এসো আগুন ছুঁইয়ে দাও তোমার প্রসাদী ফুল
******************************
অনেকখানি ক্লান্ত হলে প্রিয় কবিতার কাছে নগ্ন হই। খুব নিবিড়ে ঢেউ খেলে যায় গোটা শরীর জুড়ে। ফুল ফোটানো যেমন উদ্ভিদের লক্ষ্য তেমন বংশবিস্তার করাও মানুষের প্রধান কাজ তাইনা!!
বদলে যাওয়া ঋতু,পুরোনো বাড়ির পরিবর্তিত ক্লেমাটিস সয়ে যায় একদিন ধীরে ধীরে। মরচেধরা স্মৃতির লিফলেট আদতে কমলালেবুর পিঠ থেকে খসে যাওয়া চামড়ার মতোই অকেজো..
কুয়াশার ভেতর দুটো চোখ ভেসে ওঠে। মায়ের হাতে বোনা সোয়েটার চেপে ধরি শক্ত করে। ভাত ফুটে উঠলে কতদিন তোমার আঁচলের গন্ধ পাইনা মা। ধুলোমাটি মেখে আসা প্রতিটি বিকেলরোদ দোলনচাঁপা ছুঁয়ে নির্মেদ আলো হতে চায় কেবলই..
গাছ বলতে তো আমরা হেলান দেওয়ার একটা কাঁধ বা জিরিয়ে নেওয়ার ছোট্ট কোল বুঝি। অগ্রিম টিকিট কেটে বসে থাকি জামরঙা ট্রেনের অপেক্ষায় অথচ টাইমটেবিলে মাপা হয় স্টেশন ও সময়ের দূরত্ব। রাতের ডানা ঝাপটানো বন্ধ হলে বুঝি সকাল হয়ে এসেছে..
ঝরে পড়া শীতের কুঁড়ি লেপের তলায় ভাজ করে মেতে উঠি অবশিষ্ট ক্লোরোফিল বিলিয়ে দেওয়ার কাজে..
এসো আগুন এসো ছুঁইয়ে দাও তোমার প্রসাদী ফুল আমার কপালে..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন