দ.কলকাতা,বাঁশদ্রোণী থানার অন্তর্গত ব্রহ্মপুর,
কলকাতা-96
কিছু আলাপ কিছু কথা
*********************
১) আপনার কাছে কবিতা কি ?
উ: আমার কাছে কবিতা---
শুধু ভাল বিষয় ভাবতে পারলেই হয় না।সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর ভাবে মনের ভাব ব্যক্ত করা বা পরিবেশনের কায়দাটাও জানা জরুরী।
কবিতা জন্মের সাথে সব সময় জড়িয়ে থাকে একক সত্ত্বার অধিকারী সৃষ্টিশীল মানুষের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন।
কোন মানুষের মনের ভিতর যদি কিছু সৃষ্টির বা প্রকাশের যন্ত্রনা থাকে তবে সে শব্দের পর শব্দ বসিয়ে পংক্তির পর পংক্তি বসিয়ে শব্দের কথামালায়
সৃষ্টি করে কবিতা।
তবে সবার আগে কবিকে
জীবনের গভীর বিশ্লেষক হতে হবে তবেই সৃষ্টি সার্থক।
২) আপনার প্রিয় কবি কে? আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উঃ আমার প্রিয় কবি----
আমি সীমাবদ্ধ রবীন্দ্র নজরুলে।
25 শে বৈশাখ আর বৃষ্টির দিনে রবি ঠাকুর পড়ি।
অন্য কোনো কবির ভাল লেখা সামনে পেলে পড়ি।
কোনো দিনই আমি কবিতা পড়তে ভালবাসতাম না।কিন্তু ছোট থেকেই মনে হত কি
যেন করতে মন চাই, বুঝতে পারতাম না মন কি চাইছে।সর্বক্ষণ মনটা কিছু করার জন্য অস্থির
থাকত।
ফেসবুকে এসে আমি কবিতার প্রেমে পড়লাম।বলা চলে ফেসবুক আমার অনুপ্রেরণা আর আমার মনের তাগিদ।
শুরু হল আমার কবিজীবন।কবিজীবন আমার এক বছর চার মাস।
৩) আপনি কবিতা লেখেন কেন ?
উঃ-
কিছু সৃষ্টির যন্ত্রনা কুরে কুরে খায়।সেই সৃষ্টির হাতিয়ার আমার কবিতা।
তাই কবিতা লিখি।
৪.আপনার লেখা প্রথম কবিতা ও কাব্য গ্রন্থের নাম কি ?
উঃ-
আমার প্রথম কবিতার নাম 'নষ্টসেরা'(3/8/16)।
অবশ্য প্রথমদিন আমি ৭টি কবিতা লিখেছিলাম।
আমার প্রথম একক কাব্যগ্ৰন্থের নাম"নষ্ট মনের মৌন কথা।"
৫) কবি/কবিতার সাথে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত ?
উঃ: কবি লেখেন কবিতা,তার সৃষ্টির নেশায়।
তার সাথে এটাও কাজ করে, লিখছি তো,পাঠক কেমন ভাবে নেবেন বা নিচ্ছেন।
পাঠক যদি বুঝতে না পারেন তার দায় কিছুটা বর্তায় কবির উপর।পাঠক আর কবি যদি নাগালের মধ্যে থাকেন কবির উচিত পাঠককে বুঝিয়ে দেওয়া,
যদি পাঠক জানতে চান।
কবিতা গুছ
************
মনোরোগী
অঝোর রাতে অন্ধকারে একাকি-
ত্বের যন্ত্রণা অনুভব করছি!
বুকের কাছে চাপ ধরা ব্যথা,
মনখারাপের ঘূণপোকারা মাথায়,
ঘন্টায় ঘন্টায় বংশ বৃদ্ধি ঘটছে,
মরা মাছের মতো ফ্যাকাসে চোখে
ফ্যালফ্যালে তাকান!
যন্ত্রণার মূহুর্তে মনে পড়ে
অবহেলা,নি:শব্দে অপমান,
হেরে যেতে যেতে কুঁকড়ে গেছি!!
যন্ত্রণার মূহুর্তে ও মনে পড়ে ভাল-
বাসাকে!
ভেসে বেড়াই হাওয়ায় ওর সংস্পর্শে,মনে মনে!
আজ আমি বাতিলের খাতায়!!
হেরে যেতে যেতে কমেছে স্নায়ুর
জোর,
ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে হয়ে পড়েছি দূর্বল;
ভবিষ্যত----হয়ত -----
শীতল শূন্যস্থান
অন্তরে শীতল শূন্যস্থান
সুনিবিড় ডালপালায় সজ্জিত।
লুকোনো সমস্যা দেওয়াল হয়ে
খাঁড়া,
দেওয়াল মালুম হচ্ছে না,আগেই
ধাক্কা।
সাদামাটা শান্ত চেহারা,চাপা গাল,
হালকা দাড়ি,কোঁকড়ানো,
অনেকটা জমাট বাঁধা,শান্ত গভীর
চোখ,স্নিগ্ধ পার্সোনালিটি।
সব মানুষকে ছুঁয়ে বুঝতে হয় না-
হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করতে হয়;
সে ছিল হৃদয়ের স্পর্শ,
আত্মার সম্পর্ক পাতিয়ে হয়েছিল
পরমাত্মীয়.আত্মার আত্মীয়।
আজ আমার অন্তরে শীতল একটা শূন্যতা!
মনের মাধুরী দিয়ে সাজায়,স্মরণ করি,বরণ করি!!
বিরহ
সে এক বৃষ্টি বিকেল,
আকাশময় নোংরা প্লাস্টিকের মত মেঘ।
বৈকালিক, দিগন্তের আকাশ-
ছড়ান হলুদ-কমলা আলোটা আজ আর নেই।
মন কেমন করা হলুদ-কমলা আলো!
দূ--রে উপনগরীর দানবীয় স্কাই-
লাইন।
জলদ মেঘে ভরে আছে মনের
আনাচ-কানাচ!
বালিশ নাকে চেপে,চেনাগন্ধটাকে
অনুভব,হারানোর বেদনা,
দীর্ঘ চুম্বন,খুনসুটি,অভিমান!
সব শেষ করে জীবন্মৃত রেখে
চলে গেলে?
তোমার বিরহে আমার,অতল
বিরহ রাগিনী গেছে থেমে!!!
কর্কট রোগ
রাজিতা বিড়বিড় করে,স্মল সেল
কার্সিনোভা(ক্যান্সার)।
ভাবতে পারেনা,রজতাভ মৃত!
চিকিত্সায় সর্বস্বান্ত।
মেডিক্লেম,বলছে রোগটা প্রি-এগজিস্ট;প্রমাণ নতুবা নাটাকা।
বকেয়া বাড়ী ভাড়া,তুলে দেয় যদি!
মগজটা এখন সবুজ সর-পড়া নর্দমা যেন!
ভাবে নিজেকে রাজিতা,মন্দিরের
সিঁড়িতে মেয়েকে নিয়ে চট পেতে
ভিক্ষার ছবি!!
গাড়ির জানালায় সস্তার ধূপকাঠি
বিক্রি!!!
বুজকুড়ি কাটছে পচা নর্দমার
থকথকে তরল।
মশার শূককীট নড়েচড়ে উঠছে,
মন-মাকুটার দড়ি টানাটানি,
বিধস্ত মনটা,আগ্নেয়গিরির গলিত-
লাভা,জমাট বাঁধতে থাকে,
ধী-রে ধী-রে----
ভালোবাসা ২
বাঁশবন,সবুজের হাতছানি,ঝিঁ ঝিঁ
জোনাকির মেলা।
বৈশাখের উত্তর আকাশের অনেকটা জুড়ে সপ্তর্ষিমন্ডল।
মরীচি,বশিষ্ঠ,অঙ্গিরা,অত্রি দক্ষিণে
পুলস্ত্য পশ্চিমে পুলহ,পুলহের
উত্তরে ক্রতু।
গভীর রাত,লক্ষ্মীপেঁচা আমগাছের
ডালে বসে ডাকছে।
দূরের ছায়া ছায়া পাহাড়ের পাদ-
দেশ থেকে পাখি ডাকছে।
কপারস্মিথ---নদীর ওপারে দোসর
সাড়া দিচ্ছে টাক্যু টাক্যু।
আমার বুকেও অনেক কামনা-
বাসনা কপারস্মিথের মতো।
আমার ভালবাসার ঠোঁটের কোণে
দেখেছি,জলফড়িং এর ডানার মতো,
একটা তিরতির করে কাঁপতে থাকা হাসি।
ওভাবে হেসোনা,বুকের মধ্যে সব
কিছু গলে যায়।
চোখের পাতার উপর একটা কালো তিল,ঘাড়ের কাছে একটা,
বুকের ভাঁজে আরও তিনটি,
আমায় চুরি করে দেখতে হয়!
আমার ভিতরের পাগলটাকে
অনেক কষ্টে চাপা রেখেছি!
আমাকে সুস্হ থাকতে দাও!
আমাকে পবিত্র থাকতে দাও!
আমার বড় কষ্ট,তুমি বুঝবে না!
ফুলের গন্ধ,ধূপের গন্ধ,চান করে
ওঠা শরীরের বিবশ করা গন্ধ!
ভাবতে চাইনা,সারা শরীর কাঁপছে
জ্বর এলো?
ডাক্তাররা কি জানেন কত রকমের জ্বর আসে মানুষের শরীরে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন