পরিবর্তন যদি ...
সব আলোই নিভে যায় কোন দিন কোন সময়
নক্ষত্রও কেঁদে ওঠে মৃত্যু যন্ত্রনায়
দেবতারাও বদলে ফেলে চামড়ার রঙ
রামধনু হারিয়ে যায়, কানাগলির ঠিকানায়
বদলে যায় পাতার সবুজ
পলির গন্ধে মিশে যায় আদিম মৃত্যুর গন্ধ
বদলে যেতে গিয়েও কি ফিরে আসে আবার
নিরুত্তাপ বেঁচে থাকা, পাথর ভাঙার ছন্দ ?
পর্বতের শিখর ছুঁয়ে ভেবে নেওয়া সহজ
উচ্চতা তোমাকে দিয়েছি সভ্যতার পদধূলি
সমুদ্র পার হয়ে মনে হতে পারে
পৃথিবী মাত্র এইটুকু, ক্যানভাস রঙ তুলি!
তবু মনে হয়, সব মহত্ত্ব ভালোবাসা যদি
মূর্তি হয়ে দাঁড়াত, সভ্যতার মোড়ে মোড়ে
সমস্ত রঙ যদি মিশে যেত এক হয়ে
পোড়ামাটির থালায়
হয়ত আবার তবে চৌচির আকাশ জুড়ে
ফুটে উঠতো একটাই নীল
সব দেবতার পূজা হত একটাই সাদা মালায় ।
সম্মানার্থে
এক পশলা আগুন অথবা তীক্ষ্ণ আকাশ
নেমে এলো মেঘনাদের শরের মত
কেঁদে উঠলো পৃথিবী
মাটি আর মা
জঠরে আঘাত করে হত্যা করলো
ভ্রূণ-সন্তান,
সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে দিলো বিষ
হত্যা নয়, মুক্তি দিল
সঙ্গে দিল অবশিষ্ট আদর, আশীষ ।
এই দৃশ্যপট জ্যোতিষের কুষ্ঠিবিচার নয়
অথবা নয় কোনো সময়ঢাকা ধূসর ইতিহাস
কালক্রমে এ সব এখন ছাপার খবর
পড়া হয়ে গেলে ফেলে দিতে হয় স্তূপের উপর
তারপর শুরু হয় আবার তপ্ত লোকাচার
এবং সময়ের উর্বর কোটরে বেড়ে ওঠে
অবাধ্য ভ্রূণ আবার ...
দহন
জলের কবরে আঁকুপাঁকু করে সূর্য
আমাদের ও তো পাঁকাল মাছের জীবন
মাথার উপরে আকাশ যেন ছেঁদা কৌটো
আগুন ঝরে আগুন বয়ে আনে বাতাস বাহন,
আগুন রঙের ওড়নায় ঢাকা নিদমহল
এত ক্ষোভ কেন, কেন রাগ এত বিশ্বপিতা?
না হয় করেছি লোভ, করতলে পিষেছি শিষ্ট-সবুজ
তবু ভালোবাসা দেবে না এতটুকু, শুধুই উষ্ণতা!
এভাবেই তো সয়ে আছি অভিশাপ-দহন
তোমার তূণীরে দিবানিদ্রা যায় অলস শীতলতা...
যদিও রোজ ডুবে মরে, আত্মকেন্দ্রিক
আগুনে দেবতা
প্রশ্নহীন মাথা নেড়েও এঁকে রাখি জিজ্ঞাসা
নতুন সকাল কি পাবো না কখনও ?
বেঁচে আছি , বেঁচে থাকি ...
বাকিটুকু হয়তো বা দুঃখ বিলাসিতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন