নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অনুপম সমীপে: মান্নুজা খাতুন


অনুপম!
বহুদিন লেখা হয়নি তোমাকে নিয়ে
তাই কি ফিরিয়েছ মুখ অভিমানে! 
পাচ্ছ ব্যাথা ও হৃদয়ে? 

ভাবছ!
নতুন কাউকে পেয়ে ভুলে গেছি অতীতকে -তাই না! 
ভাবছ! ভুলে গেছি
দিনের শেষে  তোমায় ভাবতে!
অগোছালো  জীবনের বহু প্রশ্নের উত্তর  খুজতে! 
রাতের চাঁদ থেকে কিছু আলো নিয়ে স্বপ্ন বুনতে ;

এত প্রশ্নের জবাব হয়তো বিশ্লেষণ  করা যাবে না! 
বোঝানো যাবে না তোমায় আমার ক্ষুদ্র অভিধানের শব্দগুলো দিয়ে
আশ্বস্ত  করতে পারব না তোমার জিজ্ঞাসু মনকে
শুধু এটুকুই জেনে রেখো -
তোমাকে নিয়ে ভাবি না এমন নয় -
ভাবি কিন্তু সেটা ভালবেসে নয়! 
জীবনের কিছু জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজতে তোমায় মনে আসে
শুধু নামটা! তোমার অবয়বটা এখন আর মনে আসে না
তবে এটা অস্বীকার  করতে পারি না যে " তোমায় ভালবাসি নি "।

বিয়োগচিহ্ন : রুনা দত্ত



মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছি

বা ফুরিয়ে যাচ্ছি

তাও শব্দরা হারায় না


শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে

লিখে যাই ....


জীবনের কথা আমার কথা

বা তোমার আমার কথা।


এইভাবেই ফিরে যেতে যেতে

বারবার ফিরে আসি

চেতনে বা অবচেতনে

আমার নৈসর্গিক পৃথিবীতে ....


যেখানে আমার জন্য

আজও অপেক্ষায়

অজস্র সাদা কালো শব্দ


তাই আবার কলম তুলেনি

মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে

সৃষ্টি করে চলি ...

জীবনের শব্দরূপ বা রূপকল্প


যা কবিতা হয়ে ফুটে ওঠে

বাস্তবের পটভূমিতে

শেষ বিয়োগচিহ্নের মতো


বহুরৈখিক : অভিজিৎ দাস কর্মকার



তার কাঁধে হেলান দিয়ে নয়নতারা গাছটি আদর খেতে চেয়েছিল | দোয়েল পাখি তুমি জানো! দেয়ালের ফাঁকে বটচারাটি স্বরবর্ণ শেখাতো |
     এখন তারাখসা আর নায়াগ্রা দুটোই তার পায়ের ছোঁয়া চায়|

সেট্রোনিলার গন্ধ, তিস্তা তিস্তা হাওয়া আর শিলিগুড়ি ভাষাতেও শুধু সে |
আমার হাতের ঘড়িটির সারা শরীরময় জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না সন্ধ্যে।

নির্ঘুমতায় রাত্রী কাটে : মোঃ গোলাম মোস্তফা লিটু



বহুদিন ধরে ঘুমাইনা আমি
প্রহরের পর প্রহর কেটে যায় নির্ঘুম
নিদ্রাহীন চোখের নিচে
কালসিটে দাগ,স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়।

রাতের পর রাত কেটে যায় নির্ঘুমতায়।

যখনি চেষ্টা করি ঘুমানোর
চোখের সামনে ভেসে ওঠে,ধর্ষণের পরে হত্যা চেষ্টায় দেয়া আগুনে পোড়া
আমার বোনের ঝলসানো বীভৎস শরীর।

যন্ত্রনা ক্লিষ্ট নিষ্পাপ মুখাবয়ব।

আমাকে রোজ যন্ত্রণা দেয়
সীমাহীন কষ্টে ভোগায়
অসুস্থ পিতার অসহায় মুখচ্ছবি
মাতার করুন আর্তনাদ। ধর্ষিতা বোনের--

শতকোটি প্রশ্ন সম্বলিত স্ব-করুণ চাহনি?

আমাকে রাত্রির পর রাত্রি জাগায়
ডুবিয়ে রাখে সীমাহীন বিষন্নতায়
ঘুম নামক শান্ত দানব হিংস্র হয়ে উঠে
আমাকে চোখ রাঙিয়ে শাসায়। বলে --

ঘুমাতে চাও ? প্রতিবাদী হও। প্রতিরোধে যাও।।


টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট : আহাম্মেদ হৃদয়



ক্রিকেটের দামাকা টুয়েন্টি ওভারে
টান টান শিহরণ, গ্যালারির ভিতরে।

জাদুকরী বলার বল করেন পিচে
বলে বলে ছক্কা, মাথা বুক চিতিয়ে।
শতকের সেন্ঞ্চুরি নিতে চায় হাকিঁয়ে
বল দেখে ব্যাটসম্যান, থাকে শুধু তাকিয়ে।

আগুনের ফুলকি ঘর্ষা খায় পিচে
ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যান, চোখ দেখে শর্ষে।
প্রতিবলে মনে হয় এই বুঝি ছক্কা
ঘুর্নির গতিবলে ব্যাটসম্যান অক্কা।

শিশুর না: আহাম্মেদ হৃদয়



হাসঁ ডাকে
মুরগি ডাকে
ডাকে কবুতর।

তাই না দেখে
শিশু নাচে
নাচে নয়া বর।

হাসঁ ডাকে খালে-বিলে
মুরগি ডাকে চালে।
শিশু নাচে মাঠের ভিতর
নয়া বরের সাথে।

জীবন এ্যাশট্রে :-শাহীন রায়হান


কতগুলো নিহত ধূসর ছাই নিঃসঙ্গ পড়ে আছে
বেদনাহত জীর্ণ এ্যাশট্রেতে
এক সময় ওরা ছিলো জেব্রা ক্রসিংয়ের মতো
সাদা কালো রং চকচকে জীবন্ত নিসর্গ
খরস্রোতা নদীর বুকে নক্ষত্র রাতে একাকী
ভেসে চলা প্রিয়তম জবা
হৃৎপিণ্ড রিদমে অন্ধকারে জ্বলে ওঠা
এক টুকরা অমলিন আশার আলো
প্রেম প্রত্যাশায় জেগে ওঠা এক বাসন্তী গোলাপ কুঁড়ি।
তোমাকে তৃষ্ণায় ছুঁয়ে যাওয়া বৈকালি
পাখির কলরব
.
আমার যন্ত্রনাময় ক্রুদ্ধ ব্রহ্মান্ডের জ্বলন্ত চিতায়
সেই কবে পুড়ে গেছো তুমি-
আজ তুমি স্বপ্নহীন স্মৃতির অদ্ভুত ক্যালেন্ডারে নেই
কোথাও নেই
শুধু জীবন এ্যাশট্রেতে দিশাহীন পড়ে আছে
নগ্ন আতশ কাঁচের প্রেমহীন আগুনে পোড়া
স্বপ্নহীন ঘাসের মিহি ডগার মতো
নিদ্রাহীন কতগুলো ছাই।

"রাজখেলা" :মিঠুন কর্মকার



শিকল পড়িয়েছে মোদের হাতে
শিকল পড়িয়েছে মোদের বুদ্ধিতে,
শিকল পড়িয়ে করেছে বিকল
সুন্দর এই রাজনৈতিক ফন্দিতে ।

ডিগ্রি গুলো হয়েছে বোঝা
কোনো পথেই লাগে না সোজা
লক্ষ্যে স্থির রয়েছি আমি
তবুও কঠিন হয়েছে পথ খোঁজা।

রাজপথে কেবল যন্ত্রণাময় হাহাকার
শোনা যাচ্ছে শিক্ষিত বেকারদের চিৎকার,
নিজের অধিকারকে আদায় করতেও
হবু শিক্ষকদের খেতে হচ্ছে পুলিশের মার।

ছেড়া হচ্ছে পোশাক যারা শিক্ষিতা বেকার
কিছু জন বানিয়েছে রাজনীতিকে হাতিয়ার,
বোমা ও ধর্মই আজ রাজনৈতিক মহলে
এক খেলা দেখিয়ে চলেছে অতি চমৎকার।