স্মৃতিপটে জীবনানন্দ
********************
নির্জনতার কবি জীবনানন্দ
সাহিত্য প্রাণে আনে নব ছন্দ।
১৮৯৯সন১৭ইফেব্রুয়ারি,
পিতা হন সত্যানন্দ,
মাতা কুসুম কুমারী।
‘রূপসী বাংলা’র বরিশাল গ্রাম;
শালিকের খয়েরী ডানা,
তমালের নীল ছায়া-
কবির নিবাস তিনি শিশু যখন।
‘ঝরা পালক’ সম বাতাসে ভেসে
কবি জীবনের বৈঠা বাওয়া।
‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’তে সঞ্চিত থাকা
বিষণ্ণতা,স্বপ্নলোকে অভিসার বাসনা।
জীবন সলিলে পাড়ি দেওয়া
সেই বিদীর্ণ ক্লান্ত প্রাণেরে
দু দণ্ড শান্তি দিয়েছিল,
নাটোরের বনলতা সেন।
‘মহাপৃথিবী’,‘মাল্যবান’,‘সুতীর্ থ’
‘সাতটি তারার তিমির,’ ‘আমিষাশী তরবার’
মাতিয়ে দিলো সাহিত্যের দরবার।
এ হেন তিমির বিনাশী কবির
চিত্রকল্প,সৃজন দক্ষতা,অলংকার মাধুর্য
দৈবাৎ একদিন হলো স্তব্ধ।
ট্রাম দূর্ঘটনায় আহত হল কবি প্রাণ-
রক্ত মাংসের শরীর,সৃষ্টিশীল মন
দপদপ্ করে জ্বলতে জ্বলতে
একদিন গেল নিভে-
রেখে গেল তাঁর অমূল্য সৃজন।
তিমির বিনাশী হলেন তিমির বিলাশী
‘কবিতার কথা’আামাদের রেখে
ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলেন
নক্ষত্রের দেশে-
আজি এ দিনে প্রাঞ্জলিতে
জানাই তাঁরে প্রণাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন