সৃষ্টির পূর্বেও ছিলে স্রষ্টার বক্ষমাঝে,
পরেও আছো অধিষ্ঠিত তুমি
বিশ্ব-হৃদয়ের মন্দিরে।
তোমার রঙধনুর রং রাঙা করেছে
কত মানব- মানবীর হৃদয়ের আবেগ!
কত প্রাচীন অর্বাচীনের কামনা তুমি,
সবার উপর বর্ষণ করেছ কৃপাধারা।
প্রেম-গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ-হওয়া হৃদয়-ক্ষতের হয়েছ উপশম,
কখনো-বা হয়েছ চিড়-ধরা সম্পর্ক
জোড়া লাগানোর আসঞ্জন।
সত্যান্বেষীর বাহন হয়ে পৌঁছে দিয়েছ
তাকে তার কাঙ্খিত লালিত লক্ষে।
বর্বরতার পদতলে নিষ্পেষিত নিপীড়িত
জাতির প্রেরণাদায়ী বিপ্লব-গান হয়েছ,
হয়েছ প্রতিবাদ-ভাষা, দিয়েছ মুক্তি।
ঐ রাখালের বাঁশির মনমাতানো সুরে,
বসন্তের ঐ কোকিলের সুরেলা কূজনে,
মৌমাছির ঐ অবিরাম গুঞ্জনে,
ঐ পাহাড়ী ঝর্ণার জল-তানে
আছো তুমি বাসা বেঁধে।
সময়হীনতার সুধা সেবনে হয়েছ অমর
আর অমরত্ব দিয়েছ তাদের যারা
যতনে লিখেছে তোমায় তাদের
হৃদয়ের অনপনেয় কালি দিয়ে!