নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

"কারার ঐ লৌহ কপাট" গানের বিকৃত :হোক প্রতিবাদ

 



গুণী সংগীত পরিচালক এ আর রেহমানের কোনো কাজের সমালোচনা করার মতো তেমন কোনো সুযোগ আসলে তিনি রাখতেন না। সবার থেকে একেবারেই আলাদা ছিল তার কাজের ধরন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তার গানের একজন ভক্ত। কিন্তু সম্প্রতি রেহমান সাহেবের একটি কাজ খুবই নিম্নমানের ও অনৈতিক হয়েছে।

ওনাকে হয়তো কেউ বুঝিয়ে দেয়নি যে এটা কতবড় অপরাধ কারণ উনি নিজের বলয়ের ভেতর বসবাস করেন। অতবড় একজন সুরকার কী করে এমন স্পর্ধার কাজ করে যা কিনা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এটা আসলে কাজ নয় এটা দুষ্কর্ম! কারার ঐ লৌহ কপাট গানের মার্চ পাস্ট সুরে কী কমতি আছে! হাজার বছর পরেও এই গানের রক্ত গরম করে আবেদন এমনই থাকবে। আমি স্তম্ভিত! খুব অন্যায়! গানটি তিনি শুধু নতুন সংগীতায়োজন করতে পারতেন কিন্তু সুর? বিদ্রোহী কবি কি কাউকে এই অধিকার দিয়েছেন? নাকি কবি এই সুরটাও করেছিলেন যা অপ্রচলিত অথবা অজনপ্রিয় হওয়ায় উনি আবারও সুর করেছিলেন, এই প্রশ্নটাও উঁকি দিচ্ছে। কারণ এতো ভাবনাহীন কাজ আল্লা রাখা রেহমান সাহেবের সাথে যায় না একদমই। কাজী নজরুল ইসলামের কপিরাইট সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষ আজ কোথায়? তারা এ নিয়ে কথা বলবেন না? এ বড় অনাচার। আর যে বাঙালি শিল্পীরা এই গান গেয়েছে তারাই কী করে এমন সুরে গানটা গাইতে পারলো। রেহমান সাহেব হয়তবা এই গান আগে শোনেননি কিন্তু তারা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। আশা করি অচিরেই গানটি ছবি থেকে বাদ দেয়া হবে এবং রেহমান সাহেব তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করবেন।

গানের ইতিহাস:

১৯২১ সালে ডিসেম্বর মাস-কাজি নজরুল ইসলাম কুমিল্লা থেকে কলকাতায় ফেরার পর সৃষ্টি করেন 'কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট'। বাংলার ইতিহাস হাঁতড়ালে সবথেকে সেরা বিদ্রোহের গান প্রসঙ্গ এলে এই গান আসে। সেই সময় নজরুলের 'বিদ্রোহ' চিন্তায় ফেলেছিল রাজশক্তিকে। নজরুলের উপর নজরদারি শুরু হয়। তাঁর বহু কাব্যগ্রস্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ১৯২৪ সালের কাছাকাছি সময়-নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভাঙার গান।

১৯৩০ সালের কাছাকাছি সময়, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নজরুল ইসলামের প্রলয় শিখা। তাঁর আগে সরকার বিরোধী প্রচারের জন্য তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর তিনি নিজের সম্পাদিত ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কবিতার জন্য এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পান। তাঁকে প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে গেলেও সেখান থেকে পাঠানো হয়েছিল আলিপুর জেলে। এরপর সেখান থেকে কবিকে পাঠানো হয়েছিল হুগলির জেলে। তাঁকে কাছে পেয়ে উজ্জীবিত হয়েছিলেন অন্যান্য বন্দিরাও। সেই সময় হুগলির জেলের সুপার আর্সটন সাহেবের অত্যাচারের কুখ্যাতি ছিল সর্বত্র। তাঁকে ব্যাঙ্গ করে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত গানের প্যারোডি করেছিলেন নজরুল। খোলা গলায় গেয়ে উঠেছিলেন, "তোমারি জেলে পালিছ ঠেলে তুমি ধন্য ধন্য হে"।

আর এই বিদ্রোহের ভাষা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি রাজশক্তি। তাঁর উপর শুরু হল অমানবিক অত্যাচার। বন্ধ করা হয়েছিল ভাত। পরিবর্তে ফ্যান খেতে দেওয়া হত। কিন্তু, নজরুল ফুঁসে ওঠেন। এই অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি অনশন শুরু করেছিলেন।

তাঁর স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার খবর সামনে আসার পর সেন্ট্রাল জেলে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠান স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লিখেছেন, "গিভ আপ হাংগার স্ট্রাইক, আওয়ার লিটারেচার ক্লেইমস ইউ।' কিন্তু, নজরুলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছতে দেননি সংশোধনাগারের কর্তারা।

এরপর মাতৃসমা বিরজাসুন্দরী দেবীর অনুরোধে ৩৯ দিনের মাথায় অনশন ভাঙেন তিনি। এরপর তাঁকে বহরমপুরের জেলে পাঠানো হয়। যেখানে তিনি পেয়েছিলেন শিবরাম চক্রবর্তীকে। নিজের গানের থেকে রবীন্দ্রসংগীত ভালো গাইতেন তিনি, লিখেছিলেন শিবরাম।




দীপাবলী (দ্বিতীয় সংখ্যা) এর সূচীপত্র






মেশকাতুন নাহার 

রূপবিলাস মণ্ডল

শাবলু শাহাবউদ্দিন

অনোজ ব্যানার্জী

সুমিত মোদক

অমিত কুমার জানা

রেজাউল করিম রোমেল

অঞ্জলি দেনন্দী

শাহীন রায়হান

জিয়াউল আলম ফারুকী

শম্পা সামন্ত

ভীষ্মদেব সূত্রধর



বিশেষ ঘোষণা:

আসছে নিকোটিন ২.০ দ্বারা নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" প্রতিদিন সকালে প্রকাশিত হবে ।দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অসামাজিকতার বিরুদ্ধে,শাসকের বিরুদ্ধে ..যেকোনো প্রতিবাদী কণ্ঠ কে সাদরে স্বাগত ।

"কলম এবার বন্দুক  হবে,বারুদ হবে কালি, 

"রাজা তোর কাপড় কোথায়?"বলে সবাই না দিয়ে হাততালি "




রেজাউল করিম রোমেল

 কাশফুল


শরতের আগমণে
ফুটেছে কাশফুল,
ফুলে ফুলে ভরে গেছে
অপূর্ব কুল।

তোমাকে দিলাম
আমার প্রিয় কাশফুল,
যত্ন করে রেখ
কোরো নাকো ভুল।

পথ ঘাট মাঠে প্রান্তরে
ফুটেছে কাশফুল,
শরতের এই অপূর্ব ফুল
দেখতে কোরো না ভুল।

অঞ্জলি দেনন্দী

 দীপাবলী




ঘোর অন্ধকার।
অমাবস্যা।
মা কালী, সাকার।
আঁধারের তপস্যা।
কালো রূপে বিরাজিতা দেবী।
ভক্তিতে তাঁর শ্রীপদ সেবী।
দীপ জ্বালিয়ে দিই।
আশিস চেয়ে নিই।
লোভের দিই বলী।
জবায় দিই অঞ্জলি।
তারায় সাজে গগণ।
পৃথিবী ধ্যানে মগন।
বড় পুণ্যের লগণ।
ফুল, ফলে ভরে পূজার ডালি।
জয় শ্রী মা কালী!

জিয়াউল আলম ফারুকী

 বোধ




অবাক হয়ে শুনি
রক্ত কথা কয়,
কূল হারা নাবিক
ভাংগা মাস্তুল অঁকড়ে
খুঁজে নতুন দিন।

দিন আসে দিন যায়
গারদবদ্ধ শালিক
ধান খুঁজে মাঠের পর মাঠ,
আস্ত খাঁচাটায় যে পাখি
কাঁতরায় মুখোস আড়ালে।

দূর দিগন্ত হতে হয়ত
কেউ আসবে,পাশে বসবে,
দুয়ার খুলে বলবে,
বনের পাখি তুমি খাঁচায়
কেন!কী করে উড়ে যেতে হয়?

অতঃপরএকটি সবুজ
খামে বারতা আসুক
বনের পাখি,মনের পাখি
মুক্ত আকাশ হোক
তোমার কপোতি চারণ।

ভীষ্মদেব সূত্রধর

 খোঁজ, স্বপ্ন ও সংজ্ঞা 


আফ্রোদিতি'র খোঁজে মহল্লার গেরস্তের বাড়ির খবর রাখিনা
একে একে চলে গেছে...বিবর্ণ সকাল আমার একার
ভাঁজা খেয়েই আমি তৈলাক্ত শিথিল! 
ঘন্টার পর ঘন্টা টেবিলের পায়ার কথা ভাবি
চারপায়ে হেঁটে চলা জন্তু আর জোনাকি
ভোরের কাক প্রেমিক হয়ে 
উৎকৃষ্টতর নীল বেদনায় ঝুলে পড়ে বৈদ্যুতিক তারে
একটি আত্মহত্যা এবং হন্তারক সন্ধ্যারতির দীপ্যমান মুখ।
বন্যপুষ্প-সুরভিত উত্তপ্ত বাতাস
ঘিরে অক্ষরাদি ভেসে যায় প্রদত্ত উঠোনে
নোনাজলাবদ্ধ ওষ্ঠাগত দ্বিপ্রহরে।
পিছনের পুকুর থেকে অনুজীব জলপরী
কুকুরের মত্ত সহবাস
চোখ ওঠা লাল চোখ
জল ঝরা হাতা
আমি ধর্ণা দিইনি নদীর বুকে অপ্সরা নেমে আসে 
কারো বুকে
কারো জঙ্ঘায়
ইপ্সায়!
ভীষণ টিটকারি,  ভাঙা আয়নায় সিলভার প্রলেপ
আমার মুখোমুখি 
আমি আদৌ কোন কিছু দেখি
বারবেলা ঘুমিয়ে ক্লান্তি জমলে
আমিও চাঁদ ছুঁতে ছুটে যাই স্বপ্নে-মদিরায়।
কিছু ওষুধের পরিত্যক্ত খাম
পুরান টর্চ
সাহসের পর দুঃসাহসের ঘাম অবশেষে টেনে তোলে চাটি মারে। ধুর।


 

শম্পা সামন্ত

 কুমারীর আলিঙ্গন


ধীরে ধীরে আমি মৌন মন্থর আলিঙ্গন করছি কোনো বৃহদায়তন পান্থ পাদপের চরণ।
আর সেই আলিঙ্গন এক আকাশের গায়ে চাঁদের ছায়া।
যে রাতে ঘুমিয়ে থাকার কথা ছিল সে রাতে আর ঘুম এলোনা।
দীর্ঘকাল যেন সূর্যের নীচে শুয়ে থাকা যাপন।
আর কম্পিত নি: শ্বাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আমি এপর্যন্ত যা জানি তা করা উচিত হলনা আর যা যা জানা নেই তা যেন অপটু হতে সেরে ফেলছি। 
এক পটু শিকারির মত।
আমি যা যা দেখিনি তা আমার ভাবনা।
আর যা ভেবেছি তাও শরীরি কল্পনা।
আর সবুজ বনানী ঘিরে আমার হারিয়ে যাওয়া।
অস্তিত্বহীন। নাম।

সাকিন

অসুস্থতা তোমার পারগতাকে চাগিয়ে তুলতে পারে  অকর্মন্য এক জীবন খুঁজে পেলে।
লাল রঙা গোধুলির মাঝে এই প্রেম ভ্রূপল্লবিত।
ছায়ামুখ যেন আঁকাবাঁকা পথময় ছড়িয়ে।ঐ আলোময় মুখ ঘিরে আমার অনুভব।এই ক্লিশে হয়ে যাওয়াস্মৃতি মেদুর গতি।আর হাজার বছর আমি টিকে থাকি।
বিষাদের আঁধার টুকু নিয়ে, বেরসিকের মত।আর ক্ষতগুলো সানিয়ে নিচ্ছে তরবারি।
এখন একটা সঙ্গী পেলে পারাবার পেরোতে পারি।
একটা অশ্লীল কবিতা লিখতে অঙ্গীকার করি। 
তুমি কী আমার সঙ্গী হবার প্রতিজ্ঞায়  হাত ধরবে?

শাহীন রায়হান

 তোমার বিরহ বেলুন 


মনের উঠোনে দাগ কেটে কেটে
প্রজাপতি রং সারাদিন আনমনে এঁকে যায়- 
মৃত প্রায় বিষখালী হরিণঘাটার ধূ ধূ বালুচর 
সর্পিল পায়রার সমুদ্রগামী ফেনায়িত লাল মোহনা
এক বিকারগ্রস্ত জলময়ুরীর ছবি। 

পুরনো স্মৃতির ঝলসানো ক্যানভাস থেকে 
পলেস্তরার মতো খসে পরে
আলুথালু চিরচেনা স্বপ্নীল দুটি হাত-

বেখেয়ালি মন হেঁটে যায়
নদীমুখী জল থৈ থৈ কালমেঘা খাল পেরিয়ে 
বকমুখী নলটোনা ঘাটে। 

বুকের চিকন সরল রেখায় থেমে থেমে দোলখায়
এক দিকভ্রান্ত দুর্ভাগা গো-শালিক
তার জরা চোখে বরাবর বেহিসাবি আমি 
জীবনের নতুন পুরনো সব হিসাব মিলাই 

তারপর পীতরঙা পৃথিবীর কোমল নিতম্ব ছিঁড়ে 
জেগে ওঠে ঘুমন্ত লাউ মাচা, দূর হিজলের বন
আমার লাজুক মনের ভাঁটফুল দাওয়ায় 
ঝড় তোলে পশ্চিমা বাউরি বাতাস
আর পলাশের লাল পাপড়ি ছুঁয়ে নীরবে উড়ে যায় 
তোমার বিরহ বেলুন।

অমিত কুমার জানা

 সভ্যতার ভিত



আমরা যখন ইঁট হয়ে থাকি
হতবাক হয়ে চেয়ে দেখি
তোমাদের কি নিষ্ঠুর মানবিকতা!
হেয়জ্ঞান করে অবজ্ঞাভরে
লাথি মেরে সরিয়ে দাও সুদূরে,
তাই মোরা নিক্ষিপ্ত হেথাহোথা।

পুনরায় স্ব স্ব প্রয়োজনে,
উন্মত্ত হও আমাদেরই অন্বেষণে।
আমাদের অগণিত সহোদরে
একসাথে রাখো জড়ো করে।
গড়ে তোল অট্টালিকা গগনভেদী,
স্তরে স্তরে সজ্জিত মোরা বহুদূর অবধি।

যাদের দিয়ে গড়েছো সভ্যতার ভিত,
তাদের অবজ্ঞা করো না কদাচিৎ।
সভ্যতার ভিতে যদি ধরে ফাটল,
নিষ্ঠুর শাসকের গদি হবে টলমল।

সুমিত মোদক

 জ্বেলে যায় দীপ



অন্ধকার সরিয়ে সরিয়ে বার করে নিতে হয়
সামনের এগিয়ে চলার পথ ;
পথিক বার বার পথ হারায় ;
তবুও পথে নামে পঞ্চপাণ্ডব ও পাঞ্চালী ;

ঘোর অমাবস্যায় তন্ত্র সাধনায় মগ্ন অঘোরী-জীবন ;
গভীর জঙ্গলে থেকে উঠে আসে প্রেত-তত্ত্ব ,
মহাকাল …
অথচ , মুখোশের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যায় ;
দিকে দিকে চুরি হয়ে যায় শ্মশান ;
কেবলমাত্র পড়ে থাকে আধপোড়া চিতাকাঠ ,
ফুটোকলসি ;

রাতচরাপাখি গুলো রাতের অসুখ দেখে
ভয়ে ভয়ে থাকে ;
এই বুঝি আকাশ থেকে ভেঙে ভেঙে পড়বে 
সহজ সরল মানুষের কান্না ;
সে কান্নার শব্দ গুলোকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা
তাদের নেই ;
সে কারণে অপেক্ষায় থাকে নতুন ভোরের ;

ডোম হরিশচন্দ্র এখনও খুঁজে বেড়ায় 
একটা শ্মশান ;
চারপাশে তার হাজার হাজার মৃত দেহ ;

এমনই অন্ধকারের মধ্যে দিয়েই হেঁটে যায়
গৌতম বুদ্ধ ;
খুঁজে পেতে বোধিবৃক্ষ , সুজাতা পায়স …

এতো কান্না , এতো অন্ধকার , এতো নৈশব্দ
তবুও করা যেন দিকে দিকে , দিগন্তে 
জ্বেলে যায় দীপ ;
আলোয় আলোয় ভরে উঠছে সনাতন ভারত ভূমি ।

অনোজ ব্যানার্জী

 দীপাবলী


দীপ চায় শিখা,শিখা চায় দীপ,

আঁধারেতে তাই,আলো জ্বেলে যায়।
কালো মেয়ে আসে,বাংলা তাই হাসে,
সাজো সাজো রব,আলোর বন্যায়।

দুর্নীতি যত,যত অন্যায়,
এসো মাগো তুমি,দাও মুছে সব।
অসুরের হাত,দাও ভেঙে দাও,
শুনতে তো চাই,হাসি কলরব।

ছলনার ফাঁদে,দেবতারা কাঁদে,
বাঁচাবে কে আজ,স্বর্গের সুখ?
রক্তের বন্যায়,পথ,ঘাট ভাসে,
দেখাবে কে আজ শান্তির মুখ?

ডাকি মনেপ্রাণে এসো শ্যামা মা,
ওই অসুরদের দাওগো বলি,
আমাদের ঘরে ঘরে তাই আজ
দেবো জ্বেলে শুভ দীপাবলি।।

শাবলু শাহাবউদ্দিন

 টিএসসির চত্ত্বরে


 

টিএসসির চত্ত্বরে রবীন্দ্রনাথ ভেঙে হয়েছে খান খান

শিক্ষিত সমাজ রাখল না তার আজ মান-সম্মান

কাজী নজরুলের কণ্ঠে বাজে না আজ বিদ্রোহের গান

কবি সাহিত্যিকেরা হয়েছে বড়ই বেইমান

তাদের আছে দেহ, মণ্ডু খুঁজে পায় না কেহ্

তবে কে দেখবে আর এ দেশের সম্মান !

আইনের বেড়া জালে, জেলখানার ভয় পেলে

হবে কি স্বাধীন ? এ দেশের মান অভিমান !

বাঙালি হয়ে জন্মেছি মা, মানুষ হবো কবে ?

শিক্ষিত তো হয়েছি মা, আমরা সবাই ঘরে ঘরে

কে দিবে তার আসল প্রমাণ, স্বাধীন বাংলার তরে !

 

রূপবিলাস মণ্ডল এর কবিতাগুচ্ছ

 



বুদবুদ

  

কোন এক সন্ধ্যায় তোমার

হৃদয়ের‌ উষ্ণ  প্রস্রবণ ,

উষ্ণতা আমায় ঢেলে দিয়ে

শীতলতা করেছ বরণ।

জীবনের ধারাপাত জুড়ে

যোগ বিয়োগের এই খেলা ,

বিষন্ন  আকাশ বুকে করে

বিশ্ব পথে হেঁটেছি একেলা।

ক্ষণিকের অতিথির মতো

কিছু পথ ধরেছিলে হাত,

হাত ছেড়ে কোথায় হারালে,

কুসুমিত শুভ্র প্রভাত!

আমার প্রগাঢ় অনুতাপ

তোমায় নামায় মেঘ করে,

বৃষ্টি, সে দূরে সরে রয়

স্বপ্নের ক্রন্দসী পারে।

নিত্য এ আসা যাওয়া খেলা

বুদবুদ ঊর্মিমালায় ,

প্রেম আর অপ্রেম মিলে

জন্মায়, অসীমে মিলায়।

 

 

 

 

 

 

মানবতার ফেরিওয়ালা

 


 

শৈশব আর কৈশোর গেছে চুরি

স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে যৌবন,

উদ্ভ্রান্ত এ সময়ের অভিঘাতে

স্বপ্নের এক ফেরিওয়ালা প্রয়োজন।

সে স্বপ্ন  হবে মানবতা প্রতিরূপ

জীবনের তরে সঞ্জীবনীর মতো,

দুচোখে আঁকবে স্বপ্নের  অঞ্জন

দূরীভূত হবে হতাশা-দুরাশা যতো।

 

দিকে দিকে আজ বিপন্ন মানবতা

আর্ত কান্না বিষিয়েছে প্রতিদিন,

মানবতা হীন জীবন পশুর মতো

ফেরিওয়ালা করো মানবতা উড্ডীন।

গান্ধী ,নেতাজী যে স্বপ্ন দেখেছিলো

সেই স্বপ্নই বয়ে নিয়ে চল তবে,

সবাইকে যদি স্বপ্ন দেখাতে পারো

দেশ জননীর স্বপ্ন সফল হবে।

যে স্বপ্ন খোঁজে জাতপাত হীন বিশ্ব

মানবতা আনো,যেখানেই খুঁজে পাও ,

ঈর্ষা এবং হিংসা মুক্ত পৃথিবী ,

যুদ্ধ চাইনা, যুদ্ধ থামিয়ে দাও।

সাম্যের তরে এক হোক গোটা দুনিয়া

গভীর স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাক মন,

স্বপ্ন দেখুক শ্রমিক  মজুর কৃষক

পৃথিবীটা হোক আনন্দ নিকেতন ।

 

আসল কথা

 


 

আসল কথা বলতে গেলেই

ভরিয়ে দিচ্ছে নকল কথায় ,

সবাই হয়ে মন্ত্র মুগ্ধ

বোকার মতো হাততালি দেয়।

তুলছে না কেউ  আসল কথা

ভুলছে সবাই অভিনয়ে,

এরা ভাবছে ওরা বলুক

সত্য ডোবে অবক্ষয়ে।

 

কার প্রাপ্তি কে হাতড়ায়

কার অধিকার ধুলায় লুটায় !

নকল লড়াই বাধিয়ে  দিয়ে

নেপোয় শেষে  দ‌ই মেরে দেয়।

তোমায় যারা শোষণ করে

তাদের নিয়ে মাথায় তোল,

নিজের কথা, দেশের স্বার্থ

তোমায় ভোলায়, তুমি ও ভোলো।

 

এসব প্রশ্ন কে করবে?

বলবে যারা নেশার ঘোরে ,

প্রতিবাদের ঝাণ্ডা ঢেকে

সহজ পথে স‌ওদা করে।

সত্যি কথা, আসল কথা

সবাই মিলে বলতে হবে,

না হলে ওই শোষক শ্রেণীর

মর্জি মতো বাঁচতে হবে।

 

মেকি কথা মিটিয়ে দিয়ে

তোল সবাই  আওয়াজ তোলো

আসল প্রশ্ন উপেক্ষিত,

আসল কথা সবাই বলো।

মেশকাতুন নাহারের কবিতাগুচ্ছ

 শরতের আহ্বান

শরৎ বাবু বলছে ডেকে 
যাবে আমার সাথে? 
শিউলি ফুল মালা গেঁথে 
দেব তোমার হাতে।

শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে
হাঁটবো দুজন মিলে, 
শাপলা হাসে চেয়ে দেখ
দুপুর বেলা ঝিলে। 

ইচ্ছে করে মেঘের দেশে
দেই দুজনে পাড়ি, 
নীল আকাশটা ছুঁয়ে দেখব
চড়ে হাওয়াই গাড়ি।

নদীর তীরে ফুলে ফুলে
কাশবন গেছে ভরে,
আসমানি রং শাড়ি পরে
থাকবে হাতটা ধরে।

মাঝে মাঝে উড়ে যাবে 
শালিক ময়না টিয়ে,
সুখের তরী বাইবো রানি
শুধু তোমায় নিয়ে।


সুখের চাবি


ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ পড়ে ভাবি! 
জীবনের ঢের দিন হয়ে গেছে পার,
অর্থকে ভেবেছি সুখ দুয়ারের চাবি 
মৃগতৃষ্ণায় ছুটে যে খেলাম আছাড়।
আপন কে দূরে ঠেলে পেয়েছি বিষাদ 
চারপাশে শূন্যতায় খাঁ-খাঁ মরুভূমি!
ছুটে চলেছি শুধুই গড়তে প্রাসাদ, 
সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভুল করে  গোঁয়ার্তুমি।

দু'চোখের আয়নাতে ভাসে কত ছবি! 
দিশেহারা ক্লান্ত যাত্রী পথ খুঁজে চলে, 
আঁধার শেষে উঠবে নিশ্চয়ই রবি, 
হৃদয় কানন পুনঃ ভর্তি হবে ফলে।
ব্যথা সব ছুড়ে ফেলে বাঁধি নব আশা, 
সবচেয়ে বড় সুখ শুদ্ধ ভালোবাসা।

সুখের তালাশে


ও পারে সুখের ঠিকানায় 
এ আমি তালাশে নিরালায় 
কি এক জটিল মায়াজালে,
এ মন প্যাঁচালো কুটচালে। 

সে পীড়া মনের মোহনায়, 
এ আঁখি জোয়ারে কান্নায়।
সে জ্বালা সবার অগোচরে, 
তা ক্ষত হয়েছে গহ্বরে।

ও মাঝি নাওনা কিনারায়, 
এ আমি ভাসছি নিরাশায়।
পা ফেলে নদীর লহরীতে,
সে চলে গতির বিপরীতে।

না জেনে নেমেছি তটিনীতে,
এ মোর বেদনা ধমনীতে। 
কি করি বলো'না প্রতিকার,
সে হেতু ভাবনা লেখিকার।

ও মাঝি ধরো'না দুটিহাত
এ হৃদে লাগছে করাঘাত
সে আমি করছি আহবান, 
এ প্রাণ পেয়েছে জ্ঞানদান।



ধ্বংসযজ্ঞ 


আরও একটা বিশ্বযুদ্ধ যেন চলছিল অন্তর প্রদেশে,
তীর ধনুক কিংবা বর্শার আঘাত নয়!
যুদ্ধাস্ত্র ছিল নিউক্লীয় বোমা! 
এ ধ্বংসযজ্ঞ আরেকটি বার হিরোশিমার কথা মনে করিয়ে দেয়,
প্রাণচঞ্চল হিরোশিমা নাগাসাকি শহর হয়েছিল পঙ্গুত্বের গহ্বর।
ঠিক সেইরকমই যেন আকষ্মিক ভাবে মর্মদেশ কম্পিত হয়ে ওঠে! 
স্বপ্ন শহর হলো মূর্ছিত! হলো নিষ্ক্রিয় পাথর!
যে হৃদয় নগরীতে নির্মিত ছিল ব্যাবিলনের উদ্যান,
ধুলোয় মিশে ধ্বংস স্তুপে আজ হয়েছে ম্রিয়মাণ।
সেখানে আজ অঙ্কুরিত হয় না সবুজের সমারোহ,
বাসা বাঁধে না কোনো পাখি, 
বাতাসে ভেসে বেড়ায় না মিষ্টি সুরের মূর্ছনা।
বয়ে চলছে সেথায় শব্দহীন শুকনো অশ্রু প্রপাত। 
শ্যাওলা জমে স্যাঁতসেঁতে হৃদয়ের কুঠুরিটা, 
হিরোশিমা আর জাগবে না,আর জাগবে না, 
পাবে না ফিরে সেই যৌবনের মুখশ্রীটা।


কঙ্কাবতীর দুঃখ 


এক যে ছিল দস্যি সর্দার দেখতে ঠিকই মানব,
কিন্তু সে যে আঁধার রাজ্যের মহা একটা দানব, 
কঙ্কাবতী কে আনে ধরে এমন বিকট মূর্তি, 
অনুরাগের ছোঁয়া পেতে ঘটায় অদ্ভুত কীর্তি।

কঙ্কাবতী তোমায় আমি রাখবো রানি করে, 
হীরা পান্নার মালা দিয়ে দেবো তোমায় ভরে।
রাজকুমারীকে নাকি সে করতো বহুত পেয়ার,
কারাগারে বন্দী করে চালায় ভীষণ প্রহার। 

দৈত্য সম্রাট বুঝে না যে রাজকুমারীর মন,
নারকীয় তাণ্ডব লীলায় করতো আক্রমণ। 
মিথ্যাচরণ আর লুকোচুরিতে করে নিত্য খেলা, 
রাজকুমারীকে কয়েদ রেখে 
বসায় জলসার মেলা।

সোনার পালঙ্কে ঘুম কি হয়! দৈত্য রাজের ভয়ে,
কত পালানোর উপায় খুঁজে চুপিচুপি সংশয়ে।
শক্তি দিয়ে কেনা যায় কী খাঁটি ভালোবাসা? 
দোহাই লাগে দৈত্য সম্রাট করিস না আর তামাশা।

দীপাবলী (দ্বিতীয় সংখ্যা )




 "দীপাবলি" (সংস্কৃত: दीपावली) নামটির অর্থ "প্রদীপের সমষ্টি"। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। দীপাবলির অনুষ্ঠানে সারি-সারি প্রদীপের আলোতে স্বর্গের দেবতাকে গৃহে বরণ করে নেওয়া হয়। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।দীপাবলির মাধ্যমে উপনিষদের আজ্ঞায় এই কথাটা খুবই সদৃঢ় ভাবে চরিতার্থ হয়ে ওঠে 

অসতো মা সত্ গময়।
তমসো মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়।
ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ॥

অর্থাৎ, অসৎ হতে সত্যে নিয়ে যাও,
অন্ধকার হতে জ্যোতিতে নিয়ে যাও,
মৃত্যু হতে অমরত্বে নিয়ে যাও।
সর্বত্র যেন ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা।

 তাই নতুন করে আবার আপনাদের প্রিয় কলমের সঙ্গে নতুন ভাবে আলো জ্বালাতে নিকোটিন 2.0 ফিরলো প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন ভাবে ।আশা করি সবার এই সংখ্যাটি ভালো লাগবে ।আগামীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরো আরো বেশি করে লেখা পাবো বলে আশা রাখি সকল লেখক ও কবিদের থেকে এই কুলষিত সমাজকে আরও আলো জ্বালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার কলম আরও শক্ত করে তুলতে আমাদের আরও একবার প্রচেষ্টা। 


আগে যেমন পাশে ছিলেন আবারও সবাইকে পাশে পাবো বলে আশা রাখি। সকলে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন যাদের লেখা একসংখ্যায় স্থান দিতে পেরেছি যারা নিকোটিনকে ভালো বেসে পাশে আছেন পাশে ছিলেন সবাইকে।

                                                 ধন্যবাদান্তে ,

                                                 জ্যোতির্ময় রায় 

                                              নিকোটিন ওয়েব ম্যাগ চিফ এডিটর 

রেজাউল করিম রোমেলের এক গুচ্ছ কবিতা




 

 সত্য বলতে বাঁধা


সত্যকে সত্য বলতে যারা দেয় বাঁধা,
নিজের বক্তব্য প্রকাশে যদি আসে বাঁধা,
তাহলে কিসের মুক্তচিন্তা, কোন গণতন্ত্রের কথা বলো?
মত প্রকাশের অধিকার কি হারিয়ে ফেলেছি আমরা?
সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
যদি হয় অপরাধ,
আর তার শাস্তি যদি হয় মৃত্যু,
তবে প্রতিটি দেশে দেশে, সারা পৃথিবীর
মায়ের গর্ভে জন্ম নিক শত সহস্র কোটি
সত্যবাদী মানুষ এবং মানুষী।
হোক আন্দোলন সত্য প্রতিষ্ঠায়,
দেখি তোমরা কত মৃত্যু ঘটাতে পারো...


অনিয়মই নিয়ম

অনিয়মই নিয়ম যখন
কিছুই যায় না করা,
অনিয়মের মাঝে পড়ে
জীবন জরা জরা।

আমরা কি ভাই নিয়ম জানি
হচ্ছে কেন অনিয়ম,
অনিয়মের ফাঁদে পড়ে
হচ্ছে সবার মতিভ্রম।

নিয়মের তো ছড়াছড়ি
বইপত্রতে লেখা,
নিয়ম শুধু বইয়ের পাতায়
যায়না কাজে দেখা।


কেন ভালোবাসি?

কেন ভালোবাসি?
যে ভালোবাসা রক্তাক্ত করে দেয়
সমস্ত শরীর, হৃদস্পন্দন।
ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে প্রাণ,
মন, আত্মা, সবকিছু ।
চোখের জলে জন্ম নেয়
নদী, সাগর, মহাসাগর ।
হৃদয় হয়ে যায় মহাশ্মশান।
তারপর-ও কেন ভালোবাসি?
হতাশার অব্যক্ত চিৎকারে
মহাপ্রলয় নেমে আসে।
তবু কেন ভালোবাসি? কেন... ?



তুমি ভালো থেকো

তোমাকে নিয়েই লিখছি, হ্যাঁ তোমাকে নিয়েই।
অনেক দিন হলো তুমি চলে গ্যাছ,
সেকথা ভাবতে ভাবতে এখন আর ভাবি না।
তোমাকে না পাওয়ার ব্যর্থতা এখন আমাকে আর কষ্ট দেয় না।
আমার মনের মণিকোঠায়, হৃদয়ের অতল 
গভীর থেকে গভীরতম স্থানে যে জায়গা জুড়ে তুমি আছ;
সাধ্য কার সেখান থেকে তোমাকে ছিনিয়ে নেবে!
তুমি কি পারবে সেখান থেকে ছিনিয়ে নিতে তোমাকে?

কে বলে তুমি নেই! তুমি আছ-
আমার আকাশে বাতাসে, সাগর নদী মহাসাগর
আমার পৃথিবী মহাবিশ্বে , আমার প্রতিটি শিরায় শিরায়,
রক্তের প্রতিটি কণায় কণায়।

তোমাকে হারিয়ে আমি কষ্টে আছি আমি বেদনাহত,
একথা ভেবে যদি তুমি কষ্ট পাও!
তারপর-ও আমি বোলবো,-
তুমি ভালো থেকো প্রিয়তমাষু, তুমি ভালো থেকো।

বৃষ্টি:পবন কুমার সাহা







 ওরে আজ হঠাৎ করে

বৃষ্টি এলো নেবে
ঝড়ে ভিজে সুখ চড়ে
চেনা ঢেউ দেবে।
ভিজে গেলো স্বপ্ন গুলো,
চোখে দেখা ঢল
বৃষ্টি ভিজে স্নিগ্ধা এলো
চেনা সেই টোল।
হোক বৃষ্টি অন্তরেতে
চাই সারাক্ষন
চেনা পথ জলে ভেসে
নৌকা নিয়ে রন।
স্রোতে কাগজের নৌকা
ঝড়ে নড়ে চড়ে
পোড়া মন ভিজে অক্কা
কেনো ডোবে ওরে।