নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুদীপ্ত বিশ্বাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুদীপ্ত বিশ্বাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সুদীপ্ত বিশ্বাসের গুচ্ছ কবিতা







আহ্বান

গুমরে মরেছি শুধু মনের গভীরে।
 অস্ফুট আর্তিতে , অপেক্ষায় -অপেক্ষায়
 বয়ে গেছে রক্তধারা এই যমুনায়।
রুধিরের স্রোত জল বৃথা, সব বৃথা ।
অনেক মায়াবী রাত ঝলমলে দিন ,
নিতান্ত নিস্ফল তারা, অপুষ্পক স্মৃতি।
এখনও গোলাপবাগে আধফোটা  কুঁড়ি,
ভ্রমরের স্পর্শ পেতে প্রচণ্ড উন্মুখ।
প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষা নিয়ে রাত ভোর জেগে,
সরিয়ে  রেখেছি পাশে বরমাল্য খানি।
তারার জন্মের পর তারার মৃত্যুতে,
চুপচাপ কাল স্রোতে বয়ে গেছে কাল।
নিঝুম দুপুর থেকে ধূসর বিকেলে
অলিন্দে একাকী বসে দেখেছি জগত।
লুকিয়ে রেখেছি কত চোরাবালি স্রোত।
লুকিয়ে রেখেছি কত পক্ষ বিধূনন।
আগ্নেয়গিরির সেই উদ্গিরণের মত,
আজ আমি অভিসারী, রোমাঞ্চ পিয়াসী।
তুমি এসো...মুগ্ধতার সে প্রাচীন আধিকার নিয়ে এসো।
 রুদ্ধদ্বারে বার বার কর করাঘাত।
তোমার উদ্ধত ফনায় আমাকে বিদ্ধ কর,
 মুগ্ধ কর, কর শিহরিত।
বাজিয়ে তোমার বীণ,
 নিয়ে চল জ্যোৎস্নার মায়াবী জগতে।
তোমার ডানার স্বেদ বিন্দু
 গড়িয়ে পড়ুক আমার ডানায়।
কানায় কানায় উপচে উঠুক রসস্রোত।
পিয়াসী  তৃষ্ণার্ত বুকে
ঢেলে দাও অমৃত তোমার ...


---------------------------------------------------------------

বৃষ্টি এলে

বৃষ্টি এলে বুকের ভিতর গোলাপ কুঁড়ি ফোটে
বৃষ্টি এলে মনটা বড় উদাস হয়ে ওঠে।
বৃষ্টি এলে শিউলিতলায়, ছাতিমগাছের ডালে
মনটা বড় কেমন করে বৃষ্টি-ঝরা কালে।
এখন তুমি অনেকদূরে না জানি কোনখানে,
ভিজছো কিংবা গুনগুনিয়ে সুর তুলেছো গানে।
তোমার গানের সেই সুরটাই বৃষ্টি হয়ে এসে
টাপুরটুপুর পড়ছে ঝরে মেঘকে ভালবেসে।
মেঘ বিরহী,কান্নাটা তার বৃষ্টি হয়ে ঝরে
তোমার বুঝি মেঘ দেখলেই আমায় মনে পড়ে?

************---------*******------****----



কবিতা

সেটা আকাশ থেকে হঠাৎ ভেসে আসে
সেটা স্বপ্ন হয়ে নামে আমার পাশে।
তার আলোর সুরে শুকতারাটি হাসে
তার খুশির দোলা প্রতিটি ঘাসে ঘাসে।
তার সুরের ধারা আপনি বয়ে চলে
তার গভীর সুরে প্রাণটি কথা বলে।
তাকে মনন করে মনের সীমা বুঝি
তার গভীরতায় পাতালপুরী খুঁজি।
তাকে অস্ত্র করে দূর বিদেশে যাই
সেই তারার পারে মরণ সীমানায়।
তাকে আগলে বুকে জীবনে বেঁচে থাকি
তাকে যত্ন করে আবেগ দিয়ে আঁকি।
তার প্রাণের সুরে বাঁধা আমার প্রাণ
তার গানের সুরে সুর যে পেল গান।
তার উথলে ওঠা আবেগটুকু নিয়ে
ওই ঝর্ণা ছোটে পাহাড় চিড়ে দিয়ে।
তার শক্তি কত বলতে পারে কেউ?
সে তো রোজই বলে সাগর সেঁচা ঢেউ।
তাকে আগলে রাখি মাথায় করে চলি
তার সপ্ত সুরে প্রাণের কথা বলি।
তার চলার পথে আবেগ রাশি রাশি
তাকে আদর করি, তাকেই ভালবাসি...

****-----------------------*****************------


 *আহাম্মকি*

মগজে তালাচাবি দিয়ে
বুকের সব লাল গোলাপগুচ্ছ
বাগান উজাড় করে তোমায় দিলাম।


কানাকড়ির চেয়েও কম দামে
বিকিয়ে দিলাম নিজেকে।


সব বাঁ পায়ে মাড়িয়ে মশমশিয়ে চলে গেলে।


বুকের গভীরে বিঁধে থাকা পেরেক
উপড়ে ফেলতে না পেরে,
নির্জন সমাধিতে আজও একা শুয়ে।


আজকাল কেউ স্ফটিক চাইতে এলে
তাকে কাচের টুকরোও দিতে পারি না!


______________________





 *শূন্যতা*

দিনকে ফাঁকি দিতে পারলেও
রাতের কাছে হেরে যাই রোজ!
স্বপ্নেরা সব মুখ থুবড়ে পড়ে
চোখের জলে বালিস ভিজতে থাকে।

তারপর খুব ক্লান্ত হলে,
গভীর ঘুমে পাই মৃত্যুর স্বাদ।

সারারাত জ্বলতে-জ্বলতে
রাতের তারার সলতে ফুরিয়ে যায়।

আবার একটা দিন...
আবার ছোটা শুরু...





______________________



 *মরণের পার থেকে


কীদোষে ছিলাম দোষী,কীদোষ আমার?
অনেক ভেবেছি তবু সদুত্তর নেই,
গোলাপ ফুলের মত নতুন কিশোরী
স্ত্রীলিঙ্গ শরীরে ছিল, দোষ ছিল এই!

মানুষেরা পশু নয়, সেকথা জেনেই
ধর্ষিতা হতে হতে কেঁদেছি অঝোর,
আমার মতোই কত কেঁদেছে কিশোরী
তবুও তো রাত কেটে আসেনি গো ভোর।

অনেক কাঁদার পরে, অবশেষে থেমে
নিথর আমার দেহ কফিনে শোয়ানো;
মোমবাতি মিছিল হবে ! হাঁটো মিছিমিছি,
সোহাগ দেখাতে কিছু ফুল কিনে আনো।

যেদেশে ধর্ষণ, খুন আর অনাচার
অসভ্য সেদেশ ছিল ঠিকানা আমার!

লেখক পরিচিতি :-

নাম- সুদীপ্ত বিশ্বাস,জন্ম ১৯৭৮,
কবিতা লিখছেন ১৯৯২ সাল থেকে।কবিতার প্রথম প্রকাশ  ২০১০ সালে। কবির কবিতা প্রকাশিত হয়েছে শুকতারা, নবকল্লোল, উদ্বোধন, কবিসম্মেলন, চির সবুজ লেখা, তথ্যকেন্দ্র, প্রসাদ, দৃষ্টান্ত, গণশক্তি ইত্যাদি বাণিজ্যিক পত্রিকা ও অজস্র লিটিল ম্যাগাজিনে। কবিতার আবৃত্তি হয়েছে আকাশবাণী কলকাতা রেডিওতে। ঝিনুক জীবন কবির প্রথম বই। ২০১০ এ প্রকাশিত হয়। এরপর মেঘের মেয়ে, ছড়ার দেশে, পানকৌড়ির ডুব, হৃদি ছুঁয়ে যায়, Oyster Life বইগুলো এক এক করে প্রকাশিত হয়েছে। দিগন্তপ্রিয় নামে একটা পত্রিকা সম্পাদনা করেন। কবি পেশাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। নদিয়া জেলার রানাঘাটের বাসিন্দা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বি ই,এম বি এ, ইউ জি সি নেট। স্বরবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ও মাত্রাবৃত্ত তিন ছন্দেই কবিতা লেখেন।বড়দের কবিতার পাশাপাশি ছোটদের জন্যও কবিতা লেখেন।


লক্ষ্যভ্রষ্ট : সুদীপ্ত বিশ্বাস


পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে
ঠিক যে ভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে!
মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে
সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে;
সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে
নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে।
টুনটুনিটার মতই সরল, আমার হাতে রাখল সে হাত
তারপরে তো আপন হল, নদীর সে গান, জলপ্রপাত।
ছপ-ছপা-ছপ সাঁতরে শুধু ডুব-সাঁতারে, চিৎ-সাঁতারে
যাচ্ছি ডুবে উঠছি ভেসে কুল না পেয়ে সেই পাথারে।
এরপরে তো হঠাৎ করে সেই ফোয়ারা উথলে ওঠে
এমনি করেই ঝলমলিয়ে বাগানজুড়ে গোলাপ ফোটে।
গেলাম ভুলে পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে
বন্দী আমি আটকে গেছি, আটকে গেছি তোমার কাছে!

ধর্ম :সুদীপ্ত বিশ্বাস

 

আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে কেউ মুসলমান ছিল না।আজ থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর আগে কেউ হিন্দু ছিল না।কিন্তু  তার আগেও বহুকাল ধরে মানুষ ছিল।মানুষের সাথে মানুষের বিবাদ বা বিভেদ যেটুকু ছিল তা ছিল খাদ্য ও বাসস্থানের। এরপর এল কিছু সুবিধাবাদী চালাক মানুষ। তারাই ধর্ম সৃষ্টি করল। পুঁতে দিল বিভেদের বীজ।এরপর মানুষ মানুষের থেকে এভাবে আলাদা হয়ে গেল যে আজ এতযুগ পেরিয়ে এসেও, এই স্মার্ট ফোনের যুগেও মানুষ এক হতে পারেনি।বরং ধর্মের বিষগাছটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে মানুষের রক্ত মজ্জায় ঢুকে গেছে।মানুষ হয়ে পড়েছে ধর্মান্ধ।শিক্ষা মানুষের জ্ঞান চক্ষুর উন্মোচন ঘটায় কিন্তু ধর্মের অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে না।মানুষের জীবন, রাজনীতি, চিন্তাভাবনা সব কিছুর মধ্যেই ঢুকে পড়ে মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে সেই অতীতকালে কিছু চালাক মানুষের তৈরি ' ধর্ম '।

 ধর্ম আমাদের অন্য ধর্মের মানুষের থেকে আলাদা করে দেয়।ধর্ম সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে।আর সম্প্রদায় থেকেই আসে সাম্প্রদায়িকতা।অনেকে মুসলমান ধর্মের লোকজনকে বিশ্ব সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেন।কিন্তু প্রকৃত সত্য হল সব ধর্মই সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ায়।প্রকট বা প্রচ্ছন্ন ভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেওয়াটাই ধর্মের উদ্দেশ্য। ধর্মের প্রধান কাজই নিজের আখের গুছানো আর অন্য ধর্মের নামে কুৎসা রটানো। পৃথিবীতে এমন কোনও ধর্ম নেই যেটা বলে অন্য ধর্মগুলোও ভাল আর মঙ্গলকর।বরং সব ধর্ম এই শিক্ষা দেয়, যে সেই ধর্মই একমাত্র ভাল আর সব ধর্মই ভয়ংকর খারাপ। এভাবে মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে যত লেলিয়ে দেওয়া যায় ততই জ্বলে ওঠে সাম্প্রদায়িকতার আগুন।ধর্ম ব্যবসায়ীরা মনের আনন্দে এই আগুন জ্বালিয়ে রাখে আর সাধারণ মানুষ পোকার মত আত্মাহুতি দেয় নিজের বাড়ি,পরিবার এমনকি জন্মভূমিও।

 আমাদেরকে বলতে হয় না আমরা আগুনে বিশ্বাস করি, বা জলে বিশ্বাস করি।আগুনে বিশ্বাস করে আগুনে হাত দিলেও হাত পোড়ে, আগুনে অবিশ্বাস করে হাত দিলেও হাত পুড়ে যায়।জলে ডুবে যাওয়ার সাথে জলকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কোনও সম্পর্ক নেই।সুতরাং, যা কিছুর প্রকৃত অস্তিত্ব আছে তা আমাদের বিশ্বাস অবিশ্বাসের তোয়াক্কা করে না।যার অস্তিত্ব নেই তাকে আমাদের বিশ্বাসে ভর দিয়েই বেঁচে থাকতে হয়।আমরা যদি ভূত,প্রেত, জীন, পরি, হুর,ঈশ্বর এসবে বিশ্বাস না করি, তাহলে এদের কোনও অস্তিত্বই থাকে না আর।আর তাই আমরা 'ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না' বললেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা রে রে করে তেড়ে আসে।আমাদের অন্ধত্বই তাদের ব্যবসার প্রধান মূলধন। মানুষের মধ্যে যত বিদ্যা বুদ্ধি ও বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটে ততই অন্ধকার দূরে সরে যায়।অন্ধবিশ্বাস যত দূরে সরে যায়,প্রকৃত সত্য তত উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। প্রকৃত শিক্ষা আমাদেরকে অন্ধবিশ্বাস ত্যাগ করে যুক্তিবাদী হতে অনুপ্রেরণা দেয়।

সুদীপ্ত বিশ্বাস






জংলী রাত


ব্যাঙ চললো ব্যাংককে আর
চিল চললো চাইনাতে
রাত দুপুরে গান ধরল
হাসনাবাদের হায়নাতে।

মৎস্য বলে, ‘বৎস শোনো,
চিংড়ি কোনও মাছই না।’
নেংটি বলে, ‘মাউস রে তোর
রঙ্গ দেখে বাঁচি না!’

হাঁড়ি নিয়ে হাঁড়িচাচা
যেই না গেল বাজারে
হোগলডুরির হুক্কা শেয়াল
উঠল ডেকে হাজারে।

ঘোঁত-ঘোঁতিয়ে বলল ঘোঁতু,
'আমায় কিন্তু ঘাঁটাস না
রাত দুপুরে ঘুমের সময়
চেঁচিয়ে গলা ফাটাস না।'

কঙ্গো থেকে কুমীর এল,
সোঁদরবনে সাঁতরে!
বাঘ বাবাজী উঠল হেঁকে,
'আমরা রাজার জাত রে।'

চাঁদনী রাতে চালতা গাছে
পেত্নি বাজায় করতাল
হেঁড়ে গলায় হাকিম হাঁকে,
'কালকে হবে হরতাল।'

এমন সময় তেঁতুল গাছে
ভূতের রাজা মামদো
রাত দুপুরে বায়না ধরে,
‘পেত্নি, মুঝে হাম দো!’

পেত্নি বলে, ‘মামদো রে তুই
ঘুমটা দিলি চটকে,
মটাশ করে এইবারে তোর
ঘাড়টা দেব মটকে।’

সুদীপ্ত বিশ্বাস





অভিলাষ
*********




তুমি যখন নদী হলে
আমার চোখে আলো
সাঁতরে ভাঙি উথালপাথাল ঢেউ
অনভ্যস্ত গহীন গাঙে
আনাড়ি এই মাঝি
তুমিই জানো, আর কি জানে কেউ?
ঠিক সে সময় ঝাপুরঝুপুর 
বৃষ্টি যদি নামে
আকাশ জুড়ে গলতে থাকে মেঘ
সুখ সাঁতারে শ্রান্ত আমি
ঘুমিয়ে যদি পড়ি
জানবে আমার কেটেছে উদ্বেগ।
ঘুম ঘুম ঘুম ঘুমের দেশে
স্বপ্নমাখা চোখে
দুহাত দিয়ে জাপটে ধরি নদী
বাঁচতে রাজি অযুত বছর
আলোকবর্ষ পারে
ভালবাসা, তোমায় পাই গো যদি।
সহজ তুমি সহজ হয়েই
থেক আমার পাশে
গ্রীষ্ম দিনে,দারুণ মরুঝড়ে;
বুকের পাশে নরম ওমের
পালক হয়ে থেক
শীতের রাতে বরফ যদি পড়ে।

সুদীপ্ত বিশ্বাস




আজকাল
**********


বিপদেরা চুপচাপ ওত পেতে থাকে,
নদীর প্রতিটি বাঁকে-বাঁকে। 
সাবধান! সাবধান মাঝি
শ্বাপদের চেয়ে হিংস্র মানুষের কারসাজি।
মুখোশের আড়ালেতে ঢাকা সব মুখ
ঠকাতে শেখেনি যে,সে উজবুক।
আলো নেই, 
চারিদিকে জমেছে আঁধার চাপচাপ
মানুষকে ভালবাসা ভুল নয়, পাপ।

সুদীপ্ত বিশ্বাস





উন্নয়ন
*******


চড়াম চড়াম ঢাকের বাদ্যে
বাংলাটা আজ কাঁপে,
কিছু বোকা লোক বেঘোরে মরলো
উন্নয়নের চাপে!
ভোট নিতে গিয়ে কেউ হল লাশ
ফিরল না কতজন
গণতন্ত্রের মৃত্যুর পরও
দাঁড়িয়ে উন্নয়ন!
গণতন্ত্রের লাশ পড়ে গেছে
কফিনে পচছে দেহ
কিছু লোক তবু বিশ্বাস রাখে
প্রতিবাদ করে কেহ!
তবু কিছু লোক হয়নি বিক্রি
কিছু লোক আজও খাড়া
অমেরুদণ্ডী দলে ভারি তবু
সোজা কিছু শিরদাঁড়া!