নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সেই দিনটির মতো .... সুমিত মোদক



সকাল থেকে সেদিনের সেই তোমাকে
খুবই মনে পড়ছে আজ ;
সকাল থেকে ঝমঝম ঝমঝম বৃষ্টি হয়ে চলেছে
সেদিনটির মতো ;
আমরা তখন খাজুরাহর মন্দির প্রাঙ্গণে ;
নির্জন এক মন্দিরে তুমি আর আমি ;
দলছুট হয়ে , আধভেজা হয়ে ,
অপরিচিত হয়েও কত সহজেই পরিচয় হয়ে গেলো ;
সেদিন তুমি শুনিয়ে ছিলে খাজুরাহর লোককথা ,
হাজার বছরের ইতিহাস  ;
আমি কোনদিন ইতিহাস বুঝিনি ;
বুঝিনি নিজেকে ;
অথচ , বুঝতে চেয়েছিলাম তোমাকে ;
তোমার না বলা  কথা গুলি . 
#
তারপর কখন যে আমরাই খাজুরাহর ভাস্কর্য হয়েগেছি ...
তুমি আমার সঙ্গে এখন সব সময় ;
অথচ ,  সেদিনটির মতো নেই আমরা :
চলো , আবার দুজনে বেরিয়ে পড়ি
এই সকালবেলায় , এই শ্রাবণে , সেই খাজুরাহরয় ...

একটা শরীর দেবে :- অথৈ দেবনাথ (রিনা)



তোমরা তো কত শরীর পোড়াও ,
কত শরীর মৃত্তিকার বুকে সমাধী কর,, জলে দাহ কর।
আমায় একটা শরীর দেবে?.........
আমি তার পাঁজরে আশ্রয় নিয়ে,
ফিরে যাব আমার মায়ের কাছে।
যে মা আজো আমার পথ চেয়ে,
 দুচোখের লোনা জলে,,
লোচনে অাজ স্বয়ং নিজেকে ঝাপসা দেখে।
যার বক্ষ ফাটা অাত্ম চিৎকার আমাকে কাছে টানে।
দেবে আমায় একটা শরীর?
যেখানে আমি প্রবেশ করে ফিরে যাব,
আমার পূর্বজন্মের প্রেমিকের কাছে।
যার অশ্রুধারা, স্রোতস্বিনীর মত বেয়ে অাসে আমার কাছে।
যার উল্টো স্রোত, আমায় টেনে নিয়ে যায় তার কাছে।
সে অাজো গোভীর নিশিতে,
আমায় খোঁজে।
আমার চোখের তারায়, চোখ রেখে দেখতে চায়
ভোরের উদয় হওয়া প্রথম সূর্য্য।
যে প্রতিটা মুহূর্তে পেতে চায় অামার ঘ্রাণ।
দেবেতো অামায় একটা শরীর,,
হোকনা সেটা জীর্ণ।
শুধু একবার তার কাছে গিয়ে চুলে সিঁথি কেটে দিয়ে,
তার কোপালে অালপনা এঁকে দেব,,
অধরের স্পর্শে।
অার মন্ত্রমুগ্ধের মত
বলব ভালবাসি, ভালবাসি, ভালোবাসি......


মনবাঞ্ছার হেয়ালী -আরণ্যক রাহাত



হোতাম যদি মুক্ত কন্ঠে আকাশ নীলের সুর,
চাঁদ-সুর্যের নাও ভাসিয়ে হারাতাম বহুদূর।
মেঘবরণে দিক ভোলা রঙ পান্থপাখীর ডানায়,
সাঝের চোখে রোদ ছড়াতাম তেপান্তরের মানায়।

পাহাড় বাদক হোতাম যদি যজ্ঞ নাশী ঢলে,
পাষাণ দু’চোখ ভিজিয়ে দিতাম ঝরে পড়ার ছলে।
বন্য সাজে অঙ্গ ভরিয়ে বিভোর বৃষ্টি-ছায়ে,
প্রপাত পায়েল পড়িয়ে দিতাম পাথর কঠিন পায়ে।

পারতাম যদি শান্ত নদীর বিলাপ মুছে দিতে,
সাগর কূলে ঢেউ ফেরাতাম প্রণয়ের সঙ্গীতে।
সৈকত চোখে ফিরতাম ঠিক ডিঙি ভাসা পথ ধরে,
দুরদ্বীপের স্বপ্ন নিয়ে ঝিনুক কুড়ানোর ভোরে।

কুঞ্জ হয়ে হারাতাম যদি শুকনো পাতার চাদরে,
ফুলের ধুমে ভাঙতো যে ঘুম মাধবীলতার আদরে।
কলির সুখে রোজ পাপড়ি হয়ে বৃক্ষ মায়া কাঁপিয়ে,
মিশে যেতাম মধুর আঁধারে নিসর্গ রঙ ছাপিয়ে।

রুপময়ী হাওয়র কন্যা :-রুদ্র সুশান্ত


হাওয়র কন্যার এতো মুগ্ধকারী রুপ, তোকে অনাবৃত না দেখলে কোন শালায় বুঝতে পারবে না।

ঈশ্বরের চরম সৃষ্টির মায়াবী চন্দ্রিমা যখন লুটোপুটি খায় তোর সুঠান বক্ষে তখন পৃথিবীর যেকোন যুবক স্বর্গের গালে থুথু মেরে প্রাচীনতম চুম্মা দিবে তোর উদ্যমী ঠোঁটে, পেটের দায়ে টিউশন করা ছেলেটা জীবন ভুলে গিয়ে সারা মাসের মাইনে দিয়ে তোর জন্য একটা উজ্জ্বল রক্তিম লিপস্টিক কিনে নিবে অনায়াশে,
পাড়ার বেকার ছেলটা চাকরীর জন্য হন্যি হবে তোর রুপময়ী ঠোঁটের আশায়।
আর এ ধরিত্রীর যেকোনো কবি তাঁর নির্মিত পবিত্র পান্ডুলিপি সহস্র বছরের জন্য বন্ধক দিবে তোর দৃষ্টিনন্দন ঠোঁটের নেশায়।

হাওয়র কন্যা, তুই রাতবিরেতে আমার সাথে শুষ্ক বিছানায় গড়াগড়ি খাবি, আমার বিছানায় একটা মাত্র চাঁদ--তুই। কুঁপি বাত্তির আলোয় তোর মুখে এঁকে দিই ভালোবাসার উদ্যান, তুই পরম তৃপ্তভরে জড়িয়ে নিবি একটা যুবককে।
আহা-- কি যে মোনায়েম সুখ!
তোর বক্ষ না হলে পৃথিবীর কোন শালা এ সুখ বুঝতে পারবে না, খালি অবোধ শিশুর মতো হামাগুড়ি খাবে,
তুইও তো জানিস না কুঁপি বাত্তি নিভে যখন চাঁদের আলোয় সজ্জিত হয় তোর সমগ্র দেহ তখন তোর নাভি হয়ে উঠে স্বর্গোদ্যানোর দ্বার।

একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী... সবকটা দিনেই তুই রহস্যময়ী মোনালিসা।
ঈশ্বর হয়তো তোরও প্রেমিক, তুই জানিস না।
তোকে ভালোবেসে ইশ্বর আর কাউকে এমন নয়নাভিরাম করে বানায় নি।

রাসররাতে তোকে চুমু খেয়ে যেকোন যুবক পরবর্তী চব্বিশঘণ্টা মাতাল থাকবে, নতুবা ফের তোর সাথে মৈথুনে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।
তুই পুরোটাই রহস্যময় রুপের কুঞ্জণ।

আমি ভাসতে ভাসতে হাওয়র কন্যা নগ্ন ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছিলাম---আজ অবধি পৃথিবীর পবিত্রতম চুমো হলো এটাই।
তুই চোখ তুলে বলেছিলি -- "আমি লজ্জায় মরে যাই"।
আমরা নয়নোৎসবে মিলিত হলাম খোলা আকাশের নিচে, তুই তো বলেছিস- তুই নাকি স্বর্গে যাবিনা।
বললাম কেনো? তুই আবার বললি --"এই তো আমার অমরাবতী"।
সেই দিন আমি বুঝেছিলাম আমিও তোর প্রেমিক হতে পেরেছি। হাওয়রে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা তোর সুডোল বক্ষে আমি যতবার মগ্ন হয়েছি ততবার তোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। তোর আছে রহস্যোপন্যাস, আমি পৃষ্টায় পৃষ্টায় ঠোঁট লাগিয়ে তোকে ইচ্ছে মতন পড়ে নিই।
আমি প্রথম তোর কাছেই জেনেছি, নীরবতা মানে আরো কিছু চায়।

আমি আকাশ হাতের মুঠোয় পুরে বলছি- পরজন্মেও আমি তোকে অনাবৃত করবো।
কন্যা, অমন করে হাসিস না, মানব জাতির ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, আমি তোর কাছে বেহায়া হবো কোটিকোটি বার।

তোর উচ্ছ্বল হাসি ঈশ্বরেরও ধ্যান ভঙ্গ করে, আমরা তো মানুষ মাত্র,
এবার বুঝ পৃথিবীর কতো যুবক তোর ঠোঁটে পাগল হতে চায়(?)

আমার বাসরে তোর চাঁদমাখা মুখখানিই সারাক্ষণ জ্বলে। তোর মিলনে আমার প্রতিরাতে বাসর হয়, রুপময়ী।

তব চুম্বন:- বিপ্লব গোস্বামী



সেদিন নীরবে নির্জনে দুজন
তৃষাতুরা চিত্তে তাপ দাহ ভীষণ।
অপলক দৃষ্টিতে কর পরশন
ঘন ঘন তপ্ত শ্বাস অঙ্গ শিহরণ।
লাজে রাঙা মুখ চন্দ্র,নত মস্তক
দীর্ঘ তপ্ত শ্বাস,হৃদপিণ্ডে ধক ধক।
কাঁপা কাঁপা তব শুষ্ক অধর
বসিলো মম ওষ্ঠে কেঁপে থর থর।
নিমীলিত আঁখি তব, স্তব্ধ হলো ক্ষণ
আজো ভুলিনি তব প্রথম চুম্বন।

পীরইতো :- অযান্ত্রিক



সময়ের চরিত্রগত অভয়ারন্য থেকে,নিয়ত সুগন্ধির ঘ্রাণ,
চারিদিকে সার বাঁধা স্তব আর আজানুলম্বিত করুনা
চাদরের উপরে কাঁচা টাকা দৃষ্টি জোড়া দয়াপ্রাথীর মুখ।
আজন্ম পাতা ভিক্ষার ঝুলি,মাটির সাথে মিলেছে দেহত্বতঃ,
ভুঁইফোড় বনস্পতির নীচে নিশ্চিন্ত শয়ান,
কবর নয় জাগ্রত চাঁদের চাদরে ঢাকা পীরের থান।।

মা -পাখি,বাবা পাখি শিখিয়েই ছাড়ে ,ছেলে পাখিকে উড়ান,
ভিড় ঠেলে ,বে-নামাজী মরদ মর্দানি দয়া ভীক্ষা চান।
কারো দাবীতে পেটের ব্যামোর দাওয়াই কেউ বা হেপকেশো,
সন্তান হয়নি যে বৌটার তাকে নাহয় তুমি স্বপ্ন দিযেই এসো।
কারো ছেলের পড়ায় নেই মন,তার দাবী মেধাবীর মাথা,
যার গলায় লাগে নাকো  ধারালো আলাপী সুর ,তার চাই সেটা।

শুনে শুনে কান ঝালাপালা, ফুলে উঠে রাগের চোরা স্রোত,
ভয় ভয় বেড়ে যায় ভক্তি ভরে ওঠে পাঁচ পোয়া সিন্নি মানত।
সন্ধ্যের ধুপ ধুনা জ্বলে যায় বৃথা,ফাঁকা চত্বর জুড়ে আঁধারের সেনা
ক্ষুদে এক রাঙা হাত তুলে নিয়ে মাটির প্রার্থনা ঘোড়া, খিলখিল হাসিতে
বলে “দু য়ো, দাদু দুয়ো, চাইলেও তুমি আমায় ধরতে পারবে না।।