নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মাধব মন্ডল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাধব মন্ডল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

তুমি :মাধব মণ্ডল






তুমি চাইলে এই ময়ূরাক্ষীর পাড়েও ঘর বাঁধতাম
কালরাতে চেয়েছিলে তাই এপাশে ওপাশে ছিলাম

আলুনি জীবনে তোমার চাওয়া আর চাহনি
ক্ষতগুলো মুছে দিতে চড়চড় এগিয়ে আসে

ফেসবুকে পাতা ফাঁদে জড়িয়ে মরতে গিয়ে
বুঝেছিলে সুখের অসুখ, আঁকড়ে ধরলে জোর

আধদামড়া আধদামড়া ছাপ মেরে ছুঁড়ে ফেলে
অনিদ্রার শান্তি কামড়ে আমাকেও জাহান্নমে রাখো

যৌনতা আরো চায় টাকা, চায় না-ফুরানো শরীর
ধর্ম অসহায় চেয়ে দেখে, আঙুল মটকায় কচলায়

সন্দেহ জাগায় প্রশ্ন, একে একে সব ধর্ম মরে ঐ
হাঁসপাশ ধমনি শিরা বুকের বাঁদিকে তোলপাড়

মায়া সুর কাটো প্রিয় নারী, যথার্থ নদীর পাড়ে
জলের ছলাৎ ছলাৎ, কান্না আজও ঐ ভাসে



আমি আর আসবো কবে?
বর্ষা আর তুই শীত
আমার জিনিসে চোখ রাখিস কেন???
আমি অতো মানাতে মারিনা!

প্রথম ফাল্গুণে এমন নাছোড়বান্দা
ওহো, প্রেম কোরো না হে বৃষ্টিরাণি
আমি তো আধদামড়া
আমি আর আসবো কবে?

আহা, কত আর দেখবো আদিখ্যেতা
ঝরছেন তিনি ঝরছেন!
পশলা পশলা রাণি সাজা বৃষ্টি
আহা, কী লজ্জা লজ্জা ভাব!




তুমি যখন নামের আগে ড., ডাঃ বা খেতাবি কিছু লেখ
এমনকি নামের পরেও লাগাও লেজ
আমার মন করকর চলতেই থাকে

তুমি তো একটা চাকুরি সফল প্রাণ
আমার বাঁদিকটা, অনেকটা ফাঁকা হতেই থাকে

তোমাকে সেদিন দেখলাম ফর্সা, নরম, মায়াবির হাতের রেখায়
আমি চোলাই খোরের মত একাকী চিৎপাত রাস্তায়

তোমার দামি গাড়িটা ছুটে এসে হুড়কো মেরে হাসে
এখন আমি নিজেই পেট্রোল, আগুনও জ্বালি নিজেই

কিন্তু তুমি যেই লোথাল থেকে কোটি কোটি সেকেন্ড পর উঠলে
আর বললে, মরো না, তোমাকেই আমি চাই
আমার লেডি কিলার বলা চোখ ও চোখের পাতা
আর একটিবারও ব্লটিং পেপার হলই না





আজ সকালে বর্ষা এসেছে ভেবে ব্যাঙেরা হুলুস্থুল গানে
তুমি ক'গ্লাস তাড়ি সান্টিং করো, বা না করো, তাদের কিছু যায় আসে না

মেঘ আর সমুদ্র
সোমত্ত পাঁঠি, পাঁঠাও
সুপার সাইক্লোনে নিবিষ্ট হল

অল্প জানাদের ওপর ছড়ি চালায় ওস্তাদেরা
তুমি 'অ' কে গেলো 'আ'
এরপর একলাই একটা মিছিল হবে?

সুপার সাইক্লোন?
ঝুমঝুমি রাগে বিজ্ঞান যেখানে নাচে
প্রকৃতার্থে সে সুপার সাইক্লোন!





এসো তো সূর্য-কন্যা
তোমারই রঙ মাখি অগোছালে...
বাজারটা তোমারই
আমি তো আলতো ছোঁয়ায় খুশি

সূর্য্য-কন্যা
না হোক আমিও বেঁচে আছি
না হোক কেউ কেউ তো আমাকেও গান ছোঁড়ে

সূর্য্য-কন্যা
তবুও বালি-তাতা রোদে তুইই একমাত্র রঙ
না, না, মেঘ-কন্যার পথ সেই কবেই হলো ভেন্ন!

শিক্ষার হালচাল : মাধব মন্ডল


বিষয় : শিক্ষার হালচাল
স্থান : শিক্ষাপুর,
কলার : পিকু
অন্যান্যরা : ইকু, মিকু, রিয়া ও রুবিনা।
----------------------------------------------


পিকু : আগত সবাইকে জানাই স্বাগত।
অন্যান্যারা(একসঙ্গে) : মহা স্বাগত।
পিকু : শিক্ষাপুরে সত্যিই শিক্ষার ফল
ফলছে।
ইকু : নিশ্চয়ই, না হলে এখানে একসঙ্গে এত
স্কুল চলছে!
মিকু : চারদিক বিজ্ঞাপণে গিয়েছে ছেয়ে।
রিয়া : মনে হচ্ছে বাচ্চারা বড় হবে বিজ্ঞাপণ
খেয়ে।
রুবিনা : রিক্সাওলাও হাজির বিজ্ঞাপণ পেয়ে।



পিকু : ফ্রি প্রাইমারি তকমা পেয়েছে খিচুড়ি
স্কুলের।
রুবিনা : এস এস কের কপালেও জুটেছে ছাপ
একই ফুলের।
রিয়া : বাদ নেই এম এস কে আর জুনিয়র
হাইও।
মিকু : এর বাইরে আর কিছু নাইও।
ইকু : এবার তাহলে শিক্ষা কিনতে অন্য
কোথাও যাইও।



পিকু : তাহলে প্রথম চলো জ্ঞানালয়ে।
যেতে পারি বোধোদয়ে। না হলে
জ্ঞান পিপাসায়। জ্ঞানজলসায়?
হ্যাঁ তাও যাওয়া যায়।
ইকু : অকারণ বইয়ের বোঝা।
মিকু : দায় হয় মাজা রাখা সোজা।
রিয়া : এলেবেলে টিচারকুল।
রুবিনা : হম্বিতম্বিতে নাম্বার ওয়ান বিলকুল।
ছুতো নাতায় পয়সা আদায়ে করেনা
ভুল। হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা
মারছে খালি গুল।



পিকু : ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে
সব। যেমন ছিরি নামের তেমনি লক্ষ্য
নিয়েও নীরব।এক একটি শিক্ষাগর্ধভ।
রিয়া : লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষই বড়। মান?
মান চুলোতে যাক টাকা পেমেন্ট কর।

মিকু : শিক্ষাপুরের শিক্ষাশালায় প্রোডাক্ট
তৈরি হয়।তা ঝাঁ চকচকে মোড়ক
মোড়া সমাজ বৈরি হয়।
রুবিনা : নিজেকে ছাড়া কাউকে চেনে না।
এমনকি মাঝে মাঝে মনে হয় এরা
নিজেকেও চেনে না। দেশ নয়, মাটি
নয়, মা নয়, শুধু মস্তিতে বাঁচো। টাকা
টাকা করে শুধু হিঁচ্চা হিঁচিং হাঁচো।
ইকু : নিজেদের দোষে ডুবে মারি তোকে। হায়,
ঝাঁ চকচকের, অকারণ শৌখিনের কদর
করছে লোকে।



পিকু : ভুলে ভরা বই।
সাত ভূতে খায় কমিশনই।
রুবিনা : ব্যবসা বাড়ছে চড়চড়।
শয়তান ওড়ে ফড়ফড়।
রিয়া : খাতারও নেই শেষ।
চুপ, শিক্ষা চলছে বেশ।
ইকু : প্রজেক্টের জোয়ার!
কিছু শিখুক না শিখুক থাকবোই গোঁয়ার।
মিকু : পয়সায় পয়সায় শিক্ষা ওড়ে
তোমার বাড়িতে যায়।
হায়, হায়, হায়!
****************************

হাঁদা : মাধব মণ্ডল



একমুখে মধু আর অন্যমুখে আর্সেনিক
নির্দ্বিধায় দু'টোই চাটছি মায়া যাদু!

টলছি বেতাল টলা মাটি আর ঘাসে
ঘাস মরে যায়, মাটিও কঁকাচ্ছে!

হাতের তালুতে খনার আঁচড়
দেখি কিনা বোবা বিস্ময়ে!

একেকটা আর্সেনিক বিস্ফোরণ
ছিন্ন ভিন্ন কথা রাখি চুপড়িতে

কথাগুলো না মরে আবার ডাকে
বিস্মরণের তুমি আবার জাগো

মধু নদী সাঁই সাঁই ছোটে
পাড়ে আমি একা হাঁদা!

রূপবান মৃত্যু : মাধব মণ্ডল


যাও পা পা করে, খোঁড়ামণি
দেখ মৃত্যু ছুঁড়ছে কারা

মৃত্যুকে একবেলা ভেজে চারবেলা খাই
কতো অপমান করতে হয়েছে গাদা

শ্যাওলাও মৃত্যুকে কাছে বসায়
আমি অভিন্ন মন হয়ে হাসি হি হি

কার কি ছোঁড়ার আছে আর
এই তো এখানে আমি আজও পড়াই

শিঙির কাঁটার যন্ত্রণা ঘিলুর ভাঁজে ভাঁজে
মৃত্যু রূপবান হয়ে নাচো নাচো আরও জোরে

আয় তর্জনি : মাধব মণ্ডল



এ্যাতো বারবার বাতাস কাটছে তর্জনি
এবার কি লক্ষ্য আমার চোখ কোটর?

আয় তর্জনি যুদ্ধ  করি
নিদেনপক্ষে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি

ক'বার আর প্রাণটা যাবে?
ক'বার আর মুন্ডু বেচবি হাটে?

নোবেল খাবি নোবেল পরবি?
তাজা রক্ত চিবিয়ে চিবিয়ে খাস!

আয় তর্জনি : মাধব মণ্ডল




এ্যাতো বারবার বাতাস কাটছে তর্জনি
এবার কি লক্ষ্য আমার চোখ কোটর?

আয় তর্জনি যুদ্ধ  করি
নিদেনপক্ষে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি

ক'বার আর প্রাণটা যাবে?
ক'বার আর মুন্ডু বেচবি হাটে?

নোবেল খাবি নোবেল পরবি?
তাজা রক্ত চিবিয়ে চিবিয়ে খাস!

জ্বর :মাধব মণ্ডল


এ্যাতো ডাকঘুড়ি
এ্যাতো ভোঁ ভোঁ
রক্তে দুলছে জ্বর

আর তো প্রভাবিত হও না

আমার হাজারটা মন
কান্ডজ্ঞান ছিঁড়ছে
রক্তে দুলছে জ্বর

এই অসময়ে তুমি একটা ধাতব স্ট্যাচু হলে

সময় গিলছে আমাকে
চিরস্থায়ী ওষুধে ডুবছি
রক্তে দুলছে জ্বর

তোমার মুখের ভাষা আরো শক্ত হলো

অপেক্ষা পাথর ছুঁড়ছে
আমার ফুসফুস, লিভার আর কিডনি বরাবর
রক্তে দুলছে জ্বর

কপালে বাতিল ছাপ্পা মেরে গুম হয়ে থাকো খালি!

হায়, হায়!! : মাধব মন্ডল



আজ তোমার উষ্ণতাটা খুব জুরুরী ছিল
আজ তোমার মনকে মনে গাঁথা খুব জরুরী ছিল
অথচ তুমি আজও নিজেকে জোর করে ধরে রাখলে!!
আমার অপেক্ষা শুধু দীর্ঘায়িত হলো......

ভাল নেই তুমি!! ভাল নেই তুমি!!
কতটা অবসর পেলে আবার জাগবে তুমি?
হায়, শিব চতুর্দশী!! হায়, হায়!!
হায়, শিবরাত্রি!!হায়, হায়, হায়!


(রক্ত জমে কুয়াশায় - ২৬)

"আমার কাছে কবিতা হল আত্মখনন।নিজেকে নির্মমভাবে খুঁড়তে থাকা।" সাক্ষাৎকার দিলেন কবি মাধব মন্ডল







পরিচিতি : 
---------------
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতায় এম. এ.;যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এড.। ১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।এ বছর বর্ধমান লিটিল ম্যাগাজিন বইমেলায় প্রকাশ পাচ্ছে ‘ব এ বর্ণমালা’।মূলতঃ ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি ।ছোটদের বেসরকারি একটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক । জীবন শুরু সেন্ট জুডস্ একাডেমিতে শিক্ষকতা দিয়ে । কালান্তর দৈনিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যুক্ত ছিলেন । বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মী।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম। জন্মস্থান সুন্দরবন, এখন সোনারপুরে বসবাস।
প্রকাশিতব্য বই ২৩ টি।




সাক্ষাৎকার 
***********


প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 
উত্তর: আমার কাছে কবিতা হল আত্মখনন।নিজেকে নির্মমভাবে খুঁড়তে থাকা।খুঁড়তে খুঁড়তে কখনও কখনও যন্ত্রনায় দু'চোখ বেয়ে ধারা নামে।তারপর পারিপার্শ্বিকতাকে বলি এবার খুশি তো!

     ২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ, বিনয় মজুমদার, জয় গোস্বামী প্রমুখ।
আমার কবিতার অনুপ্রেরণা আমার একান্ত।

     ৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তর: জীবনে না পাওয়া স্বপ্নগুলো, বাইরের জগতের ঝড় ঝাপ্টা, টালমাটাল হয়ে পড়া জীবন - এসবই আমার কবিতা লেখার কারণ।


     ৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তর: আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা একটি চার লাইনের ছড়া "পিড়িং পিড়িং", এটি বেণারসের "সবার সাথি" প্রকাশ করে ১৯৮৮ সালে। 

প্রথম প্রকাশিত বই "ছায়াপাত", ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে এটি নিজ খরচে প্রকাশ করেন "মৌসম" পত্রিকার সম্পাদক শ্রদ্ধেয় তপন মণ্ডল।
আনন্দবাজার ও বর্তমান বইটির খুব প্রশংসা করেছিল।

     ৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 
উত্তর: আমার মনে হয় কবির সঙ্গে পাঠকের সম্পর্কটা দ্বন্দ্বমধুর।অনেক অভিজ্ঞ পাঠক কবিকে যথার্থ পরামর্শ দেন।এমনকি ঘোরতর বিপদে অন্ন - জল - আশ্রয়ও দেন, সাহস যোগান।
আমি তার বড় উদাহরণ।


৬. ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তরঃ ফেসবুকে কবিতাসহ অন্যান্য লেখালেখি নিয়ে এই বছর দেড়েক আমি এসেছি।অনেক শক্তশালী কবির লেখা এখানে পাচ্ছি। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সাহিত্য সংস্থাগুলো প্রিন্ট মিডিয়ার লেখককূলের মত এদেরকে গণ্য করলে বাংলা সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হবে বলে মনে হয়।তবে কবিদের / লেখকদের পূর্ণাঙ্গ বইও এখানে প্রকাশিত হওয়া দরকার। আশার কথা এটা এখন বেশি বেশি হচ্ছে।এবং আর্থিক পুরস্কারও চালু হয়েছে।


৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ? 
উত্তর: ছাপা ম্যাগাজিনগুলো এখন ওয়েব ম্যাগাজিনগুলিকে ভয় পাচ্ছে, তাই নিজেরাও ওয়েবে এসেছে বা আসছে।সুতরাং এটা পরিস্কার ওয়েব ম্যাগাজিনের গুরুত্ব দিনকে দিন বাড়বেই।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: দেখে তো মনে হচ্ছে না মানুষ বই বিমুখ।বই এর জন্যে দৌড়াচ্ছে, মেলা হচ্ছে, কিনছেও ছাপাবই বা অনলাইনে।আর যারা হুজুগে মাতে তাদেরকে মানুষ হুজুগ শেষে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।বই তো মানসিক উৎকর্ষসাধন করে,তাই না? যার সেটা দরকার সে তো কিনবেই। চারধারেই তো প্রচার চলছে, সব মিডিয়ায়।

৯.ছন্দ ও ছন্দ পতন বলতে আপনার কি মনে হয় ? অনেক সময় দেখা যায় যে একটি কবিতা স্বরবৃত্ত বা মাত্রাবৃত্ত ছন্দ তে শুরু হলেও শেষ হয় অক্ষর বৃত্ত ছন্দে ,এতে কি কবিতার ছন্দ পতন হয় বলে আপনার মনে হয় ? কেন ?

উত্তর: ছন্দ কবিতা সহজে মানুষের মনে গেঁথে যায়।মানুষ এই কারণেই শোকে তাপে আনন্দে বিষাদে সেগুলো আবৃত্তি করে। আমরা কোন বিষয় যখন কাউকে বোঝাই তখন কি এক স্বরে লয়ে তা বোঝাই? কখনও নিচু কখনও মধ্য বা কখনও উঁচু খাতে, কখনও ধীরলয়ে কখনও দ্রুত বা কখনও মধ্যলয়ে বোঝাই,তবেই না সেটা সহজবোধ্য হয়।কবিতার ক্ষেত্রেও একই।সুতরাং একই কবিতায় ভিন্ন ভিন্ন ছন্দ ব্যবহৃত হলেও ছন্দপতনের প্রশ্ন আসে না।



১০.কবিতার ক্ষেত্রে ছন্দ ও মাত্রা এর কি বিশেষ প্রয়োজন আছে নাকি নেই ? 
থাকলে তা গুরুত্ত্ব কত খানি ? 
উত্তর : আগেই বললাম ছন্দ কবিতা মানুষের মনে সহজে গেঁথে যায়। গদ্য ছন্দও এর ব্যতিক্রম নয়।তারমানে এই নয় আমি আবার সনেটে ফিরব, পয়ারে ফিরব, যা বাতিল তাকে ফিরিয়ে কি করব? বরঞ্চ অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও দলবৃত্ত - এই তিন মূল ছন্দরীতিকে আত্মস্থ করে নতুন কিছু করা যায় কিনা সেটাই দেখব।


কিছু কবিতা দিয়েই শেষ হোক তবে ...



শব্দেরা লুকিয়ে ঐ শূন্যতায়


একটা দিনের
দুটো দিনের
দিনের পর দিনের
চাওয়াগুলো হতাহত হয়।

অসহায় পিতৃ মন।

আমার কি ডালপালা কাটছে কেউ?

এত চোরাস্রোত আমাকেই ঘিরে!

স্বপ্নগুলো পাথর
আর
পাথরগুলো স্বপ্ন হচ্ছে বারংবার।

একদিন
দুদিন
দিনের পর দিন
ভালবেসে দেখেছি
জল চাইছে সবাই
এমনকি ঘাস লতা পাথরও।

আমার কি কিছু হওয়ার কথা ছিল?
কারো ছায়া
কারো শীতের রোদ?

আমি তো আকন্ঠ বেসেছি ভাল
সন্তানকেও
তার রোগে
হতাশার অন্ধকারে
তাথৈ আনন্দেও।

তবুও পেরেক বাঁধা হাটু
বেঁকে থাকা লেগ হেড
জোড়া পাঁজর
কোমরের জোড়া হাড়েরা
বিন্দু বিন্দু জল চায়
চিৎকার জোড়ে
মড়াকান্না কানে তোলে।

এত জল কোথায় যে পাই!

ভূত্বকের জীবিত ঈশ্বরেরা কাঁদে
মানুষকে জল বিলোতে বিলোতে
তাদের চোখও আজ খটখটে মরুভূমি।



দীর্ঘ সাড়ে কুড়ি বছরেরও বেশী পর.......
কিছু সুখী-স্মৃতি........
কিছু ডুকরে ওঠা স্মৃতি পিছু টানে...... 
আচমকা হৃদকম্পনে........
এমনটা তো হবারই ছিল....... 
কারো কি কিছু হারিয়েছিল?........
কেউ কি তুমুল খেয়েছিল নাড়া.......... 
নাকি অনেকেই চুপিচুপি বা প্রকাশ্যে অসহায় ছিল?........
অজানা শ্মশানে তোর পোস্টমর্টেম করা শরীরটা ........ 
রাতের অন্ধকারে আগুনকে দিয়ে খাওয়ালাম...........
তুই চলে গেলি.......
কিছুই নিয়ে গেলি না...........
কিম্বা আমার ভাল থাকা নিলি........
কিম্বা অন্য কেউ কেউ শতছিদ্র হলো দুর্দান্ত ...........

পাশাপাশি কতদিন এক তক্তাবোসে আর ঘুমাইনা.........
গুলিও খেলিনা, কউও না......
মনে আছে কউ লেগে থুতনি ফেটে গেল তোর?........ 
সব রহস্য, সব মরমী রেষারেষি, প্রশংসা সব আগুনে মিশল......
শুধু ঊনত্রিশ বছরের স্মৃতিগুলো একি আজো দগদগে হায়! ..........


ঘিলু আঁটকে ঘাঁটকে টানি
বোধ খুঁড়ে শূন্যতাকে তুলে আনি।

আয় শূন্যতা লোফালুফি খেলি
আরে তুই কি করে পারবি!
আমার সন্তান যে আজ আমারই পাশে।

তোকে ভস্ম করে
তোর ছাই চটকে চটকে
দ্বিতীয় হুগলি থেকে ওড়াব আকাশে।

আগুন বাতাসে ফাগুন বাতাসে
সে খবর পৌঁছে যাবে
ভূত্বকে সবে আসাদেরও কানে।

শূন্যতা তুই কি ভেবেছিলি 
আমার এ সারি শরীর
ফুলচারায় ভরাবি, লাগাবি বাগানে?



একা থাকলেই কিসের যেন শব্দ আসে
সবাই আসো আর শোনো রহস্য কথা।

লোকটা রোজ ভোরে কাকেদের কিছু বলে
কিছু কথা হয় শিউলিদের সাথে, নিঃশব্দে।

অনেক শব্দ নিজে নিজেই কথা বলে
ভূত্বকে আপন আপন শব্দ সব ডাকে।

শূন্যতাই কঠিন কুয়াশায় লুকালে শরীর মন
হাহাকার সমাজ সংসারে, একা থাকা মনে।

কিছু অলৌলিক লোক শব্দকে জাপ্টে ধরে
মায়ার শরীরে ঈশ্বরের বারবার জন্ম হয়।

সব শূন্যতাই জন্ম দেয় ভরা বিস্ময়
শব্দেরা লুকিয়ে ঐ শূন্যতায়, ঐ শূন্যতায়।

আহা, শব্দ বাণে শব্দ কব্জা করে, কব্জা করে
রামের মত অভিশাপ খায় সব কবি মনে হয়।


ঠিক কতটা বাড়লে নাগাল পাওয়া যায় হাকুতকুত করতে করতে জানার চেষ্টায় আছি, ছাইগাদার উপরে ফেলা কাঁঠালের ছালে বসছে আর উড়ছে ডুমো ডুমো মাছি, তোমাকে হয়নি বলা এখন আমি দর্শকে বাঁচি।

পাখিদের হঠাৎ ছায়াতে ঠকে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ, আমি কি করবো বল পাশেই দাঁড়িয়ে গাছ, ও তে তো ফল ভরা পাখি করে নাচ, মুখ কালো বানরেরা লেজে চুল বাছ।

তোমাকে হয়নি বলা করে নিও আঁচ, বেঁচে তো এখনও আছি, চারদিকে কাঁচ, মাঝে মাঝে হাত পা কাটি, রক্তের নাচ, এখনও খেলে, চেয়ে থাকে গাছ।



সাক্ষাৎকারে : জ্যোতির্ময় 

হায় কপাল : মাধব মন্ডল







কথার ভিড়ে সমাজ ওড়ে তুই কেডা!
হিংসা ওড়ে ভর দুপুরে মার গুলি।

গুরু কি দিলে রোয়াবি চাল মর সব
লাশের কথা শুনতে দেব? মার লাথি!

লাশেই শুরু কর্মনীতি বোলচাল
বোলচালেতে নষ্ট গুরু গুলি ছোঁড়ে।

লাগ ভেল্কি লাগ ভেল্কি লাগুক না
লাগলে জোর অক্কা পাব তুমি আমি।

হায় কপাল! জন্ম থেকে দেখি খেলা
বুঝবো ঠ্যালা এবার তালে ক্ষেপে ক্ষেপে?

মাধব মণ্ডল






হাত
---------




ইস, এ হাতে এখনো বসে
দুব্বো ঘাসের পাতা
একটু একটু কালচে ঘৃণাও
ঘর দালান উঠোন ফুঁড়ে
আসি আসি ভাব।

জিভ সব ভেঙে ভেঙে
কথা বা গান ছাড়ে
নদী বা পুকুর ঘাটে
আমার লোমশ বুকে
খুকি তুই কাকে যে খুঁজিস!!

গল্প গল্প মন তোর
এ হাত আলমারি পাক
নিদেনপক্ষে একটা তাক
পেয়ারার ডালে বুলবুলি
আর ফুটে থাকা থোকা থোকা ফুল।

কাল রাতে কেঁদেছিল খুকি
গভীর দুঃখ পেলে ও খুকি কাঁদে
সেই সুর আদি গঙ্গা খায়
ও হাতে এবার কি তুলেছিস?
কচি কচি দুব্বো? ঘৃণা?

মাধব মন্ডল




নাও গল্প
********



ভাসছে কথারা চিৎপাৎ কখনো বা উপুড়
কেউ কেউ শত্রু শত্রু টাক টাক মাঠে কে!

চিৎপাৎ উপুড় উপুড়  শুধু পোড়ে কথারা
গল্পে আদিরস ঢেলেছে তাই বুঝি গিলছো!

তাহলে গল্প শেষকথা! শব্দের বুননে
ও পিরীত সোনা এসো এসো বর্ণপরিচয়ে।

কুমারীরা বড় বড় হলে ভয় উথলে ওঠে!
ও আবাদী কাকে ভয় তোর! দেহরসে লাফাস?

সূর্য নেমেছে গঙ্গায় সটান ভাষা পাড়ে
এ আদি বিষে অলস কিছু এক্ষুনি চাইছে।

নাও গল্প খাও গল্প পেটুক দেহবাদী
কথারা পুড়বে ও পোড়াবে কুমারীর হাতই।

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(ষষ্ঠ পর্ব)





মাধব মন্ডল 
**********


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।




আমি জানি মাঝে মাঝে তুই বিপুল বিষাদী 
চুপচাপ হাঁটিস
তোর মুখ শুকিয়ে মরুভূমি
বাঁদিক বরাবর
ডানদিকেও একলা থাকিস।

কি করি কি করি ভাবতেই থাকি আর
এক আঁচলা বিদ্যাধরীর জল আনি
ছিটাই তোর চোখে মুখে
ক্ষণিকে শান্ত হোস
সাগরী ঢেউ ঝাঁপায় অন্তরে অন্তরে।

এবার আর তোকে কোল ছাড়া করবই না
সুর করে মেখে রাখি তাই কাজে অকাজে
তোর কানে সুর দেব
ঐ নদী দিয়ে দেব
রোদে জলে রাতে বেরাতে ওর বুকে নিঃশব্দ ঘুমাস।


কাল রাতটা কাল রাতের মতই কেটে গেল
রাত জাগা হুতোমেরা লজ্জা পেল শুধু
চারদিকে এত আলো
ঝলসে গেল অন্ধকারেরা
মানুষের মনেই তা`লে হুতোমের বাসা!

আজ ক'দিন হল
সত্যি কথা বলতে কি
আমি একা একাই তোর সঙ্গে কথা নিয়ে খেলছি
মাঝে মাঝে কি রাগাটাই রাগছিস
এহ বাহ্য
তোর রাগগুলোকেও খাচ্ছি সশব্দ!

কিন্তু কাল যে কি হল
আবছা আবছা একটা ছায়া নড়ছে চড়ছে
আমাকে ফিসফিস করে বলল
নে নে চল চল চল চল 
কি আশায় পড়ে আছিস পাগল!
অকস্মাৎ
অকস্মাৎ মর্মভেদী ডাক সন্তানের।

অতঃপর 
অতঃপর বাস্তবে ফিরি
বড় কি দেরি হয়ে গেল!
এখনও কি শীত শেষে কৃষ্ণরা নাচায়?
এখনও কি চড়াই পাখি কিচিমিচি ডাকে?
শিম ঝোপে ছাতার এসে বসে আর ছটপট করে?
অকস্মাৎ মর্মভেদী ডাক সন্তানের
কাল রাতটা কাল রাতের মতই কেটে গেল!


এইমাত্র শ্মশান থেকে ফিরছি
আসলে কি জানেন
খুব ছোট থেকেই ওর শরীরে এ বিষ ঢুকেছিল
আধুনিক চিকিৎসাও কোন কাজে এল না
অতঃপর সব শেষ!

অতঃপর সব শেষ হয়ে গেল
শ্মশানে যেতে যেতে শকুন বাচ্চার কান্না শুনি
একদল সমব্যথী রাস্তা-কুকুর সঙ্গ নেয়
ঐ তো শ্মশানের ছায়া ছায়া গাছ
একটি মাতাল গদগদ হল।

অতঃপর চিতার আয়োজন
ডোমকে চোলাই দিলাম পরিমাণ মত
শ্মশান শাসক নেতিয়ে পড়ল কিঞ্চিত পরে
একে একে সব সুতো ঐ চিতা খায়
সাক্ষ্মী শ্মশান পাখি,কুকুরের দল।

অতঃপর সেই মুহূর্ত!
ভূত্বকে ধুলোর উপর পদ্মাসনে আমি
হিঁচড়ে আনি শরীর থেকে নিজের একান্তকে
হায়, একি তোর হাল
মানুষকে ভালবেসে ভালবেসে!

দৃঢ় প্রত্যয়ে উঠে পড়ি
চিতার মধ্যে ঢুকি অতঃপর
আগুনকে ভালবেসে বলি
আঃ, কি শান্তি! কি শান্তি!
এই নাও আচ্ছন্নকে পরিমার্জনা কর।


হাঁটতে হাঁটতে শূন্যে ঝাঁপাচ্ছি
কাঁপাচ্ছি শরীর মন
হাঁপাচ্ছি একটু একটু
শূন্য দিচ্ছে ধরা তাও একটু একটু
বকুলের সময় এখন
এখানে অনেকেই আজ নিরাপদ।

যদিও ভূত্বকে সবাই নয় নিরাপদ
আপদ কংস সচল প্রকাশ্যে
শিশুরা ব্যঙ্গে ওখানে হাসে
যদিচ এখানে এখন অনেকেই নিরাপদ
এখানে এখন বকুলের সময় কিনা!



(চলবে...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(পঞ্চম পর্ব)






মাধব মন্ডল 
**********


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।






জীবনটা এমন চলতে পারে না
বাস রাস্তার মাঝখানে ঐ লোকটা
সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা বুট পরে
হাতে দলীয় পতাকা
তামাশা আরো জমাবার জন্যে
কে একজন একটা প্লাস্টিকের চেয়ার দিল।

অতঃপর চেয়ারে ওঠে লোকটা
জীবন এভাবে চলতে পারে না
এ প্রধান চোর
প্রধান সাহেব জিন্দাবাদ
এরপর শুরু হয় জিন্দাবাদ ধ্বনি
গাড়িরা দাঁড়িয়ে পড়ে একে একে।

একে একে লোকেদের মনের কথাগুলো
প্রকাশ্যে না বলতে পারা কথাগুলো
লোকটা টেনে হিঁচড়ে বার করে
কারো চোখে রাগ নেই
বেবাক হাসিগুলো পিচ রাস্তায়
আহা,প্রধান আপনি তুমি তুই এক্ষুণি আয়!



লতপতে কথারা আমার মুন্ডু ছিঁড়ে খাক
তবুও আমার বাঁচা আমারই হাতে থাক
হাওয়ায় ওড়ে সজনে আর শিমূল শিমূল
চ্যাঁচাচ্ছি না এটা বলে - কি ভুল কি ভুল!

আমার চোখে কি বিদ্বেষ আঁকা ছিল?
আসলে শীতে শিরীষের ডাল ফাঁকা ছিল
আচমকা রোদ্দুর এবার যদি আঁকো
চোখে চোখে গড়ে ওঠে বারুদের সাঁকো।

ঐ দেখ ডালে ডালে কাজলের রেখা
ওড়ে খুব ডাকে খুব নানা দলের শেখা
ডাকি তোকে আয় আয় মুন্ডু ছিঁড়ে খা
অনন্ত বিষাদের ছায়াদের চেয়ে ভাল যা।



চাওয়া পাওয়া সব উঠে গেল
কার কি হিসেব বাকি বল
নিয়ে নাও নিয়ে নাও
আমাকে নীরবতাই দিলে দাও।

চারপাশে এত শব্দ, এতই শব্দ
দশরথের মত ব্যর্থ হতে চাইনা
নীরবতা তুই আমাকেই শেখা
শব্দভেদী সেই অব্যর্থ বাণের কৌশল!

যার যা বোঝার বুঝে নাও,নিয়ে যাও
নিখুঁত সাজানো নীরবতায় তোর প্রবেশ নিষেধ
আর তো ফিরব না সন্তানের ডাক ছাড়া
চল মন লোটা কম্বল আর নীরবতায়।


(চলবে...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(চতুর্থ পর্ব)







মাধব মন্ডল 
**********


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।




ঠিক কতটা পেরোলে পথ
লোকে জন্মদিন করে
গোলাপের তোড়া হাতে একমুখ হাসি
হাসিতে মধু ঝরে
যে স্বপ্নগুলো ভালবাসি
বাঁচি তার পাশাপাশি
সকালের রোদ গায়ে পড়ে।

অপেক্ষার বৃষ্টিরা
কেড়ে খায় প্রভাবশালী
মেঘও পক্ষপাতী,কি করব
আয় দুব্বো,নিজেই আশীর্বাদ হ'
ধান তুলসিকেও ধরব
আমি না হয় সক্কাল সক্কাল
সজনে তলায় বসে পড়ব!



এখনও এই প্রায় মাঝ ফাল্গুনে
কুয়াশায় ঢাকে ভোর আর সকাল
একলা ফিঙেরা পোতা বাঁশের ডগায়
আজকাল তোরা কেন বারবার দেখা দিস!
তাও একা একা
কাকেদের মতো তোদের কি মিছিল নেই কোন?

সব রাস্তায় ভোর থেকে রাত
আম ফুল মাতাল করে মন
সজনে ফুলেরা সাদা চাদর হয়ে আছে পড়ে
মাছেরা ভয়ার্ত হয়ে জল থেকে উঁকি দেয়
দু'একটা কুকুর গন্ধ শুঁকে অভ্যেসে ডাকে
মেঘেরা লুকিয়ে কুয়াশায়,হায়!



আসলে আমার অনেক কিছু দেখার ছিল
কিন্তু আমি দেখলাম যে প্রায় দখলি খালে কচুরিপানার বাহারে ফুল
আমি কি বোকা!

আসলে অনেক কিছু করার ছিল আমার
আমার বন্ধুরা
আমার গান্ধর্ব মতের বউ
একমাত্র বাচ্চাটিও
সেকথা মনে করিয়েছে বহুবার
কিন্তু আমি শুনেও না শুনছি
সেসব গুহ্য কথা
আসলে আমি তো চালাক নই মোটে!

আসলে যেখানে আমার হিসেব অনুযায়ী
ঝোপ জঙ্গল সাফ করা দরকার
সেখানেই আমি ছায়া খুঁজছি,মায়া খুঁজছি
আর আম,ঘাস আর বাঁশ উদ্যান
উথাল পাতাল করে চাঁদ ডুবছে উঠছে।

ঈশ্বর মুচিরাম আর কাউরেচরণ
যাঁরা কিনা একমন একপ্রাণ ভাই ভাই
এই নাতকুড়কে দেখছে আর বলছে--
শালার আড়ে নেই বহরে আছে
আর ঈশ্বর রাইচরণের প্রায় লোমহীন বুক
মাথা রাখছি সেখানে
আর কি যে হচ্ছে কি বলব
আমার এ কটা চোখ বরাবর আরেকটা নদী নামল
আর এই মোটেও চালাক নই আমি
সেখানে ভাসছি আর ডুবছি!



এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক
পাখিরা নির্ভুল সুরে
গাছেরা মাথা নাড়ে বর্ণমালায়
উঁকি মারে লাউফুল
এক পুকুর মাছ থেকে থেকে ঝিলিক দেয়।

এত পাখি,এত গাছ,এত শিশু!
সজনের ফুল কুড়োতে কুড়োতে
অবাক চোখে চোখ রাখে
ভাজা খাবে দু'টো নিয়ে যাও
আমি তো ওদের মতই হাসির চেষ্টা করি।

শুধু ঐ সাদা দাড়ি লোকটা
কখনও ভাই বলে
কখনও খোকা
বলে কিনা সব ঠিক আছে
মানুষগুলো আর ঠিক নেই।



(চলবে....)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(তৃতীয় পর্ব)





মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।


(তৃতীয় পর্ব)




ঠিক কতটা বাসলে ভালো
ঐ তো আমাকে জানাল
চোখেতে ফোটে বৈশাখি আলো
কি বুঝি আর ও কি বোঝাল
খুঁজে খুঁজে মরি ঐ তো খোঁজাল
ভ্রুতে আলপনা আঁকলে চোখ যে বোঁজাল।

এ কি ভালবাসা?
মনে হয় মায়ার পিপাসা
তাই বারবার ঘটে শুধু তামাসা
দোল দোলে আশা আর নিরাশা
আর হঠাৎ কুয়াশা
কেটে গেলে জেগে ওঠে আশা।



এত ভিজে ভিজে ভালবাসা,এত্ত
আর এত্ত এত উপোস,নির্জলা
তাই এত ভুগি সর্দি কাশিতে।

জানি তোর ভয় নেই কোন
নিজে চলিস নিজের মতো
তোর আশারা জেগে উঠুক।

আমার বোঝা মিথ্যে হোক
মিথ্যে হোক মিথ্যে হোক
মিথ্যে হোক আকাশে গড়াগড়ি।

ভূত্বক ফুঁড়ে কেঁচোর মাটি উঠুক
গর্ত ধরে ঢুকে যাই কুমারী কেঁচোর কাছে
বলি গিয়ে দেখ দেখ পেয়েছি কত ভালবাসা।

কত কত্ত ভালবাসা,ভালবাসা
বলি গিয়ে শুয়ে আছে নরম গদিতে
প্লাস্টিক দেয়াল,শ্বেত পাথরের মেঝেতে।



সিগন্যাল লাল
থামো থামো থামো
দরাজ নয় ওটি
রাখো পাকামো!!

কেউ নেই পথ চেয়ে আর
ঘুম নেই তোর ক্যানো?
পথ সব বেছে নিল যে যার
পড়ে থাক চুপচাপ ন্যাতানো।

গান এলে কানে
ছিঁড়ে ফ্যাল কান
চিল ডেকে খাওয়া
বাঁচা তোর মান।



আমি তো লতপতে মাল
এত টাকা তোর
পাথর বসানো চক মেলানো তোর ঘর
আমি বেমানান
ছেঁড়া খোঁড়া হয়ে আছি ভাই!

ভালবাসা নয় কোন এক মায়া
ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিস
দুব্বোর হাড়ে গজাবার মতো।
দু'হাত উপুড় করা
খালি নেই নেই করা!!



আমার জন্মদিনে কেউ পায়েস করেনি কোনদিন
বাবা কি কোথাও লিখেছিলে নাকি?
কোনদিনও স্কুলে না যাওয়া মার কি মনে ছিল জান?
সেদিন বর্ষা বাদল
বেস্পতিবার!

এমনটাও নয় যে
আমার উপরের আট আর নীচের একজন
জন্মদিন উপহার পেয়েছিল।

আসলে, কি বলি
বিদ্যাধরীর নোনা হাওয়া
ঐ নোনা হাওয়াই জন্মদিন খেল।



আমার ঘুম কেড়ে খা
ঘুমের ভেতর গাল পাড়
দশ ভূত লেলিয়ে দে
সব চুল তুলে নে
গালটা তুবড়ে দে
ঘুম পেলে বরফে বসা আর
পায়খানা পথে পুলিশি গাদন দে।

তবুও নৈরাশ্য নয়
হবও না বুদ্ধ অনুগামী
আমি তো আমার মতো
চিৎ হই,উপুড়ও হই।



আমার সংশোধনী আমি নিজে
তুমি তো নিষ্ঠুর ঘাতক
আমি খানা খন্দ লাফিয়ে সকালকে ডাকি
তুমি ভাব সকাল তোমার প্রাপ্য
পাখিদের সুর শেখাই,আর
তুমি বলছো ও পাখি তোমার!

এতটা মিনিট,সেকেন্ড
শুধু তোমারই তর্জনী গিললো
আমি বলি কি,কি বলি?
পদচ্যুত করে তুমি শীর্ষ ছোঁও
আমি শুধু একটু অন্ধকার চাই
আমি যে আমার নিজের সংশোধনী।



দুটো চড়ের দাগ আজও আয়নায় দেখি
স্পষ্ট দেখা যায় ওদের
মানুষের আয়না এটা তো নয়
কথা কিছু কিছু মনে আছে
অজস্র বেবুঝ জল
কিছু কি শিখেছি?

একটু একটু কানমলা খাই
একেক করে শিরা ছিঁড়ি
বস্তাবন্দি করেছি বেয়াদপি,হায়!
তবুও মানুষ হতে এখনও অনেক বাকি।



সবটা দিয়েছি
কোথাও রাখিনি একতিল
তাহলে কিসের এ যুদ্ধ
যুদ্ধ!
এ কোন ভালো থাকার অন্ধকার
এত নৈরাশ্য
এত বিচ্ছিন্নতা
এত ঘৃণা ফুটে ছিল?
আমি কি এতই অধম!

মিনিট সেকেন্ড সেকেন্ড মিনিট
আষ্টেপৃষ্ঠে প্যাঁচানো
কি করে কেটোছো গুণী?
ফুটো ফুটো বাসা আমার
অসম্ভব চাঁদনি কলরব
এই কি ছিল তোমার চাওয়া!



আহা,কি সুন্দর
কি দক্ষ সিদ্ধান্ত তোমার
পুকুর সেঁচে মাছেদের বলছো ভাল আছো?
কখনও বলছো আরে ভয় কি
ঐ তো মেঘ আসছে
ঐ বৃষ্টি নিয়ে
এক নম্বর
ন'নম্বর
চার নম্বর
ঐ তো আসছে ওরা
প্যান্ডেল বাঁধো
লাগাও প্রতিটা দিবস জম্পেশ
গোলাপ দামী হলে মোরগজটাই আনো।

আহা,কি সুন্দর বল তুমি!
কোটেশন করে বাঁধি
কারোর বৃষ্টির আর নেই ডাকাডাকি
কাদা জলে আর কখনও বা পাঁকে
শান্ত উদ্বেগে সময় জাপ্টে বসে আছি।



একটা একটা করেই মারছি
একান্ত ভুল
একটা একটা করেই তাড়ছি
অশান্ত গুল।
একটা একটা স্মৃতি মাকড়
রক্তে ভাসে ঐ
একটা একটা শেকড় বাকড়
জ্বলে আসে ঐ।

একটা একটা মিনিট যাচ্ছে
মন শুখাচ্ছে না
একটা একটা ঝড় যাচ্ছে
নাগাল পাচ্ছে না।
একটা একটা কথা ভাসছে
গায়ে মাখছি না
একটা একটা রোগ হাসছে
রক্তে রাখছি না।



ভুলে তো খেয়েছে গুলে
জলগুলো ফলগুলো
ছুটে এসে গেল ফুটে
চুলগুলো ফুলগুলো
তোলা তো রয়েছে কানমোলা
রাগগুলো ফাগগুলো
গোলা তো মেরেছে ঝোলা
ধানগুলো পানগুলো।

পাখি করে ডাকাডাকি
ফুলগুলি ফুলগুলো
রাতে আসে কাটতে
ভুলগুলি ভুলগুলো
পাশাপাশি কাছে আসি
তাপগুলি তাপগুলো
খেটেমেটে খাই পেটে
ভাতগুলি ভাতগুলো।



প্রত্যেকটা প্রত্যাখ্যানে হাজারো রক্তক্ষরণ
কি যন্ত্রণা কি মরণ এমন মরণ!
আমি তো নিজস্ব ভূত্বকে কামড়ে ধরি তোমাকেই
কীট জ্ঞানে আছাড় মারলে!
কি আশ্চর্য,বিষে কেন ছটপট কর তুমি!

কি কপাল আমার!
এতকাল দেবদূত সাজালাম পরস্পরে
মিনিটে মিনিটে ভগ্নাংশে পূর্ণভাবে
নৈবেদ্য নিয়েছি দিয়েছি কত
আর আজ!

এত কষ্ট কাটে তোমাকে
তুমি বলেছিলে না
হায়,কি করি এখন!
তুমি এখানে এভাবেই বিশ্রাম নাও
চললাম আমি.......

কে দেখি পারে এক চুমুকে এক শ্বাসে
ধোঁয়া ওঠা বিষ শুষে নেয়
হে খোলা মাঠ,হে শীর্ষ বাঁশের আগালি
হে বর্ণমালা,হে একাকীত্বের শব্দ
আমাকে গুঁড়ো গুঁড়ো কর

আমার বিস্ময় বিষকে গুঁড়ো গুঁড়ো কর
হে পুকুর পাড়ে গজানো থানকুনি
হে দুব্বো,হে তুলসী,হে বুনো ফুল
হে আমার মালা বদলের রজনীগন্ধা
আমি তো দুর্বিপাকে বিপন্ন,জল খেলি শুধু।



(ক্রমশ...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(দ্বিতীয় পর্ব)







মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।





    ( দ্বিতীয় পর্ব)



আগে থেকে বোঝা যায় কোন ঝোপে বসে আছে বাঘ!
অনভিজ্ঞ সেই আমি সপাটে মেরেছি বাঘ
আর তুমি কিনা বললে
এটা কি দুঃখজনক ঘটনা
বাঘের আমাকে খাওয়া উচিত!

কি কান্না কেঁদেছিল
আহা,ফাঁদ ফেলে ঐ বাঘ।
আজ আবার সেই আওয়াজ কান শোনে
তোমার নখ থেকে,চুল থেকে।

উঠুক গর্জন
অভিজ্ঞতাই মোকাবিলা করে
সবংশে নিষ্ঠুরতা গিলবো এবার।


তুমি এখন ঝড়ের মুখে
উতাল পাতাল মন
কাউকে করো পরোয়া?
কচু কাটা হয় গোলাপ বন
তোমার তুমি হিসাব ধাঁধায়,
ঘুর্ণি বিপাক বিনা বাধায়!! 
তুমি আর সেই তুমি নেই
এখন তুমি নিজেই ঝড় তোলো।


কতটা মিনিট সেকেন্ড আর বছর কাটলে ভালবাসা জেগে ওঠে প্রতিটা লোমের গোড়ায়,কতটা রক্ত পথ পেরোলে শিবরাত্রি ভালবাসা মাখে!!হাঁটতে হাঁটতে ফিরে দেখি হঠাৎ তুমি উল্টোদিকে ছুটেছো,কি ঝড় কি ঝড়,একা হাতে সামলেছি কত!উড়ে যাওয়া তোমাকে নামিয়েছি বুকে,ঝড় থেমে গেলে ভালবাসা ভূত্বকের সব আবর্জনা ধুয়ে দিত,আর আজ সেই আমি উড়েই চলেছি মাটি ছেড়ে ঘাস ছেড়ে শীর্ষ বাঁশের ডগা ছেড়ে.......

কাল তুমি নরম সোফায় আধশুয়ে খবরটা দেখতে ভুলো না কিন্তু.....

এ খবর শুনে ভূত্বকের কচি ব্যাঙগুলো আর বোধহয় ডাকবে না,খাবেও না এক চিমটে বিষ!!


কতটা ক্ষত হলে থামে একটা ঝড়
আর যদি সে আচমকা নামে বুকের উপর
ঘুমের ভেতর?

কতটা সংসারী হলে ঝড়ও দোরে এসে কুর্ণিশ ঠোকে
কত ঘাম খেলে ফসলও খাঁটি হয়!

কেউ কি জান?
কেউ কি জান কতটা ঘৃণা জড় হলে ভালবাসা উড়ে যায়!

কতটা মেকআপ মাখলে নকল আসল হয়
কতটা শিশির জমলে মনে,ভালবাসা জাগে সিম আর লাউয়ের মাচায়!

কতটা চাপে বিপর্যস্ত হলে মন থেকে উড়ে যায় যুক্তিরা
কতটা যুক্তিহীন কাজ হলে মানুষ পাগল শিরোপা পায়!!

কেউ কি জান?
কতটা ক্ষত হলে একটা ঝড় থামে??


আকন্ঠ বিষয়ী তুমি
হায়, তোমারও গলা এখন দুব্বো পাতা!
মোড়ের মাথার কৃষ্ঞচূড়া,কি বলি 
আজ কি তোমায় চোখ মেরেছিল?
ফাগুনের আগুন চেটে নিলই 
ঘুম ঘুম জমাট শীতলতা।

কি হিসাব কিসের হিসাব
মিলে গেল বিষয়ী?
শুধু কিছু লাইক কমেন্ট
এই তো ছিল রোজকার বরাদ্দ!
আজ শুধু মায়ায় ভরেছো তুমি
ভালবাসা চুপচাপ একধারে পড়ে।


দাঁড়িয়ে আছি তো আছি
পাগল আমি
তোমাকে ছোঁব বলে
গান্ধর্ব মতে উষ্ঞতা গলেছে মনে
আর কত দাঁড়াব!
ঐ তো গেল তোমার ট্রেন
তারপরেরটা...তারপরেরটাও।

নাহ, সব আশা শেষ হল।

কতটা উপায়ী হলে সব চাওয়া হয় পাওয়া?
পাওয়াগুলো বাসা বাঁধে এ লোমশ বুকে
নির্দিষ্ট ট্রেনে তোমাকে ফিরিয়ে আনা যায়
আর মধ্যরাতে বিসমিল্লা খান হওয়া যায়।

দাঁড়িয়ে আছি তো আছি!!


(ক্রমশ....)