নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রোজনামচা : জারা সোমা



ঘুম ভাঙলেই জরিপ করি প্রতিবিম্ব
গোপনে হাত রাখি কাঁধের কাছে
অর্ধ মেলানো যতি চিহ্নে
দৃশ্য বিভ্রমের মতোই ভেসে ওঠে
একের পর এক স্মৃতি

ইচ্ছে গুলো কখনও হয়ে যায়
মেঠো ইঁদুর, রমন পারদর্শিতায়
খুবলে নেয় শস্যের অধিকার
কখনওবা ময়াল সাপের মতোই
আষ্টেপৃষ্টে বাঁধে মোচড়ে,
কখনও বা উঠোনের গন্ধরাজ
সুবাসে মাতোয়ারা সকালে

ক্রমশ বয়েস বাড়ে সকালের
সাতটা বাজলেই টিভিতে
শুরু হয় আরেক আমন্ত্রণ
গানে গানে মুখোরিত সকালে
আত্মজদের স্কুল কলেজের তোড়জোড়

রোমনামচার মাঝে অপেক্ষা করে
 মাথা ভর্তি কুমন্ত্রণারা।।।।


নতুন পৃথিবী চায় : গোলাম মোস্তাফা লিটু



যে শিশুটির নেই ঠিকানা
নেইকো আপন ঘর
যে শিশুটি গ্রীষ্ম বর্ষা শীত নয় শুধু
সারাবছর থাকে পথের 'পর।

সেই শিশুটির জন্য একটা
নতুন পৃথিবী চাই
যে পৃথিবীর বুকে শিশুর
ঘরের অভাব নাই।

যে শিশুটি ক্ষুধার জ্বালায়
ময়লার'পর খাবার খুঁজে ফেরে
যে শিশুটির দিন কেটে যায়
অর্ধাহারে কিংবা অনাহারে।

সেই শিশুটির জন্য একটা
নতুন পৃথিবী চাই
যে পৃথিবীর বুকে শিশুর
খাবারের অভাব নাই।

যে শিশুটি পায়না আদর
মায়া-মমতার স্নেহ ভালোবাসা
যে শিশুটির জীবন জুড়ে
নিদারুণ দুঃখ্য-কষ্ট ঠাসা।

সেই শিশুটির জন্য একটা
নতুন পৃথিবী চাই
যে পৃথিবীর বুকে শিশুর
স্নেহ ভালোবাসার কোন অভাব নাই।

যে শিশুটির সাধ আহ্লাদ
হয়না কভু পূরণ
যে শিশুটি অনেক কষ্টে
কোনমতে করছে জীবন ধারণ।

সেই শিশুটির জন্য একটা
নতুন পৃথিবী চাই
যে পৃথিবীর বুকে শিশুর
জীবনধারণে কোনও কষ্ট নাই।


জয়দেব বেরার দুটি কবিতা



১.
শাহরুখ খান (SRK)
       
 তুমি ভারতের গর্ব
তুমি ভারতের সেই উজ্জ্বল শুকতারা,
তোমার DDLG মুভি দেখেই
 আমি হয়েছিলাম দিশাহারা।।
 তুমি অভিনয় জগতের নক্ষত্র
তুমিই মোদের রোমান্টিক বাদশা
তাই তো তোমার জন্মদিনে
তোমায় জানাই শতকোটি ভালোবাসা।।

২.
একটি কলমের আত্মকথা
         জয়দেব বেরা

হ্যাঁ, আমি একটি কলম
কিন্তু, নই কেবলমাত্র নিবযুক্ত কালিভরা একটি বস্তু।
হ্যাঁ ,আমি একটি কলম,শক্তিশালী কলম
যার স্পর্শে কেঁপে উঠতে পারে এই সমগ্র সমাজ।
হ্যাঁ ,আমি একটি কলম,ক্ষমতাশালী কলম
যার ক্ষমতার স্পর্শ থাকে সমাজের সর্বত্র।
হ্যাঁ ,আমি একটি কলম,সূর্য্যের ন্যায় তেজস্বী
যার ছোঁয়া থাকে শিক্ষায়-দীক্ষায়,অনুভবে-চিত্তে,যুক্তি ও বিচারে।
হ্যাঁ, আমি একটি কলম,যা বিচারকের হাতের অস্ত্র
যার লেখণীর স্পর্শে বাঁচিতে ও মরিতে পারে কোন এক মানব।
হ্যাঁ, আমি একটি কলম,যা সত্য, সন্দুর ও ন্যায়ের প্রতীক
কিন্তু,নই কোন এক কাঠামো যুক্ত সাধারন বস্তু।
আমি হলাম এক শক্তিশালী,ক্ষমতাশালী,তেজস্বী কলম
হ্যাঁ,আমি একটি কলম।

শাহীন রায়হানের দুটি কবিতা


.
১.
হারিয়ে খুঁজি হেমন্তে

ক্যালেন্ডারে প্রতিনিয়ত ঋতু বদল হয়
বাহারি কবিতার তুমুল বৃষ্টিতে ভেজে ফসলের মাঠ-
কবিতায় কবিতায় গানে গানে চলে
শুধু হেমন্ত বন্দনা।
কবির কল্পনায় নবান্ন আসে
শিশির ভেজা হিম কুয়াশায়।
পিঠাপুলির ঘ্রাণে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে উদাসী গঙ্গাফড়িং
চারুকলা রমনার বটমূলে চ্যানেলে চ্যানেলে চলে
হেমন্তবরণ।
..
জীর্ণ বিদীর্ণ কৃষকের অন্ধকার খুপরিতে
বাস্তবে হেমন্ত কোথায়!
সবুজহীন রিক্ত মাঠ আজ ধূমায়িত-
ইটভাটার দখলে।
আগ্রাসী নগরায়নে কান্না হয়ে ঝরে যায়
কৃষকের খুশির নবান্ন। তার নির্ঘুম রাত কাটে
চোখের জলে হারিয়ে যাওয়া নবান্নকে খুঁজে খুঁজে-
ফসলহীন আর্তনাদে বেদনার বিস্তীর্ণ পর্দায়-


২.
বিমূর্ত সুখ


এক বিমূর্ত সুখের সন্ন্যাসী আমি-
তবু,
ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দে ঝুলন্ত পেন্ডুলামে
পুরানো পত্রিকায় স্মৃতি-বিস্মৃতির আঁকিবুঁকিতে এতিমের বক্ষপিঞ্জরে সকালের খোলা জানালায় কাশ্মীর থেকে কারবালায় সসীম থেকে অসীমে অনন্তে অনন্তে....
ওর দেখা যে কোথাও পাইনি-

বিমূর্ত সুখ যে আজ বিলুপ্ত ডাইনোসর।
মরীচিকার মতো এক খোলস বদলানো নদী।
অনন্ত সূর্যলোকে পোড়া হাজার বছরের এক কল্পিত প্রত্নতত্ব।

বিপ্লব গোস্বামীর দুটি কবিতা

1.
হয়তো তুমি আসবে ফিরে

হয়তো তুমি আসবে ফিরে
ভাঙ্গা বুকের ভাঙ্গা নীড়ে।
আসলে কাছে বুঝে নিও
ভেজা চোখের ভাষা।
ইচ্ছে হইলে মিটিয়ে দিও
ভাঙ্গা বুকের আশা।

হয়তো তুমি আসবে ফিরে
শুকনা গাঙ্গের ভাঙ্গা তীরে।
আসলে ফিরে নাও বাইও
শুকনা গাঙ্গের জলে।
ইচ্ছে হইলে মিশে যাইও
কুল হারাদের দলে।

২.
তুই আমার সব

  তুই আমার সবরে বন্ধু
      তুই আমার সব,
 দূরে গেলে ধ‍্যানলোকে
        করি তব স্তব।
 তুই আমার প্রথম প্রেম
     তুই আমার শেষ,
 তোর জন‍্যে সর্ব ত‍্যাগি
    ধরব ভিগরী বেশ।
তোর কারণে বেঁচে আছি
 মরতে রাজি তুই বললে,
 রাতের তার এনে দেব
  তোই বায়না ধরলে।
  তুই হীন বাঁচা কঠিন
    থাকব হয়ে তোর,
তোর কারণে পারি দেব
        সাত সমুন্দর।

শ্যামল কুমার রায়ের দুটি কবিতা

জলছবি

জীবনের কঠিন সময়, মন খারাপের মুহূর্ত
একরাশ হতাশা আর চরম বিরক্তি!
কানহার মতো কে যেন বলে গেল-
এটাই কি প্রথম দুঃসময়?
ফিরে দেখা জীবনের শৈশবে,কৈশোরে,যৌবনে-
কারা যেন বলেছিল-"ওর কিচ্ছু হবে না।"
আজ ওরাই কুৎসাপক্ষ।
অক্ষমের সান্ত্বনা তো কুৎসাতেই।
তবে জীবনের পরিক্রমণ তো ভারী অদ্ভুত!
স্থায়ী সুখ, শান্তি যেন সোনার পাথর বাটি
আসলে সংসারে সুখ তো ভীষণ অনিত্য
এই আছে তো এই নেই।
ভাঙাচোরা জীবন, অস্থির সময়
নড়বড়ে জ্যোতিষ আর চওড়া মার্শাল লাইন
                                        ভরসা জোগায়।কোথাও যেন একটা চাপা থাকা জেদ,স্থির বুদ্ধি
আর হিম শীতল মস্তিষ্ক দৃষ্টি ঘোরায়
ভরসা করে থাকা মুখ আর ভরসার মুখের দিকে
তোকে পারতেই হবে আনন্দ।
ছোট্ট অথচ অনতিক্রম্য দূরত্ব
বৈঠা পার হওয়াই তো জীবন
আর ওপারে? চিরশান্তি।
       ------------------------------------------



আম্লিক
             

আবার একটা নতুন বাড়ি
নতুন করে লাগলো বকুল গাছ,
বকুল গাছের তলায় দেওয়া
আবার প্রথম প্রতিশ্রুতি।
উস্কে দেয় পুরোনো স্মৃতি -
ফেলে আসা দিন,
রেখে হাতে হাত-
জীবন যুদ্ধের অসংখ্য কথামালা।
ক্ষত বিক্ষত মনের আয়নায়
অজস্র আঁচড়ের চিহ্ন।
তৈরি করে বেদনার বিষ বাষ্প।
তোকে কিছুতেই কাছে আসতে দেয় না।
বেদনা বিধুর জীবনে শুধুই শূন্যতা
গড়ে তোলে আম্লিক ভবিষ্যত।
           ----------------------------

প্রতিসৃত : ভগ্নপুরুষ



আবাসভূমি থেকে গড়িয়ে পড়ছে
শিবরঞ্জনীর ধ্যানমগ্নতা___

আমি বোধহয় আরও প্রতিসৃত হবো!--

দৃশ্যে যে ঠিকানা লেগে আছে অবচেতন হয়ে, রাত ২টো-র দখল ছেড়ে ঘ্রাণপুরুষটি গভীরতার ঘোরাটোপে কিশোর-কিশোরী খেলছে__

এখনও রোজ ভোরে রাতের সমঝোতারাও চায়ের টেবিলে বসে
সমাদৃত হবার পর ডান হাতটি উদ্ধার করতে চাইলো নারীর উর্বরতা ---

কাঙাল : সত্যপ্রিয় বর্মন



ও দাদা আমার বড় বিপদ
মনে বড় দুঃখ,
আমার আসপাশটা বড় ফাঁকা
খুব একা হয়ে গেছি দাদা,
সত্যি বলছি -
একটু সঙ্গ দরকার ছিল আপনার,
দুঃখগুলো শেয়ার করতাম
একটু সময় পাওয়া যাবে?
একটু পাশে বসতাম
কথা বলতাম…

বলতে বলতেই হেঁটে যাচ্ছিলাম ফুটপাথ ধ'রে।
রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড়
আমি প্রত্যাশি নয়নে চেয়ে ছিলাম ওদের দিকে
কেউ পাশে এসে দাঁড়াল না,
অনেকে অবশ্য সামান্য সমবেদনা জানিয়ে চলে গেল
ব'লে গেল - সবারই ওই এক…
অনেকে আড়াল খুঁজল
অনেকে আড়াল থেকেই বলল - বেশ হয়েছে।
কেউ আমার প্রত্যাশি চোখের দিকে তাকিয়ে
প্রেরণা জাগিয়ে বলল না - পাশে আছি।

এই সামান্য কথাটি শুনলেই হয়তো বেঁচে যেতাম

অমৃত : সুমিত মোদক



যে মানুষ গুলো প্রথম থেকে মরে আছে
ভিতরে ভিতরে ,
তাদের জন্য সমুদ্র মন্থন ;
তাদের জন্য অমৃত কুম্ভ ;
#
 জানি ওরা কেউই অমৃত পাবে না ;
কারণ , ওরা কুম্ভটাকে পেয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেবে ;
ওরা কেউ বাঁচতে শেখেনি ;
শিখবেও না ;
অন্যকে বাঁচানো তো
অনেক দূরের ভাবনা ;
#
তুমি ওদেরই নতুন প্রজন্ম ;
তুমি নাও অমৃত ;
মহাকালের অমৃতবাণী সকল ।।