নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সায়ন্তনী হোড়



বৃষ্টির রেখা
**********



একটা সর্পিল বাঁকের কাছে
লুকানো আছে মরচে পড়া কথা গুলো
রূপকের আড়ালে তার অবশিষ্ট অবয়ব।

ব্যক্তিগত টেবিলের সেই নীলচে খামের 
ইতিহাস পড়তে পড়তে  
বৃষ্টির সোঁদা গন্ধের অবচেতনে
 নিজেকে হারিয়ে ফেলি।

বৃষ্টির উল্টানো প্রতিফলন। কিছু অসমাপ্ত 
 শব্দের জ্যামিতিক আকার।
বিন্দু  থেকে চতুর্ভুজে অঙ্ক মেলানোর সময়
  হয়তো আমাদের চুপকথার মিলন হবে এক
  অশরীরী বৃষ্টির  সরলরেখায় ।।
                                  

শুক্লা মালাকার



বর্ষা লেখা



যেদিকে তাকাই মাইল মাইল সবুজ
দূরে দিগন্ত রেখা বরাবর আকাশ বিষাদ সাজিয়েছে
এখানে এই নির্জন ডুয়ার্সে ধ্বসে পড়েছে শহুরে মুখোশ
কয়েকটা মুহুর্ততারপরই ধেয়ে এল কান্না
বৃষ্টি কুয়াশায় ঢেকে গেল প্রান্তর
এই অপরূপ দৃশ্য মেখে ভেসে যাচ্ছে যত প্রেমহীন দিন
বিপ্লবী জলহাওয়া উড়িয়ে নিল ক্লান্তির চাদর

এখন কেউ দুটো ভালোবাসার কথা বললে
দু চার লাইন লিখেও ফেলতে পারি

                           

তপময় চক্রবর্তী





ছাতার বৃষ্টি
***********



মেঘ তো আগেই জমেছিল চাঁদের আড়ালে 
সকাল থেকেই শুরু তার বিন্দু বিন্দু  প্রকাশ,
খিচুরি আর ভাজা খেয়ে এখন চলো জীবন যুদ্ধে ,
এ যেন নানা রঙয়ের ছাতার  বহিঃ বিকাশ ,
ক্রমাগতই ধাক্কা খেয়ে চলেছে একে অপরের সাথে ,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়ার পাখনা মেলার লড়াই ,
তালুবন্দি হাতে এপাশ ওপাশ হলেই -
হামলা করে একরাসি  দিকবিদিক শূন্য জলবিন্দু,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে এগোয় পাখনা !
 তখনই হঠাৎ এক শিকের ধাক্কায় বিষণ্ন ডানা ,
আবার ও হেরে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলা ,
জং ছাড়িয়ে গুটিয়ে পড়ে ব্যাগের আড়ালে ;
বজ্র পাতের শব্দে ব্যাস্ত শহর  উঠলো কেঁপে ,
খোলা জানালা দিয়ে আকাশ যেমন  চলছে এগিয়ে ,
ইট কাঠ আর শহরে কোলাহল আমার থেকে 
যাচ্ছে সরে ,
চারিদিকের সোনা ব্যাঙ আর  রঙীন কচু পাতায় একফোঁটা জল ,
যে সৌন্দর্য জন্ম লয় -- -- কমলার বাড়ে বল ,
প্রচন্ড বর্ষায় জলময় রাস্তায় ব্যাস্ত যানের সশব্দ খেয়ালি,
জং ছেড়ে ছাতাই পারবে বাঁচাতে এ হ্যানো হেঁয়ালি ! 

সুনন্দ মন্ডল




কোত্থেকে যে আসলে?
   ******************
          

আকাশ থেকে পড়লে তুমি
বৃষ্টি সাথে নিয়ে।
মাথার চুল পড়ল এসে
আমার চোখে ধেয়ে।

জানলা খোলা, চুলটা এলো
চিরুনি দেয় আঁচড়।
মোটর গাড়ি থমকে গিয়ে
একটু মাখে আদর।

গন্ধ মাখা একটি চুল
ভুলিয়ে দিল পথ।
ভাবতে গিয়ে তোমার কথা
কাজের পোকা বধ।

বাদল দিন মেঘলা দেখি
বায়ুর ভরে ভাসলে।
কোথায় তুমি পড়লে দেখ
কোত্থেকে যে আসলে?

বিশ্বজিৎ ভৌমিক




"বৃষ্টি মানে স্মৃতির জানালায় তুমি"
*****************************



আমরা উন্মুক্ত হয়ে আছি
বৃষ্টির অপেক্ষায়,
বহুদিন পর আজ বৃষ্টি আসুক।
সমস্ত আকাশ জুড়ে বৃষ্টি আসুক,
অজস্র ধারায় অঝরে বৃষ্টি আসুক।
আজ আমাদের ধূলি ধূসরিত।
বৃষ্টি নামুক---
মলিন হৃদয়ের মাঠ, প্রান্তর জুড়ে।
সবুজ ফসলে ভরে যাক্ ধরা,
শীতল বাতাসে শান্তি ফিরে পাক সবাই।

তবে তার আগে বৃষ্টি নামুক
আমাদের বিবেকের মরুভূমিতে,
সেখানে মানবতা ফুল হয়ে ফুটুক,
আর পরিশুদ্ধ হোক ধরা, হৃদয়ের গ্লানি।
মানুষের জন্য মানুষের মমতা
ঝর্নাধারা হয়ে বয়ে যায়।

আমার কাছে বৃষ্টি মানে
স্মৃতির জানালায় তুমি,
বৃষ্টি মানে জলজ বাতাসের শীতল ছোঁয়া হিম হিম সুখ,
বৃষ্টি মানে স্মৃতির আঙিনায় হঠাৎ দেখা তোমার মুখ।।

শিল্পী গঙ্গোপাধ্যায়





বৃষ্টি -তবু.. 
********




গত বর্ষায় ছিড়ে গিয়েছিল, তার
বৃষ্টি হয়নি, মেঘ ডেকেছিল খুব, 
সেই থেকে আর ছোঁয়নি সেতার, মেয়ে 
জুড়তে চায়নি একবারও ছেঁড়া তার 

যদিও সেতার বাঁধা ছিল, মা পা সা তে
মন জুড়েছিল ধ্রুপদী মায়ার সুর,
শ্রাবণ এলেই ভাসত মেয়ের মন
শ্যামকল্যাণ,মেঘমল্লার কখনও বেহাগরাগে

বৃষ্টি এখনও জানালায় ডেকে যায় 
বেল-জুঁই -কেয়া বৃষ্টিতে স্নান সারে,
দু'জনের আজও পাশাপাশি বসবাস 
শুধু,মেয়ের উঠোনে খরা চলে বারোমাস ।।

পিন্টু মাহাতো





মেঘের কান্না
************



আচ্ছা মেঘ...
                 এতো দুঃখ কেন তোমার মনে?
                 সারাটা দিন কাঁদলে যে আজও!

মেঘ বললো....
                  ভালোবেসে ছিলাম শুন্য আকাশকে...
                  তার বিশাল হৃদয়ে আশ্রয়ের লোভে...
                  ছুঁড়ে ফেলেছিলাম সাগরের প্রেমকে...
                  খুব কেঁদেছিল সাগর সেদিন.. 
                  বার বার মাথা ঠুকেছে কিনারে.. 
                  বিদায় বেলা দিয়েছিল - তার নোন বুকের মিষ্টি জল
                  নিষ্ঠুর আমি চললাম আকাশ পানে 
                  কিন্তু,
                  আকাশ ভালোবাসে সূর্যকে
                  তার উষ্ণতাকে ঠাঁই দিয়েছে হৃদয়ে... 
                  আর ফিরতে পারিনি সাগরের বুকে... 
                  শুধু চোখ দিয়ে ধরেছে সেই মিষ্টি জলের ধারা 
                   মুছতে চেয়ে সাগরের নোনা কান্না 
                   কাঁদছি আমি আজও... 
            

পূজা গোস্বামী





বৃষ্টি ভেজা কথা
***************


বুকের ভেতর বৃষ্টি ভেজা কোরাস,
হাত বাড়িয়ে পোড়া বিকেল চায়,
সিঁড়ি গুলো জানে পুরোনো অতীত,
পুরোনো বৃষ্টি মাখা অয়ন ।

কে যেনো পা বাড়ায়,
মেঘে ঢাকা ঘোমটা মাথায়,
স্মৃতির অভ্যাসে জর্জরিত,
ভোরের আভাস দিয়ে বেড়ায়  ।

বেঁড়ে ওঠা বুকের ভেতর,
খসে পড়া প্রেম গড়িয়ে,
নীরবে যন্ত্রণা বয়ে বেড়ায়,
বৃষ্টি ভেজা খোলা অঙ্গরূহে  ।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




ও মেয়ে তুই
***********



          ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টি হ'বি?
না জানিয়েই পড়বি ঝরে,   
           ভিজবো আমি,
  আমার মনের ছোট্ট ঘরে।
           
  বৃষ্টিভেজা নরম মাটির
          ঘাস হ'বি তুই?
  হাত বাড়িয়ে ইচ্ছে হলেই,
           একটুকু ছুঁই।
            তুই কি হবি
কালো মেঘে ছড়িয়ে দেওয়া
            বিজলী রেখা?
হঠাৎ করেই আকাশ মাঝে
              দিবি দেখা !
              ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টিভেজা বাতাস হয়ে।
যা না আমার শরীরটাকে ভালোবাসায়,
              একটু ছুঁয়ে।
হ'বি তো হ' কুলভাসানো
              একটা নদী,
আমায় তখন ভাসিয়ে নিবি,
    তুই আমার-ই  ইচ্ছেমতী।।

মোঃ শামসুজ্জোহা (মুকুল)



বৃ্ষ্টি আসবে বলেছিল




লাগে না লাগে না মন কোন কাজে আর
এখন নীলে নীলে নীলাকাশ মেঘে মেঘে মেঘালয়।
বৃষ্টি আসবে বলেছিল বৃষ্টি এল না, কেন?
         জানি না জানি না।
আমার আর ভেজা হল না।
লাগে না লাগে না মন কোন কাজে
আর এখন দু চোখে তিস্তার ধারা
 সেথায় পানসি চলে না।
ওগো বৃষ্টি তুমি এসো আমায়
ভিজিয়ে দাও মনে খরা চোখে
নদী জল থৈ থৈ দুকুল ভরা।

প্রতিভা দে




বর্ষা এল
********



দুদিন ধরে আগুন ঝরে
আকাশ যেন ভারেগে আছে,
দম নেয়া ভার শ্বাস কষ্ট
খাওয়া দাওয়া য় নেই মন।
এমন দিনে বর্ষা যদি ভর্সা দিত
মনটা ভরে যেত
বর্ষা তখন মজা দেখে
দূরত্ব বজায়ে রেখে।
একটু যদি বর্ষা আসত
এমনটাই চাইত
দু দুবার করে স্নান করেও
মনে হচ্ছে জলে ডুবে থাকি।
এমনই অশান্ত অবস্থায়
হঠাৎ দেখি আকাশ জুড়ে
মেঘ করেছে
মেঘের সাথে তার ঘনঘটা
নামল বর্ষা দূরন্ত বেগে
আগুন যত মাথায় ছিল
জল পড়তেই গরম বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে এল।
আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হতে হতে
চারদিক টা ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভরে গেল।
কি বলবো অবাক করা আরাম হলো
কি শান্তি, শান্তি বারি হয়ে বর্ষা এল।

ইমরান হাসান

 




     ছন্দ
     ********

অরণ্য মাঝে শিকারি, সামনে হরিণ
চিত্রল রঙে যে তার , বাঁধানো অজিন ।
ধনুর মাঝে ,শর বন্ধন , দ্বন্দ্ব অমলিন
টঙ্কার মাঝে প্রত্যাঞ্চা , ছন্দের সুকঠিন

শরে বিদ্ধ ত্রৌঞ্চ মিথুন , নিষাদে বধিত
সেই দ্বন্দ্বে , ছন্দে রামায়ন রচিত ।
সলিলের তলদেশে , মীন আলোড়ন
কুঁচের ছন্দে , বধিত  ধীবর আলিঙ্গন

অসিতে অসিতে ,ঝঞ্জনার সুরেতে
বাণের বরষা ,পরশার শোণিতে
রচিত ছন্দে , দ্বিপদী মন্দ্রে মাতল
জগত , রজত রঙে , যবনের কুলে ।

বীরের পেশীতে , রমণীর  হাসিতে ,
কৃপাণের তলে , আখিপট জলে
হাজারো , ছন্দ , মেদিনির  রন্ধ্র
শ্বাসের তালেতে , ছন্দ চলেছে

এক যুগ হতে বহুযুগ মাঝে ,
কালের শুরুতে , অন্তের সাঝে ।

তাপসী লাহা






মেঘ ও বৃষ্টি 
**********




ওই যে  কাঠ কাঠ  গুমর মেঘের
এতে শান্তি আসে না,
পরিতৃপ্তি  কেনো নেবো দ্রোহী বাতাসে,
মৃগতৃষ্ণা  মন
বাউল বাউল আকে।
শত জন্ম ধরে এক বাসুকী জাগে
আলাপনে বিরহী দূত
চপল ধারাস্নানে 
আছড়ায় ঢেউ পায়ের পরে
অতীন্দ্রিয়  সুর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে।
মেঠো ছেলে বাড়িপথ ধরে
আজ আর কাদে না
গানের সুর করে।

অন্তিমা প্রামাণিক




বৃষ্টি



 আয়রে বৃষ্টি! চাষিদের খুশি কর্,
 তুই এলেই তালের বড়া করবো আর.
 কলমি নাহলে সজনের শাক!
 তুই এলেই জমি থেকে ছোটো ছোটো আনবো মাছ
 কি রে! কত দেরি আসতে?

রহস্য কাহিনী(দুই)




দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

2/401 Urmila Apartment .
Gorai Complex. Bagnan.
Howrah 711303.


          (দুই)




৭.

বাড়িটি বাড়াতে হবে

গাছটি বোঝে

তার সময় হলো যাবার

দুঃখ ক্রমশ ইট কাঠ পাথর

ভাতের ভিতর 

লেবুগন্ধ নেই 

সন্ধ্যার ভিতর নেই সন্ধ্যামণি

আম কাঁঠালেরা চলে গেলে

গ্রীষ্ম অতীতকাল হয়ে পড়ে

বাড়িটি বাড়তে বাড়তে

আকাশ ঢাকলে

হারিয়ে যায় চড়ুই শালিক 

এতো উচ্ছেদের পর 

নিজের শিকড়

সেও বিদেশে চলে গেলে 

শূন্য শব্দটি এই নির্মাণে বসাই

খাঁ খাঁ র ভিতর তবু কিছু ঘুঘু রয়ে গেছে

৮.

বকুল গাছের গান শুনতে

তোমার সকাল সুবাসে

বাসা খুঁজে নেয় 

তুমি পুকুরের ভিতর এক

একটি মুক্তোর পতন দ্যাখো

আকাশের উপর কালো পর্দা

সরে গেলেই সিনেমা শুরু

অন্ধকারের ভিতর তোমার অপেক্ষা

 বেশ উত্তেজনাকর

 ‎আওয়াজ আসছে ওপার থেকে

 ‎কিছু ঝিলিকের সাথে

স্থলপদ্মের পাপড়িগুলো জল

ধরে আছে স্নানের পরে

তার ভিতর তোমাকেই দেখি

গায় ভেজা চুল 

এক এক ফোঁটায় তুমি উজ্জ্বল

জলের গভীরে জল 

কোন রহস্যে খুব হেসে ওঠে

৯.

কালো আলখাল্লা পরে পীর সেজে

রোদকে হুমকি দিলে 

সে বশ হয়ে লুটিয়ে পড়ে দরগায়

গাছের পাতা যেন চামর

বুলিয়ে যায় মাথায় 

নিরাময়ের পথে উড়ে আসে বাতাস

সমস্ত ষড়যন্ত্রের ভিতর 

মাকবেথের দুর্গে পাখির কলতান

ফুলের সুবাতাস 

নৈরাজ্যের মাঝেও ফড়িংয়ের

অবিরাম ওড়া 

মধু খেয়ে যাওয়া প্রজাপতি

ডানায় লেখে বহুরৈখিক কবিতার ভাব

বৃষ্টির ছোঁয়াচ লাগা সন্ধ্যায় 

ঝিঁঝিঁরা বেজে যায় অবিরাম

তুমি বধূ তবুও

গলায় কাপড় বেঁধে

সিলিং ফ্যানের প্রেমে পড়ে যাও

তোমার অভাবে 

ভিজে বিড়ালটিকে কে তবে ফেরাবে!

১০.

মৃত ঘোড়ার সাথে 

কথা হয় সন্ধ্যার রাস্তায় 

এক ক্ষয়া চাঁদের নীচে

তার কর্কশ হ্রেষায়

 কেঁপে ওঠে 

শহরের নির্জন রাস্তা

ছায়াময় আলো

অন্ধকারের কাটা মাথা

দ্রুত ছুটে যেতে 

না পারায় আতঙ্ক

তার শূন্য চোখ থেকে

ক্রমশ সংক্রমিত

তার থম মারা অবস্থা

থেকে থেকে 

মৃদু পায়ের শব্দ

ধূ ধূ দুঃখ রেখে 

হারিয়ে যায়...


(ক্রমশ...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(দ্বিতীয় পর্ব)







মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।





    ( দ্বিতীয় পর্ব)



আগে থেকে বোঝা যায় কোন ঝোপে বসে আছে বাঘ!
অনভিজ্ঞ সেই আমি সপাটে মেরেছি বাঘ
আর তুমি কিনা বললে
এটা কি দুঃখজনক ঘটনা
বাঘের আমাকে খাওয়া উচিত!

কি কান্না কেঁদেছিল
আহা,ফাঁদ ফেলে ঐ বাঘ।
আজ আবার সেই আওয়াজ কান শোনে
তোমার নখ থেকে,চুল থেকে।

উঠুক গর্জন
অভিজ্ঞতাই মোকাবিলা করে
সবংশে নিষ্ঠুরতা গিলবো এবার।


তুমি এখন ঝড়ের মুখে
উতাল পাতাল মন
কাউকে করো পরোয়া?
কচু কাটা হয় গোলাপ বন
তোমার তুমি হিসাব ধাঁধায়,
ঘুর্ণি বিপাক বিনা বাধায়!! 
তুমি আর সেই তুমি নেই
এখন তুমি নিজেই ঝড় তোলো।


কতটা মিনিট সেকেন্ড আর বছর কাটলে ভালবাসা জেগে ওঠে প্রতিটা লোমের গোড়ায়,কতটা রক্ত পথ পেরোলে শিবরাত্রি ভালবাসা মাখে!!হাঁটতে হাঁটতে ফিরে দেখি হঠাৎ তুমি উল্টোদিকে ছুটেছো,কি ঝড় কি ঝড়,একা হাতে সামলেছি কত!উড়ে যাওয়া তোমাকে নামিয়েছি বুকে,ঝড় থেমে গেলে ভালবাসা ভূত্বকের সব আবর্জনা ধুয়ে দিত,আর আজ সেই আমি উড়েই চলেছি মাটি ছেড়ে ঘাস ছেড়ে শীর্ষ বাঁশের ডগা ছেড়ে.......

কাল তুমি নরম সোফায় আধশুয়ে খবরটা দেখতে ভুলো না কিন্তু.....

এ খবর শুনে ভূত্বকের কচি ব্যাঙগুলো আর বোধহয় ডাকবে না,খাবেও না এক চিমটে বিষ!!


কতটা ক্ষত হলে থামে একটা ঝড়
আর যদি সে আচমকা নামে বুকের উপর
ঘুমের ভেতর?

কতটা সংসারী হলে ঝড়ও দোরে এসে কুর্ণিশ ঠোকে
কত ঘাম খেলে ফসলও খাঁটি হয়!

কেউ কি জান?
কেউ কি জান কতটা ঘৃণা জড় হলে ভালবাসা উড়ে যায়!

কতটা মেকআপ মাখলে নকল আসল হয়
কতটা শিশির জমলে মনে,ভালবাসা জাগে সিম আর লাউয়ের মাচায়!

কতটা চাপে বিপর্যস্ত হলে মন থেকে উড়ে যায় যুক্তিরা
কতটা যুক্তিহীন কাজ হলে মানুষ পাগল শিরোপা পায়!!

কেউ কি জান?
কতটা ক্ষত হলে একটা ঝড় থামে??


আকন্ঠ বিষয়ী তুমি
হায়, তোমারও গলা এখন দুব্বো পাতা!
মোড়ের মাথার কৃষ্ঞচূড়া,কি বলি 
আজ কি তোমায় চোখ মেরেছিল?
ফাগুনের আগুন চেটে নিলই 
ঘুম ঘুম জমাট শীতলতা।

কি হিসাব কিসের হিসাব
মিলে গেল বিষয়ী?
শুধু কিছু লাইক কমেন্ট
এই তো ছিল রোজকার বরাদ্দ!
আজ শুধু মায়ায় ভরেছো তুমি
ভালবাসা চুপচাপ একধারে পড়ে।


দাঁড়িয়ে আছি তো আছি
পাগল আমি
তোমাকে ছোঁব বলে
গান্ধর্ব মতে উষ্ঞতা গলেছে মনে
আর কত দাঁড়াব!
ঐ তো গেল তোমার ট্রেন
তারপরেরটা...তারপরেরটাও।

নাহ, সব আশা শেষ হল।

কতটা উপায়ী হলে সব চাওয়া হয় পাওয়া?
পাওয়াগুলো বাসা বাঁধে এ লোমশ বুকে
নির্দিষ্ট ট্রেনে তোমাকে ফিরিয়ে আনা যায়
আর মধ্যরাতে বিসমিল্লা খান হওয়া যায়।

দাঁড়িয়ে আছি তো আছি!!


(ক্রমশ....)