অপেক্ষা
চায়ের বাসন টা উলটাতেই দেখি শয়ে শয়ে হাজার হাজার পিপড়ে,
আমাকে ওদের মারতেই হবে,অপেক্ষার কৌতুহল আমার নেই।ভাবছি জলে ডুবিয়ে মারবো না আগুনে পুড়িয়ে,যন্ত্রনার তুল্য মূল্য হিসেব করছি,
ওমনি একটা বিড়াল আধময়লা বেসিন থেকে আমার দৃষ্টি টেনে নিয়ে গেলো ব্যালকনি তে,ব্যালকনি থেকে এক ঝাপ(নিসঙ্গ দুপুরে দু বার কাকের ডাক) -বিপরীত দোতালায় প্রেমিকা সুলভ কোনো লক্ষণ না দেখিয়ে রীনা বারান্দায় পায়চারি করছে,কানে মোবাইল ফোন(এই বাড়িটাই আমার বাড়ি,এই বাড়িটাই আমার মামাবাড়ি,এই পাড়া,এই পঞ্চাশ একর আকাশ আমার পূর্বপুরুষের,তোকে গিলে খাবো ধরণের প্রবৃত্তি সূচক মনস্তত্ত্বের ব্যাকগ্ৰাউন্ড)কোনোদিন কোনো অপেক্ষা ছিল না টাইপ মুখভঙ্গি,
আমি চোখ উচিয়ে ওর মাথার উপর দিয়ে আকাশ টা দেখে নি,
ও দেখে নেয় আড়চোখে আমাকে,
না নিশ্চিতভাবে এখনো নীল ওর চোখদুটো আর আকাশ।
আসতে করে নামিয়ে রাখি চায়ের বাটি,তখনো গিজগিজ করছে পিপড়ে,(কোনো জীবন তুচ্ছ নয়-কোনো জীবন তুচ্ছ নয়-কোনো জীবন তুচ্ছ নয়! ধরণের বিদ্রুপ মূলক নেকা মনস্তত্ত্বের ব্যাকগ্ৰাউন্ড)
না আমার কোনো তাড়া নেই,
বাইরে তাকাই,রীনা তখনো দাড়িয়ে।
আমি 'রীনা ও আকাশের' মাঝে কোথাও একটা তাকিয়ে,
সবটাই কি আশ্চর্যরকম নীল-
দুপুর, দুপুর থেকে রীনার চোখ,চোখ থেকে আকাশ,আকাশ থেকে এক ঝাপ-বিড়াল টা আবার ফিরে এসেছে,(আমি বিড়ালের মতো ঝাপ দিতে পারিনা কেনো?)
রীনা তখনো দাড়িয়ে,পিপড়ে গুলো তখনো গিজগিজ করছে(আমরা বেচে আছি-আমরা বেচে আছি-আমরা বেচে আছি-আমরা বেচে আছি! ধরণের জটিল মনস্তত্ত্বের কমপ্লেক্স ব্যাকগ্ৰাউন্ড)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন