নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অযান্ত্রিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অযান্ত্রিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জাগো : অযান্ত্রিক



মাটি কাটতে গিয়ে পেয়ে যাচ্ছি, দেখো কত সহজেই,
হঠাৎ হারানো সে নাম, পড়তে গিয়ে না ফেরা কোনো মুখ।
পাঁকে ভরা শুকনো পুকুর কেটেছি একশ দিনের কাজেই,
কত সহজেই জিতেছি বাঁচার বাজি, জিতে যাওয়াটাই সুখ।

চালিয়েছি কোদালের পরে কোদাল,এক নয় কত বার হাজার ,
মাটির আড়াল ঠেলে বেরিয়েছে ,কেটে যাওয়া গলা ,কণ্ঠহার
কান গলার টুকরো ,বাজুবন্ধ, আর কত  চেনা জীবন ফসিল,
গলে যাওয়া চোখের কোটর, তবু উজ্জ্বল পচা চিবুকের তিল।

হোক তবে হোক আরো ,মারো কোদাল সরাও,জমা কাদা মাটি,
সামনে আসুক  বুক পেট স্তনের আদল ঠোঁটহীন দাঁত কপাটি।
তারপর সাজিয়ে হৃদয়ের লড়ঝড়ে সমাধি মন্দির ,ওগো,
অবিনশ্বর সময় নেহাতই বাঁচার ছলে বলি ,
জাগো  মা দুর্গা জাগো।

সাচ্চা প্রেমিক : অযান্ত্রিক



সেই কি যেন বলে না,ডানা কাঁটা পরী,
হাঁ করে দিন রাত শুধু তোকে গিলতাম।
তোদের উঠোনে জানি রোদ্দুর হামাগুড়ি,
আমি স্যাতসেঁতে সাইকেলে সময় বেচতাম।

তোদের বাড়িটা উঁচু, পাড়ায় পদবী উন্নয়নশীল,
আমার ছাদের ফাঁকে জোছনা দেখা করতে আসে
তবুতো  চোখের রাজা দেখেছি যে চিবুকের তিল।
ওরে ডানা কাঁটা পরী সাইক্লোনই জমে গরীব নিঃশ্বাসে

ভারী বাড়ি ভোরে ওঠে জেগে,বেমেয়াদি পেতে যায় ইঁট,
আমি সেই ইঁটেরই তদারক,পর পর গুনে গুনে চলি,
শিখেছিলি সেতারের কথা ,তারে তারে উদাসী সংগীত।
তবু আমি চোখেরই রাজা যে দেখছে সর মাখা সাদা গোড়ালি।

ওরে ডানা কাঁটা পরী, সেই তুই উঠে গেলি বিকেল কাগজে,
কলা বিভাগের ছাত্রী মুখে কারা যেনো ছুঁড়ে দিলো রুক্ষ তেজাব।
প্রেমের গুজব ছড়ায়, থানা পুলিশ ব্যর্থ প্রেমিক খোঁজে,
দরকার রক্ত দিলো ক্লাবের ছেলে, ও বাড়িতে যাদের মুখ দেখা পাপ।

জানলায় মধুবনি পর্দা দামাল,ভেসে আসে জাগরণে বিভাবরী,
যদি আড়াল ছেড়ে দেখিস একবার  নীচে ,সাথে নিয়ে পুড়ে যাওয়া ঠোঁট,
এখনও সেই  সাইকেলে আছি দাঁড়িয়ে,ওরে আমার ডানা কাঁটা পরী,
তোর একমাত্র আজন্ম প্রেমিক,আয় হাত ধর,
ওঠ সাইকেলে ওঠ।

পীরইতো :- অযান্ত্রিক



সময়ের চরিত্রগত অভয়ারন্য থেকে,নিয়ত সুগন্ধির ঘ্রাণ,
চারিদিকে সার বাঁধা স্তব আর আজানুলম্বিত করুনা
চাদরের উপরে কাঁচা টাকা দৃষ্টি জোড়া দয়াপ্রাথীর মুখ।
আজন্ম পাতা ভিক্ষার ঝুলি,মাটির সাথে মিলেছে দেহত্বতঃ,
ভুঁইফোড় বনস্পতির নীচে নিশ্চিন্ত শয়ান,
কবর নয় জাগ্রত চাঁদের চাদরে ঢাকা পীরের থান।।

মা -পাখি,বাবা পাখি শিখিয়েই ছাড়ে ,ছেলে পাখিকে উড়ান,
ভিড় ঠেলে ,বে-নামাজী মরদ মর্দানি দয়া ভীক্ষা চান।
কারো দাবীতে পেটের ব্যামোর দাওয়াই কেউ বা হেপকেশো,
সন্তান হয়নি যে বৌটার তাকে নাহয় তুমি স্বপ্ন দিযেই এসো।
কারো ছেলের পড়ায় নেই মন,তার দাবী মেধাবীর মাথা,
যার গলায় লাগে নাকো  ধারালো আলাপী সুর ,তার চাই সেটা।

শুনে শুনে কান ঝালাপালা, ফুলে উঠে রাগের চোরা স্রোত,
ভয় ভয় বেড়ে যায় ভক্তি ভরে ওঠে পাঁচ পোয়া সিন্নি মানত।
সন্ধ্যের ধুপ ধুনা জ্বলে যায় বৃথা,ফাঁকা চত্বর জুড়ে আঁধারের সেনা
ক্ষুদে এক রাঙা হাত তুলে নিয়ে মাটির প্রার্থনা ঘোড়া, খিলখিল হাসিতে
বলে “দু য়ো, দাদু দুয়ো, চাইলেও তুমি আমায় ধরতে পারবে না।।

গরিব সিরাজ, নিঃস্ব বেগম : অযান্ত্রিক




কে প্রথম দেখছিলো, আমি ,আমি দুজনেই বলে উঠলাম একযোগে,
কবে?যতদূর মনে পড়ে,ছেদি বামনির ছাগলটা যবে বিয়োল মরা ছানা।
আর তেড়ে এলো বৃষ্টি,রেল বাঁধে ভরে উঠলো ভেড়া ছাগল গরু আর লোকে।
মনে পড়ে না?

শুধু জল আর জল চারিদিক ভরা কোনদিকে পাইনা কো তল,
তুলে ধরে চার হাত ছিনে নিলাম চিরে গুড় আর কিছু অন্নভোগ,
পেটে নিয়ে মন্ত্রী চোখ দেখে গেল রাস্ট্রীয় বিমানের দল
মনে পড়ে না ?

প্রহরের পর গুনে নিয়ে ভেজা হায় আর ফুলে ওঠা চেনা শবদেহে,
বুঝিনি কে প্রথম ঠোঁটের পরে রেখে ঠোঁট গড়েছিল অবরোধ
ওপাড়ার বুড়ির সাথে হয় গেল গাঁট ছড়া এপাড়ার বাবুর সস্নেহে।
মনে পড়ে না?

আর সেই থেকে বৃষ্টি পড়লেই বুকে ,ছাতের পরে শব্দে ঝমাঝম,
স্বচ্ছ জলের সুর বলে দেয়, আমি তোর সিরাজ,তুই আমার বেগম।

#অযান্ত্রিক

ঈশ্বর সব জানেন,,,, অযান্ত্রিক



ওই যে চৌখুপ্পি ঘর, বিস্কুটের মতো বারান্দা,ঠিক ওই খানেই,
ইস্কুল খুলেছেন আমার ঈশ্বর,
মানুষ ওখানে বাঁচার তরীকা শিখতে আসে,
লক্ষ্যে পৌঁছানো শিখতে আসেন।

সবার কাঁধের উপর রাখেন হাত,
বলেন সোজা করো পাঁজর ধনুক।
বলো কি দেখতে পাও, ঘর বাড়ি,
হাসপাতাল অফিস কাছারি।

শিষ্য বলে ওঠে সব ,সব দেখছি হে প্রভু,
ঈশ্বর বিস্মিত হন,তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানো হলোনা।
একজন আসেন ,বলেন আমি শুধু লক্ষ্য দেখছি,
পাখির নীল চোখ,খরগোশের লেজ,
তাহলে চালাও, ইচ্ছের তীর,
কেটে যাক বন্ধুর মাথা ,মায়ের কান্না ,
তুমি থামবেনা,ছুঁড়ে যাবে তীর।
তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছুতেই হবে,

হায়, ইশ্বর লক্ষ্য বোঝেন ,দুঃখ বোঝেন না।

বাচাল সময় ,, কবি - অযান্ত্রিক



মূর্খের বাচালতা শুনে আপন কিছু দিন করেছি পর,
কিছু নিন্দার দাম তোমাকেও নিতে হবে  সহিস,
 নামতে হবে মাটিতে ,রাখতে হবে ছিপটি মাটির উপর,
তবেই বুঝবে, প্রশংসা আসলে প্রাপ্য ছিলো নাকি বিষ।

আমার আয়ুনদীর স্রোত স্থিমিত,অধিকার বাড়ছে চরে,
দূর কে কাছের কাছে আনতে লাগছে টলমলে সাঁকো।
সহিস এই মূর্খতার কি দাম দেবে ,মৃত্যুর অনেক পরে,
এই অকালে কি নাম দেবে ভাবো, ভাবতেই থাকো।

চোখের নীচে মেঘ,কালো কিন্তু জলদগম্ভীর নয়,
সহিস তুমি কি সত্যিই বাগে আনতে পারো ঘোড়া,
নাকি আঘাতের ভয় দেখিয়ে বশ্যতা কোরো আদায়
মঞ্চে মঞ্চে বাচলের কীর্তন শুনে ,আর ভালো লাগে না।

হাতে হাতে প্রচার তাবীজ, মন্ত্রের মতো উচ্চারণে লোভ,
বিজ্ঞাপনে ডেকে আনে লোলুপ কদর্য ভিখারী বৃত্তি।
আমি সেরা আমি উত্তম বলে চিৎকার করে সব,
মূর্খের চিৎকারে ঘেন্না লাগে ,থুঁতু উঠে আসে,”সত্যি”।