#মেয়েদের কিছু স্বভাব, চরিত্র, গুণ, আচার, আচরণ, অভ্যাস যা কমবেশ অনেকের ক্ষেত্রেই আছে। অনেকে এখন হয়ত বলবে আমি নারী গবেষক হয়ে গেছি, হু নারী গবেষণাও একটা গবেষণ :
১-কারো সাথে পারুক আর নাইবা পারুক মুখে মুখে তর্ক করেই যাবে।
২-কিছু একটা জানলে নিজেকে অনেক বড় মাপের জ্ঞানী মনে করবে। কিন্তু সে জানেনা এই জানা আরো অনেকেই জানে।
৩-কোথাও জেতে লাগলে আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে একনাগাড় চিন্তা করতে থাকবে কোন জামাটা গায়ে দিয়ে যাবে।
৪-সাজগোজ করে বারবার আড়া চোখে আয়না দেখবে আর নিজেকে ভাববে আলালের বউ দুলালী।
৫-ছোট ভাইকে অকারণে রাগিয়ে দিবে। মাথার চুল সব ছিঁড়ে ফেলবে তবুও তারে রাগাবে।
৬-ভ্যানিটিব্যাগে আলাদা কিছু খুচরা টাকা রাখবে যেন ছোট ভাই চুরি করে নিয়ে যায়। আবার চুরি করলে তাকে বকাবকিও করবে।
৭-প্রিয় মানুষটির সাথে অযথা রাগ দেখাবে। এই ধরো আজ ফোন দাওনি কেন! তুমি অন্য কারো সাথে টাংকি মারো আমাকে রেখে! যাও তোমার সাথে আড়ি।
৮-সারাদিন খাবে কিন্তু মোটা হওয়া যাবেনা। মোটা হয়ে যাবে সে চিন্তা করে তেমন একটা আর খায়না। ডায়াবেটিস রোগীদের মতো।
৯-সন্ধ্যা হলে হতাশা চেপে ধরবে। সারাদিনের কিচ্ছা কাহিনী সব সন্ধ্যা বেলায় বিষণ্ণতার সাথে গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দিবে।
১০-তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা হুট করে মুখে বলতে পারেনা কিন্তু মনে মনে হাজার বার বলে দেয়।
১১-জাগতিক সবচেয়ে বেশী খাতির থাকে বাবার সাথে। প্রিয় মানুষ বলতেও একান্ত বেশীরভাগ বাবাকেই বুঝে।
১২-যে মেয়ের বাবা নেই সে মেয়ে জানে পৃথিবী তার জন্য কতটা নির্মম। যখন অনেক কষ্টে থাকে তখন বারবার শুধু বাবাকেই মনে পড়ে। আর কাঁদে।
১৩-শ্বশুর বাড়ীতে যদি তুচ্ছতাচ্ছিল্যতা পায় এরপরেও মা বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে বিনয়ী হয়ে মিথ্যা বলে দেয় অনেক ভাল আছি।
১৪-স্বামীকে অপমান করে একরকম পৈশাচিক আনন্দ পায়। আনন্দটা বাহ্যিক। সাইকোলজি ভাষায় এটাকে সেক্সুয়ালি বলে।
১৫-খুব ছোট থেকে পৃথিবীর নোংরামি বুঝে যায় খুব সহজে। প্রকৃতি এই জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি তাদের কাছে পোঁছে দেয়।
১৬-কাউকে অপমান করলে পরবর্তীতে সংকুচিত বোধ করে। মনে মনে ক্ষমা প্রার্থনা করে। নিজেকে তখন অনেক বড় অপরাধী মনে করে।
১৭-প্রথম ফেসবুক আইডি খোলার পর পাসওয়ার্ড মনে রাখেনা। যে খুলে দেয় পরবর্তীতে তার কাছে গিয়ে বলে আইডি হ্যাক হয়ে গেছে।
১৮-সবকিছুতে কারবারি দেখাবে। কেউ কিছু একটা করতে লাগলে যদি সে সামান্যতম কিছু জানে তখন সেখানে গিয়ে কারবারি করবে।
১৯-কিছু একটা জানতে কৌতূহলী হয়ে থাকবে। এই ধরুন আমি আর আপনি একটু ফিসফিস করে কথা বলছি। মাঝখানে সে শুনতে পায়নি। তখন বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকবে কি হইছে, কি হইছে!
২০-কেউ তাকে ভালোবাসে কিনা এই জিনিসটা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকে। কিন্তু যখন জানতে পারে বা প্রপোজ পায় তখন আর তাকে পাত্তা দেয়না।
২১-যাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে তাকে নিজের চেয়েও বেশী বাসে। কিছু বললেও মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়।
২২-সহ্য করার ক্ষমতা অসীম। সৃষ্টিকর্তা এই জিনিসটাও এদের অগাধ ক্ষমতা দিয়েছেন যার তুলনা ছেলেরা ক্ষীণ।
২৩-প্রতিটা স্বামীর আসল চেহারা তথা ভণ্ডামি স্ত্রী'রা খুব কাছ থেকে দেখতে পায়। দেখেও কিছু বলেনা কারণ এটা তার আরেকটা পৃথিবী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন