নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রেম সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রেম সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমা বিশ্বাস




প্রিয় 
****


তোমার ছলনাকে ভালোবাসা ভেবে
মিথ্যা মোহে আলাদিনের প্রদীপ হাতে নিয়েছি,
উড়িয়েছি মায়াবী মাদুর,
সংঘর্ষে নেমেছি সমাজের কটাক্ষের সঙ্গে,
কখনো বেহুলা হয়ে ভাসিয়েছি ভেলা,
অপেক্ষা করেছি তোমার আসার, তুমি আসোনি ।
কাগজের মত টুকরো টুকরো করেছো আমার বিশ্বাসের ।
এর থেকে প্রাণটা ছিনিয়ে নিতে পারতে,
হাসতে হাসতে দিয়ে দিতাম তোমাকে
আমার কলিজাটা,,,,
তোমার চাইতে প্রিয় আর কিছু হতে পারে কী ?

✍️সম্পাদকীয় ...



প্রতিটা ফুলের যেমন নিজস্ব গন্ধ আছে। ঠিক তেমনি প্রতেক মানুষের অন্তরে একটা ভাষা থাকে। হৃদয়ের দেওয়ালে লিখে দেওয়া নাম, পরিচিত মানুষের চেনা আঙুল, অথবা তার সমস্ত অনুভুতি আপন করে নেয় ভালোবাসা।
বহুদিন অন্ধকারে থাকা মানুষ যখন আলোর সামনে এসে দাঁড়ায় তখন তার দু'চোখে নেমে আসে হাজার আলোর স্বপ্ন। যে স্বপ্ন দিয়ে একটি জীবন তৈরি হয়।
নিজের স্রোতে বয়ে যাওয়া নদী, তার দু'কুলে অবস্থিত কত গ্রাম, শহর ও সভ্যতা কে শুনিয়ে যায় তার প্রেম তার ভালোবাসার পবিত্র ভাষা। আর সেই নদীর ভাষা'ই এবার প্রেমের কবিতা।
বসন্তের এই শুভক্ষণে। প্রবাহমান নাদীর উপর শুয়ে থাকা রোদ্দুর আর ভালোবাসার শঙ্খধ্বনি শুনাতে এবারে আমাদের পথচলা।


তাই প্রীতিবারের মতোই এবারও একগুচ্ছ লেখা নিয়ে হাজির নিকোটিনের "তোমার আমার কথা"র "প্রেম সংখ্যা"


সকল লেখক/লেখিকা, কবি মোহদয়কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ও ধন্যবাদ । এভাবেই নিকোটিনের পাশে থাকবেন আশা করি । তাই এই "প্রেম সংখ্যায়" প্রেমেতে থাকবেন সবাই এই আশা রাখি।

                        ধন্যবাদান্তে ,
                                 বিকি দাস
          শুভেচ্ছান্তে :- নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার 

বৈশাখী চ্যাটার্জী





প্রেম 
*****



ফেসবুকের পাতায় শুধু ছবি দেখি তোমার
জানি আরও অনেক দূরে থাকো তুমি।

তোমার কবিতার মধ্যে বারবার তোমাকে ছুঁতে চাই ।
তোমার ছেঁড়া খাতার সব শব্দ গুলো দেখতে মন চায় বড্ড  ।
সেখানে কি আমার মত সামান্যার জন্য  আছে কোন আঁকিবুকি কাটা দাগ ?
তুমি দেখেছো কবি একবারো তাকে ,
অন্তরালে বসে তোমার কবিতার পাতা উল্টিয়ে চলে যে মেয়েটি  ।
সে তোমাকে ভালোবাসে ।

অামি জানি তুমি জানো এই গোপন অনুরাগেের কথা ।
হয়তো মনে মনে মানোও ।

তোমার ঠোঁটের কোণের মুচকি একটু হাসি আমাকে বলে দেয় -
এ প্রেম স্বীকার করার কোন দায় নেই তোমার ।
তবু যদি একবার দায় চাই -
একটু অনুভবে যদি একটা কবিতা চাই -
আমার জন্য --!
যদি লেখ তুমি --!
অসামান্য হতে পারি তবে ।

শুধু একবার ছুঁয়ে যাও কবি ।
শুধু একবার তোমার কবিতার ছেঁড়া খাতায় আমার নামখানা একটু যত্ন করে লেখো ।
মনে নয় শুধু কলমের কালিতেই আমার জন্য একটু ভালোবাসা রেখো ॥

               
                  

জ্যোতির্ময় মুখার্জি





আঁশটে গৃহকোণ 
************



তুম্ খুবসুরৎ হো, ইয়া না হো
আমার আঁশবটি চাই
.
চমকে উঠো না
.
রক্ত আর কিছু নিরীহ হত‍্যা পেরিয়েই
বেঁচে থাকুক আমাদের আঁশটে গৃহকোণ

মৌসুমী ভৌমিক




লাফিং ক্লাব 
*********




জানিস তো
কেউ আজকাল হাসতে চায় না।
কাল যে মেয়েটি কথায় কথায়
খিলখিল করে হেসে উঠতো-
জীবনের যাঁতাকলে পড়ে আজ
সে হাসতে ভুলে গেছে।
হ্যাঁ, কথায় কথায় কান্নাটা ঠিক চলে আসে।

জানিস তো, কিছু কিছু কথারা শুধুই কথা।
যেমন ধর - ছেলেদের নাকি চোখে জল আসতে নেই।
অথচ দেখ - ছেলেগুলোকেও হাসতেই দেখি না।
ছুটছে তো ছুটছেই
পিষছে তো পিষছেই।
দিনান্তে জামার কলারে দীর্ঘশ্বাস মুছে গোপনে
জলটাও মুছে রাখে।

জানিস তো
সবাই এখন অভিনয়টা ভাল শিখে গেছে।
প্রতিটা বাড়ি - যেন এক একটি রঙ্গমঞ্চ।
আজ আর রিহার্সালের প্রয়োজন পড়ে না।
হ্যাঁ, হাসির জন্য শুধু রিহার্সাল দরকার।
তাই আজ পাড়ায় পাড়ায় লাফিং ক্লাব।

রূপা রায়




শীত নামুক
*********




বেশ শীত নেমেছে তোমার শরীর  জুড়ে
বেশ তো আরো একটু শীত না হয় জড়িয়ে ধরুক তোমার ফাটা ঠোঁট দুটিতে।
পিঠের শিড়দাঁড়ার ভিতর  কেঁপে উঠুক না হয় আর ও একটু জোরে।
 বেশ শীত নেমেছে তোমার বুকের উপর;
নামুক না হয় আর একটু বেগে
প্রশস্ত ওই বুকের উপত্যকা ডুবে যাক বরফে।
তুমি ভাবছো হয়তো আমি ভুল বকছি,
 তবু আমি চাইবো তোমার চোখে উঠুক তুষার ঝড়,
সেই তুষারে চাপা পড়ুক  আমার চোখ ,মুখ, হাত, পা
হিম হয়ে যাক উষ্ণতা, তবু ঠোঁট চেপে থাক ঠোঁটে,
 হাত ধরে থাক হাত , মুখ গুঁজে থাক বরফের উপত্যকায়,
তবু আমি চাইবো শীত নামুক তোমার শরীর বেয়ে
 আরো বেশী শীত  ঝরুক তোমার কপাল চুঁইয়ে শক্ত দুটি  কপোলের পরে,
আরো একটু শীত নামুক...


জয়তী দাস




এখনো অপেক্ষা
*************




  আমার তো প্রতীক্ষা ছিলো --
  আসতে আসতে, সকল দরজা জাগিয়ে এসেছি
  অন্ধকারের পাতায় লিখেছি আগামী আলোর নাম,
  অসুস্থ-মৃত, শরীরী-অশরীরীদের দিয়েছি কথা --
  সেই জীবনদায়ী ছোঁয়া,যা তোমার কাছে ওদের পাওয়ার !

  আমি তো দিয়েছি কথা --
  প্রতিটা ফুলের একটা বিশুদ্ধ আকাশ দেবো,
  নুড়ি-পাথর থেকে বাছা হবে না শালগ্রাম শিলা
  শালগ্রাম শিলায় জন্ম নেবে অবহেলিত নুড়ি-পাথর-

  তাদের চাঁদ জোৎস্না একাদশী সবটুকু দেবো করেছি অঙ্গীকার !
  রক্ত লবণ মাটির রোদকণায় ওদের প্রাপ্তি টুকু--
 মেরুদন্ড সোজা করে লিখবে নিজের নাম -
 বলো, আর কতক্ষণ অপেক্ষায় রাখবে !! তোমার দরজায়  --

        

মনিকান্ত সার



~*** নীলাভ অবয়ব ***~
         ***********



ভাবছি, একটা নীল ছবি আঁকবো
তোমার অবয়বের।
নীল বললাম........
কারণ, নীল রঙটা তোমায় বড্ড মানায় ।

চুলগুলোকে এলিয়ে দেবো কানের পাশে -
সমুদ্রের মতো ক'রে,
কয়েকটা তবুও গড়িয়ে পড়বে তোমার গাল বেয়ে
ঢেউয়ের মতো হয়ে ।
তোমার গায়ে জড়িয়ে থাকা পোশাকে
লুকিয়ে থাকবে আমার ভালোবাসারা,
প্রতিটা ভাঁজে আমি খুঁজে নেবো তাদের,
খুঁজে নেবো উদ্ভাসিত যৌবনের রূপ-রস-গন্ধ ।

প্রথমে ভেবেছিলাম.......
কাজল এঁকে দেবো তোমার চোখে,
তার দরকার নেই, মৃগনয়না তুমি,
তোমাতে হারানোর জন্য দুটো চোখই যথেষ্ট ।
যখন মিষ্টি সূর্য এসে ছুঁয়ে যাবে ক্যানভাস,
চোখের সামনে ভেসে উঠবে তোমার মায়াবী মুখ,
আমি হয়তো স্থবির তখন, ভাবলেশহীন,
হয়তোবা নি:স্ব হাত দুটো ছুঁতে চাইবে তোমায়।

আঁকবো.......
আঁকবো আমি তোমার "নীলাভ অবয়ব" ।

কৃপা বসু




ভ্যালেন্টাইন ও প্রেমজেহাদ
***********************



    ১.
পাশের পাড়ায় আট মাসের পোয়াতি সিঁদুরের কৌটো হাতে সুইসাইড করেছে। আমি বলেছি খুন, মেঝেতে গড়ানো নিরীহ ঘুমের শিশিতে লেখা ছিল খুনির বায়োডেটা।

    ২.
মঙ্গল ঘট উল্টে যুবতী নদী নামাজ পড়ার প্র্যাকটিস করে রোজ। খিদের থালায় ধরে রাখে মাগরিবের দ্বিধাগ্রস্থ চাঁদ।

    ৩.
প্রেমিকজল মেখে আসা প্রতিটি পাখি দাহকাল পেরিয়ে শুকনো কালভার্টের দিকে এগিয়ে যায় আধফোটা ফুল নিয়ে ঠোঁটে।

    ৪.
যে কুকুররা দুপুরের শোক ছিঁড়ে খেত একদিন, তাদের পাশ দিয়ে পান্তা ভাত মুখে নিয়ে হেঁটে যায় নিরীহ ভিখারি।

    ৫.
রাতের মফঃস্বলে বালিকা বিলাসের স্বরলিপি ভুলে শিরায় শিরায় স্পষ্ট হয় আদরের নীল ক্ষতদাগ। দ্রাক্ষামদে মেশে বীর্য ও থুতু।

    ৬.
যোগাযোগ নিভে যাওয়া সেন্ট্রাল জেলের মতো ঘর, ধুলোবালির সেলাই করা মেশিনের একটানা ঘরঘরে ছেলেটি কান্না পুষে রাখে।

    ৭.
ছেঁড়াখোঁড়া শরীর নিয়ে মেয়েটি হলুদ আঁচলের ভাঁজে বশমানানো চাবিকাঠি বেঁধে রাখে। স্মৃতির ওয়ার্ডরোবে তোলা তার এক্কাদোক্কার সংসার।

জ্যোতির্ময় রায়




ছুঁয়ে দিও 
**********



ঠোঁটের ভিতর জমছে কথা ,অল্প
শুধুই মিথ্যে ,প্রেমীকি ছোবল নয়'ত?
নাকি বাহানা হ্যাঁ জি ,রঙিন শরীরী ।
ইমোশন জাস্ট ,তবে মিথ্যে সত্যি কি?


আমিও পথে কথার দূর্গন্ধ ছড়াই ,রুমালে
চোখ মুছে নিও ,হঠাৎ স্বপ্ন ভেঙে গেলে ।।
"শুধু তোকে রেখেছি" যত্নে বুকপকেটে ,
দাগ কেটে দিও বালুচর কিছুটা অযত্নে ,অকপটে ।।


এম এ রোকন




বরং নিষ্ঠুর হও!
***************




.
এ কেমন উদারতা দিলে,
কেন বললে, তুমি পাগল হতে চাও-?
এ কেমন স্পর্ধা এনে দিলে যৌবনে,
কেন ভ'রে দিলে ঠোঁট মাদকতায় -?
কেন প্রস্রবণ ঝিরি আলো পেরিয়ে
আঁধার দেয়ালে মাথা ঠু'কে-?
.
এমন উদারতা আমি চাইনি শ্বেতা!
শুধু চেয়েছি
আঁধার আলোয় পাশে থেক,
মনের দেয়ালে মাথা রেখ
ঠোঁটের স্পর্শে বাঁচিয়ে রেখ
নির্ভরতার কাঁধে উত্তরিও বেঁধে দিও
প্রেমের।
.
এর চেয়ে বেশি চাইনি।
জানোই তো বড্ড পাগল আমি
করি প্রেম প্রেম পাগলামি,
তবে কেন, কি দোষে বললে -?
ভূ'লে যেও,
মুছে দিও স্মৃতি অতীতের।
কতটা অবুঝ চাওয়া-?
.
শ্বেতা স্মৃতি একটি অ'গলিত অতীত।
স্মৃতি চিত্রায়িত হয় সময়ে সময়ে
স্মৃতি বেঁচে থাকে অনন্তকাল,
বহমান সময়ের হাতে স্মৃতি সাহসী
সৈনিক।
তুমি তোমাকে ভুলতে পারো-
স্মৃতি তোমাকে ভুলতে চায় না।
তোমার উদারতার কোলে আজ ঝুলছে
দু'টি লাশ!
তুমি, আমি।
তারা বাঁচতে চায়,
প্রাণখুলে হাসতে চায়
ওরা একসাথে বাঁচতে চায়-?
.
শ্বেতা তুমি বরং নিষ্ঠুর হও!
আঘাতে আঘাতে মেরে ফেল ওদের
বেঁচে থেকে কি লাভ!
যদি উদারতা দুরুত্ব বাড়ায়
যদি ঠেলে দেয় মৃত্যুপুরীর ভাগ্যমঞ্চে
যদি খুন হয়,
রক্তাক্ত হয় মনের দেয়াল
যদি বাঁচতে হয়; অপরাধী হয়ে যুগযুগ।
বরং তুমি নিষ্ঠুর হও-
নিষ্ঠুর শিকলে শৃংখলিত করো দু'টি
প্রাণ,
যারা বাঁচবে বলে এসেছিল
যারা ভালোবেসে বেঁচেছিল।

তৌহিদুল ইসলাম মিশু




আমি এবং পেত্নী
*****************

তখন গভীর রাত....
সাড়ে দুইটা বাজে হয়ত।
কানের কাছে কে যেন একটু_
       উদ্ভট রকমের হাসি দিল।
পাশ ফিরতেই চোখের রেটিনা গোল হয়ে গেল।
এতো এক নারী মূর্তি..!!
অন্যরকমের এক হাসি তার ঠোট জোড়ায়;
না,নেশা ধরানো নয় এ হাসি;
বরঞ্চ শ্বাসরুদ্ধকর।
দাত গুলো অস্বাভাবিক রকমের বড়;
আর ঠোট জোড়া রক্তে রঞ্জিত।
গাল বেয়ে কয়েক ফুটা রক্ত থুতনি স্পর্শ করেছে।
এতো ভূত.!!মেয়ে ভূত.!!পেত্নী.!!
মুহুর্তেই সে আমার বুকে চড়ে বসলো।
সাথে সাথেই.....
না গলা টিপে ধরেনি,
নাক টিপে ধরল।
ঠোটে ঠোট লেপ্টে দিয়ে বলল...
ফের কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছিসতো__
আর আসবনা আমাবস্যার রাতে..!!
আমিও মাথা নেড়ে সাই দিলাম,ঠিক আছে.!!
এর পর থেকে প্রতি আমাবস্যায় সে আসে।
পরবর্তী আমাবস্যা যেন কবে.?

হোসাইন আহমেদ রিপন





অনুভূতিময় প্রেমে তুমি
**********************



অনুভূতিময় প্রেমে তুমি
ঘুম ভাঙানো পাখির কলতানে মুখরিত,
তুমি আমার স্নিগ্ধ সকালের সতেজ অনুভূতি।
প্রকৃতির নিবিড় ঘন কুয়াশায়
তুমি আমার হৃদয়ে নির্মল প্রশান্তি।

তুমি উদিত রবির সোনালি পরশে
তুমি রূপায়িত তুমি অনন্য,
উষ্ণ শিশির কনায় ফুটন্ত তাজা গোলাপের ঘ্রাণে
পাপড়ি পরশে তুমি অপূর্ব  তুমি সুভাসিত লাবণ্য।

তুমি নিঝুম রাতে আমার স্বপ্ন বিলাসী হয়ে
আবার কখনো তুমি জল জ্যোৎস্নার প্রেমে,
নীল দীঘির জলে ভাসা পদ্ম ফুলে
তুমি বৈচিত্র্যময় রূপালী চাঁদের হাসি।

অনুভূতিময় প্রেম তুমি
প্রতিটা বর্ণে তুমি কবিতার ছন্দে তুমি,
আমার অনুভূতিময় প্রেমের ভাবনায় তুমি
আমি শুধু তোমার ভালোবাসায় কাব্য লেখি।


ফারদিন খান সুপ্ত



অপেক্ষার প্রহর
***************
   
 
নিকোশ কালো রাতের আধারে,
জেগে আমি আনমনে,
       তোমার অপেক্ষায়।

হয়ত তুমি আসবে বলে,
নরম বালিসে এলিয়ে মাথা,
গুনছি প্রহর!

নিভনিভে ল্যাম্পপোস্টের বাতি,
আর সাথে তোমার রঙিন স্মৃতি,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় ভেসে বেড়ায়।

কড়া লিকারের বাষ্পে আমার,
মনে পড়ে যায় সন্ধ্যাতারার মেলায়,
তোমার আমার গভীর আলিঙ্গন।

কত সহস্রনয়ন জলে শুষ্ক বালিশে,
মেঘবর্ষণ মূখরিত হবে।

বহ্নিশিখা(রিঙ্কি) মুখার্জী






অথৈ জলে ভেসে চলেছি,কূল পেলাম না এখনো।
কখনো খুঁটি,কখনো লতা-পাতা আঁকড়ে ভেসে উঠছি, আবার ডুবছি।
একটা ভেসে যাওয়া নৌকা..
কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচলো..ভাসছি আবারো ভাসছি।
এবার নৌকোয়..কিন্তু হঠাৎ তাতে জল উঠতে লাগলো
এবার নৌকোর পাটাতন কিনারা বুকের সাথে চেপে ধরে
বাঁচার সে কি আকুল চেষ্টা,নৌকোতে জল ভরে ডুবে  গেল।
সাথে আমিও।
এই নৌকো অনেকদিন জলের তলায় চাপা পড়ে রইলো।
মাঝিরা টেনে তুলে তাকে সারাই করলে।
শুধু আমার পচা গলা দেহ তারা পেলে না,
মিশে গেছে যা জলের স্রোতে।




ভেবেছিলাম উপন্যাস হবো তোমার।
দীর্ঘ এক উপন্যাস।
সকাল থেকে রাত আচ্ছন্ন করবো আমার কাহিনি দিয়ে।
আমায় পড়বে বুঝবে মাখবে গায়ে ।।
তোমার খাবার টেবিলে অন্নমনস্কতার কারণ হবো আমি।
হটাৎ আসা শীতের প্রথম পরশ হবো আমি।।,,
হাওয়ার সাথে মিশে ছুঁয়ে দেব কেমন।
তোমার প্রবল আগ্রহ টা হবো--দীর্ঘ এক কাহিনি স্রোতের ডুবুরি হবে সচেতন অবচেতনভাবে।
রাতে ঘুমের মধ্যেও জেগে থাকবো তোমাতে।





জানতাম না ছোটগল্প এক,
পড়বে ছাড়বে; তারপর অন্য এক গল্পে বা হাজারো গল্পের ভিড়ে ভিড় জমাবে।
আমি কোথায়?মুহূর্তের উত্তেজনা মাত্র--এক-দু'পাতার ছোটগল্প।
   



ফকির ইবনে হুসাইন



তুমি আমার
***********




তুমি আমার নিষ্কলঙ্ক আকাশের একটি চাঁদ,
সৌন্দর্যে আঁকা শিউলি শিতিল পরশমণি-
অজস্র সহস্র'বিস্তৃত প্রয়াসের দৃপ্ত পদব্রজ চিহ্ন!
তুমি আমার পুষ্পে শোভিত
ফুল মালতীলতা,
আনন্দময়ী সুদৃঢ় আত্মার নিয়ন্ত্রিত প্রভৃতির পাপড়ি!
তুমি আমার
চশমা-আঁটা চোখের জ্যোৎস্নায় আঁকা মুখচ্ছবি,
প্রেম উৎপত্তির বিকাশ সংক্রান্ত ধনভান্ডারের সন্ধান!
তুমি আমার কোকিল,দোয়েল,পাপিয়া প্রভৃতি পাখির কলগানের কুলকুল ধ্বনি-
ভূয়োদর্শণের অভিমানী নীল মেঘ!
তুমি আমার মুখশ্রীর প্রফুল্লতায় ভেঁজা ঠোঁটের ভাজে-ফুটন্ত
লাল গোলাপি তৃপ্তির হাসি,
যুথিকা সৌরভে-সুপ্তির নীরবতা,স্বর্গের অনন্য স্তম্ভিত রূপসি!
তুমি আমার পতাকা নিশানের অনুভবঋদ্ধ কাব্য চিঠি,
শ্রুতিমধুর বুলবুলির বোলে-করুণরসা তালুর ছিদ্র!
তুমি আমার উচ্ছলিত স্রোতের সুঃখ-উল্লাসের মুক্ত অস্তরবি।
(সংক্ষেপিত)

বিন্দু ভূষণ দে




জন্মদিন
********



জন্মের গায়ে, কতটা আয়ু ছড়ালে।
এ জীবন পায় অমরত্ব!
ঠিক কতটা গভীরে! বরফের দেশে।
মৃতদেহ থাকে অক্ষত।।

মরে গেছি আমি বারবারই শুধু!
মৃত্যু নামেনি বরফে।
বেঁচে আছি আমি মৃত্যু শিখিনি।
কবিতা কবির তরফে।।

প্রভাত মন্ডল



অপরিচিতা
***********




ঘুম নেই চোখে
রাত্রি পেরিয়ে গেছে কখন
ভোরের আলো উুকি মারে
শিশার মধ‌্যে দিয়ে ঘরে
স্বপ্নকে আগলে শুয়ে আছি
ভাবছি তোমায় সবক্ষণ
নীল আচল উড়িয়ে
কাজল কালো তারা, এলোকেশী
কে তুমি অপরিচিতা
আমার মনের ক‌্যানভাসে
কেবল করো রঙের খেলা।

    

কেয়া অধিকারী





★★★প্রত্যুত্তর★★★
           *******


আমার থেকে অনেক দূরে,      সরে ছিলিস মোহের ঘোরে,
                তখন আমায় করলি রে তুই পর,
কেমন তুই ছিলিস বল্?            আমারই সাথে করে ছল্,
                ভেঙে দিয়ে আমার সুখের ঘর।

সব বন্ধনকে তুচ্ছ করে,           করেছিলিস আপন যারে,
                তার ছলনায় ভাঙলি আমার মন,
কি অপরাধ করেছিলাম?        যার জন্য এ সাজা পেলাম,
                তুই তো ছিলিস আমার পরম ধন।

তোর কথা আর ভাবি নারে,     ঠকালি তুই এতটা মোরে,
                তোর থেকে তাই ফেরানু এই নয়ন,
নিজের ভুল বুঝবি যেদিন,      পাবি না আর আমায় সেদিন,
                বুঝবি তুই কোনটা আসল জীবন।।

তুলি রায়




অতঃপর...
**********




অনুরণনটা তখনও লেগে
চোখ বুজলে একরাশ ফেনিল বুদবুদ
সব রঙ মিশে বুঝি এমন সাদা হয়!
আমি বাসন্তিকা
তুই বুঝি ফাগ


বাতাসে পলাশ ছোঁয়
ঝরাপাতার উঠোন
ফিসফিসিয়ে
অসম্পৃক্ত কথকতা

অসমতা ছাপিয়ে
জেগে ওঠা সুপ্ত আদিমতা

গলে পড়া লীন তাপে
দাহ্য আমি -তুই

নিষিদ্ধ দ্বীপ
হেঁটে বেড়ায় রূপকথারা

অতঃপর চাঁদ ওঠে

বেজে চলে রিঙটোন.....