নোটিশ বোর্ড
শিবানী বাগচী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিবানী বাগচী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
।।বেখেয়ালী স্বপ্নরা! ।।শিবানী বাগচী
,
কোন এক হেমন্তের অলস বিকেলে রঙচটা বেখায়ালী স্বপ্নগুলোকে টাঙিয়ে রেখেছিলাম দেওয়ালে পেরেক ঠুকে!
নৈঃশব্দে সুরসুরি দেওয়া তোর আলতো ছুঁয়ে যাওয়ায়,ওরা গোপন কামনায় নিবিড় হতে চায়;আজ তাই অকারনে আমার মৌনতাকে সম্মতি জানাই!
তোর মাথায় বিলিকাটা রাত আজও একি ভাবে খেলা করে আমার আঙুলের ডগায়;আমার মন জমুনায় নামে জোয়ার;উথাল পাথাল আছড়ে পরে আমার বুকে!
বুভুক্ষ লাঙলের ফলায় লাগে পলি মাটির সোঁদা সুবাস;বন মহুয়ার নেশায় গোধুলির রক্তিম আবেশে ওরা ডানা ঝাপটায়;খেলে রঙিন স্বপ্নের কাটাকুটি।
বর্ষা তুমি : শিবানী বাগচি
বর্ষা তুমি অঝোর ধারায়,
সকাল বিকাল সন্ধ্যা সাঁঝে!
অনুভূতির ভাল লাগা,
মন লাগেনা তাইতো কাজে!
ঘন মেঘে আকাশ ভরা,
গুড় গুড় গুড় শব্দ মাতন!
উঠছে হাওয়া তাল মিলিয়ে,
নুপূর পায়ে ছন্দে নাচন!
বর্ষা তুমি দুষ্টু ভারী,
সময় টুকু;তাও মনে নেই?
ইচ্ছে হলেই ঝরছো কেবল-
তোমায় ছুঁয়ে লাগছে ভালই!
ভিজছি তো বেশ ছাতার তলে,
পথ ঘাট সব জলেই ভরা!
বৃষ্টি আমি তোমার সাথে;
ভিজবো;হবো আত্মহারা!
ভিজছে মাঠ চাষের জমি,
সবুজ মাখা দূর বনানী -
হাওয়ার মৃদু একটানা দোল,
নুপূর পায়ে বৃষ্টি রানী!
ফলে ফুলে ভরলো ভূবন,
মন ভ্রমরার গুঞ্জরণ;
বইছে হাওয়া;শীতল ছোঁয়া,
মন উদাসী একতারা মন!
উজাড় করে স্বপ্ন বোনে,
চাষের জমি,খাটছে চাষী।
ফলবে ফসল ,ভরবে গোলা;
অনুভবে,প্রানের খুশী!
বর্ষা রানী তোমায় দেখে,
ময়ূর কেমন পেখম তোলে!
প্রেম সোহাগী বন ময়ূরী,
নাচছে কেমন পায়ের তালে!
তোমার নাচন বাড়লো বুঝি;
ভাসল জমি,গরীব চাষী-
ঘর বাড়ী সব কোথায় গেল;
জলের তলার স্বপ্ন গুলো?
ঝরছো কেন এবার থামো!
ঝর ঝরিয়ে ঝরছো কেন?
আর কতকাল ঝরবে শুনি;
সৃষ্টি ছাড়া ঘ্যান ঘ্যানানী?
.
কাটমানি : শিবানী বাগচী
রাজনীতিতে আজ হানাহানি,
জনরোষে পড়েছে কাটমানি!
দিন রাত হিংসায় হানহানি,
আগুন জ্বলছে জ্বলবে জানি!
মুখোসের আড়ালে ছদ্মবেশ,
দুর্নীতিতে আজ গেলো বুঝি দেশ!
নেতা নেত্রির লুঠতরাজে,
নোংরামিতে হলো আজ সব শেষ!
যারা যা নিয়েছো ফেরৎ দাও,
আমলারা ঝেড়েছে কত শত টাকা!
আজ কেন তবে স্বীকার করে না,
বন বন ঘুরছে যে নিয়মের চাকা?
কোমড় বেঁধে নেমেছে জনতারা,
এবার খুলবে হিসেবের খাতা!
দিদি দাদা তুমি সাবধানে থাকো,
জনজাতির নামে এ সব নষ্ট কথা!
কাটমানি ইস্যুতে রাজনীতি আজ,
এলোঝেলো দল নেই কোন কাজ।
ভোটের আগের লুটের বোঁচকা,
খুলেছে এবার বসে করবে রাজ!
এক দল ছেড়ে দল পাল্টাও,
হাত পাল্টে বেশী বেশী ঘুস খাও।
তাই বলি শোনো সময় থাকতে,
যেন কাটমানি সবাই ফেরৎ দাও!
বৃষ্টি হতে পারোনি :শিবানী বাগচী
হঠাৎ বৃষ্টি নামলো ভুল ঠিকানায় -
ভিজে ইচ্ছেদের সাথে ডুব সাঁতারে
হারাতে চাই জোছনা সিক্ত প্রশান্তি মেখে!
ঘুম আসেনা চোখে -
নিস্তব্ধ রাতের কোচকানো বিছানায়
তোর স্মৃতিগুলো দিয়ে কাটাকুটি খেলি!
ফেলে আসা রোজ নামচা,
গোলির মোড়ে আড়াল হয়ে চোখ ইশারা -
খাতার ভাঁজে,ব্যগের খাঁজে,
স্পর্শ খুঁজেছি বৃষ্টিতে ভিজে!
ইমনের নি রে গা তে আঙুলের ডগায়
লেগে থাকা ঘূণ পোকারা তাই
দেহ মন আজও কুড়ে কুড়ে খায়!
অঝোর ধারায় ভেসে যাক সব বিষন্নতারা --
অকাল বর্ষণে বৃষ্টি নুপূরের রিনি রিনি -
চেয়ে আছো মোর পানে;
কিন্তু তুমি তো বৃষ্টি হতে পারোনি?
জলে ভেজা রাত :শিবানী বাগচী
ঘুঘুর ডানাঝাপটানো গোপন শয্যায়
দু জোড়া চোখ;মুখটা বড় আবছা দেখা যায়!
রাতের ছায়ার ফিসফিসানি
নাকি ঘড়ির টিকটিক,
বলতো কে বেশী জোড়ালো?
দিশাহীন সুখের ঘোরে,
জোছনায় ভিজে বিছানায় ঝাঁপ!
তারাদের অট্টহাসিতে তরলের ফোয়ারা ছোটে;
এক ঘটি জলেই হাবুডুবু,সারারাত ভিজে যায়!
রাত জাগা চোখে প্রশ্নগুলো
কেবলি আছাড় খায় -
অধিকারহীন ভ্রুণ ঘাপটি মেরে প্রহর গোনে;
জন্মের ইচ্ছে পূরণ যে নিয়তির বরদান!
মুহূর্তগুলো বুঝি রাখবো লিখে
ডায়রীর শেষ পাতায় -
কেউ কিন্তু কোন প্রশ্ন করোনা?
-হাজার ভগ্নাংশে! -শিবিনী বাগচী
শ্যাওলার আস্তরনে চাপা পড়ে গেছে,
গলা পচা সমাজের সস্তা নৈতিক বোধগুলো!
রোষের দাবানলের ঝাঁঝালো গন্ধে
মিশেছে মৃত্যুর হাহাকার!
মায়ের বুক থেকে উপড়ে নেওয়া
হৃদয়টাকে খন্ড দিয়েছে বার বার!
ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুর অমোঘ
ছটফটানীর কাতরে ওঠা চিৎকারে -
মায়ের প্রসব কালীন যন্ত্রণা আছড়ে পড়ে!
যেন দূরন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে
জলন্ত অঙ্গারে কয়লা ঠেলা আর্তনাদ;
আকাশ বাতাস করেছে তোলপাড়!
হিংস্রতার নগ্ন মূল্যবোধ নিকশ কালো অন্ধকারে,
নেশা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে
ভালো লাগা কোনাগুলোর পরতে পরতে!
খুঁড়তে খুঁড়তে একদিন হয়তো আমরাও খুঁড়ে ফেলবো
নরপিশাচদের অস্তিতকে খন্ড দিয়ে হাজার ভগ্নাংশে !!
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)