নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অথৈ দেবনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অথৈ দেবনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

নব ছন্দে আমাবস্যা : অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রাত্রি তখন দ্বিপ্রহর,
দুজনে ছিলাম অঘোর ঘুমে।
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গায়,তোমার পাশে তাকাতে।
এক উন্মদনা জেগে উঠল সমস্ত শরীরে।
সত্যি অপরূপ শিল্প প্রতিমা তুমি,
রহস্য আঁধার।
ইচ্ছে হয় তোমাকে ছুঁয়ে দেখবার....
     অগ্রাসী সেই ইচ্ছে।
 তোমার ভীতরে ডুবে যাই আমি।
তুমি চোখে চোখ রাখাতে বুঝতে পাড়লাম, তখন তোমার কোপালে  গালে,নাকে সন্ধানী চুম্বন তরঙ্গের কামনা জেগেছিল
দেহ মনে।
আর চুপিসারে বললে বাইরে যাবে।
আমি বললাম এই এমন হিজল অন্ধকারে।
তুমি বললে দেখ
 প্রকৃতি কেমন গুমড়ে আছে,
আর নীরবে কাঁদছে।
আজ কোন প্রেমিক জুগল কিংবা কোন কবি,কোন গীতিকার, কোন নৃত্যকার আসেনি ছন্দ মেলাতে।
আসো আজ আমরা প্রকৃতির এই বোবা কান্নার সাক্ষি হই।
আর আমাদের ভালবাসা তাদের মাঝে বিলিয়ে দিই।
দেখবে,কামগন্ধী সৌন্দর্যভূক অবলীলায় মেতে উঠবে।
তারা সবাই একে একে......
নেচে উঠবে নতুন তালে আমাবস্যা নব ছন্দে।

জীবন সায়াহ্নে :অথৈ দেবনাথ (রিনা)


কত শত বসন্ত পেরিয়ে,
অাজ জীর্ণ প্রাঙ্গণ।
সাথে ঝড়া বৃক্ষ পত্রের নির্মম দৃশ্য,
 অামাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
শারিরিক স্থবিরতা, ,
অাজ অার অধরে চুম্বনের শিশির বিন্দু, মুক্তর মত জ্বল জ্বল করছেনা।
অামার অক্ষির নেশায়,
প্রেয়সীর গালের টোলে ঢেউ খেলেনা।
তবুও মাঝে মাঝে,  পাঁজোরে প্রণয়ের সাড়া শুনতে পাই।
তখণ একাকী নিভৃতে,
রংধনুর তুলির অাঁচড়ে
ভালবাসার স্বপ্ন অাঁকি।
ফিরে যাই সেই তারুণ্য,
ঠিক তখনি ,
জীর্ণতাকে অতিক্রম করে,  ওষ্ঠ জোড়া হতে বেড়িয়ে অাসে।
অামার প্রিয় স্বর ভালবাসি।
অতপর ইচ্ছে হয়,
প্রতিটি অধ্যায়ের মত জোড়িয়ে রাখতে।
এই জীবন সায়াহ্নে।।

সময়ের ঘড়িটা :- অথৈ দেবনাথ



স্নেহাশিস খোকা,
   আমার বাবা মানে তোর দাদুকে এক দিন আমি বলেছিলাম,
 বাবা তোমার কি কখনো কষ্ট হয়না?
 তোমাকে কাঁদতে দেখিনি কোন দিন।
আমার কথা শুনে তোর দাদু মুচকি হেসে বলেছিল,
পুরুষ মানুষের যে অনেক কর্তব্য।
 তারা যদি কাঁদে, 
নিরাশ হয় তাহলে সংসার নামক এই নৌকাটা,
মাঝ সমুদ্রে ডুবে যাবে।
 বাবার সেই কথার মানে আমি পরে বুঝেছি।
আর এটাও বুঝেছি যে পুরুষের জীবনটা অনেকটা শামুকের খোলসের মত আবৃত থাকে।
যা উপরে শক্ত আর ভীতরে নরম।
আর তাই তো তোকে যখন বকা দিতাম, আমারো খুব কষ্ট হত।
কিন্তু তুই যখন রাতে ঘুমিয়ে পরতিস।
আমি তোকে মন ভোরে আদর করতাম।
আর তোর মাকে বলতাম, দেখে নিও আমার খোকা একদিন অনেক বড় হবে।
সত্যি খোকা , আজ তুই অনেক বড় হয়েছিস। আমি আর তোকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনা।
সময়ের ঘোড়িটাও আজ উল্টো দিকে বইছে। আমিও স্হবির হয়ে যাচ্ছি।
এক সময় ছিল,
 তুই তোর পরিচিতদের কাছে গর্ব করে আমার পরিচয় দিতিস।
কিন্তুু এখন তোর লজ্জা হয়।
 আর তোর এই লজ্জা আমায় অনেক কষ্ট দেয় খোকা।
তা তুই বুঝবিনা।
জানিস খোকা,
 প্রতিটা মানুষের জীবনে যেমন জোয়ার আসে .... , তেমনি আসে ভাটা।
এক সময় আমারো এসেছিল জোয়ার সে সময় আমি অনেক পেয়েছি ,
 তোর মাকে পেয়েছি গৃহ লক্ষি হিসেবে।
তার পর তুই এলি আলো হয়ে।
কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি,
 এত দ্রুত বদলে যাবে। এক ভয়ঙ্করী ভাটা এসে তোর মাকে নিয়ে গেল। আমি প্রার্থনা করি যেন সে ভালো থাকে স্বর্গে স্থান পায়।
এই দুর্বিষহ জীবন তাকে বইতে হয়নি,
এই বলে নিজেকে শান্ত্বনা দেই।
আজ আমি তোর কাছে বোঝা হয়ে গেছি তা আমি বুঝি,
কিন্তু কি করব বল,
 সময়ের ঘোরিটা যে উল্টো দিকে বইছে কিন্তু থামছে না,
জানিনা আর কত দিন চলবে,,
সব কিছুই তো একসময় ফুরিয়ে যায়,
 কিন্তুু আমার জীবন কেন ফুরায় না?
জানিস খোকা,
এই দু হাত ভোরে তোকে দিয়ে এসেছি।
চাই নি কিছুই।
আজো দিতে চাই, তোমায় মুক্তি,
আমার ভার থেকে।
যেই বুকে তোকে আগলে রেখেছিলাম,
সেই বুকের স্পন্দনটা দিতে চাই  তোর হাতে।
কিন্তু এতটাই স্হবির হয়েছি,
আমি তাই পারছিনা,
আমি পারছিনা।

        ইতি তোর অক্ষম
                            বাবা

নির্মল ধারা:-অথৈ দেবনাথ (রিনা)



প্রকৃতি যখন,
বর্ষণের ধারায় শুদ্ধ স্নানে রত।
তুমি তখন ঘড়ে বসে, রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনছিলে।
আর আমি,
 বৃষ্টির  অবিরাম নৃত্য  দেখছিলাম।
অতপর সেই বৃৃষ্টির ধারা
আমার দু'হাতে নিয়ে,,
তোমার কাছে এসে বললাম,
 চোখদুটো বন্ধ কর।
তুমি বললে কেন?
আমি বললাম তোমায় ভিজাবো বলে,
তুমি মৃদু হেসে বললে
পাগলী,
 এটুকু বৃৃষ্টিতে কেউ ভিজে নাকী?
আমি আমার ছিটানো সেই বৃষ্টির ফোটা,
তোমার উপরে ছিটিয়ে দিলাম,,
সেই ছেটানো বৃৃষ্টির  ফোটা,
তোমার সমস্ত শরীরে পড়ল।
তুমি বললে সত্যি তো এই টুকু বৃৃষ্টি দিয়ে,
তুমি আমায় ভিজিয়ে দিলে।
আমি বললাম,
এ যে ভালবাসার স্পর্শ।
এর প্রয়োজন বেশি হয়না,
তারপর তুমি আমার হাত দুটো ধরে,,
তোমার বুকের কাছে রেখে বললে।
এর নাম বুঝি ভালোবাসা,
আর অধরে ঊষ্ণ স্পর্শ দিয়ে বললে,
এই বুঝি ভালবাসার স্পর্শ।
তারপর,
তুমি আর কি যেন বলতে চেয়েছিলে?
হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল,
আমি দেখলাম,
 তুমি বলে যাকে আমি ভালোবাসি,
ও আমার স্বপ্ন।
আর তোমার ভালোবাসা যা আমায় দিয়েছিলে,
তা ছিল কল্পনা।
আর অবিরাম সেই ঝড়া বৃ্ষ্টি,
ও আমার অতৃপ্ত ভালোবাসা
যা পাইনি বলে
 আজো অবিরাম ঝড়ে পড়ছে।।


একটা শরীর দেবে :- অথৈ দেবনাথ (রিনা)



তোমরা তো কত শরীর পোড়াও ,
কত শরীর মৃত্তিকার বুকে সমাধী কর,, জলে দাহ কর।
আমায় একটা শরীর দেবে?.........
আমি তার পাঁজরে আশ্রয় নিয়ে,
ফিরে যাব আমার মায়ের কাছে।
যে মা আজো আমার পথ চেয়ে,
 দুচোখের লোনা জলে,,
লোচনে অাজ স্বয়ং নিজেকে ঝাপসা দেখে।
যার বক্ষ ফাটা অাত্ম চিৎকার আমাকে কাছে টানে।
দেবে আমায় একটা শরীর?
যেখানে আমি প্রবেশ করে ফিরে যাব,
আমার পূর্বজন্মের প্রেমিকের কাছে।
যার অশ্রুধারা, স্রোতস্বিনীর মত বেয়ে অাসে আমার কাছে।
যার উল্টো স্রোত, আমায় টেনে নিয়ে যায় তার কাছে।
সে অাজো গোভীর নিশিতে,
আমায় খোঁজে।
আমার চোখের তারায়, চোখ রেখে দেখতে চায়
ভোরের উদয় হওয়া প্রথম সূর্য্য।
যে প্রতিটা মুহূর্তে পেতে চায় অামার ঘ্রাণ।
দেবেতো অামায় একটা শরীর,,
হোকনা সেটা জীর্ণ।
শুধু একবার তার কাছে গিয়ে চুলে সিঁথি কেটে দিয়ে,
তার কোপালে অালপনা এঁকে দেব,,
অধরের স্পর্শে।
অার মন্ত্রমুগ্ধের মত
বলব ভালবাসি, ভালবাসি, ভালোবাসি......


রাতের কুসুম রাতেই ঝড়ে যায় : অথৈ দেবনাথ ( রিনা )





স্বপ্ন দহন পারাবারে,
আমি রিক্ত শূন্য হস্তে ,,
শুধু আপনারে করেছিনু সমর্পণ।
জানিনে তৃপ্তকী তাতে তুমি ছিলে?
নাকি নিভৃতে  বারিধারায়
স্রোত এনেছিলে হৃদয় নীড়ে!
তারই বিরহী মন বীণার মর্মর ছন্দে...
 সবটুকু চাওয়ার অবগাহনে,
একান্ত নিবিষ্ট চিত্তে,,
মনের অবলকনে।
এঁকেছিলে দীর্ঘস্বাসের চিত্র,
দক্ষিণা মালয়ে,,
পরজনমে দেখা হবে প্রিয়,,
হেতায় রাতের কুসুম  রাতেই ঝড়ে যায়।🌷
ভালোনা বাসিতে হৃদয় শুকায় ।🌼

মানস প্রতীমা ...... অথৈ দেবনাথ(রিনা



প্রিয় অরণ্য,
এই মহাবিশ্বে যত ভালোবাসা ছড়ানো আছে
তার সবকয়টা একত্র করে লিখলাম গভীর প্রনয়ের পত্র।
অপার নৈশব্দে ধ্যানমগ্ন হয়ে 
যখন তুমি পড়বে এই চিঠিটা,
তখন নিঃষ্পাপ এক মানস প্রতীমার চিত্রপট ভেসে উঠবে তোমার হৃদয় ক্যানভাসে।
যার হাতে হাত রেখে উষ্ণ আবেগে বলেছিলে
প্রতিঘন্টায় একবার স্মরণ করবে,,
আর প্রতিটা কথার মাঝে বলবে ভালোবাসি।
আমি কিন্তুু বলব,তুমি বলবেতো?
অথচ ঘোর অমানিশায় মিশে যায় এক হারা দেহ।
আর তাইতো,
যান্ত্রিকতার এই পৃথিবীতে ছুটতে ছুটতে...
কখন যেন মনের চাওয়াগুলো হয়ে গেছে
 চন্দ্রভূক আমাবস্যা।
কিন্তুু আমি জানি অরণ্য ,
আজো যন্ত্র হয়ে উঠোনি তুমি।
আজো সেই পূর্ণিমার স্নিগ্ধ আভায়,
ভেসে উঠো তুমি গোভীর প্রনয়ের আবেসে।
আর বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে দীর্ঘস্বাস ছেড়ে বল ভালোবাসি।
তোমার শব্দের সেই প্রতিধ্বনি,
আমার গোহিন সমুদ্রে তিরিক্ষি ঝড় তুলে।
তখন আমার অন্তরিক্ষে প্রজ্জলিত হয় হাজারো নক্ষত্র মেলা।
                     
                 ইতি.....
তোমার মানস প্রতীমা


এ আমার ভুল নয় :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



জীবনের এই সঙ্কির্ণতার মাঝে,
 তোমায় যদি বৃহৎ আকারে কল্পনা করি।
এ আমার ভুল নয়,,
যেমন ভুল নয়,
ধুপের অমীয় সুধায় তোমার শরীরের ঘ্রাণ আমি অনুভব করি।
যেমন ভুল নয়,
 গোধুলী লগ্নে মঙ্গল প্রদীবের নিয়ন আলোতে,,
তোমার প্রতিচ্ছবি দেখে আমি বিভোর হয়ে রই।
যেমন ভুল নয়,  রুদ্রাক্ষরের মালার একশত আটটা,  পুঁথির প্রতিটা পুঁথিতে,, নিরাকারের মাঝে তোমার সাকার রূপ আমি স্পর্শ করি।
ঠিক তেমনি ভুল নয়,
তোমার অস্তিত্বের সন্ধান না পেয়েও,
তোমায় স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপে,,
আমার মন কল্পনায় প্রতিষ্ঠা করা।

আত্ম দহন :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রক্ত যেখানে জল হয়ে যায়,
বক্ষ তটিনী শুকায়।
স্বার্থ সেথায় বাঁধিছে চরাবলী,
ওরে ও অবুজ পাখি।
সেইখানে তুই ,
আসিয়াছিস কোন ভরসায়?
আত্মবিশ্বাস লয়ে।
মোহিত হৃদয়ে
ফুটাতে কুসুম কলি,,
করিছো কাহার কাছে
হৃদয় দাবী?
ওরে ও অবুজ পাখি।
আপন যাদের ভাবলি এতদিন,
তারা সে তোর নয়কো আপন।
ভাটির টানে স্বার্থনাষে,
যখণ রক্ত শুকায় অঙ্গ মাঝে।
সময় তখণ,
 এসে দেয় যে বলে
কে সে তোর আপনজন।।