নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শ্রাবণের স্বরলিপি : সুমিত মোদক





ভৈরবী রাগের বিস্তার আনে সকালের চায়ের পেয়ালায়
আমার গোপন প্রেয়সী ;
খোয়াইয়ের জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে উঠে আসে দখিনের বাতাস ;
তখনও ওড়েনি রাঙামাটির ধুলো ;
সে যে সারারাত ভিজেছে মালকোষ রাগে ...
শ্রাবণের প্রথম সকালে গোপন প্রেয়সী হয়ে ওঠে লাজুক ;
চায়ের পেয়ালায় শব্দ তোলে ;
শব্দ তোলে প্রেমিক হৃদয়ে  ;
#
এখনও বোলপুরের মাটিতে জন্ম নেয় আদিবাসী রমণীর নূপুর ধ্বনি #  মাদলের বোল
আমার স্ত্রীর সংলাপ  # মেয়ের হাসি
লালন সাঁইয়ের গান.. ..
আর আমি , আজও অপেক্ষায় থাকি প্রথম সকালের চায়ের উষ্ণতা #  শ্রাবণের স্বরলিপি  

গরিব সিরাজ, নিঃস্ব বেগম : অযান্ত্রিক




কে প্রথম দেখছিলো, আমি ,আমি দুজনেই বলে উঠলাম একযোগে,
কবে?যতদূর মনে পড়ে,ছেদি বামনির ছাগলটা যবে বিয়োল মরা ছানা।
আর তেড়ে এলো বৃষ্টি,রেল বাঁধে ভরে উঠলো ভেড়া ছাগল গরু আর লোকে।
মনে পড়ে না?

শুধু জল আর জল চারিদিক ভরা কোনদিকে পাইনা কো তল,
তুলে ধরে চার হাত ছিনে নিলাম চিরে গুড় আর কিছু অন্নভোগ,
পেটে নিয়ে মন্ত্রী চোখ দেখে গেল রাস্ট্রীয় বিমানের দল
মনে পড়ে না ?

প্রহরের পর গুনে নিয়ে ভেজা হায় আর ফুলে ওঠা চেনা শবদেহে,
বুঝিনি কে প্রথম ঠোঁটের পরে রেখে ঠোঁট গড়েছিল অবরোধ
ওপাড়ার বুড়ির সাথে হয় গেল গাঁট ছড়া এপাড়ার বাবুর সস্নেহে।
মনে পড়ে না?

আর সেই থেকে বৃষ্টি পড়লেই বুকে ,ছাতের পরে শব্দে ঝমাঝম,
স্বচ্ছ জলের সুর বলে দেয়, আমি তোর সিরাজ,তুই আমার বেগম।

#অযান্ত্রিক

ছাব্বিশ বছর পর : রুদ্র সুশান্ত





আমি মরে গেলে-
বহুদিন পর তুমি জানবে- আমি চরম ভালোবাসতাম তোমায়।
সয়মের ব্যবধানে কষ্ট পুষে বড়ো হচ্ছো তুমি, নিদারুণ স্নেহ আজো রাখেনি কথা, মন বাড়িয়ে সে শুধু তোমাকে খুঁজে।
বড়ো হবার বিরল আর্তনাদ ছিলো মনের কিন্তু সে এখনো ছাব্বিশে আটকে রইলো, যেমন করে তোমার তুলতুলে ঠোঁটে প্রথম যৌবন বিসর্জিত ছিলো প্রেমিকের।

যুকবের বয়স বাড়লো, চুলগুলো আউলা হলো, গিটারের ছিঁড়ে গেছে সব ক'টা সোনালি তার, ডায়েরীর ভিতর পুরানো চিঠির গন্ধ এখনো নাকে আসে সবিশেষ।

এখনো বয়সের ফাঁকে তোমাকে খুঁজে বেড়ায় একজন প্রেমিক, আরো ছাব্বিশ বছর পরে তুমি জেনে যাবে- তোমার একমাত্র প্রেমিক সে, বাকিরা তোমায় ভোগ করেছে, উপভোগ।
ভালোবাসার তীর্যক তোমার পানে রাখেনি, রেখেছিলো মোহ। ছাব্বিশটা বছর হারিয়ে গেলো তুমি আসলে না, বসলে না পাশে, ধরলে না হাত, নাকে নাক ছুঁয়ে করোনি বেসামাল।

আরো ছাব্বিশ বছর পরে ক্রন্দনের অনুতাপে বিলাপ করবে তুমি, তোমার শহরে কালোরাত্রি পার হয়ে ভোর হবে, রঙিন সকালে সূর্য উঠবে কিন্তু তোমার মন জাগাতে পারবে ওসব কিছুই। ছাব্বিশটা বছর প্রেমিকহীন কেটে যাবার করুণ শোকে শহরে নামবে তোমার মাতোম।

দীর্ঘ হলো না আমাদের বাসর, আসরের সবক'টা কোকিল সুর তুলেছিলো, বেসুরা কণ্ঠে নিনাদধ্বনি ছিলো তোমার,  আমাকে হারানোর সুকরুণ স্বাদ ডুকরিয়ে তোলে তোমার  বক্ষদেশ। তুমি এখন আমাকে ছু্ঁতে চাও অথচ ছাব্বিশটা বছর তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, তুমি আর আসোনি ফিরে। আজ বিলাপ করছো তোমার পৃথিবীর দু'কূল ভেঙে। আমি আর ফিরবোনা।
এখান থেকে আর কেউ ফিরে না, আমি জল হবো যাবো,  তুমি যাতে কান্না লুকাতে পারো।

ছাব্বিশ বছর পর, আমি জল হয়ে ফিরে আসছি তোমার নয়নে।
তুমি বুকে নিয়ে রাখোনি আমায়, আমি তাই তোমার নয়ন ছুঁয়ে গড়াবো ধূলায়।

বালুঘাট, ঢাকা।
২৭/১২/১৮

স্বপ্নানন্দ :শুভম চক্রবর্ত্তী






মধ‍্য রাত্রি,

স্বপ্নে দেখা এক রাজ‍্য।

যে রাজ‍্যে মন্ত্রীরা সব প্রতিভাবান।

মন্ত্রীগন রাজ‍্যকে মাতৃতুল‍্য এবং

প্রজাদের ভাতৃতুল‍্য সম্মান দেয়।

সে রাজ‍্যে যে যে বিষয়ে সর্বজ্ঞ এবং শ্রেষ্ঠ

সে সেই বিভাগীয় মন্ত্রী।

সে রাজ‍্যে গনতন্ত্র আছে উপযুক্তের পক্ষে।

সে রাজ‍্যে মানুষ দানে নয় মন্ত্রী

মন্ত্রীর সহযোগিতায় এবং আত্ম-অধিকারে বাঁচে।

সে রাজ‍্যে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বিরাজমান।

মন্ত্রী, জনগন সবাই গনতন্ত্রের গুরুত্ব বোঝে।


শরীরে আনন্দের শিহরন,

বুকে ধামসা-মাদলের ন‍্যয় কম্পন,

হটাৎ ঘুম ভাঙে বসা,

আর গালে হাত।।

জীবাশ্ম : সাব্বির সেখ

            আমিও একদিন এই আবেগহীন সভ্যতার ইতিহাস রচনার প্রত্নতাত্বিক উপাদান হবো,
জীবাশ্ম হয়ে ঠাঁই নেবো কোনো পাললিক শিলার ভাঁজে,
সেদিন আমার অবয়ব ছাপা থাকবে কোনো পাথরের গায়ে,
হৃদয়ের ভালোবাসা গুলো প্রস্তরীভূত হবে প্রবল চাপে ও তাপে,
তবুও শিলার প্রতিটি রন্ধ্রে খোদাই করা থাকবে নির্ভেজাল ভালোবাসার চিহ্ন.
সেদিন হয়তো যান্ত্রিক পৃথিবীতে থাকবে না কোনো নিখাদ ভালোবাসা,
শুধু এই হৃদয়ের ভালোবাসা গুলো টিকে থাকবে কোনো পাথরের গায়ে জীবাশ্ম হয়ে.

যদি: সুরভি ইসলাম


একবার ঘুরে,
তাকিয়ে দেখতো যদি
বাঁধন ভেঁগে ভাবনার,
গড়িয়ে যেত নদী।

অন্ধকার শীতল সন্ধ্যায়,
গা ঢ়াকা দিয়ে পার পেয়েছিলো।
একফোটা জ্যোৎস্না তাকে
ছূয়ে যেত যদি

আজ রজনী গন্ধার গন্ধেতে,
সেই সাধ আর নেই
কোকিলের মিশ্টি কন্ঠে,
সেই রাগ আর নেই

আমার ভাগে তো সেই
সোহাগ আর নেই
সে আজ থাকতো আমার পাশে,
তাকে বৃষ্টি আটকে দিত যদি।

নরম ঘাসের  ডগা তার,
পায়ের আঙুল ছুঁয়ে দিত যদি
এক নিমিষে পাওয়া  যেত সবই
এক মুহুূর্ত, আরও এক মুহূর্ত
সে থেকে যেত যদি

সে ডানা কাটা পরী
সে অপরূপা সুন্দরী ।
বলে দিতাম সব খুলে
তার থুতনি টা তুলে
আমার মন সঙ্গ দিত যদি।

আমি ভাবতে ভাবতে রয়ে গেলাম
আবেশে কত কি সয়ে গেলাম।
মুহূর্ত সেই মুহূর্ত সব
অকারণে কেন হারিয়ে  দিলাম।

তাকে বুকের পাশে রাখতাম
প্রেমের বয়ে যেত নদী
একবার শুধু  একবার
সে হেঁসে দিত যদি। । ।