মধ্যস্থতা
জানি ঘড়িতে এখন সাড়ে আটটা বাজে..
তবুও একবার নয় বারবার তাকাই ঘড়ির দিকে !
উঠতে হবে, কর্মযজ্ঞে হাতে হাতে সুর ধরতে হবে,
জানিনা আবার কখন এপারে সাঁতার দিয়ে উঠবো
তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে জানি, ঢেউগুলো কতবার
একূল ওকূল দুইকূলের মধ্যস্থতা করবে....
তোমাকে বোঝাবে " আর বেশীক্ষণ লাগবে না আসতে,
আমাকে বলবে " আর কতক্ষণ ! তোমার জন্য তাকে
অপেক্ষায় রেখেছি, এবার সারো তাড়াতাড়ি হাতের কাজ"...
ছুটতে চাইছি খুব তাড়াতাড়ি, সব হয়ে ওঠে পন্ড
একই বৃত্তের মধ্যে কুন্ডলি পাকিয়ে যাচ্ছে অসমাপ্ত কাজ
শেষের তলানিতে হাত ঢুকিয়ে বারবার দেখি জল হয়ে যাওয়া দ্রবণ
কিছুতেই পারছিনা সবটুকু পরিপাটি করতে, অগোছালো
তুমি এভাবে জন্মজন্মান্তর প্রতিক্ষায় থাকবে আমার !
আমারও তো কম অপেক্ষা ছিলো না, তোমার কাছে যাবার !
শুধু ঢেউগুলো মাঝেমাঝে তাড়া দিয়ে যায়....।
আমার অদেয় শব্দমালা
মাঝেমাঝে ভাবি,
সারাদিনের সব কথা গেঁথে নেবো মালিকায়
দিনান্তে পরাবো তোমার গলায় ,
আমার প্রিয় কবিতার ঘর....
কিন্তু সবকিছু তো যায়না ঢাকা ছেঁড়া কাপড়ে,
অথবা ধরো, গাইলাম কোন গান আনন্দে বিহ্বলে..
তার রেশটুকু যে তাৎক্ষণিক !
তোমাকে কিঞ্চিৎ মাত্র দিতে,মনে রাখি না।
এমন ভাবেই দিন যায়, দিন যায়
ফুটন্ত জলের চাল, কলিংবেলের টুং টাং আসা-যাওয়া,
দিনব্যাপী চলে যাপনের বোঝাপড়া..
তোমাদের মাঝেই আমার শব্দ হারায়,
যা কিছু আগলে রাখি মনের মণিকোঠায়
বহু স্বেদবিন্দুর অশ্রু ভেজানো আঁচলের প্রান্ত
দুর্মূল্য হয়ে ওঠে পশ্চিমের অস্তরাগ সাগরের ফেনায়
কিছুটা ঢাকি, কিছুটা রাখি তোমার শব্দের ছায়ায়।।