কাল খুশির ঈদ। অথচ গুটিকয়েক লোক ছাড়া কেউই খুশিতে নেই। কাবিলের বাবা কাল রাতে এসেছে সাতশো কিলোমিটার হেঁটে। বেচারা আর দাঁড়াতে পারছে না । প্যাকেট বন্দী জলের মতোই তার পা দুটি ফুলে আছে । যেখানে কথা ছিল টাকায় পকেট ভর্তি থাকার , সেখানে কাবিলের বাবা এনেছে পকেট ভর্তি দুঃখ, হাহাকার, রক্ত ভেজা শরীর।
তিনমাস আগে কাবিলের ছোট বোন তার বাবাকে বলেছিল - বাবা এ বছর ঈদে একটা নতুন টু-পার্ট কিনে দিও?
কাবিলের বাবা বলেছিল - দেবো
তারপর বিদেশ যাত্রা । কিছুদিন যেতে না যেতেই পরিকল্পনাহীন লকডাউন। কাজ বন্ধ। কিছুদিন কাজ করে যা টাকা হয়েছিল সেগুলোও সব শেষ হতে বসেছে সঞ্চিত রেশনের মতো।কি করবে কাবিলের বাপ, দিশাহারা পথিক এর মত একটা রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করে। কোনো পথ নাই ! তারপর কিছু সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে বাড়ির পথে হাঁটা। দীর্ঘ বারো দিন মরুভূমির বেদুইনদের মতো হাঁটার পর স্বপ্নের বাড়িতে আসা।
কিন্তু এ আরেক বিপদ ! পরশুদিন কাবিলদের ছাদের চালা প্রচন্ড ঝড়ের তীব্র আস্ফালন এর সামনে পড়ে , ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত অবস্থা এখন কাফিরদের।
তার বাবারও স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে !