নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জীবনের ধারাপাত : শাহীন রায়হান



ঘড়ির কাঁটায় শিশিরকণার মতো
ঝরে যায় জন্মান্ধ সময়। অস্তগামী সূর্য
মিলিয়ে যায় নিভৃত অন্ধকার মিছিলে-
স্ফটিক ডায়ালে কালবৈশাখীর মতো
আবার ধেয়ে আসে নতুন সময়।
ঋতু বদলে ঘড়ির কাঁটায় এখন
পাতা ঝরা নির্জন শীত-

বয়ে যাওয়া সময়ে অস্ফুট বিলাপ করে এক
গৃহহীন পথভ্রান্ত কুয়াশা ভেজা জবুথবু দাঁড়কাক-
যেমন বিলাপ করে জীবনের ধারাপাতে বাস্তুহীন
বরফ জমা পথ মানব।

কবিতার তরে : রিক্তা রায়


জীবনপথ কতটাই বা আমাদের
তবু এরই মাঝে নিজেকে দিই বাজি।
শুকনো গাছ ভিজেছে কতোবার
অশ্রুসিক্ত হয়ে আঁখিদুটি!
কতো চেনামুখের দেখেছি অট্টহাসি
আশীর্বাদ রুপে তবু কাছে টেনে নিয়েছি।
অহংকারের সীমায় চেয়েছি দেয়াল তুলে দিতে,
ভালোবাসার মোহে তা পারিনি!
সুযোগ সন্ধানীর পথ করেছি অবরুদ্ধ
মিথ্যের আলপিন ভেঙে করেছি চূর্ণবিচূর্ণ।
আলগা করেছি  অশালীন বন্ধুত্বে,
মরচে পড়েছে স্বজনপ্রীতি!
তবুও কলমমুখর হয়ে কতো স্বপ্ন দেখি
কবিতার টানে ডায়েরীতে চোখ রাখি,
যদি কারো একটু তারিফ জোটে
খুশিতে যদি মুখে ফোটে একটু মুক্তো হাসি!

পুরোনো স্মৃতি: অমিত কুমার জানা



স্মৃতির পাতায় মরচে ধরে
স্মৃতিচারণায় মরচে সরে,
মনস্পটে ভেসে ওঠে পুরানো দিনের কথা,
কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা হাসি কান্না ব্যথা।

আসে না ফিরে পুরানো দিন
মন থেকে তবু হয় না বিলীন,
মনের দরজায় উঁকি দিয়ে যায় কর্মের অবকাশে,
বেদনা-মধুর প্রতিক্রিয়ায় এ মন অজান্তে হাসে।

মনে পড়ে সেদিনের ছেলেবেলা,
কি মিষ্টি মধুর হাসি কান্না খেলা!
কি করে ভুলি এমনই মধুর মায়ের তিরস্কার!
পুরানো দিনের স্মৃতির সাথে শৈশব একাকার।

কোলাহল করি বন্ধুর সাথে
স্কুলে যাওয়া সেই মেঠো পথে,
খেলার স্মৃতিচিহ্ন আঁকা গাঁয়ের সবুজ প্রান্তরে
স্মৃতিচারণায় অমৃত লভি তা যদি পেতাম ফিরে!

পুরানো বন্ধুর মুখখানি ভেসে ওঠে
স্মৃতির গলিপথে ব্যাকুল মন ছোটে।
স্মৃতিপটে আজও অক্ষয় 'প্রথম কলেজে যাওয়া,
ভুলতে কি পারি 'তার প্রেমে প্রথম হাবুডুবু খাওয়া'?

কত সংগ্ৰাম জীবনের সাথে
ডুবে থাকি সেই স্মৃতিতে,
পুরানো লড়াইয়ের কত ক্ষতচিহ্ন জেগে থাকে বুকে
তাইতো বর্তমানেও চোখ ছলছল অতীতের শোকে।

বসন্ত দূত : মিঠুন কর্মকার



তুমি যে আমার স্বপ্নপরী
তুমি যে আমার অপ্সরা,
অবশেষে এসে হে প্রাণপ্রিয়ে
তুমি আজ দিয়েছো আমায় ধরা।

ওই হৃদয় হরণ করা মায়াবী চোখ
ওই মোহে ফেলে দেওয়া নিস্পাপ মুখ,
জানো কি প্রিয়ে আমায় যেন আজ
দিয়ে চলেছে এক অজানা মধুর সুখ।

ওই সুগন্ধে ভরা তোমার সুন্দর কেশ
ওই হৃদয় এলোমেলো করা অপ্সরীয় বেশ,
জানো কি প্রিয়ে, যেন বারবার মনে হয়
তুমিই আমার সেই আকাঙ্খিত স্বপ্নের দেশ।

হরিণের ন্যায় ওই চোখে তোমার
ইচ্ছে করে ডুবে থাকতে আমার,
হৃদয় সতেজ হয়ে ওঠে নতুন পথ পাই
যখন কর্ণে ভেসে আসে মধুর স্বর তোমার।

হাসিতে রয়েছে হাজারো মুক্তার তেজ
তোমার স্পর্শে ঘোচাতে পারি সহস্র ভেদ,
তুমি কি আমার জীবনসঙ্গীনী হবে প্রিয়ে?
দূরে সরিয়ে দিয়ে তোমার মিষ্টি মধুর জেদ।

ধ্যানস্থ হই : সুমিত মোদক




নদীর ওপারে থেকে ভাসতে ভাসতে এপারে ,
ঠিক তোমার কাছাকাছি ;
যেখানে তুমি ধ্যানস্থ হয়ে আছো
তোমার মধ্যে ;

সকালের আলো তখনও ফোটেনি ;
দিগন্ত রেখার ওপার থেকে
আলোর আভা এগিয়ে আসছে
তোমার দুচোখের কাছাকাছি ;
মেখে নিচ্ছো আলোর রেণু
প্রেম ;

আমি প্রেমিক হয়ে উঠছি একটু একটু করে ,
এই আলোর উৎসবে ;
ভুলে যাওয়া অতীতের দিন গুলো ফিরে আসে ,
ধরা দেয় ;
তাদেরকেও বসতেদি বুকের মধ্যে ;
মস্তিষ্কে এখন মহাজাগতিক সংসার খেলা করে ;
দেখি আরেক গ্রহের সৃষ্টি ;

তুমি দিয়েছো আমাকে প্রথম সকালের আলো ,
ধ্যানস্থ হওয়ার কৌশল  ;
আমি ধ্যানস্থ হই আমার মধ্যে ,
আমারদের উত্তর পুরুষে  ।।


-----

অভিমানী সুখ : রথীন পার্থ মন্ডল



এখনও গোধূলি রং আনে
বৃষ্টির পরে সোঁদা গন্ধ,
এখনও মাটির ভাঁড়ে গরম চুমুক
এখনও অভিমানী রাত গড়ে দ্বন্দ্ব
এখনও আলোর ভাঁজে আঁধারের সুখ
এখনও মন কেমনের ঘরে তোমার মুখ

         

পথজাল : অনিন্দ্য পাল


পথের শেষ হয় না কখনও
সব পথই অন্য পথে মেশে,
পরিশেষে
জুয়াড়ি জীবন তবু পথ খোঁজে
অসংখ্য ঐশ্বরিক জালে,
ভ্রষ্ট মন সব শেষে দেওয়ালে পিঠ রাখে
অন্য পথ তবু যদি মেলে!
নিজের কৌশলে মৃত্যু মহীয়ান
নির্বাক গোপন কাহার
শাখা প্রশাখা সব এক মোড়ে বাঁধন
পথ নেই, পথ আছে ...

শূন্যের ভিতরে শূন্য, অতল সাধন। 

বিষাক্ত মানুষ : জয়দেব বেরা



মানুষ আজ হারাচ্ছে তার মনুষত্ব,
মানুষ আজ হারাচ্ছে তার মান ও হুশ।
মানুষ ক্রমশ হয়ে উঠেছে আজ বিষাক্ত
মানুষ আজ মানুষ কেও খুন করতে ভয় পায় না।
মানুষ আজ মেতেছে রক্তের হোলি খেলায়,
মানুষ সর্বদাই করে চলেছে অন্যায় ও অত্যাচার।
কিন্তু করছে না কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ।
তাই বলি মানুষ আজ হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।