নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

নেমকহারাম : উজান উপাধ্যায়



আমার প্রেমিকা কবিতা লিখতে বসলেই
আমি হাঁ করে সামনে বসে যাই।

ওর বুকের ভিতরে কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরনোর মতো বেরিয়ে আসে দগ্ধ পাঁজরের গা থেকে পুড়ে যাওয়া রক্তদাগ।

আমি ওর মাথায় একবালতি দুধ ঢেলে দিই।

হঠাৎ রাখাল সেজে হাতে বাঁশি, মাথায় মুকুট।

আমি ওকে ধাক্কা দিতেই এবার খসখস করে বাবার গল্প লেখে।
এ সময়ে ও অহংকারী।

এবার উঠে গিয়ে দেওয়ালে ক্যালেন্ডার নাড়া দিতেই ওর চোখে ভয়ংকর একটা নেকড়ের ছবি।

আমি হেসে ফেলতেই ও রান্নাঘর থেকে সেদ্ধভাতের হাঁড়ি উপুড় করে গরম মাড় তুলে এনে ফ্যামিলি এলবামের ওপর ঢেলে দেয়।

করো কি কবি, বলতেই আমার প্রেমিকা দাঁত খিঁচিয়ে উঠে বসন্তসেনার মতো কোমর থেকে তরবারি বার করে।

গোটা দৃশ্যে চিতা, হাসপাতাল, এম্বুলেন্স, প্রমোটারের লোভী চোখ, সংবিধান ও নারী দিবসের চকচকে ডিজিটাল আলো-

এবার খুব গুছিয়ে চুম্বন দিতেই প্রিয়তমা অমাবস্যা, আর নেমকহারাম অন্ধকারকবিতার  পান্ডুলিপিরা পরস্পরের সমকামী হয়ে ওঠে।

চোখের সামনে এসব দেখছি, আর কফিকাপে জমিয়ে রাখছি গুপ্ত ঈর্ষা।

রাত পর্যন্ত অপেক্ষা, ঘুমিয়ে পড়লেই প্রেমিকার সব কবিতা আমার নামে ছেপে দেব।

না হলে তো ওর পুরুষালি বুকের ছাতি এ জীবনে দেখার সুযোগ মিলবে না।

কবিতা লেখা শেষ হতেই ও নীল আলো জ্বেলে একটার পর একটা আঙুল ঢুকিয়ে দিচ্ছে জ্বলন্ত হাঁপড়ে-

এইবার খেলা শুরু-নপুংসকের।

কোন মন্তব্য নেই: