নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মৌসুমী ভৌমিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মৌসুমী ভৌমিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মেয়েটি: মৌসুমী ভৌমিক





মেয়েটির দশ হাতে অস্ত্র হয়ত নেই
তবু মেয়েটি লড়াই করে
লড়াই করে বেঁচে থাকবার
লড়াই করে  একটি ছাদের জন্য 
লড়াই করে -
বেঁচেও থাকে ।

অস্ত্র নেই
তবু যুদ্ধ আছে 
তবু সংগ্রাম আছে 
তবু জিততে হয়, কারন অসুর আছে ।

এই যে ভাতগন্ধ খুঁজে নিতে 
দৈনন্দিন ছোটাছুটি, তার ব্যস্ত পরিসর
সেখানে কোনো উৎসব নেই। 
অন্ধকার পথে একমুঠো আলো খুঁজে খুঁজে 
এই পথচলা
এই  দৃঢ়তা 
এই সশক্ত জীবন
তাকে কুর্নিশ না করে বসে থাকি কী করে? 

সে দুর্গা নয়
সে আমার চারপাশে অহর্নিশ হেঁটে চলা মেয়েটি। 
কিভাবে ভুলে যাব, ব্যক্তিগত চৌকাঠ পেরিয়ে সে তো নিজেই বসে গেছে অনুক্ত ইতিহাসে। 

মৌসুমী ভৌমিক








✍️সাক্ষাৎকার
    ***********

প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ?
উত্তর : আমার কাছে কবিতা হল বন্ধু, আমার সুখ, দুঃখ ও যাপনের সঙ্গী।
     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তর : আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।
   অন্যান্য কবিদের কবিতাই মূলতঃ প্রেরণা।

     ৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ?
উত্তর : বলা মুশকিল। তবে একটা কবিতা লেখার পর কিছু শান্তি অনুভব করি। হয়ত তাই লিখি।

     ৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)
উত্তর : প্রথম কবিতা - 'মৌন'। 2011 সালে সানন্দা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
           প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ - 'যাপন'। 2017 সালে উড়ান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।

     ৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তর : আত্মিক সম্পর্ক হওয়া উচিত। কবিতা যখন মন ছুঁয়ে অন্তর ছুঁয়ে যায়, সে শব্দমালা তখন শুধু কবির নয়, পাঠকেরও হয় বৈকি।

৬. ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ?
উত্তর : ফেসবুক বর্তমান যুগে এক বড় প্লাটফর্ম। আজ যারা ফেসবুকে কবিতা লিখছে, ভবিষ্যতে তাদেরই কেউ বড় কবি হয়ে উঠবে না, এমন কথা বলা যায় না। সময় বলে দেবে এর গুরুত্ব কতখানি।

৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তর : যে যার নিজের জায়গায়। ছাপার অক্ষরে লেখা পড়ার যেমন বিশাল সুবিধে আছে, অপরদিকে অনলাইন ম্যাগাজিন খুব কম সময়ে অনেক দুরবর্তী স্থানেও পাওয়া ও পড়া সম্ভব। অনলাইনে অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছানোও সুবিধাজনক।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুখ হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর : বই বিমুখতার কারণ বহুবিধ। বইসংখ্যা প্রচুর, তাছাড়া অনলাইনে বই/কবিতা/লেখা পড়ার ফলে কেনার চাহিদাও কমে যাচ্ছে। তবে ভাল বইয়ের পাঠক আজও বর্তমান।

৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?
উত্তর : যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কবিতারও আধুনিকীকরণ ঘটবে, এটাও কাম্য। তবে দেখতে হবে এ কবিতাও যেন পাঠককে স্পর্শ করে।

১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর : গদ্য কবিতায় অন্ত্যমিল থাকে না। তারও নিজস্ব ছন্দ থাকে তবে নির্দিষ্ট নয়।



মৌসুমী ভৌমিকের কাব্যগ্রন্থ "যাপন" ভারতবর্ষের যেকোনো প্রান্তে ঘরে বসেই পেয়ে যান ডেলিভারি । অর্ডার করতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কেঃ https://goo.gl/ivub8T



✍️কিছু কবিতা



শব্দরা
***********




পাহাড়ের গা বেয়ে চলা রাস্তা ধরে
শব্দরা হেঁটে যাচ্ছে
নির্বাক আমি নিথর হয়ে বসে থাকি


ঢালু উপত্যকার কোল বেয়ে
খাদের পাশ দিয়ে গেলে যেমনটা হয়
শব্দরা সেভাবে হাঁটছে
স্পষ্টতঃ বললে
শব্দরা খেলছে, অক্ষর ভেঙে ভেঙে
আবার ক্রমশঃ নিজেদের জুড়ে নিয়ে


শব্দের বৃষ্টি আয়নাবাচক হলে
তাদের গল্পটা বুঝতে পারি
নির্বাক আমি জেগে উঠলে
শব্দরা হাসে -
শব্দরাও প্রগলভতা ভালবাসে



আঁধার
***************



আলোর পৃথিবীকে আঁধার স্পর্শ করলে
            রাত্রি হেসে ওঠে ।
নাক্ষত্রিক আকাশে জোছনার প্লাবন এলে স্বর্গীয় দ্যোতনায়
              ভেসে থাকে দিগন্ত।
অখিল বিশ্ব রাত্রির চান্দ্রিক সুষমার
    কাছে ঋণী হয়ে থাকে।
জন্মাধতার মুখোশ খুলে হে মানুষিক অসুর
      এই মোহময় অপরূপ জ্যোস্নায়
ধুয়ে নাও বিষাক্ত মন
সন্ত্রাসের আগুন।
আঁধারের মৌনতাকে সম্মতি না মেনে
মৌনমিছিল বলে জেনে রাখো।
আঁধারের সম্মোহন মুছে দিক যত রক্তাক্ত চেতনা। পৃথিবীর পাণ্ডুলিপিতে লেখা হোক শুধু মানবতা, ভাতৃত্ববোধের অক্ষর।
তারপর এ পৃথিবী অ-আসুরিক হোমযজ্ঞে
শুদ্ধ হয়ে লাবণ্যময়ী মমতাময়ী মাতৃভূমি।



আলোহারা জীবন
*****************


মনগুলোতে অন্ধকার জমলে
মুখগুলো পরে  নেয় মুখোশ
নক্ষত্রদের পুড়িয়ে দিয়ে
রক্তের স্বাদে ভাঙে উপোস।
ক্ষমতার কাছে নুইয়ে মাথা
শব্দ  হারায় প্রতিবাদী স্বর
মোমবাতি জ্বলে, কান্নারা শুধু
দুঃখ ঢাকে, কাটে আঁচড়।
জমজমাট অন্ধকার অলিগলি
আলোহারা চাঁদ, দিগদিগন্ত
জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে
থাকে না কোনো মুহূর্ত।
তবু, আশ্চর্য ভাত ফুটে উঠলে
গন্ধে আবার বেঁচে ওঠে জীবন।






পদযাত্রা       
***************



দিনের আলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে
এসো দুপুরআলো সেলাই করি
সূর্য কাছে এলে ছায়াও ভয় পায়
নিজেকে গুটিয়ে ছোট হয়ে এলে
আমার ছায়াও আমাতে মিশে যায়
আমি একাত্ম হয়ে প্রহর গুনি
সন্ধ্যার আঁধার হেঁটে এলে
গোধূলির আলোতে মুখ ধুই
মেখে নিই নরম আলোর প্রশান্ত আভা
ক্লান্ত আমি অতল স্বপ্নের সুলভ খামে
হারিয়ে যায় সম্মোহিতের মতো
জীবনের কথা বিছিয়ে যে ইচ্ছেরা জাগে
সকালের সোনালি আলোয় তাদের
আবার পদযাত্রা।




আমি ও গাছ          
***************


আমি দেখি
মাঠের মাঝে গাছগুলি একাকী দাঁড়িয়ে -
তখন আর নিজেকে একা মনে হয় না ঠিকই
বরং গাছের থেকেও অসহায় মনে হয় ।
শেকড়হীন সুগন্ধহীন জীবন
সারাজীবন কারো না কারোর অপেক্ষায় বহুবার মরার পরেও বেঁচে থাকে ।
জেগে থাকে শূন্য করতল মেলে পৃথিবীর মায়ার মাঝে
কিছুই তো নেই - ভিক্ষাপাত্র নিয়ে প্রবজ্যা দরজায় দরজায়
তার চেয়ে গাছ হওয়া ভাল।




সাক্ষাৎকারে: জ্যোতির্ময় রায়

মৌসুমী ভৌমিক

অবান্তর আমি 
=============



অবান্তর বার্তালাপে, কাটাই
           অবান্তর বার্তালাপে
যাক না এভাবেই
            বিলাপে প্রলাপে।

অকথার কথা শুনে
           ভাবিস অযথা যাপন
কিই-বা ক্ষতি বল্
           যদি এমনই আয়োজন !

ভাববি সেদিন ভাববি
           এমন কেন দিন
প্রলাপগুলোই খুঁজে
           খুঁজে ঘুরবি সেদিন।

মৌসুমী ভৌমিক



হারানো বসন্ত
***********



এত ভালবেসেছি
     এত ভালবেসেছি বসন্তকে
তবু যখন বসন্তকাল এল
     ছুঁতে পারি নি শিমূল
           খোঁপায় লাগাতে পারি নি পলাশ
কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার কাছেও বসতে পারি দুদণ্ড
শুনতে ইচ্ছে করেনি কোকিলের কুহুতান।

যখন ফাগুন এল
   আবির মাখতে পারি নি ত্বকে জ্বালার ভয়ে
       পারি নি দোল খেলতে -

নিত্যদিনের কর্মমাঝে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি
     বসন্তকে চিনতেই পারি নি
         কিংবা চিনতে চেষ্টাও করি নি।

অথচ বসন্ত আসবার আগে
      কত প্রতীক্ষায় থেকেছি --

মৌসুমী ভৌমিক




একুশে ফেব্রুয়ারি
*****************



ফেব্রুয়ারির অমর একুশ
রক্তে ভেজা দিন
সহস্র প্রাণে উঠেছিল বেজে
মাতৃভাষার বীণ।
পলাশ শিমূলের রঙ মাখা
একুশের রাজপথ
লাল রক্ত মেখে কেঁদেছিল
বিষন্ন জনপদ।
চির স্মরণীয় সেই দিন
একুশে ফেব্রুয়ারি
স্বণাক্ষরে রয়েছে লেখা
'আমি কি ভুলিতে পারি'।
প্রাণের ভাষার মর্যাদা রক্ষায়
উঠেছিল প্রতিবাদ।
অকাতরে বিলিয়ে প্রাণ, বাঙালি করেছিল জয়নাদ।

মৌসুমী ভৌমিক




লাফিং ক্লাব 
*********




জানিস তো
কেউ আজকাল হাসতে চায় না।
কাল যে মেয়েটি কথায় কথায়
খিলখিল করে হেসে উঠতো-
জীবনের যাঁতাকলে পড়ে আজ
সে হাসতে ভুলে গেছে।
হ্যাঁ, কথায় কথায় কান্নাটা ঠিক চলে আসে।

জানিস তো, কিছু কিছু কথারা শুধুই কথা।
যেমন ধর - ছেলেদের নাকি চোখে জল আসতে নেই।
অথচ দেখ - ছেলেগুলোকেও হাসতেই দেখি না।
ছুটছে তো ছুটছেই
পিষছে তো পিষছেই।
দিনান্তে জামার কলারে দীর্ঘশ্বাস মুছে গোপনে
জলটাও মুছে রাখে।

জানিস তো
সবাই এখন অভিনয়টা ভাল শিখে গেছে।
প্রতিটা বাড়ি - যেন এক একটি রঙ্গমঞ্চ।
আজ আর রিহার্সালের প্রয়োজন পড়ে না।
হ্যাঁ, হাসির জন্য শুধু রিহার্সাল দরকার।
তাই আজ পাড়ায় পাড়ায় লাফিং ক্লাব।

মৌসুমী ভৌমিক




গঙ্গা জল = অক্সিজেন(বিশ্বাস) X দূষণ/নোংরা=পবিত্র 





বৃদ্ধাশ্রম 


ছেলেকে অতিরিক্ত আদরে লালন করা
=ছেলে + অতিরিক্ত আদর
=ছেলে + স্বার্থপরতা
 >স্বার্থপর
~ভাল হবার প্রচেষ্টা
=minimum বৃদ্ধাশ্রম




স্বপ্ন 

(ইচ্ছে+ কর্ম ) - বাস্তবে প্রাপ্তি
               +
      সাধ + কল্পনা
               =   
             স্বপ্ন


হাইকু 



1.    আকাশ ছুঁয়ে
     বৃষ্টি একটু এসো
         সুখটা নিয়ে।


   2.  জুঁই শেফালি
      সুগন্ধ ছড়িয়ছে
      এসো না অলি  !

3.    নীল আকাশ
       মেঘেদের ছুটিতে
         হাসছে সূর্য।