আত্মঘাতী মথ
(এক)
অদ্বিতীয় ওরফে অডি কেষ্ট খুব খোশমেজাজে রয়েছেন, নতুন অ্যালবাম বেরিয়েছে, "আমার বোতল হলো খালি।" আর বেরোনোর সাথে সাথে যাকে বলে "সুপারহিট"! মানে অদ্বিতীয়র এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবাম হতে চলেছে। আর এই অ্যালবাম এ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে, হয়েছে মানে পরীক্ষার চূড়ান্ত হয়েছে, এমন পরীক্ষা দিলে অদ্বিতীয় স্কুলের পরীক্ষায় প্রথম হতেনই। সকাল থেকে এই অ্যালবাম এর সাফল্যের জন্য প্রচুর ফোন এসেছে, ফ্যান মেল এসেছে আর এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। যদিও কিছু কিছু লোক আছে, যারা অদ্বীতিয়র সাফল্য দেখতে পারেননা। ওই লোকগুলো বলে অদ্বিতীয় নাকি অটোটিউনে গলা ঠিক করেন, অদ্বিতীয় নাকি লাইভ গাইলে ভুলভাল পিচে গান! আরো কত কি! ফাজলামি নাকি? অদ্বিতীয় এইসব লোকগুলোকে পাত্তা দেননা একদম, মানে কে পাত্তা দেবে এদের কে? এরা কে? কোত্থেকে এলো সব?সেই কবেকার হারমোনিয়াম আর গিটার কপচে বেড়ানো কতগুলো বুড়ো হাবড়া লোক আর কিছু জীবনসায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া ভদ্রমহিলা, সব নাকি এককালে মহান সিঙ্গার ছিলেন! হুহ! মহান সিঙ্গার না ছাই! এখন অদ্বিতীয় এর সামনে পড়ে পাত্তাও পাচ্ছেনা ! তাই সব জ্বলছে, জ্বলছে জ্বলুক! অদ্বিতীয় আরো জ্বালাবেন সবাইকে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবেন। লোকজন পাগল হয়ে যাবে। রকিং চেয়ারে বসে বসে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করলেন অদ্বিতীয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একসময় নিজেকে বলতেন, "তুই পারবি, তোকে পারতেই হবে। তুই বাংলা তথা ভারতের সেরা গায়ক হবি। তোকে হতেই হবে।" সেই সময় থেকে বেরিয়ে ৪টে অ্যালবাম হলো। সিগারেটটা নেভালেন, বাথরুমে ঢুকলেন অদ্বিতীয়। গোটা দিনের মিউজিক প্রমোশন এর পর একটু ফ্রেশ হওয়া দরকার। ফ্রেশ হয়ে স্কচ এর বোতলটা খালি করে দেবেন একদম।
(দুই)
তোয়ালেটা ছেড়ে দাঁড়ালেন অদ্বিতীয়। হ্যা, আগের মতো সেই প্যাংলা মার্কা ব্যাপারটা নেই, সিক্স প্যাক ভালো মতোই হয়েছে। এই চেহারা না থাকলে মিউজিক ভিডিও হিট করবে কি করে? হিট হতে হবে, নাহলে এই মার্কেটে কেউ পাত্তা দেবেনা। সহজ ব্যাপার। বডি স্প্রে টা লাগলেন অদ্বিতীয়। রাতের খাবার বাইরে থেকে খেয়েই এসেছেন। এখন খাওয়া দাওয়া বাইরেই হয়, আগের মতো আর হাত পুড়িয়ে রান্না করতে হয়না। মনে আছে, কলেজে থাকতে বন্ধুদের সাথে গান বাজনা হতো, একটা কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন, একটা গিটার সম্বল করে কত কি ভাবনা চিন্তা চলতো। গান দিয়ে দুনিয়া বদলে দেবার। মিউজিককেই কেরিয়ার বানানোর স্বপ্ন দেখা তখন থেকেই। আর স্বপ্ন দেখলেই তো হলোনা, সেটাকে পূরণ করার মতো জেদ চাই। সেটাকে সম্বল করে পাস্ কোর্স নিয়ে পাশ করার পরে চলে আসলেন স্বপ্নের মহানগরীতে। আর বুঝে গেলেন দুনিয়াটা একটা আস্ত কুম্ভীপাক। আর শুরুর দিনগুলোতে প্রচুর ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে। কেউ তাকে একটা সুযোগ দেয়নি। সেই থেকে অদ্বিতীয় বুঝে গেছিলেন শীর্ষে পৌঁছতে হলে তাকে যা দরকার করতে হবে। দুনিয়া যা চাইছে করতে হবে। গিটার ফেলে ওসব পুরোনো ধাঁচের মিউজিক থেকে বেরোতে হবে। ওসব দুনিয়া বদলানোর স্বপ্নটপ্ন তখনই জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। বাজারে সব পাঞ্জাবি হিপহপ শুনছে, মাথামুণ্ডুবিহীন কবন্ধ সংগীতে মজে গোটা দুনিয়া। অতএব এই দিকে হাতে খড়ি দিতে হলে কন্ট্রোভার্সি চাই। ইউটিউবে প্রথম ডিস্ ট্র্যাক বেরোলো, "মিউজিক ঢোকাও পশ্চাদ্দেশে!" অদ্বীতিয়র প্রথম মাম্বলিং র্যাপ আর বাংলা পপ এর কম্বো। লোকে খিস্তি মেরেছিলো প্রচুর কিন্তু বিনিময়ে অদ্বিতীয় পাল্টা খিস্তি দিতে ছাড়েননি। ইউটিউব থেকে আস্তে আস্তে জনতার কাছে পৌঁছনো শুরু, জনতার মন জয় করা শুরু। আর জনতার নজরে পড়ার পর অদ্বীতিয়র নতুন ধাঁচের বাংলা র্যাপ-পপ মিউজিক কোম্পানিগুলো আর অগ্রাহ্য করতে পারলোনা। হুঁহুঁ বাবা, মার্কেট কে অগ্রাহ্য করবে কার এতো বড়ো বুকের পাটা আছে? নিজের লোমবিহীন বুকের দিকে তাকিয়ে সেটাই ভাবলেন। মুচকি হাসলেন। গান এখন দেখার জিনিস। ইউটিউব খুললেন, অ্যালবাম এর টাইটেল ট্র্যাক ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ভিউ ছাড়িয়ে গেছে। আর কি চাই! স্কচ এর বোতলটা খুলতে হয়। সাকসেস পার্টি, মস্তি, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি যা হবার তা হবে, কিন্তু এখন এই মুহূর্তটা অদ্বিতীয় এনজয় করবেন। বোতল খালি হবে। ড্রয়ারের ভেতরে পাউডারটা রয়েছে বোধ হয়! ওটার ধোঁয়াটা চাই। আয়নার সামনে নিজের পেটানো নগ্ন চেহারাটা দেখছিলেন অদ্বিতীয়। "হু ইস দ্য বেস্ট? ইটস মাদারফাকিং অডি কেষ্ট! ওহ ইয়াহ।"
স্কচ গলা দিয়ে নামলো, অদ্বিতীয় চোখ বন্ধ করলেন, একটা কলেজে থাকতে লেখা পুরোনো গানের কথা মনে পড়লো,
"বন্ধ হাওয়ায় তোর ঠিকানায় হারিয়ে যাওয়ার রেশ,
খোলামকুচি স্মৃতির কবরে আমার অবশেষ।"
অদ্বীতিয়র কি নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস পড়লো? না, তা কি করে হবে? এইসব বস্তাপচা গান নিয়ে কে বড়োলোক হয়েছে? ওসব কাব্যি কে করে?এসব ভাবা যাবেনা। অদ্বিতীয় পাউডারটা বের করলেন,একটা চামচে রাংতায় ওটা পোড়ালেন, ধোয়াটা নাসারন্ধ্র দিয়ে ভেতরে গেলো। আহ, এই নাহলে শান্তি! সব ভুলভাল চিন্তা দূরে থাক। অডি কেষ্ট নিডস সাম ফান!
(তিন)
"অদ্বিতীয় স্যার! অদ্বিতীয় স্যার, আছেন?"
হঠাৎ আওয়াজে তন্দ্রাটা ভাঙলো অদ্বীতিয়র। ঘরে একটা নাইট ল্যাম্প জ্বলছে, ঘড়িতে সময় রাত দেড়টা। আবছা আলোয় লোকটার চেহারা চোখে পড়লো না ঠিক করে। নেশার ঘোরে ভয়ের বদলে একটা চাপা বিরক্তি এলো
"কে ভাই? কি চাই? কেন এতো চুদুরবুদুর তোমার?"
"স্যার নেশাটা একটু কম করলে হয়না? এতো দারুন গলা আপনার? আমি তো আপনার ফ্যান!"
এতো রাত্তিরে ফ্যান এখানে? কিন্তু অদ্বীতিয়র বেশ ভালোই লাগলো ব্যাপারটা, পাগলগুলো কি না করে! এর আগে একদিন কতগুলো মেয়ে এসে হামলে পড়েছিল! অদ্বিতীয় মজা পেলেন
"আরে ভাই তুমি আমার ফ্যান? তাই বুঝি ১২ তলার ফ্ল্যাটেও চলে এসেছো? জিয়ো, এই নাহলে ফ্যান। ভাই তোমাদের জন্যই আমি গানটান করি। সালা তোমাদের জন্যই তো গান করা, তোমরা না থাকলে কি আমার গান করা হতো বলো?"
"স্যার সে তো অবশ্যই, আমি আপনার সবচেয়ে বড়ো এবং পুরোনো ভক্ত স্যার।"
"আরেহ তাই নাকি?"
"হ্যা স্যার, আপনার সেই প্রথম ইউটিউব হিট, "মিউজিক ঢোকাও পশ্চাদ্দেশে" ! এরকম মাম্বলিং র্যাপ এর সাথে বাংলা পপ এর কম্বো, কে ভেবেছে? আপনি ভেবেছেন। আপনি আমাদের এক এবং অদ্বিতীয়, অডি কেষ্ট! ইউটিউবে ১ বছরের মধ্যে ১০ লাখের ওপরে সাবস্ক্রাইবার, ৪ নম্বর অ্যালবাম বেরিয়ে গেলো, ওয়ার্ল্ড ট্যুর করার প্ল্যান চলছে আপনার। এই তো আপনার সেকেন্ড হিট গান "বেবি তুমি আমার আলুসেদ্ধ" একটা বড় সিনেমায় দেখা গেলো।"
অদ্বিতীয় পুলকিত বোধ করলেন
"আরেহ সালা, তুই সব জেনে বসে আছিস? তুই তো চরম চিজ ভাই?"
"হ্যা স্যার, আর স্যার কি সব ফালতু মাল খাচ্ছেন। আজকের দিনে চাই পাউডার। আজকেই তো মস্তি হবে স্যার!"
"পাউডার অলরেডি নিয়েছি বে। আর না। কাল সাকসেস পার্টি আছে, লিজা আর অ্যাশ আসছে, জানিস তো কে? আমার মিউজিক ভিডিওতে ওরা থাকে। ওদের সাথে তো একটু মস্তি করবো, বাকিটা কালকের জন্যই তোলা থাক!"
"স্যার, কাল যা হবার হবে, আজকেই হোক না? কে বলতে পারে? যদি কাল না হয়? কাল হো না হো?"
"হাহাহা সালা শাহরুখ এর বাচ্চা এসেছিস! দাঁড়া পাউডারটা বের করি।"
"বের করাই আছে স্যার, ওই দেখুন! "
"হ্যা এই তো, ঠিক। আহ।"
"স্যার, কেমন লাগছে?"
"নেশা বে! সালা দেখিস পরের ডিস্ ট্র্যাকটাতে সবকটা হারামি যেগুলো আমাকে সারাক্ষন কাঠি করার চেষ্টা করে ওদের হুড়কো করে দেব!"
"হ্যা স্যার, সে তো হবেই, সে ট্র্যাক আপনার রেডি করাই আছে তো?"
"থাকবেনা আবার, "তোরা সব ডুবে মর" এটা হলো নেক্সট ট্র্যাক। সব কটা আঁতেল কে ঠুকে গানটা করা। মাম্বলিং র্যাপ এর বেস্ট এক্সাম্পল বুঝলি?"
"সেইজন্যই তো তোমার কাছে আসা, সেই এক্সাম্পল এর সোর্স টা আমার চাই। গানের সাথে গানের সোর্স টা চাই। তোমার গলাটা চাই! মানে জাস্ট চাই, আমাকে ফিরিয়োনা না প্লিজ?"
অদ্বিতীয় একটু থতমত খেলেন, "মানে?"
অপর দিকের আওয়াজটা একটু পরে এলো, "তোমার গলার নেশাতুর মাদকতায়, ডুবে যাই, স্রেফ ডুবে যাই। তোমার কথার অবিরাম কথকতায়, ডুবে যাই, স্রেফ ডুবে যাই।"
এটাও অদ্বীতিয়র সেই কলেজে লেখা গান, কিন্তু এটা খাতার মধ্যে চাপা ছিল! মহানগরের কুম্ভীপাকে এইসব বিসর্জন দিয়েছিলেন! এই জিনিসটা তো কারুর জানার কথা নয়! কে এই লোকটা? অপর দিকের আওয়াজটা বলে চলেছে তখন,
"তোমার সবকটা অ্যালবাম আমার কাছে আছে। আর তোমাকে আমি চিনি দাদা, তোমার গান এখন হিট। কিন্তু পরে যদি হিট না হয়, তোমার জায়গা অন্য কেউ নেয়?"
অদ্বিতীয় ঘামছেন, কিন্তু দমবন্ধ করা রাগ আর ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন
"আমার জায়গা কোন শুয়োরের বাচ্চা নেবে? কারুর ক্ষমতা নেই আমার জায়গা নেবার। এসব ভুলভাল কথা বললে থাবড়াব সালা।"
"না দাদা, ভেবে দেখ, তোমার এখন দিন চলছে, আস্তে আস্তে কিন্তু সেই দিন আর থাকবে না, পাবলিক একদিন রিজেক্ট করবে। করবেই। ভেবে দেখ। তাই এটাই সময় আমাকে গলাটা দিয়ে একদম পিক ফর্মে থেকে চলে যাবার! আর আমি তোমার এতো বড় ফ্যান, আমার কথাটা ভাবো একটু!"
"গলা দিয়ে যাবো, চলে যাবো, কি সব বলছিস? কেন যাবো? আমার অনেক কাজ বাকি, অনেক অ্যালবাম বের করতে হবে। আমি সালা রাজ করবো। সবাই আমার পায়ের তলায় থাকবো।"
"সে এখনই আছে, আর পায়ের তলাতেই থাকবে। কিন্তু দাদা, তোমার গলাটা চাই, ওটা আমার কালেকশনে লাগবেই। সময় নেই দাদা, আমাকে যেতে হবে। এখন ই দাও।"
"গলা কিভাবে দেব? আর কেন চলে যাবো? কোথায় যাবো? এই তুই অনেক ভাটাচ্ছিস, যা সালা বের এখন থেকে।"
"দাদা চ্যাঁচাচ্ছো কেন? পাশের ফ্ল্যাটের ঘোষ বাবু নাহলে আবার পুলিশ ডাকবে! মনে নেই, আগের দিন অ্যাশ কে নিয়ে যখন মস্তি করছিলে তখন ঘোষবাবু তোমাকে থ্রেট দিয়েছিলো! বেশি আওয়াজ করলে পুলিশ ডাকবে!"
"ঘোষ গাঁড় মারাক, আমার দেখার দরকার নেই। তুই আগে বের এখন থেকে!"
"না দাদা, তোমার গলা নিয়েই যাবো। এই দেখো হাতে কিন্তু স্ক্যালপেলটা ধরা আছে!"
একটা চকচকে স্ক্যালপেল এগিয়ে আসছে! জিনিষটা খুব চেনা! অনেকটা সেই জিনিসটার মতো যেটা দিয়ে অদ্বিতীয় নিজের শরীরকে লোমবিহীন রাখেন! অদ্বিতীয় রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন, শরীর অবশ হয়ে আসছে,
"কি করছিস? না! ওটা রাখ!"
"একটু ব্যাথা করবে, কিন্তু তারপরে সব ঠিক হয়ে যাবে! মনে আছে, কলেজে গাইতে ইটস বেটার টু বার্ন আউট, দ্যান টু ফেড অ্যাওয়ে ?"
"তুই কি করে জানলি? কে তুই? "
"আমাকে এককালে সবাই আদি বলত, এখন আর কেউ এই নাম ডাকেনা যদিও। তোমাকে খুব ভালো করে চিনি, বলেছি তো। এটাই সময়, দাও গলাটা দাও। স্ক্যালপেলটা ধরে আছি। তোমার লিগ্যাসি এটাই, ইটস টাইম! স্ক্যালপেল চলছে দেখো।"
অদ্বিতীয় স্থানুর মতো বসে রইলেন, গলার থেকে রক্ত বয়ে গেলো বুকের ওপর। সামনে সেই পুরোনো খাতাটা খোলা, অদ্বীতিয়র একটা বহু পুরোনো লেখা ওর মধ্যে জ্বলজ্বল করছে,
"দিন বদলের গান গাইবো, সবকিছু জ্বালিয়ে!
নিজের আগুনে পুড়বো, আত্মঘাতী মথ হয়ে।"
(চার)
জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের উপস্থাপিকা উত্তেজিত হয়ে ব্রেকিং নিউস পরিবেশন করছেন, "বিতর্কিত এবং জনপ্রিয় বাংলা মাম্বলিং র্যাপ-পপস্টার ও ইউটিউব আইকন অডি কেষ্ট ওরফে অদ্বিতীয় সরকার মাত্র ৩১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনাস্থলে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে ড্রাগ ওভারডোসের জন্য তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তার সাথে গলায় একটি গভীর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। আর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অডি কেষ্টর অ্যালবাম এর বিক্রি এখন আকাশচুম্বী। তার জীবনের সমস্ত ঘটনা এবং কেচ্ছা সম্পর্কে জানতে হলে চ্যানেলে চোখ রাখতে ভুলবেননা!"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন