নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রাসমণিসাহা দেবনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাসমণিসাহা দেবনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বারি ধারা ": রাসমণি সাহা দেবনাথ


গ্রাজুয়েট, শ্যামবর্ণা মধুলীণা এবার ইতিহাস নিয়ে এম এ তে ভর্তি হয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।গায়ের রং এবং চেহারার জন্য ছোট থেকেই তাকে অনেক কটুক্তি শুনতে হয়েছে, এখনও শুনতে হয়।
তার দ্বারা নাকি জীবনে কিছুই হবে না... পারিপার্শ্বিক মানুষ গুলোর ভারি অদ্ভুত ধারণা। এ জীবনে তো তার বিয়েটাও হবে না।যেমনি তার গড়ন, তেমনি তার রূপ রঙ ! কে করবে তাকে বিয়ে ?...আজকের যুগে দাঁড়িয়ে মানুষ কেন যে এমন মত পোষণ করে, মধুলীণা নিজেও সেটা বুঝতে পারে না।যৌথ পরিবারে বড় হয়েও সে খেয়াল করেছে, তার পরিবারের অনান্য সদস্যরা যারা তার খুব কাছের, পরম আত্মীয়, তারাও আজকাল তাকে হেয় করতে পারলে বেশ খুশি হয়।তার মনের কষ্ট গুলো কবিতার মালা হয়ে উদ্ভাসিত হয়।তার লেখনী শৈলীর গুণে সেই কবিতা গুলো যেন বাগ্ময় হয়ে ওঠে।মধুলীণার লেখার নেশা খুব ছোট্ট বেলা থেকেই।বিভিন্ন পত্রিকায় তার বেশ কিছু লেখা বেরিয়েছে, যেটা বাড়ির কেউ জানে না।

এবার গরমটাও পড়েছে সাংঘাতিক।আজ সকাল থেকেই কেমন যেন অস্বস্তি দায়ক অবস্থা।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিগত দশ বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে এবারের গরমের দাপট।"ফণী"-নামক ঘূর্ণিঝড়ের দরুন  বায়ুমণ্ডল আরও শুষ্ক হয়ে উঠেছে।শ্রাবণ মাস আরম্ভ হলেও বৃষ্টির হাত ধরে বর্ষার দেখা নাই।যেন মেঘরাজের সাথে আড়ি করে অভিমানী বৃষ্টি হয়েছে নিরুদ্দেশ।
ড্রয়িং রুমে টিভি চ্যানেলে সবাই বিশ্বকাপ খেলা দেখতে মগ্ন।এমন সময় ল্যাণ্ড ফোনটা বেজে উঠল।পুরো রিং কমপ্লিট হয়ে যাবার দু মিনিট পর আবার বেজে উঠল।অবশেষে পরিবারের অভিভাবক তথা সকলের দাদু শ্রী ক্ষিতিশ রায় ফোনটা রিসিভ করলেন।কিছু ক্ষণ পর দাদুর বাজখাঁই গলার স্বর শুনে সবাই চমকে উঠে।কী ব্যাপার? 
দাদুর ডাকে মধুলীণাও গুটি গুটি পায়ে আসতেই, ক্ষিতিশ তাকে দু হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন।বললেন, যে মেয়েটির জন্য পাড়া প্রতিবেশী, পরিবারের সকলের অবজ্ঞা আর তাচ্ছিল্য.... সেই মেয়েটিকেই সেরা মহিলা কবির সম্মান দেওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে।কোলকাতার একটি নামী প্রকাশনা সংস্থা তার একক কবিতার বই প্রকাশ করবে এবারের বইমেলায়।
শ্যামবর্ণা মধুলীণার দু'চোখে আনন্দের ঘন শ্রাবণ ধারা।
বাইরেও তখন হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানি ! ড্রয়িং রুমের জানালার সার্সিতে এল বৃষ্টির ঝাঁট।শুরু হল বহু কাঙ্খিত মুষল ধারায় বৃষ্টি।

জীবন তরী" কলমে - রাসমণি সাহা দেবনাথ



নিদ্রাহীন আঁখি,
নিশাচর পাখি...
মুখোমুখি একাকী।

রাত জাগা ভোর,
আলগা প্রেমের ডোর...
ভাঙছে বিশ্বাসের জোর।।

অবিশ্বাসের চোরা বালি,
গহীনমনে বাড়ছে খালি...
শূণ্য ক্রমে জীবনপদ্মের ডালি।

জীবন বড্ড আপেক্ষিক,
সংজ্ঞা গুলো নৈমিত্তিক...
কেবল উদাহরণ সহস্রাধিক।

বাঁচার মতো বাঁচতে হলে,
মনের ক্ষত ঢাকতে হলে...
জীবনতরী ভাসাতে হবে উজান গাঙে।।

~~~~~~~~~~~~~