নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রুদ্র সুশান্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রুদ্র সুশান্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি:রুদ্র সুশান্ত



বেহিসেবি জোছনার প্রলেপে হয়তো তোমার চোখের রঙ আঁকা, আজো রোজ রোজ ভুলভাল চিত্রে ফুটিয়ে তুলতে চাই- একটি মুখ।
আমার দেখা হয়নি সে মুখ, বুলি বিনিময় হয়নি পক্ষান্তরে, তবুও বুকের ভেতর দুমড়েমুচড়ে ক্যান শুধু সে মুখখানির প্রতিলিপি ভাসে? তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি?

আমার বিনোদ সখা- প্রান্তরে প্রান্তের ঠোঁট ছুঁয়ে নোনাজলের সংকল্পিত হিজল বনে আমাকে দেখা দিও নির্জনে, তোর প্রকোষ্ঠে মিশে একাকার হয়ে রবো জন্মজন্মান্তরে।

আমার আকুলতা, ব্যগ্রতার  ভাবনা সর্বক্ষণ উৎকণ্ঠিত তোমার একান্ত সঙ্গ পাবার অভিপ্রায়ে। শো শো বাতাস আমাকে কতোটা ব্যাকুল করছে প্রেমিকার রুপ প্রকাশিত না হলে আমি বুঝতেই পারতাম না।

তবে কি আমিও প্রেমিকা হতে চলেছি?
ধন্যবাদ! আমাকে নারীরত্নের যৌবন রুপ দেয়ার জন্য- হে নরোত্তম সখা। ।

রুপময়ী হাওয়র কন্যা :-রুদ্র সুশান্ত


হাওয়র কন্যার এতো মুগ্ধকারী রুপ, তোকে অনাবৃত না দেখলে কোন শালায় বুঝতে পারবে না।

ঈশ্বরের চরম সৃষ্টির মায়াবী চন্দ্রিমা যখন লুটোপুটি খায় তোর সুঠান বক্ষে তখন পৃথিবীর যেকোন যুবক স্বর্গের গালে থুথু মেরে প্রাচীনতম চুম্মা দিবে তোর উদ্যমী ঠোঁটে, পেটের দায়ে টিউশন করা ছেলেটা জীবন ভুলে গিয়ে সারা মাসের মাইনে দিয়ে তোর জন্য একটা উজ্জ্বল রক্তিম লিপস্টিক কিনে নিবে অনায়াশে,
পাড়ার বেকার ছেলটা চাকরীর জন্য হন্যি হবে তোর রুপময়ী ঠোঁটের আশায়।
আর এ ধরিত্রীর যেকোনো কবি তাঁর নির্মিত পবিত্র পান্ডুলিপি সহস্র বছরের জন্য বন্ধক দিবে তোর দৃষ্টিনন্দন ঠোঁটের নেশায়।

হাওয়র কন্যা, তুই রাতবিরেতে আমার সাথে শুষ্ক বিছানায় গড়াগড়ি খাবি, আমার বিছানায় একটা মাত্র চাঁদ--তুই। কুঁপি বাত্তির আলোয় তোর মুখে এঁকে দিই ভালোবাসার উদ্যান, তুই পরম তৃপ্তভরে জড়িয়ে নিবি একটা যুবককে।
আহা-- কি যে মোনায়েম সুখ!
তোর বক্ষ না হলে পৃথিবীর কোন শালা এ সুখ বুঝতে পারবে না, খালি অবোধ শিশুর মতো হামাগুড়ি খাবে,
তুইও তো জানিস না কুঁপি বাত্তি নিভে যখন চাঁদের আলোয় সজ্জিত হয় তোর সমগ্র দেহ তখন তোর নাভি হয়ে উঠে স্বর্গোদ্যানোর দ্বার।

একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী... সবকটা দিনেই তুই রহস্যময়ী মোনালিসা।
ঈশ্বর হয়তো তোরও প্রেমিক, তুই জানিস না।
তোকে ভালোবেসে ইশ্বর আর কাউকে এমন নয়নাভিরাম করে বানায় নি।

রাসররাতে তোকে চুমু খেয়ে যেকোন যুবক পরবর্তী চব্বিশঘণ্টা মাতাল থাকবে, নতুবা ফের তোর সাথে মৈথুনে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।
তুই পুরোটাই রহস্যময় রুপের কুঞ্জণ।

আমি ভাসতে ভাসতে হাওয়র কন্যা নগ্ন ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছিলাম---আজ অবধি পৃথিবীর পবিত্রতম চুমো হলো এটাই।
তুই চোখ তুলে বলেছিলি -- "আমি লজ্জায় মরে যাই"।
আমরা নয়নোৎসবে মিলিত হলাম খোলা আকাশের নিচে, তুই তো বলেছিস- তুই নাকি স্বর্গে যাবিনা।
বললাম কেনো? তুই আবার বললি --"এই তো আমার অমরাবতী"।
সেই দিন আমি বুঝেছিলাম আমিও তোর প্রেমিক হতে পেরেছি। হাওয়রে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা তোর সুডোল বক্ষে আমি যতবার মগ্ন হয়েছি ততবার তোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। তোর আছে রহস্যোপন্যাস, আমি পৃষ্টায় পৃষ্টায় ঠোঁট লাগিয়ে তোকে ইচ্ছে মতন পড়ে নিই।
আমি প্রথম তোর কাছেই জেনেছি, নীরবতা মানে আরো কিছু চায়।

আমি আকাশ হাতের মুঠোয় পুরে বলছি- পরজন্মেও আমি তোকে অনাবৃত করবো।
কন্যা, অমন করে হাসিস না, মানব জাতির ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, আমি তোর কাছে বেহায়া হবো কোটিকোটি বার।

তোর উচ্ছ্বল হাসি ঈশ্বরেরও ধ্যান ভঙ্গ করে, আমরা তো মানুষ মাত্র,
এবার বুঝ পৃথিবীর কতো যুবক তোর ঠোঁটে পাগল হতে চায়(?)

আমার বাসরে তোর চাঁদমাখা মুখখানিই সারাক্ষণ জ্বলে। তোর মিলনে আমার প্রতিরাতে বাসর হয়, রুপময়ী।

ছাব্বিশ বছর পর : রুদ্র সুশান্ত





আমি মরে গেলে-
বহুদিন পর তুমি জানবে- আমি চরম ভালোবাসতাম তোমায়।
সয়মের ব্যবধানে কষ্ট পুষে বড়ো হচ্ছো তুমি, নিদারুণ স্নেহ আজো রাখেনি কথা, মন বাড়িয়ে সে শুধু তোমাকে খুঁজে।
বড়ো হবার বিরল আর্তনাদ ছিলো মনের কিন্তু সে এখনো ছাব্বিশে আটকে রইলো, যেমন করে তোমার তুলতুলে ঠোঁটে প্রথম যৌবন বিসর্জিত ছিলো প্রেমিকের।

যুকবের বয়স বাড়লো, চুলগুলো আউলা হলো, গিটারের ছিঁড়ে গেছে সব ক'টা সোনালি তার, ডায়েরীর ভিতর পুরানো চিঠির গন্ধ এখনো নাকে আসে সবিশেষ।

এখনো বয়সের ফাঁকে তোমাকে খুঁজে বেড়ায় একজন প্রেমিক, আরো ছাব্বিশ বছর পরে তুমি জেনে যাবে- তোমার একমাত্র প্রেমিক সে, বাকিরা তোমায় ভোগ করেছে, উপভোগ।
ভালোবাসার তীর্যক তোমার পানে রাখেনি, রেখেছিলো মোহ। ছাব্বিশটা বছর হারিয়ে গেলো তুমি আসলে না, বসলে না পাশে, ধরলে না হাত, নাকে নাক ছুঁয়ে করোনি বেসামাল।

আরো ছাব্বিশ বছর পরে ক্রন্দনের অনুতাপে বিলাপ করবে তুমি, তোমার শহরে কালোরাত্রি পার হয়ে ভোর হবে, রঙিন সকালে সূর্য উঠবে কিন্তু তোমার মন জাগাতে পারবে ওসব কিছুই। ছাব্বিশটা বছর প্রেমিকহীন কেটে যাবার করুণ শোকে শহরে নামবে তোমার মাতোম।

দীর্ঘ হলো না আমাদের বাসর, আসরের সবক'টা কোকিল সুর তুলেছিলো, বেসুরা কণ্ঠে নিনাদধ্বনি ছিলো তোমার,  আমাকে হারানোর সুকরুণ স্বাদ ডুকরিয়ে তোলে তোমার  বক্ষদেশ। তুমি এখন আমাকে ছু্ঁতে চাও অথচ ছাব্বিশটা বছর তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, তুমি আর আসোনি ফিরে। আজ বিলাপ করছো তোমার পৃথিবীর দু'কূল ভেঙে। আমি আর ফিরবোনা।
এখান থেকে আর কেউ ফিরে না, আমি জল হবো যাবো,  তুমি যাতে কান্না লুকাতে পারো।

ছাব্বিশ বছর পর, আমি জল হয়ে ফিরে আসছি তোমার নয়নে।
তুমি বুকে নিয়ে রাখোনি আমায়, আমি তাই তোমার নয়ন ছুঁয়ে গড়াবো ধূলায়।

বালুঘাট, ঢাকা।
২৭/১২/১৮

ভালোবাসার মহাক্ষেত্র :রুদ্র সুশান্ত



তোর চশমা পরা সজল চক্ষের বাইরে রৌদ্রাগ্নিতে পুড়ে যাচ্ছিলো শহর, আমি নিতান্ত বোহেমিয়ান সুরে বাঁশী বাজাচ্ছিলাম শহরের কোণে বসে। তোর ভালোবাসার রক্তকোষগুলো রঙ মেখে দিয়েছে আমার সবকটি শিরা-উপশিরায়,
এমনি অনুভূতির নিউরোনগুলোতেও।


শহিদ মিনারের লাল বৃত্তটির উপর বসে একরাশ স্বর্গীয় সুখ নিয়ে কীর্তন গেয়ে গেলো একটি ফিনিক্স পাখি- কারণ পাখিটি বুঝে গিয়েছিল দেবীর আগমন ধ্বনি।
আকাশ বাতাস সমগ্র ত্রিভূবন সাক্ষী স্বরুপ জ্বালিয়ে দিলো ভালোবাসার আলো-খচিত হীরক দণ্ড অবশেষ।
যতোবার তোর নয়নে ভালোবাসার নীল প্রজাপতি উড়েছে ততোবার ভালোবাসা পেয়েছে ঐশ্বরিক ছোঁয়া, তোর ভালোবাসার বাহুডোরে গোলাপ বৃষ্টি করে দেবতারা।


শতো জনমে শতোবার পৃথিবী চোখ তুলে থাকালে একটি মুখ দেখেছে বারবার, তোর বিশুদ্ধ মুখশ্রী। যেখানে লেখা আছে ভালোবাসার গল্পগুলো, পৃথিবীর বিবরণ, নীল পদ্মের ইতিহাস, অক্সিজেন তত্ত্ব ও একজন প্রেমিকের যাপিত সংসার।


তোর রহস্যময় নয়নদ্বয়ে ঈশ্বর লিখে রেখেছে মানব জাতির ইতিহাস,
দেবীর নয়নে নিমজ্জিত হয়ে  প্রেমিক পুরুষ হুংকারে ছেড়েছে সর্বনাশ।


তোর চশমার কিনারায় লেগে আছে প্রেম, জনম জনমে যুক্ত হবার আহ্বান।


তোর ভালোবাসা আনবিক শক্তিসম্পন্ন অক্সিজেন বোমা, বেঁচে থাকার বিশুদ্ধ আর্তনাদ, জোছনার পরিপূর্ণ চাঁদ, কবিতার আত্মা আমার লুকোচুরির সুর।


মাঠের পর মাঠ সাম্রাজ্যবাদীরা দখল করে নিলেও আমি শুধু তোরে দখলের আশায় নির্বাক থাকবো, তোর কানে গুজে দিবো আমার নিদারুণ স্পর্শ।

আমার ছন্দের বৃক্ষরাজি তোর ধ্যানে মগ্ন হয়ে স্তুতি করে, দেবী তোর আগমনে এখানে বসন্ত হয়, সবুজ হয় সবকিছু আবার, ফুল আর ফলে ভরে যায় আমার হৃদয়,  পত্রবিল্লব, পুষ্প আর দূর্বাদি দিয়ে চলে তোর আরাধনা।


ভালোবাসার আলিঙ্গনে সহস্র বছরের কবিতার সব পঙক্তি তোর নামে লিখে দিয়ে আমি হবো পৃথিবীর মরুকবি।


রুপময়ী হাওয়র কন্যা..... রুদ্র সুশান্ত



হাওয়র কন্যার এতো মুগ্ধকারী রুপ, তোকে অনাবৃত না দেখলে কোন শালায় বুঝতে পারবে না।

ঈশ্বরের চরম সৃষ্টির মায়াবী চন্দ্রিমা যখন লুটোপুটি খায় তোর সুঠান বক্ষে তখন পৃথিবীর যেকোন যুবক স্বর্গের গালে থুথু মেরে প্রাচীনতম চুম্মা দিবে তোর উদ্যমী ঠোঁটে, পেটের দায়ে টিউশন করা ছেলেটা জীবন ভুলে গিয়ে সারা মাসের মাইনে দিয়ে তোর জন্য একটা উজ্জ্বল রক্তিম লিপস্টিক কিনে নিবে অনায়াশে,
পাড়ার বেকার ছেলটা চাকরীর জন্য হন্যি হবে তোর রুপময়ী ঠোঁটের আশায়।
আর এ ধরিত্রীর যেকোনো কবি তাঁর নির্মিত পবিত্র পান্ডুলিপি সহস্র বছরের জন্য বন্ধক দিবে তোর দৃষ্টিনন্দন ঠোঁটের নেশায়।

হাওয়র কন্যা, তুই রাতবিরেতে আমার সাথে শুষ্ক বিছানায় গড়াগড়ি খাবি, আমার বিছানায় একটা মাত্র চাঁদ--তুই। কুঁপি বাত্তির আলোয় তোর মুখে এঁকে দিই ভালোবাসার উদ্যান, তুই পরম তৃপ্তভরে জড়িয়ে নিবি একটা যুবককে।
আহা-- কি যে মোনায়েম সুখ!
তোর বক্ষ না হলে পৃথিবীর কোন শালা এ সুখ বুঝতে পারবে না, খালি অবোধ শিশুর মতো হামাগুড়ি খাবে,
তুইও তো জানিস না কুঁপি বাত্তি নিভে যখন চাঁদের আলোয় সজ্জিত হয় তোর সমগ্র দেহ তখন তোর নাভি হয়ে উঠে স্বর্গোদ্যানোর দ্বার।

একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী... সবকটা দিনেই তুই রহস্যময়ী মোনালিসা।
ঈশ্বর হয়তো তোরও প্রেমিক, তুই জানিস না।
তোকে ভালোবেসে ইশ্বর আর কাউকে এমন নয়নাভিরাম করে বানায় নি।

রাসররাতে তোকে চুমু খেয়ে যেকোন যুবক পরবর্তী চব্বিশঘণ্টা মাতাল থাকবে, নতুবা ফের তোর সাথে মৈথুনে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।
তুই পুরোটাই রহস্যময় রুপের কুঞ্জণ।

আমি ভাসতে ভাসতে হাওয়র কন্যা নগ্ন ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছিলাম---আজ অবধি পৃথিবীর পবিত্রতম চুমো হলো এটাই।
তুই চোখ তুলে বলেছিলি -- "আমি লজ্জায় মরে যাই"।
আমরা নয়নোৎসবে মিলিত হলাম খোলা আকাশের নিচে, তুই তো বলেছিস- তুই নাকি স্বর্গে যাবিনা।
বললাম কেনো? তুই আবার বললি --"এই তো আমার অমরাবতী"।
সেই দিন আমি বুঝেছিলাম আমিও তোর প্রেমিক হতে পেরেছি। হাওয়রে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা তোর সুডোল বক্ষে আমি যতবার মগ্ন হয়েছি ততবার তোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। তোর আছে রহস্যোপন্যাস, আমি পৃষ্টায় পৃষ্টায় ঠোঁট লাগিয়ে তোকে ইচ্ছে মতন পড়ে নিই।
আমি প্রথম তোর কাছেই জেনেছি, নীরবতা মানে আরো কিছু চায়।

আমি আকাশ হাতের মুঠোয় পুরে বলছি- পরজন্মেও আমি তোকে অনাবৃত করবো।
কন্যা, অমন করে হাসিস না, মানব জাতির ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, আমি তোর কাছে বেহায়া হবো কোটিকোটি বার।

তোর উচ্ছ্বল হাসি ঈশ্বরেরও ধ্যান ভঙ্গ করে, আমরা তো মানুষ মাত্র,
এবার বুঝ পৃথিবীর কতো যুবক তোর ঠোঁটে পাগল হতে চায়(?)

আমার বাসরে তোর চাঁদমাখা মুখখানিই সারাক্ষণ জ্বলে। তোর মিলনে আমার প্রতিরাতে বাসর হয়, রুপময়ী।

প্রেমস্নাত বিকেল..... রুদ্র সুশান্ত



কতো ভালো বাসলাম তোমায় কেমন করে বলি?
সবুজে সবুজে সবুজপত্র বিলিয়ে দিয়ে জানাবো- আমিও এসেছিলাম শিশিরের কোলাহল ছুঁয়ে।

কিরণে উধাও হলো শিশিরজল,  আমার দিকজুড়ে তখনো শিশিরস্নাত বর্ষা, তুমি এলেনা, বসলেনা, বাসলে না ভালো। উন্মুক্ত আহ্বানে ডাকলে না এই শিশিরধৌত সকালকে।

তবুও শিশিরবিন্দু কথা রেখেছে, সূর্যোদয়ে মিলিয়ে গেলো, ভোর পেরিয়ে সকাল, তারপর দুপুর হলো। ভালোবাসার একটি বাক্যও বিনিময় হয়নি আমাদের। 

এতো ভালোবাসা নিয়ে আজো অপেক্ষমান আছি, পথিক পথ পেরুলেই হয়তো তোমাকে পেয়ে যাবো, হে প্রিয় বিকেল। 

তোমার ভালোবাসায় আমার আড়মড়া ভাঙবে, এ প্রত্যাশায় রোজ তোমার অপেক্ষায় থাকি।
বিকেল আসবে, আমিও ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিবো।

যা ইচ্ছে তা-ই করো...... রুদ্র সুশান্ত




আমাদের সুদীর্ঘ তৃষ্ণাতলে, জোছনার আবরণে ছিলো  রাত্রির স্বর।
একমুঠো প্রণয়ে,মুখোমুখি বসে, বালির সমুদ্রপৃষ্ঠে ঠোঁট ছিলো নিথর।

কখনো তীর ভাঙা, কখনো বালিমাখা কি নিদারুণ সব ঢেউ।
আমাদের গভীরতা,ভালোবাসাবাসি,
জোছনা ছাড়া জানতো না কেউ।

বিশাল হতো সব, বহুমুখী কলরব, জয়গাঁথা  স্মৃতির কুঠরি,
এখনো মন ভাঙে, ভয়ে ডর জাগে,
ক্ষণে ক্ষণে উঠি শিউরি।

মনে হয় তুমি-আমি, মধুমাখা বহুগামী মন্দিরে মোদের শুচিপত্র রয়,
অমূল্য প্রেম মোরে দিতি,এখন তা-সবই স্মৃতি, আমার মন ডেকে আমারে কয়।

ঐ চাঁদ তলে, জোছনা দলেদলে, মহুয়ার ঘ্রাণ দিতে এখনো আমায় ডাকে,
জোছনা নাই জানে, মনটাও না মানে, তুমি নেই তুমি নেই আমার ভরালোকে।

নাই বা রলে তুমি আর, ফিরানোর দাবী যার, একে একে সব নিলাম তোলে,
বেদনার শঙ্খ বাজায়, আমি কেন রব হারায়, সুখের মৃদঙ্গ ছলে।

আছি. ... রুদ্র সুশান্ত



বসে আছি
প্রেমের বুদঁবুদেঁ সাঁতারে আছি
করুণভাবে আছি
মোহ-প্রেমে ডুবে আছি
প্রেমিকার কাছাকাছি।
আমি একলা আছি
কোয়াবে আছি
নদীর ধারে বসে আছি
কোথায় আছে দূরে-কাছে
এ মনের মন মাঝি।
  লিপ্ত আছি
কানে আছে লেগে প্রেমিকার হাসি
আমি উন্মুক্ত, বনের মৌমাছি।
কাছে-দূরে ঘোরে আছি
না মরে বেঁচে আছি।