নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বিশ্বজিৎ ভৌমিক





আজকে আড়ি"
*************


তোমার সাথে আজকে আড়ি
মন খারাপের রাতে,
আমাদের ছেড়ে দিচ্ছে পাড়ি
কৈলাশের‌ই পথে।

নিভে যায় শুকতারা
তবুও তুমি দিশেহারা,
স্রোতের টানে ভেসে যাও
সবুজ পাল গুটিয়ে নাও।

ঝিমাও তুমি অর্থহীন
তাকিয়ে থাকি ক্লান্তিহীন,
ঘাটে বসে কাঁদি আমি
কভু ফিরে দেখ না তুমি।

নব প্রভাতের রাঙা আলোয়
ভানুর বেশে জ্বলো তুমি,
সারাদিন‌ই প্রখর তাপে
দ্বগ্ধ হয়ে কাঁদি আমি।

তোমার সাথে আজকে আড়ি
ভিনদেশে দিচ্ছো পাড়ি
থাকো তুমি তোমার মত‌ই
বাড়ুক মায়া বাড়ে যতোই,
আমি খুবই অভিমানী-
আগামীতে তোমার ডাকের প্রহর গুনি।

সম্পা পাল






অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিট
*********************



সেটা পৃথিবীরই  রাস্তা ,অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিট ।
ত্রিফলা বাতি যখন খুব একা,সে রাস্তা তখন সরব ।

রাস্তার ওপারে পদবীহীন কিছু কোয়ার্টার দাঁড়িয়ে ।
আর  অন্দরমহলে পদবীহীন কিছু নারী
কোথাও একা , কোথাও নিঃসঙ্গ ।

ওরা কারা ?
ওরা আম্রপালির অস্তিত্ব ।
ইতিহাস ভোলেনি সেদিনের সমাজ
আবারও কিছু বিবর্তন ,হয়তো অপেক্ষায় ।

ওদের কোনো বোধন নেই
তবু বিসর্জনের কান্নাটা ওঠে মাঝে মাঝে ।
তবে ওদের মাটিতেই আমাদের কাঠামো পূর্ণ।
ওরা কারা ?
ওরা অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিটের বাসিন্দা .........

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়




রঙ
-----





সদর দরজা পার হলো মেঘ
গভীর রাতে চোখ খুলে গাছ
চৌমাথায়
দুহাতে মেঘ সরিয়ে গাছ বলল,
এখনও রঙ নিয়ে গায়ে মাখো

আর রঙ হয় না ----- বলতে বলতে
মেঘ হারিয়ে গেল
আজ
গাছ নিজেও কোনো রঙ পেল না

দুপুরের রোদ্দুরে
আলো ছায়ায় গাছ
গাছের ছায়ায়
শিশু ধুলো খেলে

অনেক নিচু হয়ে
গাছ এখন
শিশুকে জড়িয়ে ।

রুদ্র সাহাদাৎ




নিঃশব্দে
*******


কাত হয়ে পড়ে আছি বালিয়াড়ির বুকে
নগ্ন পদে হাঁটছি উত্তর-দক্ষিন দিকহারিয়ে।
হিমছড়ির ঝর্ণা দেখি ঝর ঝর ঝরছে অবিরত
আমার ইচ্ছেগুলি দীর্ঘশ্বাস হয়ে
উড়ছে
হাওয়ায়
হাওয়ায়।
নিথর চোখ,বোবামুখ, নগ্নদেহ
কাত হয়ে পড়ে আছে
কতোদিন,কতোবছর
কেউ জানেনা, কেউ বুঝেনা।

তুমিও বুঝনি কোনোদিন কোনো কিচ্ছু, তবে
জানিনা এখন ফিরবে কবে
যাযাবর মন নগ্ন পদচিহ্ন আঁকছে
সমুদ্রতীরে অজান্তে নিঃশব্দে....।




মৃত্যুকূপ
*******


মৃত্যুকূপে হাঁটছি চল্লিশ বছর হয়ে গেলো
মাঝে মাঝে অজান্তে দৌঁড়াচ্ছি
কতো আর এভাবে পথচলা।

চোখের পাতা বন্ধ করলেই পাহাড় দেখি,
ঝর্ণা দেখি, সমুদ্র দেখি, বালুচর দেখি
রুদ্রোজ্জল দিন দেখি,জোসনাময় রাত্রি দেখি
ভালোবাসার মানুষ দেখি,
ভালো একটা বাসা দেখি,
চোখের পাতা খুললেই সামনে মৃত্যুকূপ।

অমিতাভ মীর




বিদায়ী শারদ বাণী 
 **************



বিদায়ের আয়োজনে চোখ ছলছল,
শরৎ রাণীর বুকে ঘোর ঘনঘটা,
বায়ু উতরোল মেঘে বিজরির ছটা;
চোখ বেয়ে কলকল নামলো যে ঢল।
বিদায় বেলায় ডেকে বলে হেমন্তকে-
'দুই মাস কোরো রাজ নবান্নের গানে,
ভরে রেখো মাঠ মুঠো মুঠো সোনা ধানে;
পিঠা-পুলি-রসে সেবা দিও আগন্তকে।

কিষানীর বুকে দিও সুখ অনাবিল,
কিষানের ব্যথা-জ্বালা যায় যেন সরে,
নবান্নের সুখে যেন প্রাণ থাকে ভরে;
ছোট ছোট সুখ হোক শান্তির মিছিল।'
বিদায় নেবার কালে শরতের রাণী, 
হেমন্তকে দিয়ে গেল- শারদীয়া বাণী।

জয়দীপ রায়




ফেরার তরী 
***********




কান্নাহীন সমুদ্র পাড়ে
ওপার হতে ফিরেছে আবার তরী
মেঘে ঢাকা অভিমানী চাদর
ঘামে ভেজা পুরোনো পারফিউমের গন্ধ
লেগে আছে কাল রাতের মাথার বালিশে
এপিঠ  ওপিঠ কত কথা
ভিড়ে ঠাসা প্যান্ডেলের যাত্রী শুন্য প্ল্যাটফর্মে
কারা যেন মিলিয়ে যায় হাত বুলিয়ে
ডাকার সাধ্যি আছে তোর না আমার
ওই সিদুর মাখা ভিড়ে ফের হয়ত আসবে
নাম না জানা গলি গুলো গুগল ট্র‍্যাকে
ধরা দেবে সন্ধ্যে গুলোও 
কাধে হাত রাখা পুজোর পঞ্জিকায়
হাত গোটানো পাঞ্জাবির বেশে
তোকে বেশ লাজুক লাগে 
গলির ভিতর দাড়াতে দেখে
বেরোই চল ঘুরে আসি
দুরের হই হুল্লোড় না হোক ফুচকার স্টলে
আসিস আবার মিস্টি মুখে
দেরিতে যাস ফেরার তরী।