নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পিয়ালী সাহা এর কবিতা


     




           ঘর পোড়া দিওয়ালি




অভিমানের পাহাড় চূড়ায় বসে কখনো ঝর্ণার গান শুনেছ?
শুনেছ বৈকি তুমি তো গান শোনো।
আমি উপলব্ধি করি।
জানো, ওগুলো কিন্তু কোনো গান নয়,ওই পাহাড় টার কান্না।দেখলে তো এবারও ভুল করলে।
জোনাকি কে তারা আর সুর্য কে প্রদীপ তো তুমি সব সময় ভাবো।
সেই তফাৎ টুকু বোঝোনি বলেই যেদিন নিজের ঘরে আগুন লাগলো সেই আগুন কে দিয়ালির রোশনাই করে নিলে।
আজও সেই পোড়া ছাই গুলো বড্ডো চোখে পড়ে।অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক।
                                    

অভিজিৎ পাল এর কবিতা

  
      


               জোকারমঙ্গলকাব্য



১. 
উনি দৃঢ়স্বরে শিখিয়েছিলেন নিজের উপর হাসতে দিতে নেই। আমি তাঁকে লিখেছিলাম পৃথিবীতে জোকার হওয়াই কঠিন কাজ...
২.
বিবাদ বেঁধেছিল বড় মাপের। কথায় কথা কাটছিল। শব্দ জমছিল অনেক বেশি। আমি সুযোগ বুঝে তাঁর কথার উপর হেসেছিলাম। তিনি এবার আমার উপর হাসতে চেয়েছিলেন।
৩.
আমি তাঁকে হাসতে দিয়েছিলাম। তিনি হেসেছিলেন। আমিও আমার উপর হাসাহাসি করলে তিনি রেগে বলেছিলেন 'ইডিয়ট'!
৪.
আমি আমার উপর আবার হেসেছিলাম। তাঁর মুখ গম্ভীর হয়ে উঠেছিল। বলেছিলাম, মনে রাখবেন এখন তৃতীয় বিশ্বের দেশে জোকার হওয়াই সবচেয়ে কঠিন কাজ। 
৫.
তিনি আজ দর্শকাসনে বসে নতুন করে বুঝতে শিখছেন। একজন জোকারই সর্বোচ্চ কাঁদাতে পারে। শুধু একজন সফল জোকারের কান্না দেখার সাহস আমাদের নেই...।।

জয়তী দাস এর দুটি কবিতা

           

                মধ্যস্থতা




  জানি ঘড়িতে এখন সাড়ে আটটা বাজে..
  তবুও একবার নয় বারবার তাকাই ঘড়ির দিকে !
  উঠতে হবে, কর্মযজ্ঞে হাতে হাতে সুর ধরতে হবে,
  জানিনা আবার কখন এপারে সাঁতার দিয়ে উঠবো
  তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে জানি, ঢেউগুলো কতবার
  একূল ওকূল দুইকূলের মধ্যস্থতা করবে....
  তোমাকে বোঝাবে " আর বেশীক্ষণ লাগবে না আসতে,
  আমাকে বলবে " আর কতক্ষণ ! তোমার জন্য তাকে
  অপেক্ষায় রেখেছি, এবার সারো তাড়াতাড়ি হাতের কাজ"...
  ছুটতে চাইছি খুব তাড়াতাড়ি, সব হয়ে ওঠে পন্ড
  একই বৃত্তের মধ্যে কুন্ডলি পাকিয়ে যাচ্ছে অসমাপ্ত কাজ
  শেষের তলানিতে হাত ঢুকিয়ে বারবার দেখি জল হয়ে যাওয়া দ্রবণ
  কিছুতেই পারছিনা সবটুকু পরিপাটি করতে, অগোছালো
  তুমি এভাবে জন্মজন্মান্তর প্রতিক্ষায় থাকবে আমার !
  আমারও তো কম অপেক্ষা ছিলো না, তোমার কাছে যাবার !
  শুধু ঢেউগুলো মাঝেমাঝে তাড়া দিয়ে যায়....।



    আমার অদেয় শব্দমালা




মাঝেমাঝে ভাবি,
সারাদিনের সব কথা গেঁথে নেবো মালিকায়
দিনান্তে পরাবো তোমার গলায় ,
আমার প্রিয় কবিতার ঘর....
কিন্তু সবকিছু তো যায়না ঢাকা ছেঁড়া কাপড়ে,
অথবা ধরো, গাইলাম কোন গান আনন্দে বিহ্বলে..
তার রেশটুকু যে তাৎক্ষণিক !
তোমাকে কিঞ্চিৎ মাত্র দিতে,মনে রাখি না।
এমন ভাবেই দিন যায়, দিন যায়
ফুটন্ত জলের চাল, কলিংবেলের টুং টাং আসা-যাওয়া,
দিনব্যাপী চলে যাপনের বোঝাপড়া..
তোমাদের মাঝেই আমার শব্দ হারায়,
যা কিছু আগলে রাখি মনের মণিকোঠায়
বহু স্বেদবিন্দুর অশ্রু ভেজানো আঁচলের প্রান্ত
দুর্মূল্য হয়ে ওঠে পশ্চিমের অস্তরাগ সাগরের ফেনায়
কিছুটা ঢাকি, কিছুটা রাখি তোমার শব্দের ছায়ায়।।

শ্রীময়ী গুহ এর কবিতা

 
                 

                        অবুঝ



আদর মেশা ,মেঘগুলি দ্যাখ-  কেমন পদ্মপাতা ।
শিশির বুকের- জলছবিতে- মনকাড়া সব ব্যাথা!
পাহাড় চূড়ায়- প্রথম সূর্য্য -প্রথম ভালবাসা!
মন উঠানে -পর্দা ছায়ায় -তোর আবেদনের ভাষা!
মাঝের নদী -ফল্গুধারায় --বইছে ঝড়ো বাতাস।
চৌকাঠটা -আঁধার আলোয়--- ঝরা বসন্ত নির্যাস!!
আজ এ আগুন -ফাগুন মাখা-- ক্যানভাসবুক ছোঁয়া--
আজও তেমন-- দীঘল আখির- কাজল দেয়া নেয়া ৷
তোর লোমশ বুকের- উতাল প্রণয় -গহীন গোপন দুখ ---
মোর ফেলে আসা- পলির তীরে- একলা নাওয়ের সুখ!
চিলেকোঠা- বাসি ফুলের- কান্না অভিমান--
আজও তেমন -গুনগুন ছায় -মন যাপনের তান!
তোর- আদিম ভালবাসার  -বাসে--- টুকরো অবহেলার দাগ!
তোর উদাসিনতা সইতে নারী -------
             ---বরং আজও- অবুঝ ঘৃণাটুকুই থাক --!!

শ্রীমন্ত দে এর তিনটি কবিতা





সুখের ঠিকানা


সুখের ফানুস উড়ল হাওয়ায়
নিভল দুখের বাতি
আজকে সবাই এই পৃথিবীর
হয়েছে আমার সাথী |
ঘুটঘুটে মেঘ সরিয়ে দূরে
রবির কিরণ মেখে
ভাসছি আমি ভাসছে জগৎ
ভাসছি নরম সুখে |
সবার সাথে ভাব জমিয়ে
নতুন সবই দেখি
সম্পর্কের নব বন্ধনে
হয়েছি আমি সুখী |
এসো সবাই হাত বাড়িয়ে
ধরো বন্ধু বলে
সুখ সাগরে জীবন তরী
চলবে হেলে দুলে |


পৃথিবী কারও একার নয়



থাকব সবাই নিজের মত
এই পৃথিবীর বুকে
গড়ব প্রেমের এক ইমারত
বাঁচবে জীবন সুখে |
একার কারও নয় পৃথিবী
সবার অধিকার
উচ্চ শিরে চলব সবাই
বাঁধব সুখের ঘর |
জাতের দেওয়াল তুলছে যারা
করেছে ভাগাভাগি
স্বার্থ তাদের রক্ত ধারায়
বিদ্বেষ বিষ সবই |
কান দেব না পরের কথায়
পা দেব না ফাঁদে
প্ররোচনায় পাক খেয়ে মন
অহর্নিশি কাঁদে |
এই পৃথিবী সবার আলয়
উপর ওয়ালার দান
ঠুনকো দেওয়াল ভাঙব তেজে
গড়ব মিলন স্থান |



ক্ষত



ক্ষতের উপর আঁকলে ক্ষত নিপুণ তুলির টানে
ভাসলো নদী ডুবল সবই প্রাণক্ষয়ী এক বানে |
আলতো জ্বলা তুঁষের আগুন জ্বললো বিষম তেজে
গুমরে থাকা বিদ্বেষ তীর ছুটল প্রবল বেগে |
বাদ গেল না দুধের শিশু বাদ গেল না কেউ
কসাইখানা দিগ্বিদিকে রক্ত নদীর ঢেউ |
বাঁচার আশায় ছুটছে সবাই অলি গলি রাজ পথে
হিংস্র দানব হত্যা লীলায় রয়েছে যে আজ মেতে |
নেই কি ওদের একটুও মন নেই কি দয়া মায়া ?
নেই কি ওদের ঘর সংসার পুত্র-কন্যা-জায়া ?
প্রাণের কোনও জাত হয় না উপর ওয়ালার দান
প্রাণের উপর হানলে আঘাত হয় শুধু শয়তান |
যে শোণিতের উষ্ণ স্রোতে বইছে রক্ত নদী
বাঁচত কত মৃতপ্রায়ও রক্ত পেত যদি |
ভেদ নেই কোনও আমাদের মাঝে আমরা মানব জাতি
সবাই এসো উচ্চ শিরে তীব্র গর্জে উঠি |
বেজাত যারা লেজ গুটিয়ে পালাবে স্রোতের মত
ভালোবাসার সুখের ছোঁয়ায় সারবে সকল ক্ষত |

অনুপ বৈরাগী এর দুটি কবিতা





জ ন ম >> জন্ম


প্রথমবার মোমের গা বেয়ে নামতে গিয়ে 
মাঝপথে লীনতাপ খরচ করে
আটকে গেলো আগুন
বার কয়েক পর
                    অনায়াসে 
                                নেমে এলো
                                           ফোঁ 
                                               টা 
                                               ফোঁ 
                                                   টা 
                                                    লাভা
রিকটার স্কেল : থার্মোমিটার সঙ্গম
দী র্ ঘ    থে   কে     দী    র্     ঘ     ত    র  
বিন্যাস-সমবায়ে  অক্ষর-----> কবিতা




ডেলিবারেট(!/?)



খুঁজেছো কি দেবার সময়
তলপেটে হাত দিয়ে 
গোলাপের গরম যোনি
অঞ্জলির বেলপাতা তুলে
দেখেছো কি গাঁদাটার মাস চলছে কি না
'না' হলে
গর্ভকুসুমের চেরাপথে অ্যাসিড কেন?