নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অলোক মিত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অলোক মিত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

একটা কবিতা একটা তর্জনী : অলোক মিত্র



একটা কবিতা আজ গান হোল
শুধু তোমার জন্য...
একটা তর্জনী আজ প্রতিবাদের ভাষা হোল
তোমার জন্য, হে কবি।
তুমি উঠে এসো হাজারো প্রতিবাদী কবিতায়
মধুমতির পলল মৃত্তিকায় তুমি ঘুমিয়ে থেকো না,
তুমি আমার রক্তের অস্তিত্বে মিশে আছো,
চেতনার বোধীবৃক্ষ।
আমি ক্লান্ত পথিক, তোমার সবুজ শ্যামল
ছায়াতলে বেঁচে আছি নির্ভয়ে।
হে প্রিয় কবি, তোমার বজ্রকন্ঠে
আমার প্রিয় কবিতা, বাঙালির মুক্তির ডাক....
আমি শ্রদ্ধায় মাথানত, আপদমস্তক
আমাকে রাখি তোমার পদতলে।
হে প্রিয় কবি, একটিবার উঠে এসো
আমার চেতনার বোধীবৃক্ষ।
মধুমতির জ্বলে জোয়ারের বান ডেকে।
আমি শতবার পূজিত চোখে
আমি আমার পিতার ছবি দেখি
হাজার টাকার নোটে।
সারা বাংলায় কে আছে বলো
তোমার চেয়ে বড়!




ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ: অলোক মিত্র



রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে
ডেকে বলতো কবি হবি, 
আয় চলে আয়,আমার শান্তি নিকেতনে
লালমাটির মলাটে মোড়ানো কবিতার 
খাতায় শুরু হোক আজ থেকে 
তোর কবিতার ক্লাস।
আমি জীবনানন্দের শহর ছেড়ে
কখন যেন বোলপুর এসে কবিতার
ঈশ্বর পুত্রকে খুঁজি দু'নয়নে
বাতায়ন খুলে, লালমাটি ও 
তার বুক চিরে একটা মাংগলিক সূর্য
আমাকে অভিবাদন জানালো
অচেনা লতাগুল্মের স্নেহ পরশ কান্ডে।
আমি ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ করি
হরিতকী আর অর্জুন শাঁখে।
হয়ে যাক এক কাপ লিকারে গাঢ় রং চা, 
প্রত্যাদিষ্ট কবি বসে আছেন লালমাটি
খড়িমাটি রূপ রসের মাতাল সমীরণে।

অটিজম ভাবনাগুলো নিউরনে অসাড় : অলোক মিত্র







ইদানিং নিউরনে জমানো তোর স্বপ্নগুলো 
রিসাইকেলবিনে উদাসী হতে শিখেছে...
তোদের পুকুরপাড়ের বুড়ো বটগাছটা 
হাতপাখা মেলে আকাশে ছড়িয়েছে ওর বিশালতা। পুকুর পাড়ের ভরদুপুর কখন যেনো 
মাছরাঙার ঠোঁটে তুলে দেয় শিকার।
আমি ভাবনায় আবার সমুদ্র পাড়ি দেই,
এক উদাসী হাওয়া ছড়িয়েছে 
দেহময় জুড়ে কবিতার শিলালিপি,
নগর যাপিত জীবন হেটে হেটে 
ক্লান্ততা নিয়ে আসে, সাথে জড়াব্যাধি
মুঠোভর্তি সুখ নিকোটিনের ধোঁয়া আর
কার্বন সিসায় মিশে খুঁজে নেয় অসুখ।
মেঘভারি ঋতু ঋতুবতী হয়ে নিয়ে আসে শ্রাবণ
আমি ওর দুঃখে খুঁজি অযাচিত সুখ,
অতপর! অটিজম ভাবনাগুলো
এখন যেনো নিউরনে অসাড়।

আমি কবি না, দুঃখ পুষি! : অলোক মিত্র



আমি কবিতাকে বুঝি না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
মনের অজান্তে বিরবির করি
দুঃখের প্রলাপন।
দুঃখ সেও ইদানিং হয়েছে চতুর,
রঙ বদলিয়ে ভাইরাসের মতো।
গেও এই ছবির কাছে ছায়া এসে
বলে দেয়, দ্যাখ তো কেমন
বুড়ো হয়ে যাচ্ছিস সময়ের অতলে।
চলে আসছে প্রথম দশক, নুতনের
আগমন, আমি তো গেও ছায়া
কবিতাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি
প্রান্তিক কৃষাণি কইন্যার মায়াভরা বুক।
কি মায়া লাগাইলো মনের গহীন তিমিরে,
ধুম তানা না না! কাচের চুড়ি,
অল্পভাসি কইন্যার মায়াভরা
মুখটি ভাসে ভরদুপুরে পদ্মজলে।
দুঃখ সেও হয়েছে দারুন চতুর,
হুট করে হানা দেয় বুকের ভিতর
হৃদের নরম শরীর।
তির তির বাতাস বহে রক্তস্রোত
বাম অলিন্দে শস্য শ্যামল বাংলা আমার।
ডাল অলিন্দে দুঃখছায়া কবিতা আমার
বাম নিলয়ে শুভ্র সকাল, ডান নিলয়ে
বলেশ্বর আর সন্ধা নদীর ঢেউ ছলাত ছলাত
আমি কবি নই, দুঃখ পুষি
ছায়া এসে বলে, অনেক তো হোল
চল এবার আকাশবাড়ি,
মেঘেরা সব নিয়ে নিবে তোর দুঃখ ভারী
সুয্যি হেসে দেখ না আজকে নিসর্গ পরী।

শূণ্য মানেই ঈশ্বরে দেখা পাই :অলোক মিত্র



স্মৃতির কোষে জমা পড়েছে
একহ্রাস ধুলিকনা মেঘ,
আজ বাস্পয়িত হয়ে
নেমে পড়বো মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে,
তারপর সুপেয় মিঠা পানি হয়ে
সোজা হেটে পদ্মা যমুনায়,
আমার ঠিকানা খুঁজতে
এখানে এসো না এখন,
অনেক রাত, নিঃস্তব্ধ মহাসড়কে
মহাপ্রয়াণ চলছে,
গত আত্মাদের একা থাকার
যন্ত্রণা বিলাপে নতুন আত্মজ আত্মারা
উড়ালপুল হয়ে উড়াল দেয় আকাশে।
তারারা সব খসে পড়েছে
নিকশ কালো রাত্রিতে আরাধনা
ঈশ্বরে, ফেরেস্তারা নেমে আসে
কোলাহলবিহীন নিস্তেজ গহীনে
আত্মাদের নিয়ে টানাটানি।
একটা বিড়ালের চোখ গিলে খায়
সকল অন্ধকার, আমি ওর সাথে
নেমে পড়ি অাধাঁরের রূপ দেখতে,
দেখি ছায়া হেটে চলে, আমি নেই তাতে।

মরা গাঙ পাড়ে, আলো আঁধার বলেশ্বর।