আকাঙ্খিত অন্তমিল
********************
হৃদয়ের পাঁচিলে জমে আছে শতাধিক শ্যাওলা, অবসাদের অবগাহনে প্রচ্ছন্ন তুমি।
তোমাকে ছুঁতে চাওয়ার,
পুরানো গাঁটছোলায় সঞ্চিত মৃত ক্ষুধা তৃষ্ণা, জঠরের গহ্বরে তোমারূপে ভ্রূন বন্দী।
চাদরের আবডালে পর্নমোচী বৃক্ষের উন্মোচন শরীরে,
কিলবিলিয়ে উচ্ছন্নে কৈশোর মেতেছে রাসলীলায়।
অপত্য স্নেহে অবাধ আস্কারায় জমাটি দুগ্ধস্রোতে স্তনদান,
বিন্দু বিন্দু সঞ্চয়ে ভ্রমিল তনু অবসাদের দীর্ঘায়িত প্রতীক্ষা শরীরি ক্ষুধা।
সকল কিছু উজাগরে লালায়িত অতৃপ্ত শরীর, লেশ জীবাশ্ম এঁটো ভক্ষন অমৃত স্পর্শ অঙ্কিত বক্ষে,
কালো কালো ছোপে হাতড়ায় স্মৃতিচিত্র বায়স্কোপে।
এলোমেলো বিন্যস্ত কেশভারে গঁদ রঞ্জনের জেল,
অঙ্গুলীচারনায় রাজপুত্রের রৌদ্রদগ্ধ হৃদয় হিমশীতল রূপের আলাপচারিতা।
আমি তখন স্নিগ্ধা তোমারে নাড়াচাড়া আবিষ্কার প্রনয়াষ্পদে মানচিত্র।
অঙ্গুলীলেহনে শরীরের খাঁজে খাঁজ অন্তমিল সন্ধিহান অন্বেষনে,
কেন্দ্র নাভিগত অভিকর্ষের টান আমি আনমনা পাতা,
খসখস ঘর্ষনে উচাটন তোমার পরাগরেনুর রন্ধ্রে,
এলোচুলে শুকানো উদগ্র তেজ।
হে সরসী দাও তব ভিরু বাহুডোর লুকাতে চাই আমি,
নাও প্রশয় আমার গর্ভাশ্রয়,
দাও প্রতিদান আগামী।
টলমল পায়ে তোমার হাত ধরে নবাঙ্কুর প্রজন্ম, আমার হৃদয়ের কথাসাঁকো অন্তমিল চরনে, নেই কোন অন্তরাল স্ফুলিঙ্গ তোমার অবাধ আত্মভরি অহংকারী দৌরাত্ম্যে,
মাড়িয়ে যাও অবহেলায় আমার প্রতীক্ষার আঁচল।
তোমার স্বীকারোক্তির সোহাগ সিঁদুর ভ্রমে শিবরাত্রি,
কলসী কলসী দুধ অবলীলায় গড়িয়ে নর্দমায়। অলেখ্য আমার কন্ঠ পিপাসিত তপস্যা ভস্মে ঘি ঢালা,
উচাটন বদ্ধ উন্মাদ স্বামী,
করতে লেগেছে আনমনে তোমাকে সম্প্রদান অন্যত্র এই তোমার প্রতিদান,
বুঝলে না গো আমি শুধু তোমার হতে চাই স্বামী।
সূঁচের অগ্রভাগ সন্দিগ্ধ বান দুশ্চরিত্রা,
গালে খুলতে থাকো আঁচলের পর আঁচল,
কৃষ্ণা নির্বিকার দূরে থাকা নীরব অসহায় দর্শক,
ঔদাসীন্য কি বিচার কর্নপাত নতুন অভিসার, বিষেলা বাঁশির উন্মুখ সুর।
অস্তিত্বের নব সালংকারা রূপ তোমার আঁখিপদ্মের উন্মোচনে,
তোমার নিতম্ব ঊরুর সন্ধিক্ষনে সাগরের নিশ্চিত আশ্রয়,
কুমারীর খিলখিল সহাস্য অপথ্য স্নেহে প্রেমিকার উপবেশন,
ভ্রম পিতৃস্নেহে তোমার হাত ধরে আগামী পথ চলা।
কোমরের দুর্বার যানজট ধাক্কাধাক্কি বস্তাপচা সংসারে,
ভিরু আলম্ব তোলানি ঠাসা,
শিড়দাঁড়া কোনঠাসা,
তবুও দেখ এতটুকু কমেনি মনের জোর,
তুমি তো শুধু আমারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন