কাশফুল
নোটিশ বোর্ড
রেজাউল করিম রোমেল
অঞ্জলি দেনন্দী
দীপাবলী
জিয়াউল আলম ফারুকী
বোধ
অবাক হয়ে শুনি
রক্ত কথা কয়,
কূল হারা নাবিক
ভাংগা মাস্তুল অঁকড়ে
খুঁজে নতুন দিন।
দিন আসে দিন যায়
গারদবদ্ধ শালিক
ধান খুঁজে মাঠের পর মাঠ,
আস্ত খাঁচাটায় যে পাখি
কাঁতরায় মুখোস আড়ালে।
দূর দিগন্ত হতে হয়ত
কেউ আসবে,পাশে বসবে,
দুয়ার খুলে বলবে,
বনের পাখি তুমি খাঁচায়
কেন!কী করে উড়ে যেতে হয়?
অতঃপরএকটি সবুজ
খামে বারতা আসুক
বনের পাখি,মনের পাখি
মুক্ত আকাশ হোক
তোমার কপোতি চারণ।
ভীষ্মদেব সূত্রধর
খোঁজ, স্বপ্ন ও সংজ্ঞা
শম্পা সামন্ত
কুমারীর আলিঙ্গন
শাহীন রায়হান
তোমার বিরহ বেলুন
অমিত কুমার জানা
সভ্যতার ভিত
সুমিত মোদক
জ্বেলে যায় দীপ
অনোজ ব্যানার্জী
দীপাবলী
দীপ চায় শিখা,শিখা চায় দীপ,
আঁধারেতে তাই,আলো জ্বেলে যায়।
কালো মেয়ে আসে,বাংলা তাই হাসে,
সাজো সাজো রব,আলোর বন্যায়।
দুর্নীতি যত,যত অন্যায়,
এসো মাগো তুমি,দাও মুছে সব।
অসুরের হাত,দাও ভেঙে দাও,
শুনতে তো চাই,হাসি কলরব।
ছলনার ফাঁদে,দেবতারা কাঁদে,
বাঁচাবে কে আজ,স্বর্গের সুখ?
রক্তের বন্যায়,পথ,ঘাট ভাসে,
দেখাবে কে আজ শান্তির মুখ?
ডাকি মনেপ্রাণে এসো শ্যামা মা,
ওই অসুরদের দাওগো বলি,
আমাদের ঘরে ঘরে তাই আজ
দেবো জ্বেলে শুভ দীপাবলি।।
শাবলু শাহাবউদ্দিন
টিএসসির চত্ত্বরে
টিএসসির চত্ত্বরে রবীন্দ্রনাথ ভেঙে হয়েছে খান খান
শিক্ষিত সমাজ রাখল না তার আজ মান-সম্মান
কাজী নজরুলের কণ্ঠে বাজে না আজ বিদ্রোহের গান
কবি সাহিত্যিকেরা হয়েছে বড়ই বেইমান
তাদের আছে দেহ, মণ্ডু খুঁজে পায় না কেহ্
তবে কে দেখবে আর এ দেশের সম্মান !
আইনের বেড়া জালে, জেলখানার ভয় পেলে
হবে কি স্বাধীন ? এ দেশের মান অভিমান !
বাঙালি হয়ে জন্মেছি মা, মানুষ হবো কবে ?
শিক্ষিত তো হয়েছি মা, আমরা সবাই ঘরে ঘরে
কে দিবে তার আসল প্রমাণ, স্বাধীন বাংলার তরে !
রূপবিলাস মণ্ডল এর কবিতাগুচ্ছ
বুদবুদ
কোন এক সন্ধ্যায় তোমার
হৃদয়ের উষ্ণ
প্রস্রবণ ,
উষ্ণতা আমায় ঢেলে দিয়ে
শীতলতা করেছ বরণ।
জীবনের ধারাপাত জুড়ে
যোগ বিয়োগের এই খেলা ,
বিষন্ন আকাশ বুকে
করে
বিশ্ব পথে হেঁটেছি একেলা।
ক্ষণিকের অতিথির মতো
কিছু পথ ধরেছিলে হাত,
হাত ছেড়ে কোথায় হারালে,
কুসুমিত শুভ্র প্রভাত!
আমার প্রগাঢ় অনুতাপ
তোমায় নামায় মেঘ করে,
বৃষ্টি, সে দূরে সরে রয়
স্বপ্নের ক্রন্দসী পারে।
নিত্য এ আসা যাওয়া খেলা
বুদবুদ ঊর্মিমালায় ,
প্রেম আর অপ্রেম মিলে
জন্মায়, অসীমে মিলায়।
মানবতার ফেরিওয়ালা
শৈশব আর কৈশোর গেছে চুরি
স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে যৌবন,
উদ্ভ্রান্ত এ সময়ের অভিঘাতে
স্বপ্নের এক ফেরিওয়ালা প্রয়োজন।
সে স্বপ্ন হবে মানবতা
প্রতিরূপ
জীবনের তরে সঞ্জীবনীর মতো,
দুচোখে আঁকবে স্বপ্নের
অঞ্জন
দূরীভূত হবে হতাশা-দুরাশা যতো।
দিকে দিকে আজ বিপন্ন মানবতা
আর্ত কান্না বিষিয়েছে প্রতিদিন,
মানবতা হীন জীবন পশুর মতো
ফেরিওয়ালা করো মানবতা উড্ডীন।
গান্ধী ,নেতাজী যে
স্বপ্ন দেখেছিলো
সেই স্বপ্নই বয়ে নিয়ে চল তবে,
সবাইকে যদি স্বপ্ন দেখাতে পারো
দেশ জননীর স্বপ্ন সফল হবে।
যে স্বপ্ন খোঁজে জাতপাত হীন বিশ্ব
মানবতা আনো,যেখানেই
খুঁজে পাও ,
ঈর্ষা এবং হিংসা মুক্ত পৃথিবী ,
যুদ্ধ চাইনা, যুদ্ধ থামিয়ে দাও।
সাম্যের তরে এক হোক গোটা দুনিয়া
গভীর স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাক মন,
স্বপ্ন দেখুক শ্রমিক
মজুর কৃষক
পৃথিবীটা হোক আনন্দ নিকেতন ।
আসল কথা
আসল কথা বলতে গেলেই
ভরিয়ে দিচ্ছে নকল কথায় ,
সবাই হয়ে মন্ত্র মুগ্ধ
বোকার মতো হাততালি দেয়।
তুলছে না কেউ আসল
কথা
ভুলছে সবাই অভিনয়ে,
এরা ভাবছে ওরা বলুক
সত্য ডোবে অবক্ষয়ে।
কার প্রাপ্তি কে হাতড়ায়
কার অধিকার ধুলায় লুটায় !
নকল লড়াই বাধিয়ে
দিয়ে
নেপোয় শেষে দই
মেরে দেয়।
তোমায় যারা শোষণ করে
তাদের নিয়ে মাথায় তোল,
নিজের কথা, দেশের স্বার্থ
তোমায় ভোলায়, তুমি ও ভোলো।
এসব প্রশ্ন কে করবে?
বলবে যারা নেশার ঘোরে ,
প্রতিবাদের ঝাণ্ডা ঢেকে
সহজ পথে সওদা করে।
সত্যি কথা, আসল কথা
সবাই মিলে বলতে হবে,
না হলে ওই শোষক শ্রেণীর
মর্জি মতো বাঁচতে হবে।
মেকি কথা মিটিয়ে দিয়ে
তোল সবাই আওয়াজ
তোলো
আসল প্রশ্ন উপেক্ষিত,
আসল কথা সবাই বলো।
মেশকাতুন নাহারের কবিতাগুচ্ছ
শরতের আহ্বান
দীপাবলী (দ্বিতীয় সংখ্যা )
"দীপাবলি" (সংস্কৃত: दीपावली) নামটির অর্থ "প্রদীপের সমষ্টি"। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। দীপাবলির অনুষ্ঠানে সারি-সারি প্রদীপের আলোতে স্বর্গের দেবতাকে গৃহে বরণ করে নেওয়া হয়। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।দীপাবলির মাধ্যমে উপনিষদের আজ্ঞায় এই কথাটা খুবই সদৃঢ় ভাবে চরিতার্থ হয়ে ওঠে
অসতো মা সত্ গময়।
তমসো মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়।
ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ॥
অর্থাৎ, অসৎ হতে সত্যে নিয়ে যাও,
অন্ধকার হতে জ্যোতিতে নিয়ে যাও,
মৃত্যু হতে অমরত্বে নিয়ে যাও।
সর্বত্র যেন ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা।
তাই নতুন করে আবার আপনাদের প্রিয় কলমের সঙ্গে নতুন ভাবে আলো জ্বালাতে নিকোটিন 2.0 ফিরলো প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন ভাবে ।আশা করি সবার এই সংখ্যাটি ভালো লাগবে ।আগামীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরো আরো বেশি করে লেখা পাবো বলে আশা রাখি সকল লেখক ও কবিদের থেকে এই কুলষিত সমাজকে আরও আলো জ্বালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার কলম আরও শক্ত করে তুলতে আমাদের আরও একবার প্রচেষ্টা।
আগে যেমন পাশে ছিলেন আবারও সবাইকে পাশে পাবো বলে আশা রাখি। সকলে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন যাদের লেখা একসংখ্যায় স্থান দিতে পেরেছি যারা নিকোটিনকে ভালো বেসে পাশে আছেন পাশে ছিলেন সবাইকে।
ধন্যবাদান্তে ,
জ্যোতির্ময় রায়
নিকোটিন ওয়েব ম্যাগ চিফ এডিটর