কিছু আলাপ কিছু কথা
**************
১.আপনার কাছে কবিতা কি ?
উত্তর: আমার সন্তানতুল্য
২.আপনার প্রিয় কবি কে? আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তর: নজরুল ও সুকান্ত
৩.আপনি কবিতা লেখেন কেন ?
উত্তর: সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে কবিতা লিখি ।
৪.আপনার লেখা প্রথম কবিতা ও কাব্যগ্রন্থের নাম কি ?
উত্তর: আমার প্রথম কবিতা " আমাকে তুমি চেয়ো নাকো " 1967এ প্রকাশিত ।
কবি/কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত ?
উত্তর: কবিতা/কবির সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক মধুর হওয়া উচিত ।
কবিতা গুচ্ছ
***********
দু দিনের জন্য
তোমার কেশের গন্ধ নিয়ে
কত রাত্রি কাটিয়ে দিলাম ।
কত রাত্রি কাটিয়ে দিলাম ।
কত রাত্রি শুকতারা দেখে ঘুমোলাম ,
কত রাত্রি শৃগালের কান্না শুনতে শুনতে
নিজের আঁখি সিক্ত করলাম ।
কিন্তু পরিশেষে দেখলাম সব শূন্য ।
কিছু নাই , একমাত্র আমি ছাড়া ।
তাও আবার দুদিনের জন্য ।
কত রাত্রি শৃগালের কান্না শুনতে শুনতে
নিজের আঁখি সিক্ত করলাম ।
কিন্তু পরিশেষে দেখলাম সব শূন্য ।
কিছু নাই , একমাত্র আমি ছাড়া ।
তাও আবার দুদিনের জন্য ।
ঘুষ বিষয়ক
ঘুষ নেই কোনখানে ,
ঘুষ না দিলে হয় না কাজ
অপিস আদালতে ময়দানে ।
ঘুষের টাকায় মানুষ আজ
হাঁকাচ্ছে গাড়ি বাড়ি ।
আয়করকে ঘুষ দিয়ে
কিনছে নামী দামী গাড়ি ।
ঘুষ খায় থানার বাবুরা সব
একথা সকলে জানে ,
ঘুষ খায় নেতা মন্ত্রীরা
দালালের মাধ্যমে ।
ডাক্তারবাবু ঘুষ খেয়ে
কেস করে দেন হাল্কা ;
ঘুষের জোরে কঠিন ধাতব
নিমিষে হয়ে যায় পল্ কা ।
ঘুষ খেয়ে সাব রেজিস্টার
নয়কে করছে ছয় ;
ঘুষ দিতে মানুষ করে না দ্বিধা
করে না কেউ কোন ভয় ।
সীমান্তে ঘুষ দিয়ে হচ্ছে
বাংলাদেশে গোরু পাচার ,
ঘুষের এখন সর্বত্র
রমরমা কারবার ।
আবগারি বিভাগ ঘুষ নিয়ে
মদের ব্যবসায় দিচ্ছে ছাড় ;
তাইতো এ দেশ মাতালে ভরেছে,
খুন ধর্ষণ হয় আকছার ।
পাশ পোর্ট ভিসা পেতে গেলে
দিতে হবে সেখানে ঘুষ ,
ঘুষ খেতে খেতে মানুষ আজ
হারিয়েছে মান , হারিয়েছে হুঁষ ।
ঘুষ না দিলে হবে না চাকরি
দেখছি আজ নিজের চোখে ,
ঘুষের এই দুরন্ত গতি,
বলো আজ কে তাকে রোখে ?
ঘুষ প্রতিরোধে এগিয়ে এসো
নব্য যুবক তরুণ দল,
এই ঘুষের এত ক্ষমতা
মানবিক মন করে বিকল ।
প্রকৃষ্ট সময়
এখন সময়টাকে ম্লেচ্ছ বলবো না ,
সকলেই চাইছে ,জগৎ জুড়ে
একটাই জাতি
তার নাম হোক মানুষ ;
শুধু কাব্য ও কবিতায় নয় ,বাস্তবের আঙিনায় ।
থাকবে না কোন সাম্প্রদায়িকতা , ভেদাভেদ ,
জাতপাতকে ছুঁড়ে ফেলে দাও সাগরের জলে ।
সব যুগে সকল সম্প্রদায়ের মহাপুরুষেরা বলে
গিয়েছেন ; জীবের মধ্যে আমার অস্তিত্ব বিদ্যমান ।
আমি সর্ব ভূতেষু ; আমাকে যে মন -প্রাণ দিয়ে ডাকে , আমার স্মরণাপন্ন হয় আমি তাকে রক্ষা করি ; দেখি না তার জাতপাত ,দেখি না সে ধনী না
নির্ধন ; আমি তাকে দিই দর্শন ।তার অনেক প্রমাণ
লুকিয়ে আছে সর্বধর্মের পাতায় ।
গিয়েছেন ; জীবের মধ্যে আমার অস্তিত্ব বিদ্যমান ।
আমি সর্ব ভূতেষু ; আমাকে যে মন -প্রাণ দিয়ে ডাকে , আমার স্মরণাপন্ন হয় আমি তাকে রক্ষা করি ; দেখি না তার জাতপাত ,দেখি না সে ধনী না
নির্ধন ; আমি তাকে দিই দর্শন ।তার অনেক প্রমাণ
লুকিয়ে আছে সর্বধর্মের পাতায় ।
তাই এসো ,আমরা সবাই সমস্বরে বলি সে কবির বাণী ; "ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান
হও সবে আগুয়ান
সাথে আছে ভগবান হবে জয় । "
হ্যাঁ ভাই জয় আমাদের হবেই ।সে জয় হবে
মানবতার জয় ; সকল জাতির মনুষ্যত্ববোধের
উদয় হবে তমসার বুক চিরে জেনো একদিন ।
হও সবে আগুয়ান
সাথে আছে ভগবান হবে জয় । "
হ্যাঁ ভাই জয় আমাদের হবেই ।সে জয় হবে
মানবতার জয় ; সকল জাতির মনুষ্যত্ববোধের
উদয় হবে তমসার বুক চিরে জেনো একদিন ।
মনের ঠিকানা
মনের ঠিকানা মন জানে না ,
তুমি যদি ভাই দিতে পারো ,
তোমাকে সহস্র আশরফি দেব
হাম্মত থাকে তো আগে ধরো ।
মনটা যে এ দেহের মধ্যে
কোথায় থাকে তুমি কি জানো ?
মনটা সদা বড়ো চঞ্চল
শোনে না কথা কার ও কোনো ।
কোথায় থাকে তুমি কি জানো ?
মনটা সদা বড়ো চঞ্চল
শোনে না কথা কার ও কোনো ।
যদি তাকে বলি দু 'দণ্ড বস,
এ হৃদয়ের মাঝখানে ,
পলকে সে কোথা চলে যায়
এ ভুবনের কোনখানে ।
এ হৃদয়ের মাঝখানে ,
পলকে সে কোথা চলে যায়
এ ভুবনের কোনখানে ।
তুমি যদি জানো মনের ঠিকানা
আমাকে একবার বলে দিও ,
তোমার আমি গোলাম হবো ,
মিছে বলছিনা দেখে নিও ।
আমাকে একবার বলে দিও ,
তোমার আমি গোলাম হবো ,
মিছে বলছিনা দেখে নিও ।
পাহাড়ে অরণ্যে অনেক ঘুরেছি
পাইনি কোথাও মনের ঠিকানা ,
আমার মনের ঠিকানা কোথায়
আমার তো ভাই নেই জানা ।
পাইনি কোথাও মনের ঠিকানা ,
আমার মনের ঠিকানা কোথায়
আমার তো ভাই নেই জানা ।
বিপরীত মেরু সঙ্গম
আমাকে সুখে রাখবে বলে
বেঁধেছিলে গাঁটছড়া , আর
সব হলেও পরিনি সিঁথিতে সিঁদুর ।
তুমি ও আপত্তি কর নি । কারণ
আমিও জানতাম তুমিও পড়বেনা কলমা ।
তোমার আমার ধর্ম মুখে বলছে এক কথা ,
কিন্তু কার্যত বাধা প্রচুর ; ।আর সেই কারণে
আমরা চাই মাতব্বরি বন্ধ হোক ।
মাতব্বররা এসমাজে নিজের মনগড়া
কল্পিত ব্যবস্থা গড়েছে ।আর তাতে
রঙ চাপিয়েছেমৌলবী,হিন্দু পুরোহিত সম্প্রদায় ।
অথচ নাকের ডগায় নিয়মনীতিকে বুড়ো আঙ্গুল
দেখাচ্ছ আজকালকার সন্তান । তারাই বলছে
আমরা অমৃতের সন্তান , পরমপুরুষ আমাদের
পিতা ,বসুন্ধরা আমাদের মাতা ।
আমরা সেখানেই সকলে লীন হই একদিন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন