নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সকাল বেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সকাল বেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃষ্টি:পবন কুমার সাহা







 ওরে আজ হঠাৎ করে

বৃষ্টি এলো নেবে
ঝড়ে ভিজে সুখ চড়ে
চেনা ঢেউ দেবে।
ভিজে গেলো স্বপ্ন গুলো,
চোখে দেখা ঢল
বৃষ্টি ভিজে স্নিগ্ধা এলো
চেনা সেই টোল।
হোক বৃষ্টি অন্তরেতে
চাই সারাক্ষন
চেনা পথ জলে ভেসে
নৌকা নিয়ে রন।
স্রোতে কাগজের নৌকা
ঝড়ে নড়ে চড়ে
পোড়া মন ভিজে অক্কা
কেনো ডোবে ওরে।

হৃদয় থাকলে : সুমিত মোদক




কোনো কথার ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করলে সকল কথা কে ঠিক ভাবে চেনা যায় । সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ভালবাসা । ষোড়শী । হৃদয় তা-ধিন-তা-ধিন করে নেচে ওঠে । আর যাযাবর পাখি উড়তে থাকে । অনেকে সমাধির ভিতর ঢুকে পড়েছে । অনেকে আবার সমসাধী ভিজিয়ে দিচ্ছে চোখের জলে । কথার ভিতর দিয়ে হাঁটা যায় হৃদয় থাকলে  ।।

গোলাপি বিকেল : শিবানী বাগচি


তুমি আবহমান শব্দে
বুরবুরি ওঠা ঝরে পড়া প্রেম;
চাঁদের জোছনা মেখে
ফাগুনে রোদ্দুরে হও ছাড়খার

গোলাপী বিকেলে গোপন কথার
ঢেউয়ে আবেগে দোল খাও -
অসময়ের আদুরে উচ্ছলতায়!

নীল কামনা মেখে নেমে আসো
হিমবাহ থেকে থরের উষ্ণতায়!

করোনা : শ্যামল কুমার রায়



করোনা এবার দিচ্ছে ডাক
মানব সভ্যতা নিপাত যাক।
সচেতনতা ভাই উঠছে গড়ে
করোনা তাই যাচ্ছে সড়ে।
সভ্যতার আজ চরম সংকট
স্বার্থপরতা হচ্ছে প্রকট।
ছুটছি সবাই নিজের তরে
রসদ মজুত নিজের ঘরে।
আতঙ্ক আজ বড়ো পুঁজি
কালো বাজারির সুযোগ খুঁজি।
আর্ত অসহায় রইলো পরে
দিন মজুরিতে পেটটা ভরে
মৃত্যু মিছিল খবর করি
আরোগ্য সব আড়াল করি।
প্রভু তুমি দাওগো মেরে
মনুষ্যত্বহীনতা চিরতরে।
----------------------------

তিহার : শ্যামল কুমার রায়


অনেক ভেবে দেখেছি-
তিহার জেলেই থাকছি।
অভিযোগে শুরু, অভিযোগেই শেষ
অভিযোগের খাতা, দ্রুত নিঃশেষ।
বেশ কঠিন ছিল ভালো ছেলে হওয়া
যৌবনের ঝোঁক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
শাড়ির ভাঁজে ছিল আলতো ছোঁয়া
আঁচল সরিয়ে শুধু কাছে পাওয়া
কাছে পাওয়ার রেশ,থাকে না বিশেষ
তৃপ্তির শেষ, হিসেব শুরু,
কূটক্যাচালিতে বুক দুরুদুরু।
পাওনা গণ্ডা বুঝিয়ে দিতে হবে
রক্ত ৠণ শোধ করতে হবে।
আমিত্বের লড়াই এ সব ছারখার
থামতে চায় না, জীবন বারবার
জনারণ্যে শুধু আজ মুখোশের ভিড়
সম্পর্ক কোথাও নয়তো নিবিড়
এর চেয়ে ঢের ভালো তিহারে থাকা
অপরাধী মন নিয়ে শুধু বেঁচে থাকা।
           -----------------------------

আর নেই ভয় : সাহা শোমী



আনাড়ি সমাজের চোখে আমি যে কেবলই অবলা নারী
নারী সেও,যে লক্ষীবাঈ
শত শত‌ বিদেশীর ওপর পড়েছিল ভারী।
মরতেও যে নেই ভয় আর,
নিজ অস্তিত্বের দায় শুধুই যে আমার।
জড়াবো না কাউকেই আর।
নামেই আপন যারা ,সেসব ভীতুদের নেই স্থান জীবনে আমার।
বেঁচে  রোজ রোজ মরেছি,
 মরে মরে রোজ বেঁচেছি।
জানি‌ দৃঢ়তাই শুধু আছে সাথে,
তবু বাঁচা টা নাহোক মুক্তি তো আমারই হাতে।
ভীতুরা খুঁজিস না আমায়,
এসেছে আমার মুক্তির সময়।
তোরা থাক দূরে ,এ যে আমার একার সমর
ভাবিস না আত্মা যে অবিচল, রয়ে যাবে অমর।
নেই ভয় এ্যসিডে ,বরবাদ যে কুড়িতে
তার ভয় কি বল  শান দেওয়া ছুড়িতে?

রিয়াজুল হক সাগরের দুটি কবিতা



অবুঝ শিশু না বলে কথা
অহংকারি বেসে,
বাংলাব বুকে মরে কেন তারা
হায়না শত্র রেশে।
বাবা মায়ের আদর পেয়ে
থাকেন অনেক সুখে,
হাজার কথার ফুল ছড়িয়ে
অন্য তুলেন মুখে।
অনেক সপ্ন দেখেন বাবা
বুকে নিয়ে তাকে,
সেই শিশুকে হত্যা করেন
নরো পশু বেসে।
হারিয়ে গেছে বিবেক নামের
একটি শিরো নাম,
বাংলাদেশের সভাব এখন
হচ্ছে এমন কাম।
আজ আমাদের ভাবতে হবে
মানবতার দাম,
এটাই সত্য বুঝে নিও
আসল এটাই জাম।



ঋতুমনি


ঋতু মনি বেজায় খুশি
একটু আদর পেলে,
বাবা মায়ের চোখের মনি
থাকেন গাল ফুলে।
লেখা পড়ায় ভাল যে তার
রাগটা অনেক বেশি,
কথা বলে চপড় চপড়
মুখে অনেক হাসি।
বইয়ের পাতায় দেয়না সে মন
খেলায় ব্যস্ত থাকে,
পড়ার কথা বললে সে হায়
মিট মিটিয়ে দেখে।
বাবার কাছে হাজার বায়না
কথার নাই শেষ,
সকাল হলেই পড়ে পড়া
এখন দেখি বেশ।
স্কুল ফাকি দেয়াই ছিলো
একটু তার সভাব,
নিয়মিত স্কুল যায় সে
সবাই দেখে অবাক।

মনি : মিঠুন কর্মকার



দাঁড়িয়ে রয়েছো ছবি হয়ে
আমি দেখেই চলেছি অনিমেষ
মনে হচ্ছে কোনো পরি যেন
আজ ধরেছে মানুষের বেশ ।

কেশ তোমার ময়ূর পঙ্খ
হাসিতে মুক্তোর ধারা
মুখের সৌন্দর্য্যতা হার মানিয়েছে
সহস্র নক্ষত্র তাঁরা ।

বস্ত্রে যেন তুমি রাজ কুমারী
বদন অপ্সরার ন্যায়
হাসিতে মন কেড়েই নিয়েছো
চক্ষুও অনেক কিছু কয় ।

কেশ তোমার যেন ময়ূর পঙ্খ
চাহনি তোমার মধুরান্ত
বিধাতা কি আমায় সুযোগ দেবে
হতে 'কালিদাসিয়' শকুন্তলার দুষ্যন্ত?

জানি তোমার লক্ষ্মীয় চরণে
সৌভাগ্যবান হতে পারবো আমি
যেন এক হতদরিদ্র
খুজে পাবে সর্পিয় মণি ।

জীবনের ধারাপাত : শাহীন রায়হান



ঘড়ির কাঁটায় শিশিরকণার মতো
ঝরে যায় জন্মান্ধ সময়। অস্তগামী সূর্য
মিলিয়ে যায় নিভৃত অন্ধকার মিছিলে-
স্ফটিক ডায়ালে কালবৈশাখীর মতো
আবার ধেয়ে আসে নতুন সময়।
ঋতু বদলে ঘড়ির কাঁটায় এখন
পাতা ঝরা নির্জন শীত-

বয়ে যাওয়া সময়ে অস্ফুট বিলাপ করে এক
গৃহহীন পথভ্রান্ত কুয়াশা ভেজা জবুথবু দাঁড়কাক-
যেমন বিলাপ করে জীবনের ধারাপাতে বাস্তুহীন
বরফ জমা পথ মানব।

কবিতার তরে : রিক্তা রায়


জীবনপথ কতটাই বা আমাদের
তবু এরই মাঝে নিজেকে দিই বাজি।
শুকনো গাছ ভিজেছে কতোবার
অশ্রুসিক্ত হয়ে আঁখিদুটি!
কতো চেনামুখের দেখেছি অট্টহাসি
আশীর্বাদ রুপে তবু কাছে টেনে নিয়েছি।
অহংকারের সীমায় চেয়েছি দেয়াল তুলে দিতে,
ভালোবাসার মোহে তা পারিনি!
সুযোগ সন্ধানীর পথ করেছি অবরুদ্ধ
মিথ্যের আলপিন ভেঙে করেছি চূর্ণবিচূর্ণ।
আলগা করেছি  অশালীন বন্ধুত্বে,
মরচে পড়েছে স্বজনপ্রীতি!
তবুও কলমমুখর হয়ে কতো স্বপ্ন দেখি
কবিতার টানে ডায়েরীতে চোখ রাখি,
যদি কারো একটু তারিফ জোটে
খুশিতে যদি মুখে ফোটে একটু মুক্তো হাসি!

পুরোনো স্মৃতি: অমিত কুমার জানা



স্মৃতির পাতায় মরচে ধরে
স্মৃতিচারণায় মরচে সরে,
মনস্পটে ভেসে ওঠে পুরানো দিনের কথা,
কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা হাসি কান্না ব্যথা।

আসে না ফিরে পুরানো দিন
মন থেকে তবু হয় না বিলীন,
মনের দরজায় উঁকি দিয়ে যায় কর্মের অবকাশে,
বেদনা-মধুর প্রতিক্রিয়ায় এ মন অজান্তে হাসে।

মনে পড়ে সেদিনের ছেলেবেলা,
কি মিষ্টি মধুর হাসি কান্না খেলা!
কি করে ভুলি এমনই মধুর মায়ের তিরস্কার!
পুরানো দিনের স্মৃতির সাথে শৈশব একাকার।

কোলাহল করি বন্ধুর সাথে
স্কুলে যাওয়া সেই মেঠো পথে,
খেলার স্মৃতিচিহ্ন আঁকা গাঁয়ের সবুজ প্রান্তরে
স্মৃতিচারণায় অমৃত লভি তা যদি পেতাম ফিরে!

পুরানো বন্ধুর মুখখানি ভেসে ওঠে
স্মৃতির গলিপথে ব্যাকুল মন ছোটে।
স্মৃতিপটে আজও অক্ষয় 'প্রথম কলেজে যাওয়া,
ভুলতে কি পারি 'তার প্রেমে প্রথম হাবুডুবু খাওয়া'?

কত সংগ্ৰাম জীবনের সাথে
ডুবে থাকি সেই স্মৃতিতে,
পুরানো লড়াইয়ের কত ক্ষতচিহ্ন জেগে থাকে বুকে
তাইতো বর্তমানেও চোখ ছলছল অতীতের শোকে।

বসন্ত দূত : মিঠুন কর্মকার



তুমি যে আমার স্বপ্নপরী
তুমি যে আমার অপ্সরা,
অবশেষে এসে হে প্রাণপ্রিয়ে
তুমি আজ দিয়েছো আমায় ধরা।

ওই হৃদয় হরণ করা মায়াবী চোখ
ওই মোহে ফেলে দেওয়া নিস্পাপ মুখ,
জানো কি প্রিয়ে আমায় যেন আজ
দিয়ে চলেছে এক অজানা মধুর সুখ।

ওই সুগন্ধে ভরা তোমার সুন্দর কেশ
ওই হৃদয় এলোমেলো করা অপ্সরীয় বেশ,
জানো কি প্রিয়ে, যেন বারবার মনে হয়
তুমিই আমার সেই আকাঙ্খিত স্বপ্নের দেশ।

হরিণের ন্যায় ওই চোখে তোমার
ইচ্ছে করে ডুবে থাকতে আমার,
হৃদয় সতেজ হয়ে ওঠে নতুন পথ পাই
যখন কর্ণে ভেসে আসে মধুর স্বর তোমার।

হাসিতে রয়েছে হাজারো মুক্তার তেজ
তোমার স্পর্শে ঘোচাতে পারি সহস্র ভেদ,
তুমি কি আমার জীবনসঙ্গীনী হবে প্রিয়ে?
দূরে সরিয়ে দিয়ে তোমার মিষ্টি মধুর জেদ।

ধ্যানস্থ হই : সুমিত মোদক




নদীর ওপারে থেকে ভাসতে ভাসতে এপারে ,
ঠিক তোমার কাছাকাছি ;
যেখানে তুমি ধ্যানস্থ হয়ে আছো
তোমার মধ্যে ;

সকালের আলো তখনও ফোটেনি ;
দিগন্ত রেখার ওপার থেকে
আলোর আভা এগিয়ে আসছে
তোমার দুচোখের কাছাকাছি ;
মেখে নিচ্ছো আলোর রেণু
প্রেম ;

আমি প্রেমিক হয়ে উঠছি একটু একটু করে ,
এই আলোর উৎসবে ;
ভুলে যাওয়া অতীতের দিন গুলো ফিরে আসে ,
ধরা দেয় ;
তাদেরকেও বসতেদি বুকের মধ্যে ;
মস্তিষ্কে এখন মহাজাগতিক সংসার খেলা করে ;
দেখি আরেক গ্রহের সৃষ্টি ;

তুমি দিয়েছো আমাকে প্রথম সকালের আলো ,
ধ্যানস্থ হওয়ার কৌশল  ;
আমি ধ্যানস্থ হই আমার মধ্যে ,
আমারদের উত্তর পুরুষে  ।।


-----

অভিমানী সুখ : রথীন পার্থ মন্ডল



এখনও গোধূলি রং আনে
বৃষ্টির পরে সোঁদা গন্ধ,
এখনও মাটির ভাঁড়ে গরম চুমুক
এখনও অভিমানী রাত গড়ে দ্বন্দ্ব
এখনও আলোর ভাঁজে আঁধারের সুখ
এখনও মন কেমনের ঘরে তোমার মুখ

         

পথজাল : অনিন্দ্য পাল


পথের শেষ হয় না কখনও
সব পথই অন্য পথে মেশে,
পরিশেষে
জুয়াড়ি জীবন তবু পথ খোঁজে
অসংখ্য ঐশ্বরিক জালে,
ভ্রষ্ট মন সব শেষে দেওয়ালে পিঠ রাখে
অন্য পথ তবু যদি মেলে!
নিজের কৌশলে মৃত্যু মহীয়ান
নির্বাক গোপন কাহার
শাখা প্রশাখা সব এক মোড়ে বাঁধন
পথ নেই, পথ আছে ...

শূন্যের ভিতরে শূন্য, অতল সাধন। 

বিষাক্ত মানুষ : জয়দেব বেরা



মানুষ আজ হারাচ্ছে তার মনুষত্ব,
মানুষ আজ হারাচ্ছে তার মান ও হুশ।
মানুষ ক্রমশ হয়ে উঠেছে আজ বিষাক্ত
মানুষ আজ মানুষ কেও খুন করতে ভয় পায় না।
মানুষ আজ মেতেছে রক্তের হোলি খেলায়,
মানুষ সর্বদাই করে চলেছে অন্যায় ও অত্যাচার।
কিন্তু করছে না কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ।
তাই বলি মানুষ আজ হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।

রিয়াজুল হক সাগরের ৩ টি কবিতা





১,
কবিতাঃ মনুষত্ব

আমি এসেছি এক মানুষ হয়ে এই জগৎ পানে
সত্যিকারের মানুষ হতে এসেছি আমি,
আজ হারিয়ে ফেলেছি তার মনুষত্ব ও বিবেক
তাকেই ভুলে আজ আমাদের চলার পথ।
হে মানব দেহ্ তোমাকেই বলছি
জেগে উঠ আমার বিবেকের দ্বার প্রান্তে,
তুমি একজন মহা-মানব তোমাকে
জাগতেই হবে আবার আমার বিবেক মাজারে।
আমি ভবের পুজারী নয় সৃষ্টির পুজারী,
তবে পাগল নেশায় ব্যস্ত এই ভবের সুখে
জাগ্রত হও হে মানব সমাজ এই ভবে।



2
হরিয়ে যাওয়া দিন

আমি ক্ষয়ে যাওয়া এক নাবিক মাত্র!
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছি রোগে আর শোকে,
সাধ জেগেছে নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখছি
আবার যদি ফিরে পাই হারিয়ে যাওয়া শৈশব।
এই তো সে দিনের পথ চলা আমার
পাঠশালার দিন কত মাঠে প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি,
পুকুড়ে আর জলাসয়ে অনেক সাতঁরিয়েছি
জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া আমি এক সৈনিক।
ছিলাম শিশু হলাম বালক তারপর বাবা
দাদু হয়ে এখন আমি আবার শিশুর ন্যায়,
সময় কাটেনা কারও উপরে ভরদিয়ে চলছি
অথচ এই সময় আমার ছিলো না এক সময়।
হে যুবক শুনে রেখ আসছে সময়
হারিয়ে যাবে দিন ফুরিয়ে যাবে কথা,
চলার পথ চিরোতরে হারিয়ে যাবে
ফিরে আসবেনা সুদিন।
ক্ল্যান্ত আমি রক্তে মাংসে এখন শক্তি নাই
আগামির জন্য আমি রেখে যেতে চাই,
সু দিনের পথ চলার সঙ্গি হয়ে থাক
আমার আগামির প্রজম্ম থেকে প্রজ্ম্ম।





হেমন্তের  বাশিওলা

মাঠে প্রান্তে ভরে গিয়েছে সোনালী ফসলে,
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক দিন মজুর
নবান্নের উৎসবে গ্রাম বাংলার বধুরা,
পিঠা পুলির আয়োজন।
চারিদিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে
আমাদের গ্রাম দুর থেকে মনে হয়,
কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম আমি
কোন এক অজানা পথে।
শিশির ভেজা মুক্তো দানায় পুরো মাঠ
যেন মুক্তো দানায় শিক্তো বিন্দু কণা,
এযে এক নতুন দিনের আলোয় ভরা
সবুজ শ্যামল বাংলা আমার।
এই আমার গ্রামের নিত্য দিনের
হেমন্তের বাশিওলার প্রতি নিওতো,
এই বাংলায় বার বার ফিরে আসে
বছর ফিরে বাংলার ঘরে ঘরে।

মেয়েরা : সুমিত মোদক




মেয়েদের তৃতীয় নয়ন প্রখর ,
তাই তারা ঝড়ের পূর্বাভাস বোঝে  ;
মেয়েরা নমনীয় ,
তাই তারা প্রকৃতি ;
হাতে অস্ত্র তুলে নিলে ,
তং হি দুর্গে ..
অসুর নিধন ;
শক্তি রূপেণ .....

বলয়গ্রাস: মায়িশা তাসনিম ইসলাম



প্রিয়তমা অন্ধকার
"একাকীত্ব" শব্দটির কাছে একাধিক ছায়াও নিঃসঙ্গতায় আত্মাহুতি দেয়
সমাজ কবিতা শেখাতে আসলে নির্ণয় করি দ্রাঘিমা ও ব্যক্তিগত সারাংশ
দ্বীপের বুকে উঠে আসে সৌরজগৎ, কুয়োর থেকে ধীরে ধীরে সরে জলের গান
তৃষ্ণা থাকে না বলেই অসামাজিক কবির পটভূমিতে নির্লজ্জ শব্দেরা ঘর বাঁধে, সংসার ভাঙে


প্রিয়তমা অন্ধকার
এই বহুগামী সমাজ কবিতাকে 'অশ্লীল' বলতে বলতে ভুলে যায় গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করার কথা!
দহনে ফুল ফোটাও প্রিয়তমা, জল ঢাললে মরে যাই....মরে যাই.....


অভিশপ্ত পৃথিবী : শাহীন রায়হান



বড় দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়েছি আজ
যেন দুর্দিনের যাত্রী ছাইচাপা আগুন মাড়িয়ে
অভিশাপের বোচকা কাঁধে চাপিয়ে হেঁটে চলেছি
নিদারুন যন্ত্রনাময় মৃত্যু অবগাহনে।

আজ নিজেকে বড়-ই অচেনা মনে হয়
পৃথিবীকে মনে হয় বিধ্বস্ত শ্মশান
যেখানে প্রতিটি লম্পট হাত বুবুক্ষু মানুষের খাবার কেড়ে নেয়
তরুণীর কাজল মুছে দেয় পাষাণ মীরজাফর-
রক্তাক্ত মানচিত্র পোড়ায় আবু জাহেল ফেরাউন।

আর পৃথিবী কাতরায় মহমারী রোগে
তার শরীরে কুষ্ঠের দগদগে ঘা
আজ পৃথিবীর বুকে গোলাপের সুবাস নেই
আছে শুধুই বারুদের গন্ধ শুধুই অভিশাপ।