জাগরণ...
------------------
সহসা রাত্রির অন্ধ তামস ভেদ করে
এক গুরুগম্ভীর ওঁ-কার ধ্বনি
আমার সমস্ত চেতনাকে জাগ্রত করে
টেনে তুলল আলস্যময় নিদ্রামগ্ন শরীরকে।
চোখ মেলতেই ঝলসে উঠলো চোখ,
সূর্যের চেয়েও সহস্র কোটি দীপ্যমান
এক আলোকরশ্মি...
আমি দু-হাতে চোখ ঢাকলাম
ভয়ে নিশ্চল আমার সমস্ত শরীর, সমস্ত অস্তিত্ব।
আমার কন্ঠ থেকে নির্গত হলো শুধু একটা প্রশ্ন,
কে তুমি...?
আমি আদিশক্তি,
আমি সৃষ্টি - স্থিতি - প্রলয়ের প্রথম ওঁ-কার ধ্বনি,
আমি চেতনেরও চেতন,
সৃষ্টির রহস্য, প্রলয়ের বজ্রনির্ঘোষ,
আমি প্রাণের আধার মহাপ্রাণ।
এবার চোখ মেলো, চেয়ে দ্যাখো --
আমি দেখলাম,
দেখলাম আমার সহস্র কোটি জীবন পার হওয়া পদচিহ্ন।
দেখলাম নিজেকে বারংবার
দেখলাম এক প্রজ্বলিত দীপশিখাসম ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু
যেন মিলে যাচ্ছে সেই মহান আলোকরশ্মির মাঝে।
আমি হাত বাড়ালাম...
একটা স্নিগ্ধ স্পর্শে জুড়িয়ে গেল
আমার জন্ম-জন্মান্তরের তৃষ্ণাসম মিলন পিপাসা।
শীতল হয়ে এলো আমার সমস্ত শরীর,
এ যেন এক নতুন জন্ম আমার
নতুন পথের দিশা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন