নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

স্বপ্নানন্দ :শুভম চক্রবর্ত্তী






মধ‍্য রাত্রি,

স্বপ্নে দেখা এক রাজ‍্য।

যে রাজ‍্যে মন্ত্রীরা সব প্রতিভাবান।

মন্ত্রীগন রাজ‍্যকে মাতৃতুল‍্য এবং

প্রজাদের ভাতৃতুল‍্য সম্মান দেয়।

সে রাজ‍্যে যে যে বিষয়ে সর্বজ্ঞ এবং শ্রেষ্ঠ

সে সেই বিভাগীয় মন্ত্রী।

সে রাজ‍্যে গনতন্ত্র আছে উপযুক্তের পক্ষে।

সে রাজ‍্যে মানুষ দানে নয় মন্ত্রী

মন্ত্রীর সহযোগিতায় এবং আত্ম-অধিকারে বাঁচে।

সে রাজ‍্যে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বিরাজমান।

মন্ত্রী, জনগন সবাই গনতন্ত্রের গুরুত্ব বোঝে।


শরীরে আনন্দের শিহরন,

বুকে ধামসা-মাদলের ন‍্যয় কম্পন,

হটাৎ ঘুম ভাঙে বসা,

আর গালে হাত।।

জীবাশ্ম : সাব্বির সেখ

            আমিও একদিন এই আবেগহীন সভ্যতার ইতিহাস রচনার প্রত্নতাত্বিক উপাদান হবো,
জীবাশ্ম হয়ে ঠাঁই নেবো কোনো পাললিক শিলার ভাঁজে,
সেদিন আমার অবয়ব ছাপা থাকবে কোনো পাথরের গায়ে,
হৃদয়ের ভালোবাসা গুলো প্রস্তরীভূত হবে প্রবল চাপে ও তাপে,
তবুও শিলার প্রতিটি রন্ধ্রে খোদাই করা থাকবে নির্ভেজাল ভালোবাসার চিহ্ন.
সেদিন হয়তো যান্ত্রিক পৃথিবীতে থাকবে না কোনো নিখাদ ভালোবাসা,
শুধু এই হৃদয়ের ভালোবাসা গুলো টিকে থাকবে কোনো পাথরের গায়ে জীবাশ্ম হয়ে.

যদি: সুরভি ইসলাম


একবার ঘুরে,
তাকিয়ে দেখতো যদি
বাঁধন ভেঁগে ভাবনার,
গড়িয়ে যেত নদী।

অন্ধকার শীতল সন্ধ্যায়,
গা ঢ়াকা দিয়ে পার পেয়েছিলো।
একফোটা জ্যোৎস্না তাকে
ছূয়ে যেত যদি

আজ রজনী গন্ধার গন্ধেতে,
সেই সাধ আর নেই
কোকিলের মিশ্টি কন্ঠে,
সেই রাগ আর নেই

আমার ভাগে তো সেই
সোহাগ আর নেই
সে আজ থাকতো আমার পাশে,
তাকে বৃষ্টি আটকে দিত যদি।

নরম ঘাসের  ডগা তার,
পায়ের আঙুল ছুঁয়ে দিত যদি
এক নিমিষে পাওয়া  যেত সবই
এক মুহুূর্ত, আরও এক মুহূর্ত
সে থেকে যেত যদি

সে ডানা কাটা পরী
সে অপরূপা সুন্দরী ।
বলে দিতাম সব খুলে
তার থুতনি টা তুলে
আমার মন সঙ্গ দিত যদি।

আমি ভাবতে ভাবতে রয়ে গেলাম
আবেশে কত কি সয়ে গেলাম।
মুহূর্ত সেই মুহূর্ত সব
অকারণে কেন হারিয়ে  দিলাম।

তাকে বুকের পাশে রাখতাম
প্রেমের বয়ে যেত নদী
একবার শুধু  একবার
সে হেঁসে দিত যদি। । ।
                                     

মানস প্রতীমা ...... অথৈ দেবনাথ(রিনা



প্রিয় অরণ্য,
এই মহাবিশ্বে যত ভালোবাসা ছড়ানো আছে
তার সবকয়টা একত্র করে লিখলাম গভীর প্রনয়ের পত্র।
অপার নৈশব্দে ধ্যানমগ্ন হয়ে 
যখন তুমি পড়বে এই চিঠিটা,
তখন নিঃষ্পাপ এক মানস প্রতীমার চিত্রপট ভেসে উঠবে তোমার হৃদয় ক্যানভাসে।
যার হাতে হাত রেখে উষ্ণ আবেগে বলেছিলে
প্রতিঘন্টায় একবার স্মরণ করবে,,
আর প্রতিটা কথার মাঝে বলবে ভালোবাসি।
আমি কিন্তুু বলব,তুমি বলবেতো?
অথচ ঘোর অমানিশায় মিশে যায় এক হারা দেহ।
আর তাইতো,
যান্ত্রিকতার এই পৃথিবীতে ছুটতে ছুটতে...
কখন যেন মনের চাওয়াগুলো হয়ে গেছে
 চন্দ্রভূক আমাবস্যা।
কিন্তুু আমি জানি অরণ্য ,
আজো যন্ত্র হয়ে উঠোনি তুমি।
আজো সেই পূর্ণিমার স্নিগ্ধ আভায়,
ভেসে উঠো তুমি গোভীর প্রনয়ের আবেসে।
আর বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে দীর্ঘস্বাস ছেড়ে বল ভালোবাসি।
তোমার শব্দের সেই প্রতিধ্বনি,
আমার গোহিন সমুদ্রে তিরিক্ষি ঝড় তুলে।
তখন আমার অন্তরিক্ষে প্রজ্জলিত হয় হাজারো নক্ষত্র মেলা।
                     
                 ইতি.....
তোমার মানস প্রতীমা


ইলিশ.... সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়



তুমি আলোতে দাঁড়ালে আঁধারে তোমার দীর্ঘতর ছায়া পড়ে।

আঁধারে দাঁড়াতে দেখিনি কখনো তোমায় আমি।

এই ঘোর বর্ষায় উজান গাঙে নৌকো ভাসে প্রদীপের মত।

এই ঘোর বর্ষায় তারা সব ভিজে বিকেলের ভ্রমে সার সার মরা চোখ বুকে , আঁশটে গন্ধ গায়ে মেখে
এসে ঠ্যাকে পাড়ে।

এমন অসময়ে তোমার জন্য খুব তৃষ্ণা লাগে। ঢেউয়ের মত। ঘূর্ণিঝড়ের মত বীর্যবতী নারী।

ছইয়ের নীচে মরা মাছ পড়ে , মাছের চোখে হ্যাজাকের আলো পড়ে , আলোর নীচে লোভ পড়ে, তার গায়ে মাখো মাখো লেগে ভালোবাসা।

আমি তোমাকে চাই বর্ষার এমন ঘোর লাগা ঘরে ইলিশের মত করে রুদ্রলীনা। একদিন আগল ঠেলে।


হৃৎপিন্ড.... অভিজিৎ দাসকর্মকার


একটি ম্যাসোচিস্ট ট্রাম
সমান্তরাল পরিধি ধরে বাড়ছে-
তিলোত্তমা আর জ্যোৎস্নার ঘাস
মুহুর্তটির নাম দিয়েছে,
                                 ফাটল...
তাই
কোজাগরীও আজ আহ্লাদী
ছন্দভাঙা অক্ষরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
শুক্রাণুর গন্ধ____

দিঘির জল হস্তান্তর করছে
একটি ভারহীন সন্ধ্যা
নাম রাখলাম হৃৎপিন্ড...