নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

উদ্ভট এক রাজার কথা: মোঃ গোলাম মোস্তফা লিটু


উদ্ভট এক রাজার কথা
করবো আমি বর্ননা,
এ রাজার রাজ্যের সাথে করোনা
আপন,দেশ রাজ্যের তুলনা।

ক্ষমতা পেয়েই রাজা
হয়ে কঠিন কঠোর খুব,
বিরোধী দলমত কে দমন করে
ভয় দেখিয়ে করিয়ে দেয় চুপ।

চাটুকারেরা ঘিরে থাকে
রাজার চতুর্দিকে,
রাজ্য চালায় রাজা মশাই
চাটুকার বেষ্টিত থেকে।

চাটুকারদের তোষামোদে
রাজা হয়ে গদগদ,
চাটুকারদের দান করেছে
নানান,গুরুত্বপূর্ণ পদ।

রাজা মশাই মানুষ ভালো
বহুত পরহেজগার !
চামচাগুলোর কর্মদোষে
দুর্নাম হচ্ছে তার।

দুর্নীতিগ্রস্ত সান্ত্রী মন্ত্রী
রাজার রাজ্যসভার,
যে যা পারছে করছে ভোগ
রাজ্য করছে সাবাড়।

অপরাধ যা হচ্ছে রাজ্যে
সব করছে রাজার লোক,
কিছুই করার নাই প্রজাগণের
বিস্ময়ে,গেলা ছাড়া ঢোঁক।

রাজ্য যাচ্ছে রসাতলে
রাজা রাখে না খবর,
ব্যস্ত রাজা কোষাগারের টাকায়
করতে বিদেশ সফর।

উদ্ভট সেই রাজার বিরুদ্ধে যবে
জাগবে রাজ্যের প্রজাগন
টেনেহিঁচড়ে নামাবে মসনদ হতে
ধুলোয় লোটাবে সিংহাসন।

চাটুকার বেষ্টিত ছিল
অতীতের যত উদ্ভট রাজা
ইতিহাস সাক্ষী তারা ভুগেছে দুর্ভোগে
পেয়েছে নিদারুণ নিষ্ঠুর সাজা।।

মুখোমুখি তুমি : আমিনুল ইসলাম


বসে আছি মুখোমুখি, মানে মুখে মুখ রেখে চুমুর অন্তরঙ্গতা নয়
সামনাসামনি কিছু বোঝাপড়া বুঝে নিতে আয়নায়।
তুমি লেলীহান জ্বলছো সলতের সংস্পর্শে -
আলোহীন খাঁচার ভিতর পাখি সেজে কতোদিন একা থাকা যায়?
একা হতে হতে তলানিতে ঠেকে একাকিত্বে নিখোঁজ হওয়ার অমোঘ আকর্ষণে পর্দার হারিয়ে যাওয়া, শব্দগুলিকে ভেঙে বিকলাঙ্গ করে তোলার নিরবিচ্ছিন্ন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় সত্য-মিথ্যা
সতী-সাবিত্রী কথায় বালিশ ভেজেনা কখনো, ভিজে যায় চোখের চালচিত্র
মেজেন্টা রং ক্ষয়ে যাবে বলে আদ্রতা ধরে রাখে উদ্ভিদ
চাঁদের চর্যাপদে চাষযোগ্য ভুমি না থাকায় কৃষি কাজ নিয়ে কোনো চাঁদের আলোর মাথা ব্যাথা নেই
সুতরাং একা হয়ে পড়ছো ক্রমশঃ বহুত্বের অন্ধকারে -
দলিত ফুটপাতে আঁকা থাকে রাতের প্রজাপতি

যদি : অনিন্দ্য পাল


সেই দিন যদি ছুঁয়ে দিতাম ঠোঁট
তবে লিখতাম এখন অন্য উপাখ্যান
এত বড় রাত হয়ত হত এইটুকু মুষ্টিজোট
হয়ত বৈপ্লবিক সুরে গাইতাম একই রাতের গান

যদি সেই মাদুর আসনে বসে বিঘত দূরে
ছুঁয়ে দিতাম তির তির কাঁপা ঠোঁট
তুমি বুঝতে আমি ভিতু নই এতটুকু
শুধু বুঝতে না কত ভারি, দারিদ্রের মোট

যদি সেদিন ভুলে যেতাম আগে পিছে লুকোচুরি
তোমার আদর ঠেলে পৌঁছতাম না করাতের বুকে
দরজা খুলে আসন পেতে রেখেছিলে তোমার ঘরে
রাতপাহারায় হেঁটে বেড়াই এখন আফসোস ঠুকেঠুকে

যদি সাড়া দিতাম সেই কুঁড়ি ফুটে ওঠার ডাকে
এখন তবে আমার বাগানে প্রজাপতি মাখা ফুল
তবু তুমি এখন সুখি জীবনে জমকালো
তুমি ভালো আছো, আমি ভালো আছি,
কোথাও হয় নি  ভুল!

অনুপম সমীপে: মান্নুজা খাতুন


অনুপম!
বহুদিন লেখা হয়নি তোমাকে নিয়ে
তাই কি ফিরিয়েছ মুখ অভিমানে! 
পাচ্ছ ব্যাথা ও হৃদয়ে? 

ভাবছ!
নতুন কাউকে পেয়ে ভুলে গেছি অতীতকে -তাই না! 
ভাবছ! ভুলে গেছি
দিনের শেষে  তোমায় ভাবতে!
অগোছালো  জীবনের বহু প্রশ্নের উত্তর  খুজতে! 
রাতের চাঁদ থেকে কিছু আলো নিয়ে স্বপ্ন বুনতে ;

এত প্রশ্নের জবাব হয়তো বিশ্লেষণ  করা যাবে না! 
বোঝানো যাবে না তোমায় আমার ক্ষুদ্র অভিধানের শব্দগুলো দিয়ে
আশ্বস্ত  করতে পারব না তোমার জিজ্ঞাসু মনকে
শুধু এটুকুই জেনে রেখো -
তোমাকে নিয়ে ভাবি না এমন নয় -
ভাবি কিন্তু সেটা ভালবেসে নয়! 
জীবনের কিছু জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজতে তোমায় মনে আসে
শুধু নামটা! তোমার অবয়বটা এখন আর মনে আসে না
তবে এটা অস্বীকার  করতে পারি না যে " তোমায় ভালবাসি নি "।

বিয়োগচিহ্ন : রুনা দত্ত



মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছি

বা ফুরিয়ে যাচ্ছি

তাও শব্দরা হারায় না


শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে

লিখে যাই ....


জীবনের কথা আমার কথা

বা তোমার আমার কথা।


এইভাবেই ফিরে যেতে যেতে

বারবার ফিরে আসি

চেতনে বা অবচেতনে

আমার নৈসর্গিক পৃথিবীতে ....


যেখানে আমার জন্য

আজও অপেক্ষায়

অজস্র সাদা কালো শব্দ


তাই আবার কলম তুলেনি

মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে

সৃষ্টি করে চলি ...

জীবনের শব্দরূপ বা রূপকল্প


যা কবিতা হয়ে ফুটে ওঠে

বাস্তবের পটভূমিতে

শেষ বিয়োগচিহ্নের মতো


বহুরৈখিক : অভিজিৎ দাস কর্মকার



তার কাঁধে হেলান দিয়ে নয়নতারা গাছটি আদর খেতে চেয়েছিল | দোয়েল পাখি তুমি জানো! দেয়ালের ফাঁকে বটচারাটি স্বরবর্ণ শেখাতো |
     এখন তারাখসা আর নায়াগ্রা দুটোই তার পায়ের ছোঁয়া চায়|

সেট্রোনিলার গন্ধ, তিস্তা তিস্তা হাওয়া আর শিলিগুড়ি ভাষাতেও শুধু সে |
আমার হাতের ঘড়িটির সারা শরীরময় জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না সন্ধ্যে।