নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মিঠুন কর্মকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মিঠুন কর্মকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মনি : মিঠুন কর্মকার



দাঁড়িয়ে রয়েছো ছবি হয়ে
আমি দেখেই চলেছি অনিমেষ
মনে হচ্ছে কোনো পরি যেন
আজ ধরেছে মানুষের বেশ ।

কেশ তোমার ময়ূর পঙ্খ
হাসিতে মুক্তোর ধারা
মুখের সৌন্দর্য্যতা হার মানিয়েছে
সহস্র নক্ষত্র তাঁরা ।

বস্ত্রে যেন তুমি রাজ কুমারী
বদন অপ্সরার ন্যায়
হাসিতে মন কেড়েই নিয়েছো
চক্ষুও অনেক কিছু কয় ।

কেশ তোমার যেন ময়ূর পঙ্খ
চাহনি তোমার মধুরান্ত
বিধাতা কি আমায় সুযোগ দেবে
হতে 'কালিদাসিয়' শকুন্তলার দুষ্যন্ত?

জানি তোমার লক্ষ্মীয় চরণে
সৌভাগ্যবান হতে পারবো আমি
যেন এক হতদরিদ্র
খুজে পাবে সর্পিয় মণি ।

বসন্ত দূত : মিঠুন কর্মকার



তুমি যে আমার স্বপ্নপরী
তুমি যে আমার অপ্সরা,
অবশেষে এসে হে প্রাণপ্রিয়ে
তুমি আজ দিয়েছো আমায় ধরা।

ওই হৃদয় হরণ করা মায়াবী চোখ
ওই মোহে ফেলে দেওয়া নিস্পাপ মুখ,
জানো কি প্রিয়ে আমায় যেন আজ
দিয়ে চলেছে এক অজানা মধুর সুখ।

ওই সুগন্ধে ভরা তোমার সুন্দর কেশ
ওই হৃদয় এলোমেলো করা অপ্সরীয় বেশ,
জানো কি প্রিয়ে, যেন বারবার মনে হয়
তুমিই আমার সেই আকাঙ্খিত স্বপ্নের দেশ।

হরিণের ন্যায় ওই চোখে তোমার
ইচ্ছে করে ডুবে থাকতে আমার,
হৃদয় সতেজ হয়ে ওঠে নতুন পথ পাই
যখন কর্ণে ভেসে আসে মধুর স্বর তোমার।

হাসিতে রয়েছে হাজারো মুক্তার তেজ
তোমার স্পর্শে ঘোচাতে পারি সহস্র ভেদ,
তুমি কি আমার জীবনসঙ্গীনী হবে প্রিয়ে?
দূরে সরিয়ে দিয়ে তোমার মিষ্টি মধুর জেদ।

"রাজখেলা" :মিঠুন কর্মকার



শিকল পড়িয়েছে মোদের হাতে
শিকল পড়িয়েছে মোদের বুদ্ধিতে,
শিকল পড়িয়ে করেছে বিকল
সুন্দর এই রাজনৈতিক ফন্দিতে ।

ডিগ্রি গুলো হয়েছে বোঝা
কোনো পথেই লাগে না সোজা
লক্ষ্যে স্থির রয়েছি আমি
তবুও কঠিন হয়েছে পথ খোঁজা।

রাজপথে কেবল যন্ত্রণাময় হাহাকার
শোনা যাচ্ছে শিক্ষিত বেকারদের চিৎকার,
নিজের অধিকারকে আদায় করতেও
হবু শিক্ষকদের খেতে হচ্ছে পুলিশের মার।

ছেড়া হচ্ছে পোশাক যারা শিক্ষিতা বেকার
কিছু জন বানিয়েছে রাজনীতিকে হাতিয়ার,
বোমা ও ধর্মই আজ রাজনৈতিক মহলে
এক খেলা দেখিয়ে চলেছে অতি চমৎকার।

সময় : মিঠুন কর্মকার



সময় তোমাকে দিতে পারে বিশ্ব
সময় তোমায় করতে পারে নিঃস্ব,
সময়ের খেলা কেহ জানে না
তাই হয়ে থাকো তুমি সময়ের শিষ্য ।

সময় তোমায় করতে পারে গরীব
সময় বানাতে পারে তোমায় ধনী,
সময় খেলে অতি রহস্যের খেলা
পেতেও পারো তুমি সর্পিয় মণি ।

সময় তোমায় অনেক শিক্ষা দেবে
জানাবে খারাপ মন্দ কিংবা ভালো ,
দুঃখের দিনে তুমি সবাইকে চিনবে
কে কতটা সাদা কিংবা কতটা কালো।

সময়কে কেহ অবহেলা করো না
সময় যে হয়  সবারই অতি দামি,
সময়কে তুমি কাজে লাগাতে পারলে
তবেই তো হতে পারবে, মানুষ এক নামি।

স্বপ্ন-পরী : মিঠুন কর্মকার


আর ঝরো না ও বৃষ্টি ভাই
                     দোহাই লাগি তোর,
তোর লাগি আজ বন্ধ হয়েছে
       নৌকা ক্ষেয়া দেওয়া মোর।
মাঝি আমি ক্ষেয়া দিয়েই
              মোর সংসারখানি চলে,
অতুরে দূরে বিদ্যুৎ চমকাইয়া
   কে যেন আসিতেছে দুলে দুলে।
কাছে আসতেই হৃদয় মোর
                  কেঁপে চলেছে হন হন,
কোন পরীর দেশ থেকে
            আজ তার অত্র আগমন ।
ভুলে গেছি আমি মাঝি
             দেখে এই অপ্সরীয় রূপ,
যেন স্বর্গ থেকে হেথায় এসে
           দিয়ে চলেছে দর্শনীয় সুখ।
বৃষ্টিতে ভেজা কালো চুল
                 আর চঞ্চল চক্ষু দুই খানি
হৃদয় ব্যাকুল করা কণ্ঠ স্বরে বলিল,
                আমায় পার করে দেবে তুমি?
কথা নয় যেন মুখ দিয়ে তার
                  বয়ে চলেছে অমৃতের ধারা,
আমি নিরবে নৌকা চালিয়ে চলেছি
                              লগি ও দাড় দ্বারা ।
হঠাৎ ভঙ্গিত হলে নিদ্রা
                     বসে পড়ি বিছানায় ,
একি দেখিলাম আমি,
কেন জাগিয়ে দিল বিধাতা মোরে হায় !
ছোট্ট বেলায় অনেক
                 পরীর গল্প শুনছিলাম আমি ,
স্বপ্নে দেখা দিয়ে আজ আমার
                  এ কি অবস্থা করিলে তুমি?
হে বিধাতা আমার সাথে
                       খেলিলে এ কি খেলা ,
আমি পাগলা নৌকায় পড়ে থাকি
                      সকাল সন্ধ্যা রাত্রি বেলা ।

ভারত :- মিঠুন কর্মকার


আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
যে হাতে আমি ঈশ্বরের প্রার্থনা করি
সে হাতে আবার আল্লাহকেউ ডাকি।
গির্জাতে গিয়ে প্রার্থনা করি,
আবার বুদ্ধের নীতিতে ধ্যানমগ্নও থাকি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি।

মোদের রক্ষার্থে কত বীর সৈনিক
প্রাণ বিসর্জন দেয় নিয়ে মুখে হাসি,
জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে গিয়ে তারা
দেশ রক্ষার্থে পায় খুশি এক রাশি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

যতই করি না কেন কোন্দল
দেশের কথায় যে মোরা একদল,
কতই না এল গজনী ইংরেজ রাশি রাশি
ভারত বীরেরাই উড়িয়েছে তাদের ঘাঁটি ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

কত না বেশ রয়েছে মোদের
কতই না রয়েছে খাদ্যরাশি,
সবাই সবার কথা বুঝি মোরা
যতই বা থাকি ভিন্ন ভাষাভাষী ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
ভারত কে আমি ভালোবাসি ।