নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অভিজিৎ দাসকর্মকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অভিজিৎ দাসকর্মকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ডাউন ট্রেন কর্ড লাইন লোকাল: অভিজিৎ দাসকর্মকার



...আরও নিম্নগামী হোতে চায় চোখের দৃশ্য-জল। 

মন বলে বস্তুটির পাশে উনকোটি প্রত্নস্বাক্ষর_____

অক্ষরে অক্ষরে মননের আদর্শলিপি কথা বলে;  তবুও
আবশ্যিক কোন documents দেখতে পাচ্ছি না

জ্যোৎস্নার সময়সীমায় চাতক পাখিটি রংবদল করে।
     কালো।  বাদামি।  সাদা।
   
নির্ধারিত ভাবে আকাশ আর গিরগিটির পোশাক বদলে শীতকালের সকাল আর গ্রীষ্মের দুপুরে ডাহুক পাখি ডাকে। 

       সময়ক্ষণটির ছায়ার পিছনে আবদ্ধ হচ্ছি।

ডাকছে আর ভাঙছে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঈষদুষ্ণ শরীরী কারু-কোষ ।

ও বলা হয় নি, আজ নিরুত্তাপ ছিলো স্টালিনের স্বেদনজল।

এবং
    ১টি ঘোষণায়
ডাউন ট্রেন কর্ড লাইন লোকাল ৩৩ মিনিট লেটে চলার খবরে
      গোটা পলাশ চত্তরের সরলরেখা জ্যামিতি বক্স হাতে ত্রিকোণমিতি করছে_____

আঙুলের কলকেলি :অভিজিৎ দাসকর্মকার



কিশোরীর শেষে
জলজ-শ্যাওলায় লি লি বাতাস,
ঢেউয়ে দোলা অসংখ্য ঘুনসি বাঁধা নস্টালজিয়া

অতঃপর গলায় ছোট্ট মাদুলি আর,
গোরুটির ইউরেনাস অর্বিটে জাবর কাটা বা
পায়রা উড়ে যাওয়া ডট্-বল লেখা দানাটির উপর

পুটুস ফুল বাড়ছে স্যাটেলাইট ছাতা ধরে
কানের কাছে শালিক পাখিটি ওয়েব লেন্থ আঁকা বৃষ্টিদুপুর বলেছিল
ভলতেয়ার তখনো সামনে দাঁড়িয়ে

পাটকুহু পাখিটি মুখে করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নক্সা কাটা টুনটুনি পাখির অভিনয় যাপনের আষাঢ়িকোষ

অহল্যাবাই রাস্তাটি ঠিক
অক্লান্ত জলের বুদবুদ ভিড়ে মিশে গেছে,  আর-
সরবনে দ্রুপদীপদের আলাপ

সা-পা ধরে তানপুরা
সকালে খবরকাগজ হাতে
মৈত্রী চ্যানেল শোনে আর-
চায়ের ঠোঁটে গরম ক্ষণিক চুমু, এতে -
শিবরঞ্জনী ও রাগ হারায়

কবি শান্ত হয় কলমে 
প্রেমিকার কোলে মাথা আর
আঙুলের কলকেলিতে আঙটির কলাকোষ
সোনা-জল হয়ে বয়ে যায়...

বহুরৈখিক : অভিজিৎ দাস কর্মকার



তার কাঁধে হেলান দিয়ে নয়নতারা গাছটি আদর খেতে চেয়েছিল | দোয়েল পাখি তুমি জানো! দেয়ালের ফাঁকে বটচারাটি স্বরবর্ণ শেখাতো |
     এখন তারাখসা আর নায়াগ্রা দুটোই তার পায়ের ছোঁয়া চায়|

সেট্রোনিলার গন্ধ, তিস্তা তিস্তা হাওয়া আর শিলিগুড়ি ভাষাতেও শুধু সে |
আমার হাতের ঘড়িটির সারা শরীরময় জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না সন্ধ্যে।

রান্নাঘর : অভিজিৎ দাস কর্মকার



ক.
দুটো ইট পাশাপাশি লম্ব ভূমি দিয়ে
অতিভুজ পাশে ডিপথেরিয়া ভাইব্রিসির
ডগায় নিয়ে বিড়াল মাসি মাছের
পিটুইটারি বঁটিতে কাটে।
খ.
টম্যাটো আর সাবান গুড়ির ঝগড়ায়
অসমান বৃত্ত
রান্নাঘর কোণার পাশে প্যাকেট দুধ ল্যাকটেট  ক্যাপশুলে বৃত্তচাপ আঁকে।
গ.
বাজারের ঝুড়ি আর ঝাঁটার মধ্যে দূরত্ব ব্যাপার থাকলেও সমিকরণ থেকে কিছু
অংক কথায় ত্রিভুজ চতির্ভুজ সরলরেখায় কাগজে প্রমানিত সমান্তরাল।
ঘ.
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে চাপ তাপ দিয়ে ওভেনবাবু উত্তেজিত হোতেই পদার্থ গুলো জামা-প্যান্ট খুলে ব্যারোমিটার ফেটে

ঙ.
এদিকের পেরেক থেকে উত্তর দেওয়ালের
দড়ি চার দেওয়ালকে কর্ণ বলে।দরজা তখনও অতিভুজ ভেবে বিসমত্রিভুজে আলকাতরা মাখে।
চ.
স্টীলের মগে পিতলের চামচ-গোঁদলের কোঁদল লাগতেই শব্দ-তরঙ্গ-লুপ নীচের রোয়াকে কাল্পনিক সরলরেখা টানে।
ছ.
নোনা কৌটো হলুদবাবুকে আলাদা ফ্লোরে দিলেও জিরেমশাই কু-মন্থরা। গরম ঘিলুতে পাঁচফড়ং নাড়াতেই গায়ে ফোস্কা ফোটে।
জ.
নীল ডাব্বার চাল ডেকচির নিকেল জলে ফেনাতেই ফুড ভ্যালু মুড়ি ভাজা হয়ে নাচে। টিনের কৌটোর স্পাইনাল কর্ডে সাঁতরে বেড়ায় বেরিবেরি।



ঝ.
বেসিন কলের মুখে তাকিয়ে প্রেমালাপ দিতেই কল থেকে বেরিয়ে এলো জল।
জল সেলাইন ওয়াটার নয়। কলের প্রেম নিবেদনে কিছু কুলকুচি শব্দই মিনারেল হয়ে বেসিনের ঠোঁটে লেপ্টে যায়।

ঞ.
অনেক জ্যামিতিক ঝনঝনানিতে বাসনের রেক মাথার পেরেকের সাথে চু-কিৎকিৎ তীব্রতার আলোকবর্ষেই ভেঙে যায় পাঁচটি পুরনো সম্পর্ক।

ট.
রোয়াকের উপর ফাঁকা বিসলেরি বোতলের
মধ্যে রেশনের কেরোসিন সাপ্তাহিকী পড়ে চোদ্দ কেজির সিলিন্ডারে আজ গ্যাস হয়েছে অ্যাকুয়াটাইট আড়ং-এ জোয়ান ঢেকুর তোলে।
ঠ.
ডাইনিং টেবিলে পাতা কাগজ পড়াশুনোতে বর্ণমালা ঝ ট প ট উল্টে নিতেই থালা বাটি গ্লাস বাবুদের বিরক্তিতে নুনদানিটি গড়িয়ে পড়লো,ছড়িয়ে গেলো গনতন্ত্র ,নোনা...

আঙুলের কলকেলি :অভিজিৎ দাসকর্মকার



কিশোরীর শেষে
জলজ-শ্যাওলায় লি লি বাতাস,
ঢেউয়ে দোলা অসংখ্য ঘুনসি বাঁধা নস্টালজিয়া

অতঃপর গলায় ছোট্ট মাদুলি আর,
গোরুটির ইউরেনাস অর্বিটে জাবর কাটা বা
পায়রা উড়ে যাওয়া ডট্-বল লেখা দানাটির উপর

পুটুস ফুল বাড়ছে স্যাটেলাইট ছাতা ধরে
কানের কাছে শালিক পাখিটি ওয়েব লেন্থ আঁকা বৃষ্টিদুপুর বলেছিল
ভলতেয়ার তখনো সামনে দাঁড়িয়ে

পাটকুহু পাখিটি মুখে করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নক্সা কাটা টুনটুনি পাখির অভিনয় যাপনের আষাঢ়িকোষ

অহল্যাবাই রাস্তাটি ঠিক
অক্লান্ত জলের বুদবুদ ভিড়ে মিশে গেছে,  আর-
সরবনে দ্রুপদীপদের আলাপ

সা-পা ধরে তানপুরা
সকালে খবরকাগজ হাতে
মৈত্রী চ্যানেল শোনে আর-
চায়ের ঠোঁটে গরম ক্ষণিক চুমু, এতে -
শিবরঞ্জনী ও রাগ হারায়

কবি শান্ত হয় কলমে 
প্রেমিকার কোলে মাথা আর
আঙুলের কলকেলিতে আঙটির কলাকোষ
সোনা-জল হয়ে বয়ে যায়...

জীবাশ্মবিন্যাস; অভিজিৎ দাসকর্মকার


পাতার জীবাশ্মবিন্যাসে সন্ন্যাসী চাঁদ চর্যাপদ পড়ে
তার নিরক্ষর জ্যোৎস্না আঁচড় কাটে পত্রফলকের জালকশিরায়
নিম্বাস মেঘের ধূসর ছায়াতলায় দাঁড়াই
নাকি
রুদালির বুক ফাঁকা মরীচিকা?
তুলসী গাছের নাকে তুলোর ভূগোল।

চোখের ড্রপে অ্যাকোরিয়ামের জল
গলার ভিতর টেট্রা গ্রুপের মাছ
ছটফট করে ঘুমের ঘোরে
রাতের রাস্তায় হতভম্ব অন্ধকার হ্যালোজেন কুড়াচ্ছে-

এগিয়ে দেওয়া ধমনীতে
এককোষি প্রাণীর জারণ-বিজারণ
মৌলিক সম্পর্কটি আজও মেরুদণ্ডহীন
মন্দারমণি লেখে আজলার জলে।

সাংবাদ : অভিজিৎ দাস কর্মকার



ভূগোলের শব্দে সিবেকের বিজ্ঞান
কানেক্টিং পিপলস-এর সিগনালে

পশ্চিম রাস্তার গাছটি
কবিতা কুড়ায় ছায়ানীচে-

টানটান মুহুর্ত্বরা নীল আলোয়
নাইট মেয়ার হয়ে আছে চোখের ঠিক কোণে।

নিউটন খোঁচা দেয় মাধ্যাকর্ষনে
তৃতীয় সূত্রে আত্মীয়ের এপিটাফ জমে দেওয়ালের অক্ষরে লেখা হয় মহাকাব্য।

ডিজিটাল যোজনা,
রাস্তায় লাল রঙে জ্বলজ্বল করছে-
শুয়ে আছে গণতন্ত্র নামক বিষয়বস্তুটি।

প্রকৃতি হন্নে হয়ে ছুটে চলে, আর সোসিওলজিতে পথ ঝাঁটানির কণ্ঠস্বর।

সম্ভ্রান্ত বিশ্রামের শেষ লাইনগুলি : অভিজিৎ দাসকর্মকার



...নেভার আগেই
শরীরের রক্তকণার জীবনপ্রবাহ
শুষে নেয় ভারীজল
তখনও
চর্যাপদের এপারে সমবেত হচ্ছে
হলুদ স্তব্ধতা, আর-
খোলা চিঠির বাছাইকরা পদ্যটির পদধ্বনি-

গতবেলার গাঢ় জলীয় দ্রবণে
সম্মোহিত হয়
ভিজে যাওয়া অতিবেগুনী রশ্মি।
চিরশান্তির এবং দুশ্চিন্তার
অনুঘটকে মিশে আছে
নীলনদের জমাট বাঁধা
দ্বিতীয় কিনারা-

মাধুর্যহীন প্যারাগ্রাফের মাঝে
জিরো-আওয়ারের কৌতুহল,
অথবা -
সম্ভ্রান্ত বিশ্রামের শেষ লাইনগুলি
এখনও কী সঠিক ব্যালেন্সে দাঁড়িয়ে?

উল্লাস :- অভিজিৎ দাস কর্মকার



এখনো নামেনি বৈশাখি,
গ্রহান্তর ছেড়ে-
নিম্বাস একটি মেঘেরই নাম
অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ঝাপাটায় অশ্বশক্তির দলিল
কল্পনাপ্রবণ সন্ধ্যেগুলোয় পিঠ চাপড়েছিলো
বিজ্ঞাপন আর চোখ
বিভাসরাগে জ্বালিয়েছি ইশারার মোমবাতি সমাধির নীচে ঐতিহাসিক মালিকানায়
রাত বদলে যাচ্ছে স্বেচ্ছাচারীতায়
মাননীয়,
আমি টাল খাচ্ছি
হৃদপিণ্ডে উভচরী শব্দের শিলাবৃষ্টি
আলটপকাই উপত্যাকার সাথে শুয়ে পড়েছি-
এবং
অসাধারন ব্যক্তিত্বে বায়োমেট্রিক ছাপ
বিকেলবেলা বাড়ালো মান্দাক্রান্তা ছন্দটি
আমারা মনের হসপিটাল সেই
নিকুঞ্জতলার কালো লক্ লকে মেয়েটি
যার যৌনতা গাছের ছায়া আর
গন্ধ হয়ে মিশে গেছে সপ্তাহের শেষে
আমি এখন বৃদ্ধ
কোমর অব্দি ব্যাথাটা নিয়ে
চিল্কায় দাঁড়িয়ে ঢেউ ফেরা দেখি মহেঞ্জোদরো আর ঈশ্বরের দিব্যি লেখা
একটি ঔঁ আর
কিছু কিটসের রোমান্টিকতার উল্লাসে... **

দক্ষিণমেরু আর আমার বিক্ষত ব্যক্তিত্ব... অভিজিৎ দাসকর্মকার



কৃষিক্ষেত গুলি
আজন্মকাল কোলের কাছে
হলুদ রং মেখে সম্পৃক্ত হচ্ছে...

রাস্তার ধারে অপলক ফুটপাত-

অবশিষ্ট বৃষ্টিগুলো নদীর জলজকলার
দীর্ঘছায়ায়
তবুও
ভৈরবী গান করে তানপুরা আর
সংসারি আঙুল

নদীগর্ভ আর গেরস্ত শরীর
আক্রান্ত রিপু থেকে তুলে নেয়
গরিষ্ঠ সাধারণ গুনিতক

পড়ে থাকে
প্রাচীন অস্থিরতার প্রতিসৃত নাড়িটান

হে পরম পুরুষ
অন্ধকার ও দায়বদ্ধতা থেকে
সামনে দাঁড়িয়ে
    গোধূলির ক্লান্তি 
         দক্ষিণমেরু আর-
              আমার বিক্ষত ব্যক্তিত্ব...

হৃৎপিন্ড.... অভিজিৎ দাসকর্মকার


একটি ম্যাসোচিস্ট ট্রাম
সমান্তরাল পরিধি ধরে বাড়ছে-
তিলোত্তমা আর জ্যোৎস্নার ঘাস
মুহুর্তটির নাম দিয়েছে,
                                 ফাটল...
তাই
কোজাগরীও আজ আহ্লাদী
ছন্দভাঙা অক্ষরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
শুক্রাণুর গন্ধ____

দিঘির জল হস্তান্তর করছে
একটি ভারহীন সন্ধ্যা
নাম রাখলাম হৃৎপিন্ড...

বিকেলের আসা বাকি... অভিজিৎ দাসকর্মকার।



যতটা পূর্বনির্ধারিত দূরত্ব এগিয়ে গেলে
সুর্যের কক্ষে গোধূলির শব্দতরঙ্গ বিচ্ছুরিত হয়
সেই খানে ছেলেটি উলম্ব  দাঁড়িয়ে
               সূক্ষ্মকোণে জ্যা-মিতি করে
           
চাঁদ যেন আলতামিরা গুহার হলুদ জ্যোৎস্নায় ভাষাস্নান করে
স্তবক থেকে স্তবক
    পরস্পর কৃষ্ণচূড়া দেওয়া নেয়া করে---

সুপ্তি ম্যাডামের অনার্স উচ্চারণে প্রবীন বৃষরাশির অবায়বীয় হাসি মুখ-

নীল তন্তু নিজেকে ফাটিয়ে ছায়া বরাবর উড়ছে

নির্দেশনামায় দেখো,
শুখের অনিবার্য কার্নিশে
তখনও আবশ্যিক বিকেলের আসা বাকি।

ম্যাসোচিস্ট..... অভিজিৎ দাসকর্মকার



এক বালতি জল তাকে
বেগের মান অভিমুখের পরিবর্তনহীন সমত্বরণে রাখা মাত্রই
দ্বিতীয় পুলকেশি শিলালিপি লেখে
অশ্বক্ষুরাকৃতি মালভূমিতে।

অসংখ্য ব-দ্বীপে অশান্ত গঙ্গার পলি পড়ে জীবাশ্ম হয়েছে আজ
ছোট বালিয়াড়িতে ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
সি-ইউ-কি র পাতা ওল্টায় আর
তৃতীয় গতিসূত্রে নিউটনের সাক্ষাৎকার নেয়

যে স্লোগানটি উত্তোলনের পর বি-বা-দি বাগে ফটকা ফেটেছিল
আর্কিমিডিসের বাউন্ডারি ভেঙে উপচে পড়া জলে পিছল খেয়েছিল
ফরাসি শব্দের সামনে রাখা বেদের আরণ্যক ভাগ।

অথচ মুখ শুকনো করা লাইন হাতে বনলতা কবি আজও দাঁড়িয়ে
কাঁধে দাঁড়ি-ব্যাগ আর
সেই বিখ্যাত ম্যাসোচিস্ট ট্রাম...**

হে গিরিরাজ... অভিজিৎ দাসকর্মকার



তারপরও
ছায়ারাও বাবার আচরণে
বৃক্ষের নীচে দাঁড়ায়-

বিস্তীর্ণ কাঁসাইয়ে কৃষ্ণগহ্বর
নদীর সাথে শুয়ে আছে
স্নানঘাট গুলি
কাব্যের স্পষ্ট একাকিত্ব,আর-
নাব্যতার বৈধব্য নিয়ে-

মহড়া সাজাও
হে গিরিরাজ,!
আজ কিছুটা আলতা পরে
হেমলক খাবো
তোমার সোসাইটির সক্রেটিস বলে...

গাছের ভিতরে অভ্যাস লিখেছি : অভিজিৎ দাসকর্মকার



আজ হঠাৎ প্রতিফলিত হচ্ছি
জিভের ভিতর
পতঙ্গভূক হয়েছি স্ত্রী-লিঙ্গেরই ছায়া বরাবর।

গাছের ভিতরে অভ্যাস লিখেছি।
আমি ভিজেছি
         নীলা আর মেঘমিলনে-

আনন্দ একপ্রকার লাফদড়ি-
নদীতে হাসিনি কেনো বিকেল জানে
অথচ
ওখানে চলছে রাসায়নিক আড্ডা
পাখি নেই
ফটোগ্রাফার নেই
শুধু রেশম আছে, তারপরও-
          ভাঙা গালের
তোবড়ানো কথায় কাঠপোকার গায়ে
দক্ষিণ-পূর্ব হয়ে যাচ্ছি...

আধখানা অপেক্ষা :অভিজিৎ দাসকর্মকার





আমাকে যে তিলটি ভাবিয়েছে
কল্পনাপ্রবনে ফিরে এলাম-

দিগন্ত আসছে-

ট্রাপিজিয়ামের দেওয়ালে
গতকালের রাত আশ্চর্য হচ্ছে
শব্দকোষ সিগারেট টানছিল
সময়ের মুখোমুখি

তীব্রতাকে মধ্যাহ্নভোজন করাবো-

উচ্চাঙ্গসংগীতে যৌবন উড়ছে
সাক্ষী থাকুক কৃষ্ণপক্ষের জ্যোৎস্নাকলা

অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ধস নেমেছিল সূচক ধরে
বাদ দিয়েছে তিল
ছায়াগন্ধ নিয়ে আল্পনা দিচ্ছি
চোখের রাতজাগা কালিতে

মহোদয়া
অব্যবহৃত তোষকের নীচে আমার কান্না রাখা
বিপরীতপন্থীরা স্নানজলে ধুয়ে দিচ্ছে
আধখানা অপেক্ষা

জল: অভিজিৎ দাসকর্মকার



একটু জল আর
না-ধোয়া রসায়ন ভাঙে
অক্সিজেন পরমাণু।

সারাদিন রাসায়নিক ভাবে সংগঠিত হয় জলের পরমাণুটি---
হাসির আলোকদশায়, হাইড্রোজেনের দ্রাব্যতা স্পষ্ট।

ঠাট্টার নজরে মলিন চোখের কোণায়, আজও কৃষ্ণচূড়ার ফুলফোটে-

আসলে অনুঘটিত ছিলাম-
গাল বেয়ে সরেসপেশীর অনর্গল যাতায়াত,

কেনোনা ---
জল ফেলেছিলাম অনেক
কিন্তু হাত ধোয়া হয়নি এখনো...

ডাউন ট্রেন কর্ড লাইন লোকাল : অভিজিৎ দাসকর্মকার





...আরও
 নিম্নগামী হোতে চায় চোখের দৃশ্য-জল 
   মন বলে বস্তুটির পাশে উনকোটি প্রত্নস্বাক্ষর 

অক্ষরে অক্ষরে মনের আদর্শলিপি কথা বলে তবুও
আবশ্যিক কোন ডকুমেন্টস দেখতে পাচ্ছি না

     জ্যোৎস্নার সময়সীমায় চাতক পাখিটি
রংবদল করে
    
নির্ধারিত ভাবে আকাশ আর গিরগিটির পোশাক বদলে
      শীতকালের সকাল আর গ্রীষ্মের দুপুরে
      ডাহুক পাখি ডাকে
এবং 
    ১টি ঘোষণায়
ডাউন ট্রেন কর্ড লাইন লোকাল ৩৩ মিনিট লেটে চলার খবরে 
    গোটা পলাশ চত্তরের সরলরেখা
    জ্যামিতি বক্স হাতে ত্রিকোণমিতি করছে

আধখানা অপেক্ষা...:অভিজিৎ দাসকর্মকার




আমাকে যে তিলটি ভাবিয়েছে
কল্পনাপ্রবনে ফিরে এলাম-

দিগন্ত আসছে-

ট্রাপিজিয়ামের দেওয়ালে
গতকালের রাত আশ্চর্য হচ্ছে
শব্দকোষ সিগারেট টানছিল
সময়ের মুখোমুখি

তীব্রতাকে মধ্যাহ্নভোজন করাবো-

উচ্চাঙ্গসংগীতে যৌবন উড়ছে
সাক্ষী থাকুক কৃষ্ণপক্ষের জ্যোৎস্নাকলা

অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ধস নেমেছিল সূচক ধরে
বাদ দিয়েছে তিল
ছায়াগন্ধ নিয়ে আল্পনা দিচ্ছি
চোখের রাতজাগা কালিতে

মহোদয়া
অব্যবহৃত তোষকের নীচে আমার কান্না রাখা
বিপরীতপন্থীরা স্নানজলে ধুয়ে দিচ্ছে
আধখানা অপেক্ষা...

অভিজিৎ দাসকর্মকার





১ টি বৈধব্য সান-পাথরের গায়ে
*******************


১টি বনসাই মানিপ্লান্ট গাছের পাশটিতে
২টো প্লাস্টিক পাতা 
২য় ফুলটি শালুকপাতার উপরি তলের বুদবুদে জলজকোষ পড়ে
XY ক্রোমোজোমে পুরুষ-নারীর হাত ধরাধরি পড়ে
ভালদারামার গোল পড়ে, আর-
||
১ম কদমফুল হয়ে 
সাদা-কালো উত্তম-সুচিত্রা লেখে
'নীড় ছোট ক্ষতি নেই' শোনে-
কোমরে আদর জড়ানো বারান্দা বলে আর -
সামনে এসে দাঁড়ায় চাঁদ
গায়ে প্রুসিয়ান রঙের জ্যোৎস্নাকলা
||
চাঁদকলা আর সুর্যকোষের মেঘমিলনে 
বিশমিল্লাহর সানাই বেতার তরঙ্গের দরজা খোলে 
১ টি বাদাম গাছ বাড়িয়ে দিয়েছে বর্ষাসকালের রান্নাঘর  আর 
মেঘমল্লারের আলাপী নদী 
তাতে
||
১টি ডিঙি নৌকা তারই অব্যক্ত অবয়ব রেখেছে 
বাৎসল্যময়ী ১ টি বৈধব্য সান-পাথরের গায়ে...