নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তপময় চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
তপময় চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

তপময় চক্রবর্তী




কাঁশ নন্দিনী
************

হিমালয় নন্দিনী তুমি শিবের ঘরণী
মনের মাঝে ডুগডুগে ঢোল বাঁজছে কেবল...
আমাদের কাছে মাগো তুমি বিপদতারিনী।
চিনচিনে সুখ রাত্রী নিশীর ঘুম কেড়েছে
আনন্দে মাতল জগৎ তোমার আগমনে,
বিষাদের সুরে ভাসল ভুবন দশমীর সায়াহ্নে,
ঊদ্ধ-অধো জুড়ে তুলোর মেঘ ছেয়ে আছে পাহাড়ে
সাদা কাশে ঘেরা প্রকৃতি, কলোরব পাখিদের,
মেঘ হটিয়ে ফোঁটাতে আলো পবনও দিচ্ছে
দিনে দিনে,
কেমন করে জানিনা সেই পুরোন প্রেমে...
ফুরালো ষষ্ঠী গিয়ে দশমী এলো,
মেঘান্বেষী তবু আড়ালে লাপাত্তাই রয়ে গেল !
নতুন করে আবারো এই মন মজেছে,
ফেলে আসা অতীত ঘেটে বড় হচ্ছে উত্তেজনা,
ঠান্ডা সাদা অনুভূতি জমেছে শিশিরের কোণে,
চাওয়া পাওয়া সেরে জমজমাট প্যানডেলে বিকেলে,
বাতাসের মতো তাহার বুকের গান শুনে...
লুকালো মুখ মেঘের আড়ালে অজানা কোন এক অভিমানে!

তপময় চক্রবর্তী





ছাতার বৃষ্টি
***********



মেঘ তো আগেই জমেছিল চাঁদের আড়ালে 
সকাল থেকেই শুরু তার বিন্দু বিন্দু  প্রকাশ,
খিচুরি আর ভাজা খেয়ে এখন চলো জীবন যুদ্ধে ,
এ যেন নানা রঙয়ের ছাতার  বহিঃ বিকাশ ,
ক্রমাগতই ধাক্কা খেয়ে চলেছে একে অপরের সাথে ,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়ার পাখনা মেলার লড়াই ,
তালুবন্দি হাতে এপাশ ওপাশ হলেই -
হামলা করে একরাসি  দিকবিদিক শূন্য জলবিন্দু,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে এগোয় পাখনা !
 তখনই হঠাৎ এক শিকের ধাক্কায় বিষণ্ন ডানা ,
আবার ও হেরে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলা ,
জং ছাড়িয়ে গুটিয়ে পড়ে ব্যাগের আড়ালে ;
বজ্র পাতের শব্দে ব্যাস্ত শহর  উঠলো কেঁপে ,
খোলা জানালা দিয়ে আকাশ যেমন  চলছে এগিয়ে ,
ইট কাঠ আর শহরে কোলাহল আমার থেকে 
যাচ্ছে সরে ,
চারিদিকের সোনা ব্যাঙ আর  রঙীন কচু পাতায় একফোঁটা জল ,
যে সৌন্দর্য জন্ম লয় -- -- কমলার বাড়ে বল ,
প্রচন্ড বর্ষায় জলময় রাস্তায় ব্যাস্ত যানের সশব্দ খেয়ালি,
জং ছেড়ে ছাতাই পারবে বাঁচাতে এ হ্যানো হেঁয়ালি ! 

তপময় চক্রবর্তী




মেঘ বৃষ্টি 


ইচ্ছে গুলো বড় হচ্ছিলো বিসর্গ এর অন্তরে,
আমার আবেগ-অনুরোধ ছুঁয়ে যায় বুদ্বুদে,
ছুটে পালিয়ে দাঁড়াই এসে রাস্তার শহরে,
লাম্পস্টের গোড়ায় দাবদাহে একলা ডুবে,
আত্মত্যাগের কোনো কারণ না হলেও,
এ মাটিতে বৃষ্টি কবে নামবে...
জিভে সব নোনতা লাগে,
মোটা মোটা অশ্রু বিন্দুর উপর ভর দিয়ে , 
 লক্ষ্য বোকা টিকটিকি ও ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে,
বৃষ্টি থামছে না, গাভীর মতো মেঘ ভেসে চলেছে...
দুপুরের ক্যারাম আর রোদে ঘাম লুকিয়েছে রুমালে,
অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ গর্ত বানিয়ে সংসার পাতলো জীবনে,
নীল দেওয়ালের বুকে সাদা বকের ছাপ যায় উড়ে,
ঠান্ডা বরফ আঙ্গুল গুলো ভয়ে কেঁপে হারিয়ে ফেলি সম্মানে,
বেঁচে আছি, থাকবো চুপচাপ ,পাই না শুধু বট গাছে,
পুরো ক্যান্সার এখন ফুটবল,কালোটাকা,পরস্ত্রী ও ল্যাদে !

তপময় চক্রবর্তী





বসন্ত আসবে বলে 
****************




কোনো-একদিন বসন্ত আসবে ব'লে
নিজেকে বিদ্ধ করেছ কফিনের ফালে,
আতরের গন্ধেমাখা  সুদূর  ঝাপসা পথে
কালো ঝরা পাতার খস খস শব্দে,
আর ওই দূরের বাতাসের হুইসেলে
গা ধুয়ে যায় শুদ্ধ শীতল পরশে,
চাওয়া পাওয়া সেরে লাল বিকেলে
শুকনো পাতার মতো শেষ হয় বনে,
বন্দী ছবি প্রতিচ্ছবির ফ্রেমের কোণে,
নীতিহীন মুখ ও রাঙে নানা রং -এ
আর কালো কোকিল ও রঙীন ডাকে ,
যে সৌন্দর্য জন্ম লয় -- -- কমলার ফুল বনে ; 
মানুষের মনে কোকিলের গান ব্যবহৃত হ'য়ে 
সে সুদূর তরঙ্গে নাড়িয়ে দেবে কৃত্রিমতাকে
পৌঁছে যাবে মাকড়সার রোজগার বোনা জালে,
যে অন্তে শুকনো পাতার মতো ঝরে নাকো বনে ।।

তপময় চক্রবর্তী




অবশ বিবশ দিবস
*****************





এ এক অন্য দিন , প্রস্ফটিত এক কৃত্তিম,
নিলয় অনিলদের স্বতঃস্ফূর্ত রুক্তিম !
যেখানে মেঘেদের কোন প্রতিজ্ঞা নেই ,
ঘন আধার এখন বিরাজমান
পিছুটান নেই কোন ...
রক্তিম জলে ধুয়ে যাই প্রাণতরলতা
নীলসরোবরে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জন মন!
মাটির শরীর তবুও ব্যাকুল 
ভালোবাসার ভাষার ব্যাথায় আকুল ,
কাটছে সময় এখন অপেক্ষাতে
খুব ক্লান্ত প্রাণ'টা অবশ বিবশ ,
দখল করে অশ্রুর ' ভাষা দিবস ' ;
বুকে মাথা রেখে যেদিন বললে
ধুয়ে মুছে সকল ক্ষোভ গুলো
আর প্রভাতফেরিরর সেই প্রথম সকালে
প্রাপ্তির, তৃপ্তির ছোঁয়া তাই এই মনের গভীরে,
তুমি পেরিয়ে এসেছ অনেক ভাষার বসন্তে
আজ তাতে আর একটি সংযোজন |

তপময় চক্রবর্তী


উত্তরের খোঁজে

**************



আর ও আজ একটা ট্রেন মিস...
পেশীর পাহাড়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভারে,
ঘনীভূত মৃদু ঘর্ম উষ্ণতার বিষ,
চোখে দেখা ফেলা লাল আলোয় ধারে,
জোর করে কবিতার চেষ্টায় জেরে
মনে জাগা দুঃখের এ এক অন্য পাড়ে,
সহানুভূতি আর কপ্রোমিসে চলা মোড়ে
লক্ষী লাভে এ হেনো জীবন মারে।
ভাবতে থাকা ইচ্ছা আর বিপুল জন স্রোত
বানিয়ে দিতে পারে অ্যাসিড ক্ষারের মিত্রতা
চলতে পারে এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে
জাগিয়ে দিতে পারে মৌলিক ইচ্ছা আবেগ,
হঠাৎ ঝাপ্টে একলা আকাশ, শূন্য রাশি বাঁশি
ভিজিয়ে দিয়ে যায় বিপুল স্রোতের ইচ্ছা ভাবনা,
না বলা রয়ে যায় ঘুরিয়ে বলা একছড়া রাশি,
মেলে দেওয়া নিজের টাকায় ফিনফিনে নিংড়ানো শাড়ী,
পড়ে থাকা না পড়া অনেক গল্পের বই,
বাঁচিয়ে রাখা মরা নারকেল গাছের সারী।
না পাওয়া রেল, অন্ত্র তন্ত্রের অ্যাসিড রসে
আর স্মার্ট চালভাষে ,না খাওয়া চপের গন্ধে,
সঙ্গে থাকা বোতল বন্দি  ক্লোরিন অল্প জলে
স্পর্শরত বৃদ্ধ আঙুলে চাপতে থাকা সমূহের রাশী,
খুঁজে পেতে  ভাবনাকে  ডুব দেওয়া থেলামাসে।
উত্তরের খুঁজে ফেরা হতাশ অর্ধেক !
বলতে থাকা না বোঝা ভালো মন্দের মই।
আর নিজেও নিজের তিক্ত রাশি বাসী
প্রতিটি ক্ষনে দিচ্ছি কঠিন ফাঁসি।।