নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বৈশাখী চক্কোত্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বৈশাখী চক্কোত্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে: বৈশাখী চক্কোত্তি





তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে"
"চক্ষে আমার তৃষ্ণা
ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে "।
দারুণ দহনে জ্বলছে আজ
হৃদয় কেন মরুচরে।।
আসুক ঝঞ্ঝা, উড়ে যাক সবকিছু
হোক তপ্ত হাওয়ার অবসান। উঠুক ঝড়ের নিশান।
ক্ষুধার্ত মন ভাসে সুদূর শূন্যতায়
সময় আগত, অবগুণ্ঠনের হোক না অবসান ।।
এ এক বৃষ্টিবিহীন বৈশাখের তপ্ত দিন
রুক্ষতায় ভরা বেরঙিন, স্বপ্নহীন ।
প্রান কেন পোড়ে,  কিসের সন্তাপের তরে?
সময় আনে পরিবর্তন, আশার নতুন দিন ।।
মৃদঙ্গে ধ্বনি ওঠে দৃমি দৃমি দুরু দুরু
বীণার ঝঙ্কারে মেঘমল্লার বিস্তার ছায় দু' মেরু।
অশনি গর্জে ওঠে গুরু গুরু গুরু গুরু ।
 দুরন্ত বর্ষণ খেলে, সন্তাপান্তে পুনর্জন্ম শুরু।।
    

স্মৃতি :বৈশাখী চক্কোত্তি



বেশ তো আছো। আমার থেকে
 গুটিয়ে নিয়েছ নিজেকে
আমি খুঁজে মরি হণ্য হয়ে
তোমার স্পর্শ লেখনীতে ।

কখনো কি মনে পড়ে
এই শ্যামা মেয়েকে
উনুনতপা আঁচে, ধীরে ধীরে
সেঁকেছিলে যার মনকে?

ভালো থেকো ।
আর পথ হারিয়ে ফেলোনা ।
নদীর ঘন নীল জলে
বন্য গন্ধের আবেশ আর মিশিয়ে দিও না।

দোহাই প্রেম! আমার জীবনে
এনো না আর ফাগুনের বার্তা ।
থাক্ বন্ধ দরজা। কেন বারবার
করাঘাত হানো অশনি সংকেতের দরজা!!!

        

একটি ব্যর্থ স্বপ্ন : বৈশাখী চক্কোত্তি




বলেছিলাম তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে
কৃষ্ণাঙ্গিনী সেই মেয়েটিকে,
যার মধ্যে দেখি আমি বার বার
আমার আবছায়া এক প্রতিবিম্বকে ।।

কৃষ্ণাঙ্গিনী মেয়েটি নাকি ছিল
তোমার ভীষণ প্রিয়, আদরের,
"ম্যারাথন কিস" করবে বলেছিলে, কারণ,
 ওর গোলাপি ঠোঁট ছিল ভীষণ আকর্ষণের ।।

আদরে আদরে লুঠে নেবে ওর সমস্ত
ভালোবাসার নির্যাস, ছিল আশ্বাস,
সেই আদরের প্রতিক্ষাতেই দিন গুনেছিলো সে,
মনে নিয়ে তোমার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ।।


একটি একটি করে ছড়িয়ে দেবে তাতে
তোমার উনুন জ্বলা দেহ তাপ,
মরুক মেয়ে সেই তাপেতে দগ্ধ হয়ে,
মাথায় নিয়ে নিদারুন অভিশাপ ।।

লুঠে নেবে ওর সমস্ত সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা
তিল তিল করে জমিয়ে রাখা,
পর্বতশৃঙ্গ, চড়াই কিংবা উৎরাই, গভীর অরণ্য,
তোমার তৃপ্তিতেই তার যেন স্বপ্ন মেলে পাখা ।।

তার বক্ষের সফেন সমুদ্রে দারুন অশান্ত, বিশাল
 এক নীল ঢেউয়ের জলোচ্ছাস,
সেখানে তোমার গোলাপি মখমল রচিত শয়ান
রাত্রিব্যাপী তোমার দীর্ঘ অধিবাস ।।

সব ঠিকই ছিল, কিন্তু হঠাৎই এক দারুন ঝঞ্ঝা
করলো আক্রমণ, ভুলে গেলে কৃষ্ণাঙ্গিনীকে,
তোমার অভিসারের জন্য আজও সে বসে আছে
অপেক্ষায় সাজিয়ে বরণডালা, সজল চোখে ।।


হয়তো কোনো শেষবসন্তের পড়ন্ত বিকেলে আসবে ফিরে,
হয়তো আবার চাইবে তাকে ভালোবাসতে, তার ঘ্রান নিতে
হয়তো তোমার সমস্ত স্বত্তায় তার সাথে "ম্যারাথন কিসের" স্বাদ,
কিন্তু হয়তো তখন অনেক দেরি, সেকি থাকবে আর দীর্ঘশ্বাসের পৃথিবীতে???








বৈশাখী চক্কোত্তি




প্রত্যাবর্তন ….



শ্মশানে দাঁড়িয়ে আছি শবদেহ নিয়ে,
একদম ঠিক নিজের চিতার সামনে,
কাঠ ঠাট সব জোগাড় করা হয়েছে,
আয়োজনের ত্রূটি  নেইএই সায়াহ্নে।।

ঘি টি মাখানো হয়ে গেছেনতুনপোশাকে
সুন্দর করে সাজানো আমায়নতুনঅনুরাগে,
না আমি সধবানাই বা হলাম বিধবা,
কিন্তু সতীচ্ছদসেতো হয়েছে বহুদিনআগে।।

বহুদিন ধরে তিল তিল করে
ক্ষয়েছে শরীর  মন,
অবশেষে আজ যাত্রার শেষচিরশান্তি,
তাই অকারণ হতাশার নিবারণ।।



নিজেকে তুলে ধরি চিতার ওপরে,
এবার আগুন লাগানোর পালা,
হঠাৎ শুনি দূর থেকে ভেসে আসে
এক পুরোনো কিন্তু অতি পরিচিত গলা ।।

তোমার কণ্ঠস্বরে আজ আবার
হৃদপিন্ডে রক্তপ্রবাহ চলে,
আবার জেগে উঠি বাঁচার আশায়দেখি
পশ্চিমের সূর্য আজ পুবের কথা বলে ।।
               

বৈশাখী চক্কোত্তি