নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ফিরোজ হক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফিরোজ হক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শরীর প্রেমী : ফিরোজ হক


ভালোবাসার জন্য বেঘর হতে চাই
আষ্ঠেপিষ্ঠে প্রতিটি মুহূর্ত আপন করতে চাই
সকল মুহূর্ত ফ্রেমে বাঁধা পড়ে না
অধিকাংশই মনের এক কোণে ঠাঁই পায়।

তৃতীয় নয়ন দিয়ে মুহূর্ত দেখে
 ম্লান হাসিতে মুখপলক ভরে ওঠে
কখনও বা চোখ দিয়ে দু-ফোটা জল...

গানের সুরে সুরে প্রিয়তমা খুঁজে পাই
দুষ্ট-মিষ্ট কথার ভাগীদার হতে
সারাদিন ওত পেতে বসে থাকি।
কখনও বা ক্ষণিকের ভাগীদার হই
কখনও বা ভাগীদারের ভ-ও জোটে না।

ভালোবাসার অঙ্গীকার হিসাবে
গাঢ় আলিঙ্গন থেকে চুমু,
তোমার পাশে আশ্রয় কিংবা
খুব কাছ থেকে তোমায় আপন করতে গেলে
শরীরপ্রেমী আখ্যা পেতে হয়।

আমি অকপটে স্বিকার করে নেই
আমি শরীরপ্রেমী...শরীরকেই ভালোবাসি।
তখনি তুমি সহ্য করতে না পেরে
নিজেকে শাস্তি দিয়ে বসে থাকো।

আর আমার মনের পিঞ্জরায় হুল ফোটে
ধর থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করতে চাইলেও
তোমারি মায়ায় বেঁধে পড়ি...

আর শরীরের প্রতিটি কোণে কাজ করে
গভীর যন্ত্রণা...

প্রেমের দাবিতে ধর্ণা : ফিরোজ হক্






দীর্ঘদিন একে অপরকে নিয়ে এক আকাশ স্বপ্ন দেখার পর একজনের একরখা সিদ্ধান্তে সেই স্বপ্নে বাজ পড়লে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া-এই ধরনের ঘটনা আজকের নয় দীর্ঘদিনের।এখানে একজন বলতে কোনো একটি জাতিকে(ছেলে কিংবা মেয়েকে) বোঝালে ভুল করা হবে।'প্রতারক' শব্দটা আজ বেশ সস্তা দরেই বিক্রি হয়।সেখানে একজন ছেলে যেমন প্রতারক তেমনি একজন মেয়েও প্রতারনা করে এরকম ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে।এক্ষেত্রে কোনো একদিকে পাল্লা ভারি করলে একটি জাতির উপর ঘোর অন্যায় করা হবে বলে মনে করি।

কিছু সংখ্যক ছেলে মেয়েদের কাছে আজকাল ভালোবাসা বেশ সস্তা, রাস্তাঘাটে মুড়ির মোয়ার মতো।তাইতো তারা ভালোবাসাকে খেলার সামগ্রীর মতো মনে করে।এক্ষেত্রে খেলোয়ারের কিন্তু খেলার সামগ্রীর উপর একটা মায়া থেকে যায় তাই দীর্ঘদিন যাবৎ তারা কোনো খেলা খেললে(কম্পিউটার গেম কিংবা ফিল্ড গেম) সেই খেলা হুট করে ছেড়ে দিতে পারেনা।কিন্তু এই সমস্ত ছেলে-মেয়েরা কি করে একটা মানুষকে হুট করে ছেড়ে দিতে পারে সে তাকে খেলনা হিসাবেই ব্যবহার করুক না কেন!মায়া তো থাকে নাকি!

একথা আমরা সকলেই জানি কিংবা সাধারণ জ্ঞানেও এই কথাটা মানি যে ভালোবাসার সময়সীমা যত দীর্ঘ হবে সেই ভালোবাসার মানুষকে ত্যাগ করা বা ত্যাগ করে চলে যাওয়া ততটাই বেদনাদায়ক হবে।তবে একবছরের ভালোবাসা বা কিছুদিনের ভালোবাসা যে পীড়াদায়ক নয় এটা বলা ভুল।এক্ষেত্রে যারা আপাতত এই ধরনের প্রতারনার স্বিকার হননি কিংবা কোনোদিন কাউকে ভালোবাসেননি তারা এই ব্যাপারটি বুঝতে পারবেন বলে আমি মনে করিনা।

এখন আসি প্রেমের দাবিতে ধর্ণার বিষয়টিতে।যদিও অনেকে এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে দেখতে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে পড়েছেন।তাদেরকে আরেকটু বিরক্ত করি আর কি!এখানে দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্কের পর ছেলেটির মাথায় হঠাৎ বাজ আছড়ে পড়ে।রাগ-অভিমান করে ব্লক করে দেওয়া কিংবা কথা না বলা ভালোবাসার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক কেননা দুধ ছাড়া যেমন ক্ষীর হয়না তেমনি রাগ-অভিমান ছাড়া ভালোবাসা ঠিক জমেনা।তবে এই ধর্ণার বিষয়টি একটু ভিন্ন।এখানে রাগ-অভিমান করে ব্লক করা,কথা না বলা এসব ঘটেনি।এখানে ছেলেটি দীর্ঘ আট বছর পর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে।

তবে ছেলেটি এখানে যে ব্যতিক্রমী কাজটা করেছে সেটা হল ছেলেটা নিজেকে আত্মহনন করেনি।প্রথমত ছেলেটা মেয়েটার বাড়ির অভিভাবকের কাছে বিয়ের সম্পর্ক নিয়ে গিয়েছে,তাদের ভালোবাসার কথা জানিয়েছে।ছেলেটা বারংবার চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন ধর্ণার মতো ব্যতিক্রমী পথ চয়ন করেছে।সম্ভবত ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা পূর্বে ঘটেনি এমনটি দাবি করা যায়।

এখানে সমস্যাটি হল আমাদের বুদ্ধিজীবি মহল ছেলের এই কাজটিকে হাস্যকর মনে করেছে কিংবা ছেলেটির এই কাজটিকে অন্যায় মনে করেছে।অনুরূপ কাজ একজন মেয়ে করলে... বাকিটা আশা করি বলতে হবেনা।একথা ঠিক যে জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায়না তবে দীর্ঘ আটবছরের ভালোবাসার শিখা হঠাৎ নিভে যাবে এটা একজন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা কিভাবে মেনে নিবে!

ভারতবর্ষে অনেক বিপ্লব কিংবা আন্দোলন ঘটেছে তবে মনে নিয়ে খেলা করা-এর বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার বিপ্লব ঘটেনি।তবে এই ধরনের ব্যতিক্রমী বিপ্লব ভারতবর্ষে কি দরকার ছিলো না!

আমি মনে করি এই ধরনের বিপ্লব ভারতবর্ষে অবশ্যই দরকার ছিল।এখানে যুবসমাজ একটা শিক্ষা পেয়েছে বলা যায়।১০০জন বা ১০০০জনের মধ্যে এই ঘটনা দেখে একজনও যদি শিক্ষা নেয় তবেই এই বিপ্লবের সার্থকতা।কোনো ছেলে কিংবা মেয়ে ভালোবাসার নামে প্রতারণামূলক কাজ করার ক্ষেত্রে যদি একবার চিন্তিত হয় তবে সেটা ভারতবর্ষের বৃহত্তর জনজাতির ক্ষেত্রে কি সুফল নয়!তবে এই বিপ্লব কতটা কার্যকরী হলো এটা আমরা জানতে পারবো না এই যা।

এবার আসি ছেলেটি একপ্রকার জোর করেই মেয়েটিকে বিয়ে করেছে তাদের পরবর্তী জীবন কতটা সুখের হবে এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।যে মেয়ে আট বছরের ভালোবাসাকে অস্বীকার করতে পারে সে নিশ্চয়ই বিয়েকেও অস্বীকার করতে পারবে!তারপর ছেলের বাড়ি থেকে কিংবা ছেলে স্বয়ং পণের জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার করবে না এমনটিও দাবি করা যায় না! এই প্রশ্নগুলি আমার নয়,আমাদের বুদ্ধিজীবি মহল থেকে উঠে এসেছে এই ধরনের হাজারো প্রশ্ন।

এবার শুরু করি আমার প্রশ্ন।যে ছেলে নিজের জীবনের পরোয়া না করে একটি মেয়ের জন্য ধর্ণায় বসতে পারে তার ভালোবাসা ঠিক কতটা হতে পারে!যদিও মানুষের মন পরিবর্তনশীল তবুও এই ধরনের ঘটনা করার পূর্বে ছেলেটির মনে কি ভয় থাকবে না!দ্বিতীয়ত-আট বছরে ছেলেটির উপর কি মেয়েটির এক ছিটেফোটাও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়নি!ছেলেটি একপ্রকার অসুস্থ হওয়ার পর মেয়েটি বিবাহের জন্য রাজি হয়।এখান থেকে কি বোঝা যায়!ছেলেটির প্রতি মেয়েটির একটু হলেও তো ভালোবাসা ছিল!

যাই হোক অনেক বেশি বলে ফেললাম।এখন আশা করি ছেলেটির সমুদ্রের মতো অন্তহীন ভালোবাসায় মেয়েটি এক ছিটেফোটা ভালোবাসা নিয়ে দুজনে পরবর্তী বৈবাহিক জীবনে সুখ খুঁজে পাবে।তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা রইলো।ভারতবর্ষে প্রেমের প্রতরণামূলক ফাঁদ থেকে ছেলে মেয়ে উভয়েই রক্ষা পাক এই আশা রাখি।

ফিরোজ হক







প্রাক্তন
 ******



তুমি প্রাক্তন 
আমি আজও‌ নতুন
আমি নতুন 
আমার পুরোনো স্মৃতিগুলো নিয়ে।
তুমিও নতুন
আমার ভাবনায়,আমার স্বপ্নে।

তুমি নতুন,তুমি নিত্যনতুন
তোমায় নিয়েই আমার কল্পনার সুন্দর জগৎ
তুমিহীন আমার বাস্তবতার কঠিন জগৎ।