃষ্টি হতে চেয়েছিল
তাকে আমি চিনিনা
তবুও গোধুলীতে ধুয়ে ছিল
সকল মন খারাপ

মাটিকার খড় বাধা শেষ করে
প্রলেপে ফুটিয়ে তুলল
স্তন যোনি , বৃন্তে হাত ছোঁয়াতেই
প্রবল ঝড় ,খড়কুটোর মতো
উড়িয়ে দিল লজ্জা
নদীর জল বাড়তে বাড়তে
নারী হয়ে গেলাম .........